পিরোজপুর ও পটুয়াখালী প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে টানা বৃষ্টিতে পিরোজপুর ও পটুয়াখালীতে ধান ও রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। ইতিমধ্যে অনেক ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে নষ্ট হয়ে গেছে কয়েক হেক্টর জমির ফসল।
প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর
পিরোজপুর: তিন দিনের বৃষ্টিতে পিরোজপুর জেলার ৭টি উপজেলায় আমন ধান ও রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে পরিপক্ব আমন ধানের খেত তলিয়ে ধানের গাছগুলো ভেঙে গেছে। এ ছাড়া শীতকালীন ফসল খেসারি, কলই, মিষ্টিকুমড়া, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করায় সেগুলোর বীজ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। শীতকালীন রবি শস্য চাষের জায়গাগুলোতে শক-সবজি চাষ করলে ভারী বর্ষণের কারণে তা নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ কৃষকদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় ৬৩ হাজার ৮৬৩ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৯ হাজার ১০০ হেক্টর, মঠবাড়িয়ায় ২০ হাজার ১৫০ হেক্টর, ভান্ডারিয়ায় ১০ হাজার ২০০ হেক্টর, নাজিরপুরে ৬ হাজার ২০৪ হেক্টর, ইন্দুরকানীতে ৫ হাজার ৩৫০ হেক্টর এবং নেছারাবাদে ৬ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান রোপণ করা হয়েছে। এ ছাড়া নেছারাবাদে ২ হাজার ১৫৩ হেক্টর, নাজিরপুরে ৬০ হেক্টর এবং কাউখালীতে ২০ হেক্টর বোনা আমন রোপণ করা হয়েছে। জেলায় মোট ৮৩১ হেক্টর জমিতে বোরোর বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। মৌসুমে বোরোর লক্ষ্যমাত্রা ২৪ হাজার ৭০০ হেক্টর।
এ ছাড়া জেলায় মোট ৯ হাজার ৪৪১ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন রবি শস্য চাষ করা হয়েছে। এদের মধ্যে খেসারি ৮ হাজার ৭১০ হেক্টর, ধনিয়া ৮২ হেক্টর, মরিচ ৭৫ হেক্টর, মসুর ২০হেক্টর, রসুন ১০ হেক্টর, পেঁয়াজ ৯ হেক্টর, সরিষা ৬৯ হেক্টর, শসা ৩৫ হেক্টর, মরমা ১১ হেক্টর, চিড়া ১৭ হেক্টর, তরমুজ ৭ হেক্টর, আখ ১৭১ হেক্টর, আলু ১৯৭ হেক্টর, মিষ্টি আলু ২৩ হেক্টর, সূর্যমুখী ১ হেক্টর, গম ৩ হেক্টর, স্যালন ১ হেক্টর। জেলায় মোট ২ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন লাউ, মুলা, শালগম, লালশাক, পালংশাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুন কুমার রায় বলেন, অনাবৃষ্টির কারণে আমন ধানসহ বিভিন্ন রবি শস্যের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। কার আমন ধান এখন পরিপক্ব তাই ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকটাই কম। এ ছাড়া পানি স্থায়ী না হওয়ার কারণে বোরোর বীজতলা ও রবি শস্য অনেকটাই ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সিকদার বলেন, অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে আমন ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। আমন ধান ও রবি শস্যের ক্ষতির পরিমাণ জানতে আরও ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগবে। তবে আমরা সর্বদাই কৃষকদের পাশে আছি।
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীতে বৃষ্টির কারণে জেলার দুই হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি খেসারি, সরিষা, ধনিয়া ও তরমুজ চাষেও নামতে পারে বিপর্যয়। বৃষ্টিতে খেতভরা সোনালি আমনের ওপর বড় ধরনের প্রভাবের আশঙ্কা করছেন কৃষক ও স্থানীয়রা। টানা বৃষ্টির কারণে বিশেষ করে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার কৃষকেরা।
পটুয়াখালীর কৃষক ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তথ্যমতে, তবে জেলার প্রায় ৩৫ শতাংশ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। আবহাওয়াজনিত ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ। ধান, তরমুজ, খেসারি ও সরিষাখেতের পানি নিষ্কাশনসহ কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিভাগের কর্মীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘জেলায় মোট রোপা আমনের আবাদ হয়েছে এক লাখ ২২ হাজার ৪৮ হেক্টর জমিতে, এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫০০ হেক্টর জমির আমন ধান।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া জেলায় সাত হাজার ১০ হেক্টর জমির খেসারির মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০০০ হেক্টর, শীতকালীন শাকসবজির দুই হাজার ৪০০ হেক্টরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০০ হেক্টর, ৪০ হেক্টর সরিষার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দশ হেক্টর, ২১০ হেক্টর ধনিয়ার মধ্যে ক্ষতি হয়েছে ২০ হেক্টর এবং বেড়িবাঁধের বাইরে ৩৬০ হেক্টর জমির তরমুজের ক্ষতি হয়েছে ২৫ হেক্টরের। গত কয়েক দিনের বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টিতে দুই হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের কারণে টানা বৃষ্টিতে পিরোজপুর ও পটুয়াখালীতে ধান ও রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা। ইতিমধ্যে অনেক ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে নষ্ট হয়ে গেছে কয়েক হেক্টর জমির ফসল।
