নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে বৈশাখের মাত্র ১৪ দিন পার হয়েছে। আর এতেই তাপপ্রবাহ গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। বাকি আছে এখনো ১৬ দিন। আর ইংরেজি মাস এপ্রিলের বাকি তিন দিন। এই তিন দিনেও তাপের পারদ ওঠানামা করবে। তবে মে মাসের শুরুতে সারা দেশেই বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর এই বৃষ্টিতে তাপপ্রবাহ থেকে সাময়িক মুক্তি মিলবে।
আজ শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুলনা ও রাজশাহী ছাড়া দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে তাপপ্রবাহ কিছুটা স্তিমিত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামীকাল রোববার তাপপ্রবাহ নিয়ে আরেকটি সতর্কতা দেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখের সময় দেশের বেশির ভাগ জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। আর ৫ ও ৬ মে সারা দেশেই বৃষ্টি হতে পারে। তাপমাত্রা আরও তিন দিন এ রকমই থাকবে। তারপর ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা কমতে থাকবে।
তিনি বলেন, এখনকার তাপপ্রবাহ এপ্রিলের বাকি তিন দিনেও থাকবে। তবে মে মাসের ২ তারিখ থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। এ সময় উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে দিয়ে বৃষ্টি হবে। প্রথম অবস্থায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। এটা ২ বা ৩ মে থেকে শুরু হতে পারে। এরপর বাকি রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে ৫ বা ৬ তারিখ থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, টানা তাপপ্রবাহ থেকে নিস্তারের একমাত্র উপায় বৃষ্টি। বৃষ্টি হলেই এই তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে। গত বছর এপ্রিল ও মে মিলিয়ে টানা ২৩ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। এরপর বৃষ্টির কারণেই সেই তাপপ্রবাহ থেকে নিস্তার মিলেছিল। আর সেটি ছিল দেশের রেকর্ড তাপপ্রবাহ। এবার টানা ২৮ দিন দেশে তাপপ্রবাহ চলমান রয়েছে। যা গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এর আগে ১৯৪৮ সালে এমন তাপপ্রবাহ ছিল বেশি দিন ধরে। বৃষ্টি হলেই একমাত্র এই তাপপ্রবাহ কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের যে অঙ্গরাজ্য রয়েছে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ওডিশা ও আশপাশের কয়েকটি অঞ্চলে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকে। এর সঙ্গে পশ্চিমা বায়ুর প্রভাব যুক্ত হয়। যার ফলে খুলনা ও রাজশাহী অঞ্চলের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাই দেশের সামগ্রিক তাপমাত্রা কমাতে হলে এই অঞ্চল দিয়ে বৃষ্টিপাত লাগবে।
তবে ওমর ফারুক বলেন, মে মাসের শুরুতে যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে, সেটি উত্তর-পূর্বাঞ্চল হয়ে আসবে। তাই শুরুতে সিলেট, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও বরিশাল অংশে সেই বৃষ্টির প্রভাব পড়বে। আর সামগ্রিকভাবে তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য দেশের পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে যে বৃষ্টিপাত দরকার, সেটি হতে পারে মে মাসের ৬ তারিখের দিকে। তবে এই বৃষ্টি চার থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হতে পারে।
মে মাসও দেশের উষ্ণতম মাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, তা এই মাসেই রেকর্ড করা হয়েছিল। তাই এই বৃষ্টির পর আবার গরম শুরু হবে।
উল্লেখ্য, দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯৭২ সালের ১৯ মে। সেদিন রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দেশে বৈশাখের মাত্র ১৪ দিন পার হয়েছে। আর এতেই তাপপ্রবাহ গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। বাকি আছে এখনো ১৬ দিন। আর ইংরেজি মাস এপ্রিলের বাকি তিন দিন। এই তিন দিনেও তাপের পারদ ওঠানামা করবে। তবে মে মাসের শুরুতে সারা দেশেই বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর এই বৃষ্টিতে তাপপ্রবাহ থেকে সাময়িক মুক্তি মিলবে।
আজ শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খুলনা ও রাজশাহী ছাড়া দেশের অধিকাংশ অঞ্চলে তাপপ্রবাহ কিছুটা স্তিমিত হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আগামীকাল রোববার তাপপ্রবাহ নিয়ে আরেকটি সতর্কতা দেওয়া হতে পারে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর।
অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখের সময় দেশের বেশির ভাগ জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। আর ৫ ও ৬ মে সারা দেশেই বৃষ্টি হতে পারে। তাপমাত্রা আরও তিন দিন এ রকমই থাকবে। তারপর ক্রমান্বয়ে তাপমাত্রা কমতে থাকবে।
তিনি বলেন, এখনকার তাপপ্রবাহ এপ্রিলের বাকি তিন দিনেও থাকবে। তবে মে মাসের ২ তারিখ থেকে তাপমাত্রা কমতে শুরু করবে। এ সময় উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে দিয়ে বৃষ্টি হবে। প্রথম অবস্থায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। এটা ২ বা ৩ মে থেকে শুরু হতে পারে। এরপর বাকি রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে ৫ বা ৬ তারিখ থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, টানা তাপপ্রবাহ থেকে নিস্তারের একমাত্র উপায় বৃষ্টি। বৃষ্টি হলেই এই তাপপ্রবাহ প্রশমিত হতে পারে। গত বছর এপ্রিল ও মে মিলিয়ে টানা ২৩ দিন তাপপ্রবাহ ছিল। এরপর বৃষ্টির কারণেই সেই তাপপ্রবাহ থেকে নিস্তার মিলেছিল। আর সেটি ছিল দেশের রেকর্ড তাপপ্রবাহ। এবার টানা ২৮ দিন দেশে তাপপ্রবাহ চলমান রয়েছে। যা গত ৭৬ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এর আগে ১৯৪৮ সালে এমন তাপপ্রবাহ ছিল বেশি দিন ধরে। বৃষ্টি হলেই একমাত্র এই তাপপ্রবাহ কমতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বাংলাদেশের পশ্চিমে ভারতের যে অঙ্গরাজ্য রয়েছে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও ওডিশা ও আশপাশের কয়েকটি অঞ্চলে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকে। এর সঙ্গে পশ্চিমা বায়ুর প্রভাব যুক্ত হয়। যার ফলে খুলনা ও রাজশাহী অঞ্চলের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তাই দেশের সামগ্রিক তাপমাত্রা কমাতে হলে এই অঞ্চল দিয়ে বৃষ্টিপাত লাগবে।
তবে ওমর ফারুক বলেন, মে মাসের শুরুতে যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে, সেটি উত্তর-পূর্বাঞ্চল হয়ে আসবে। তাই শুরুতে সিলেট, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, ঢাকা ও বরিশাল অংশে সেই বৃষ্টির প্রভাব পড়বে। আর সামগ্রিকভাবে তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য দেশের পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে যে বৃষ্টিপাত দরকার, সেটি হতে পারে মে মাসের ৬ তারিখের দিকে। তবে এই বৃষ্টি চার থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হতে পারে।
মে মাসও দেশের উষ্ণতম মাস উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের ইতিহাসে যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, তা এই মাসেই রেকর্ড করা হয়েছিল। তাই এই বৃষ্টির পর আবার গরম শুরু হবে।
উল্লেখ্য, দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯৭২ সালের ১৯ মে। সেদিন রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন, পরিবেশ ও প্রাণ প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে গ্লোবাল ক্লাইমেট মিডিয়া নেটওয়ার্ক (জিসিএমএন)। হাবিবুর রহমানকে (একাত্তর টিভি, বাংলাদেশ) আহ্বায়ক এবং আশেকিন প্রিন্সকে (চ্যানেল ২৪, বাংলাদেশ) সদস্যসচিব করে জিসিএমএন ১১ সদস্যের একটি নির্বাহী কমিটি গঠ
৪ ঘণ্টা আগেএবারের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনকে ‘কপ অব দ্য ফিন্যান্স’ বা অর্থায়নের কপ বলা হলেও সেটি কেবল কাগজে-কলমেই ঠেকেছে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে উন্নয়নশীল দেশগুলো বার্ষিক ১ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের জলবায়ু ক্ষতিপূরণের যে দাবি জানিয়েছিল, সম্মেলনের ১১তম দিনেও সেই সম্ভাবনা তৈরি হয়নি। এমনকি বিগত বছরগুলোর ক্ষতিপূ
১২ ঘণ্টা আগেকার বাতাসে দূষণের মাত্রা বেড়েছে। বাতাসের মান সূচকে আজ ঢাকা দূষণের মাত্রা ১৯৫, যা অস্বাস্থ্যকর। অন্যদিকে একদিন পরই আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে ভারতের রাজধানী দিল্লি। এর পরে আছে পাকিস্তানের লাহোর। এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে রয়েছে ইজিপট ও চীন...
১৩ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর আগে প্লাস্টিক দূষণ রোধের লক্ষ্যে উচ্চ পর্যায়ের এক জোট গড়ে তুলেছিল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় তেল ও রাসায়নিক কোম্পানিগুলো। কিন্তু নতুন তথ্য বলছে, এই সময়ের মধ্যে কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ নতুন প্লাস্টিক উৎপাদন করেছে, তা তাদের অপসারিত বর্জ্যের তুলনায় ১ হাজার গুণ বেশি।
১ দিন আগে