অনলাইন ডেস্ক
২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ধূমপানমুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছে যুক্তরাজ্য। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই জানিয়েছিলেন ব্রিটিশ সরকারের এক কর্মকর্তা। এদিকে গবেষণায় জানা গেল, দেশটিতে প্রতি সেকেন্ডে ১৩টি ভেপ (ইলেকট্রনিক সিগারেট) ফেলে দেওয়া হয়—যা প্রতিদিনের হিসাবে ১০ লাখেরও বেশি। গবেষণাটিতে বলা হয়, এটি ‘পরিবেশগত দুঃস্বপ্ন’–এর দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
আজ সোমবার দ্য গার্ডিয়ানের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গবেষণার তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণাটি থেকে জানা যায়, যুক্তরাজ্যে বিগ পাফ ভেপের ব্যবহার বেড়ে গেছে। আকারে বড় এই ভেপগুলোর প্রতিটি ছয় হাজার পাফ পর্যন্ত ধারণ করতে পারে। একবার ব্যবহারযোগ্য ভেপ গড়ে ৬০০ পাফ ধারণ করে। পাফ বলতে সিগারেটের মতো একবার টানা বোঝায়।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ম্যাটেরিয়াল ফোকাস ইলেকট্রনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পুনর্ব্যবহার যোগ্যতা নিয়ে কাজ করে। এ প্রতিষ্ঠানটির তত্ত্বাবধানে গবেষণা ও পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান অপিনিয়াম এই গবেষণাটি করেছিল। গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি সপ্তাহে বিগ পাফ ক্যাটাগরির ৩০ লাখ কেনা হচ্ছে। আর সপ্তাহে ৮২ লাখ ভেপ ফেলে দেওয়া বা ভুলভাবে রিসাইকেল বা পুনর্ব্যবহার করা হচ্ছে।
পরিবেশগত ক্ষতি এবং শিশুদের মধ্যে এটির ব্যাপক ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে ২০২৫ সালের জুন থেকে যুক্তরাজ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য ভেপ বিক্রি নিষিদ্ধ করার কথা রয়েছে। দেশটিতে শিশুদের বিনা মূল্যে ভেপের নমুনা দেওয়ার মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। এ কারণে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে সরকার। বলা হচ্ছে, শুধু পুনরায় চার্জ করা যায় এমন বা রিফিলযোগ্য কার্টিজযুক্ত ভেপ বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে।
তবে সব ধরনের ভেপেই লিথিয়াম–আয়ন ব্যাটারি থাকে। এটি ভেঙে ফেললে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এটি ফেলে দেওয়ার পর অন্যান্য বর্জ্যের সঙ্গে মিলে বর্জ্যবাহী ট্রাক বা রিসাইক্লিং সেন্টারে অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যে এ ধরনের আগুনের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। গত বছর ২০২২ সালের তুলনায় এ ধরনের ঘটনা ৭১ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
পরিবেশবিদেরা বলছেন, এই একবার ব্যবহারযোগ্য ভেপগুলো অপচয় বাড়ায় এবং বাস্তুসংস্থানের জন্য ক্ষতিকর। এগুলোতে লিথিয়াম ও তামার মতো মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান থাকে। এগুলো শেষ পর্যন্ত বর্জ্যের সঙ্গে ফেলে দেওয়া হয়।
ম্যাটেরিয়াল ফোকাস এক হিসাবে দেখিয়েছে, প্রতিবছর ফেলে দেওয়া ভেপগুলো দিয়ে ১০ হাজার ১২৭টি বৈদ্যুতিক যানবাহন চালানোর প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করতে পারত। এই ভেপগুলো প্রায়ই যেখানে-সেখানে ফেলে দেওয়া হয়, যা বন্য প্রাণীর জন্য বিষাক্ত।
গবেষণায় সুপারিশ করা হয়, ভেপগুলো দোকানে ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। লাইসেন্সের মাধ্যমে ভেপ বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ম্যাটেরিয়াল ফোকাসের নির্বাহী পরিচালক স্কট বাটলার বলেন, ‘ভেপ উৎপাদকেরা একবার ব্যবহৃত ভেপ নিষেধাজ্ঞা এড়াতে চূড়ান্তভাবে সৃজনশীল করে তুলছে। বর্তমান নিষেধাজ্ঞা সবচেয়ে পরিবেশগতভাবে অপচয়মূলক পণ্য বাজার থেকে সরিয়ে নেবে। তবে নতুন পণ্যের ক্রমবর্ধমান প্রবাহ মোকাবিলার জন্য আরও নমনীয় আইন প্রয়োজন হতে পারে।’
বাটলার বলেন, ‘যেভাবে একটি ভেপ কেনা সহজ, ঠিক সেভাবে তা রিসাইকেল করাও সহজ হওয়া উচিত। ভেপ ব্যবহারকারীদের দাবি এটা হওয়া উচিত যে তারা যেখানে ভেপ কিনছে সেখানে রিসাইক্লিং পয়েন্টও রাখা হোক। ভেপ বিক্রেতাদের জন্য এটি আইনি বাধ্যবাধকতা হওয়া উচিত।’
ম্যাটেরিয়াল ফোকাসের নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘আরও বেশিসংখ্যক সহজলভ্য এবং দৃশ্যমান ভেপ রিসাইকেল ড্রপ-অফ পয়েন্ট প্রয়োজন। আমাদের খুচরা বিক্রেতা ও উৎপাদকদের যথাযথ রিসাইক্লিং সমাধানগুলোর জন্য অর্থায়ন করতে হবে যাতে উপাদান পুনরুদ্ধার ও অগ্নি-ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা করা যায়। যুক্তরাজ্যের দোকানে, পার্কে, অফিসের কাছাকাছি, বার ও পাব, এবং স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশি সহজলভ্য রিসাইক্লিং ড্রপ–অফ পয়েন্ট প্রয়োজন।’
যেকোনো ইলেকট্রনিক পণ্য যেগুলোর প্লাগ, ব্যাটারি বা ধাতব তার রয়েছে, সেগুলো কখনোই সাধারণ বর্জ্যে ফেলা উচিত নয় এবং ন্যূনতম হলেও রিসাইকেল করা উচিত বলে মনে করেন বাটলার।
এর আগে গত জুলাই মাসে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করে চলতি বছরের মধ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য ভেপ বিক্রি নিষিদ্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের কাউন্সিল।
২০৩০ সালের মধ্যে দেশকে ধূমপানমুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছে যুক্তরাজ্য। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটাই জানিয়েছিলেন ব্রিটিশ সরকারের এক কর্মকর্তা। এদিকে গবেষণায় জানা গেল, দেশটিতে প্রতি সেকেন্ডে ১৩টি ভেপ (ইলেকট্রনিক সিগারেট) ফেলে দেওয়া হয়—যা প্রতিদিনের হিসাবে ১০ লাখেরও বেশি। গবেষণাটিতে বলা হয়, এটি ‘পরিবেশগত দুঃস্বপ্ন’–এর দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
আজ সোমবার দ্য গার্ডিয়ানের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গবেষণার তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণাটি থেকে জানা যায়, যুক্তরাজ্যে বিগ পাফ ভেপের ব্যবহার বেড়ে গেছে। আকারে বড় এই ভেপগুলোর প্রতিটি ছয় হাজার পাফ পর্যন্ত ধারণ করতে পারে। একবার ব্যবহারযোগ্য ভেপ গড়ে ৬০০ পাফ ধারণ করে। পাফ বলতে সিগারেটের মতো একবার টানা বোঝায়।
পরিবেশ সংরক্ষণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ম্যাটেরিয়াল ফোকাস ইলেকট্রনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পুনর্ব্যবহার যোগ্যতা নিয়ে কাজ করে। এ প্রতিষ্ঠানটির তত্ত্বাবধানে গবেষণা ও পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান অপিনিয়াম এই গবেষণাটি করেছিল। গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি সপ্তাহে বিগ পাফ ক্যাটাগরির ৩০ লাখ কেনা হচ্ছে। আর সপ্তাহে ৮২ লাখ ভেপ ফেলে দেওয়া বা ভুলভাবে রিসাইকেল বা পুনর্ব্যবহার করা হচ্ছে।
পরিবেশগত ক্ষতি এবং শিশুদের মধ্যে এটির ব্যাপক ব্যবহার কমানোর লক্ষ্যে ২০২৫ সালের জুন থেকে যুক্তরাজ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য ভেপ বিক্রি নিষিদ্ধ করার কথা রয়েছে। দেশটিতে শিশুদের বিনা মূল্যে ভেপের নমুনা দেওয়ার মাত্রা বেড়ে গিয়েছিল। এ কারণে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে সরকার। বলা হচ্ছে, শুধু পুনরায় চার্জ করা যায় এমন বা রিফিলযোগ্য কার্টিজযুক্ত ভেপ বিক্রির অনুমতি দেওয়া হবে।
তবে সব ধরনের ভেপেই লিথিয়াম–আয়ন ব্যাটারি থাকে। এটি ভেঙে ফেললে বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। এটি ফেলে দেওয়ার পর অন্যান্য বর্জ্যের সঙ্গে মিলে বর্জ্যবাহী ট্রাক বা রিসাইক্লিং সেন্টারে অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যে এ ধরনের আগুনের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে। গত বছর ২০২২ সালের তুলনায় এ ধরনের ঘটনা ৭১ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