প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর
পিরোজপুর: তিন দিনের বৃষ্টিতে পিরোজপুর জেলার ৭টি উপজেলায় আমন ধান ও রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে পরিপক্ব আমন ধানের খেত তলিয়ে ধানের গাছগুলো ভেঙে গেছে। এ ছাড়া শীতকালীন ফসল খেসারি, কলই, মিষ্টিকুমড়া, সরিষাসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করায় সেগুলোর বীজ পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। শীতকালীন রবি শস্য চাষের জায়গাগুলোতে শক-সবজি চাষ করলে ভারী বর্ষণের কারণে তা নষ্ট হয়ে গেছে বলে অভিযোগ কৃষকদের।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, জেলায় ৬৩ হাজার ৮৬৩ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ৯ হাজার ১০০ হেক্টর, মঠবাড়িয়ায় ২০ হাজার ১৫০ হেক্টর, ভান্ডারিয়ায় ১০ হাজার ২০০ হেক্টর, নাজিরপুরে ৬ হাজার ২০৪ হেক্টর, ইন্দুরকানীতে ৫ হাজার ৩৫০ হেক্টর এবং নেছারাবাদে ৬ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান রোপণ করা হয়েছে। এ ছাড়া নেছারাবাদে ২ হাজার ১৫৩ হেক্টর, নাজিরপুরে ৬০ হেক্টর এবং কাউখালীতে ২০ হেক্টর বোনা আমন রোপণ করা হয়েছে। জেলায় মোট ৮৩১ হেক্টর জমিতে বোরোর বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। মৌসুমে বোরোর লক্ষ্যমাত্রা ২৪ হাজার ৭০০ হেক্টর।
এ ছাড়া জেলায় মোট ৯ হাজার ৪৪১ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন রবি শস্য চাষ করা হয়েছে। এদের মধ্যে খেসারি ৮ হাজার ৭১০ হেক্টর, ধনিয়া ৮২ হেক্টর, মরিচ ৭৫ হেক্টর, মসুর ২০হেক্টর, রসুন ১০ হেক্টর, পেঁয়াজ ৯ হেক্টর, সরিষা ৬৯ হেক্টর, শসা ৩৫ হেক্টর, মরমা ১১ হেক্টর, চিড়া ১৭ হেক্টর, তরমুজ ৭ হেক্টর, আখ ১৭১ হেক্টর, আলু ১৯৭ হেক্টর, মিষ্টি আলু ২৩ হেক্টর, সূর্যমুখী ১ হেক্টর, গম ৩ হেক্টর, স্যালন ১ হেক্টর। জেলায় মোট ২ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন লাউ, মুলা, শালগম, লালশাক, পালংশাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করা হয়েছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুন কুমার রায় বলেন, অনাবৃষ্টির কারণে আমন ধানসহ বিভিন্ন রবি শস্যের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। কার আমন ধান এখন পরিপক্ব তাই ক্ষতির সম্ভাবনা অনেকটাই কম। এ ছাড়া পানি স্থায়ী না হওয়ার কারণে বোরোর বীজতলা ও রবি শস্য অনেকটাই ক্ষতির হাত থেকে বেঁচে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সিকদার বলেন, অতিবৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে আমন ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। আমন ধান ও রবি শস্যের ক্ষতির পরিমাণ জানতে আরও ২ থেকে ৩ দিন সময় লাগবে। তবে আমরা সর্বদাই কৃষকদের পাশে আছি।
পটুয়াখালী: পটুয়াখালীতে বৃষ্টির কারণে জেলার দুই হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি খেসারি, সরিষা, ধনিয়া ও তরমুজ চাষেও নামতে পারে বিপর্যয়। বৃষ্টিতে খেতভরা সোনালি আমনের ওপর বড় ধরনের প্রভাবের আশঙ্কা করছেন কৃষক ও স্থানীয়রা। টানা বৃষ্টির কারণে বিশেষ করে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন জেলার কৃষকেরা।
পটুয়াখালীর কৃষক ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের তথ্যমতে, তবে জেলার প্রায় ৩৫ শতাংশ ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে। আবহাওয়াজনিত ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে কৃষকদের দ্রুত ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ। ধান, তরমুজ, খেসারি ও সরিষাখেতের পানি নিষ্কাশনসহ কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি বিভাগের কর্মীরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এ কে এম মহিউদ্দিন বলেন, ‘জেলায় মোট রোপা আমনের আবাদ হয়েছে এক লাখ ২২ হাজার ৪৮ হেক্টর জমিতে, এর মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫০০ হেক্টর জমির আমন ধান।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া জেলায় সাত হাজার ১০ হেক্টর জমির খেসারির মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২০০০ হেক্টর, শীতকালীন শাকসবজির দুই হাজার ৪০০ হেক্টরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩০০ হেক্টর, ৪০ হেক্টর সরিষার মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দশ হেক্টর, ২১০ হেক্টর ধনিয়ার মধ্যে ক্ষতি হয়েছে ২০ হেক্টর এবং বেড়িবাঁধের বাইরে ৩৬০ হেক্টর জমির তরমুজের ক্ষতি হয়েছে ২৫ হেক্টরের। গত কয়েক দিনের বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টিতে দুই হাজার ৮৫৫ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে