কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের বনে এক বছরে ৭টি বুনো হাতির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি হাতিকে গুলি ও বৈদ্যুতিক ফাঁদে হত্যা করা করার অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ভোরে চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের পূর্ণগ্রাম এলাকায় একটি হাতিকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হাতিটির বয়স ১২ থেকে ১৫ বছর বলে ধারণা করছেন বন কর্মকর্তারা।
বন বিভাগের তথ্য মতে, গত চার বছরে বৈদ্যুতিক শক, চোরা শিকারিদের গুলি ও নানা কারণে কক্সবাজারের বনে ২০টি বুনো হাতির মৃত্যু হয়েছে।
এ ব্যাপারে বন বিভাগের ঈদগাঁও রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন খান বলেন, এ ঘটনায় পাশের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের টেরিঢেবা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীপাড়ার দু অং মার্মার ছেলে মংহ্লা মার্মা (৪২) ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি ইউনিয়নের কাইন্দার বিলের টুম্পাপাড়ার মে মং মার্মার ছেলে অং থোয়াই চিং মার্মার (৪৫) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ঘটনার পর মংহ্লা মার্মাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বন বিভাগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর টেকনাফের শালবন পাহাড়ের ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি ঝিরিতে একটি বুনো হাতি শাবকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। একই এলাকায় ছয় দিন আগে আরও একটি হাতির শাবকের মৃত্যু হয়েছিল।
বন বিভাগের টেকনাফ বিট কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক আহমেদ বলেন, খাদ্যের খোঁজে বিচরণের সময় পাহাড়ের চূড়া থেকে পড়ে হাতিগুলোর মৃত্যু হতে পারে। না হলে ওই পাহাড়ি এলাকায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের ধাওয়া বা গুলি খেয়ে মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ৩১ আগস্ট রামু উপজেলার খুনিয়া পালং এলাকায় বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে আরও একটি বুনো হাতি হত্যা করা হয়েছিল।
বিট কর্মকর্তা আরও বলেন, গত বছরের নভেম্বর মাসে চকরিয়া ও রামু উপজেলায় দুর্বৃত্তের গুলি ও বৈদ্যুতিক শকে ১২ দিনের মাথায় তিনটি হাতির মৃত্যু হয়।
কক্সবাজারের পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির (ইয়েস) প্রধান নির্বাহী অফিসার ইব্রাহিম খলিল মামুন আজকের পত্রিকাকে জানান, গত চার বছরে তিন উপজেলায় রোহিঙ্গা বসতি, সরকারি প্রতিষ্ঠান তৈরি ও নানা কারণে প্রায় ২০ হাজার একর বনভূমি বেদখল হয়ে গেছে। এতে হাতির আবাসস্থল নষ্ট হয়ে গেছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) এর জরিপে দেখা যায়, কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় ২৬৮টি এশিয়ান হাতির বসবাস রয়েছে। এই জরিপে হাতি চলাচলের ১২টি করিডর চিহ্নিত করা হয়। এসব করিডর দিয়ে হাতি খাদ্যের সন্ধানে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা ঘুরে বেড়ায়। হাতির দল এসব করিডরে দখল ও স্থাপনা নির্মাণ হওয়ায় আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে।
ইব্রাহিম খলিল মামুন আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বনাঞ্চল উজাড় ও বনভূমি দখল হয়ে যাওয়ায় বুনো হাতি বিপন্ন হয়ে গেছে। প্রায় প্রতিদিন কক্সবাজারের সাত উপজেলার কোথাও না কোথাও বুনো হাতি খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে ছুটে আসছে।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে বন বিভাগ কাজ করছে। তারপরও বিভিন্ন সময়ে মানুষের আক্রোশের শিকার হচ্ছে হাতি। হাতি রক্ষায় সচেতনতার ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
কক্সবাজারের বনে এক বছরে ৭টি বুনো হাতির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি হাতিকে গুলি ও বৈদ্যুতিক ফাঁদে হত্যা করা করার অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ভোরে চকরিয়ার খুটাখালী ইউনিয়নের পূর্ণগ্রাম এলাকায় একটি হাতিকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। হাতিটির বয়স ১২ থেকে ১৫ বছর বলে ধারণা করছেন বন কর্মকর্তারা।
বন বিভাগের তথ্য মতে, গত চার বছরে বৈদ্যুতিক শক, চোরা শিকারিদের গুলি ও নানা কারণে কক্সবাজারের বনে ২০টি বুনো হাতির মৃত্যু হয়েছে।