পরিবেশবিদেরা বলছেন, এই একবার ব্যবহারযোগ্য ভেপগুলো অপচয় বাড়ায় এবং বাস্তুসংস্থানের জন্য ক্ষতিকর। এগুলোতে লিথিয়াম ও তামার মতো মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক উপাদান থাকে। এগুলো শেষ পর্যন্ত বর্জ্যের সঙ্গে ফেলে দেওয়া হয়।
ম্যাটেরিয়াল ফোকাস এক হিসাবে দেখিয়েছে, প্রতিবছর ফেলে দেওয়া ভেপগুলো দিয়ে ১০ হাজার ১২৭টি বৈদ্যুতিক যানবাহন চালানোর প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করতে পারত। এই ভেপগুলো প্রায়ই যেখানে-সেখানে ফেলে দেওয়া হয়, যা বন্য প্রাণীর জন্য বিষাক্ত।
গবেষণায় সুপারিশ করা হয়, ভেপগুলো দোকানে ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা করা উচিত। লাইসেন্সের মাধ্যমে ভেপ বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ম্যাটেরিয়াল ফোকাসের নির্বাহী পরিচালক স্কট বাটলার বলেন, ‘ভেপ উৎপাদকেরা একবার ব্যবহৃত ভেপ নিষেধাজ্ঞা এড়াতে চূড়ান্তভাবে সৃজনশীল করে তুলছে। বর্তমান নিষেধাজ্ঞা সবচেয়ে পরিবেশগতভাবে অপচয়মূলক পণ্য বাজার থেকে সরিয়ে নেবে। তবে নতুন পণ্যের ক্রমবর্ধমান প্রবাহ মোকাবিলার জন্য আরও নমনীয় আইন প্রয়োজন হতে পারে।’
বাটলার বলেন, ‘যেভাবে একটি ভেপ কেনা সহজ, ঠিক সেভাবে তা রিসাইকেল করাও সহজ হওয়া উচিত। ভেপ ব্যবহারকারীদের দাবি এটা হওয়া উচিত যে তারা যেখানে ভেপ কিনছে সেখানে রিসাইক্লিং পয়েন্টও রাখা হোক। ভেপ বিক্রেতাদের জন্য এটি আইনি বাধ্যবাধকতা হওয়া উচিত।’
ম্যাটেরিয়াল ফোকাসের নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘আরও বেশিসংখ্যক সহজলভ্য এবং দৃশ্যমান ভেপ রিসাইকেল ড্রপ-অফ পয়েন্ট প্রয়োজন। আমাদের খুচরা বিক্রেতা ও উৎপাদকদের যথাযথ রিসাইক্লিং সমাধানগুলোর জন্য অর্থায়ন করতে হবে যাতে উপাদান পুনরুদ্ধার ও অগ্নি-ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা করা যায়। যুক্তরাজ্যের দোকানে, পার্কে, অফিসের কাছাকাছি, বার ও পাব, এবং স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশি সহজলভ্য রিসাইক্লিং ড্রপ–অফ পয়েন্ট প্রয়োজন।’
যেকোনো ইলেকট্রনিক পণ্য যেগুলোর প্লাগ, ব্যাটারি বা ধাতব তার রয়েছে, সেগুলো কখনোই সাধারণ বর্জ্যে ফেলা উচিত নয় এবং ন্যূনতম হলেও রিসাইকেল করা উচিত বলে মনে করেন বাটলার।
এর আগে গত জুলাই মাসে পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত দিক বিবেচনা করে চলতি বছরের মধ্যে একবার ব্যবহারযোগ্য ভেপ বিক্রি নিষিদ্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের কাউন্সিল।
হাটহাজারীর হালদা নদীর রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের আজিমের ঘাট এলাকায় একটি মরা অর্ধগলিত ডলফিন ভেসে উঠেছে। ডলফিনটি উদ্ধার করে সুরতহাল তথা নমুনা সংগ্রহ করে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেজলবায়ু বাজেটের সর্বোত্তম ব্যবহারে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থ বরাদ্দের গাইডলাইন হালনাগাদ করা হয়েছে এবং এবার সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে...
৩ ঘণ্টা আগেচরম জলবায়ুর প্রভাবে বিপর্যস্ত সারা বিশ্ব। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে অনেক দেশেই ফসলের উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় উচ্চ তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে ফসল এমন জাত উদ্ভাবনের চেষ্টা করছেন বিজ্ঞানীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে এমন আলুর জাত উদ্ভাবন করেছেন, যেটি ত
৪ ঘণ্টা আগেঢাকার বাতাসে দূষণ খানিকটা কমেছে। তবে দূষণের মাত্রা খুব বেশি কমেনি। শীতের কুয়াশার সঙ্গে ঢাকার বাতাসে আজ যে দূষণ রয়েছে, তা সুস্থ মানুষদের জন্য খুব ক্ষতিকর। সকালে বায়ুর মান পরিমাপ করা হয়েছে ২০৭, যা খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়েই রয়েছে...
৯ ঘণ্টা আগে