এ ব্যাপারে বন বিভাগের ঈদগাঁও রেঞ্জ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন খান বলেন, এ ঘটনায় পাশের লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের টেরিঢেবা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীপাড়ার দু অং মার্মার ছেলে মংহ্লা মার্মা (৪২) ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারি ইউনিয়নের কাইন্দার বিলের টুম্পাপাড়ার মে মং মার্মার ছেলে অং থোয়াই চিং মার্মার (৪৫) বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ঘটনার পর মংহ্লা মার্মাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বন বিভাগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর টেকনাফের শালবন পাহাড়ের ২৬ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি ঝিরিতে একটি বুনো হাতি শাবকের মৃতদেহ পাওয়া যায়। একই এলাকায় ছয় দিন আগে আরও একটি হাতির শাবকের মৃত্যু হয়েছিল।
বন বিভাগের টেকনাফ বিট কর্মকর্তা সৈয়দ আশিক আহমেদ বলেন, খাদ্যের খোঁজে বিচরণের সময় পাহাড়ের চূড়া থেকে পড়ে হাতিগুলোর মৃত্যু হতে পারে। না হলে ওই পাহাড়ি এলাকায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের ধাওয়া বা গুলি খেয়ে মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ৩১ আগস্ট রামু উপজেলার খুনিয়া পালং এলাকায় বৈদ্যুতিক ফাঁদ পেতে আরও একটি বুনো হাতি হত্যা করা হয়েছিল।
বিট কর্মকর্তা আরও বলেন, গত বছরের নভেম্বর মাসে চকরিয়া ও রামু উপজেলায় দুর্বৃত্তের গুলি ও বৈদ্যুতিক শকে ১২ দিনের মাথায় তিনটি হাতির মৃত্যু হয়।
কক্সবাজারের পরিবেশবাদী সংগঠন ইয়ুথ এনভায়রনমেন্ট সোসাইটির (ইয়েস) প্রধান নির্বাহী অফিসার ইব্রাহিম খলিল মামুন আজকের পত্রিকাকে জানান, গত চার বছরে তিন উপজেলায় রোহিঙ্গা বসতি, সরকারি প্রতিষ্ঠান তৈরি ও নানা কারণে প্রায় ২০ হাজার একর বনভূমি বেদখল হয়ে গেছে। এতে হাতির আবাসস্থল নষ্ট হয়ে গেছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) এর জরিপে দেখা যায়, কক্সবাজার ও পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের কয়েকটি এলাকায় ২৬৮টি এশিয়ান হাতির বসবাস রয়েছে। এই জরিপে হাতি চলাচলের ১২টি করিডর চিহ্নিত করা হয়। এসব করিডর দিয়ে হাতি খাদ্যের সন্ধানে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা ঘুরে বেড়ায়। হাতির দল এসব করিডরে দখল ও স্থাপনা নির্মাণ হওয়ায় আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছে।
ইব্রাহিম খলিল মামুন আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বনাঞ্চল উজাড় ও বনভূমি দখল হয়ে যাওয়ায় বুনো হাতি বিপন্ন হয়ে গেছে। প্রায় প্রতিদিন কক্সবাজারের সাত উপজেলার কোথাও না কোথাও বুনো হাতি খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে ছুটে আসছে।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) আনোয়ার হোসেন সরকার বলেন, হাতি ও মানুষের দ্বন্দ্ব নিরসনে বন বিভাগ কাজ করছে। তারপরও বিভিন্ন সময়ে মানুষের আক্রোশের শিকার হচ্ছে হাতি। হাতি রক্ষায় সচেতনতার ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।
অতি মুনাফা ও বাজার অর্থনীতিই পরিবেশ ধ্বংসের মূল কারণ বলে মন্তব্য করেছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান। তিনি বলেছেন, আইনের যথাযথ বাস্তবায়নের অভাবে পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ প্রয়োজন। তবে সবার আগে এ বিষয়ে করণীয়...
৭ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাস আজও খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। বায়ুদূষণের সূচকে বিশ্বের ১২৫টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান আজ দ্বিতীয়। সকাল ৬টায় ঢাকার বায়ুমান রেকর্ড করা হয় ২৯১। মানসূচকে ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়...
৯ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারের কুতুবদিয়া দ্বীপে নতুনভাবে বনায়নের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বন ও পরিবেশ এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান। আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অডিটরিয়ামে সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
২১ ঘণ্টা আগেঅবিলম্বে প্রাণ-প্রকৃতি পুনরুদ্ধার ও কার্বন নিঃসরণ কমানোর পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ২০৭০-২০৯০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক জিডিপি ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যেতে পারে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক ইনস্টিটিউট অ্যান্ড ফ্যাকাল্টি অব অ্যাকচুয়ারিজ এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প
১ দিন আগে