শিহাব আহমেদ
আজ পয়লা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে নানা উৎসবের রীতি বহু বছরের। প্রাণের উৎসবকে ঘিরে তারকাদেরও নানা রকম স্মৃতি। ছোটবেলায় এই আনন্দের দিনটা কীভাবে কাটাতেন তারকারা, তা-ই জানালেন শিহাব আহমেদ
বৈশাখের আমেজটাই ছিল অন্য রকম
—আরিফিন শুভ, অভিনেতা
আমি যখন স্কুলে পড়তাম তখন বৈশাখ উপলক্ষে ময়মনসিংহে তিন দিনব্যাপী মেলা হতো। একবার সেই মেলায় ভাই ও বন্ধুরা মিলে স্টল নিয়েছিলাম। জমানো টাকা দিয়ে সেই স্টলের জন্য পণ্য কিনেছিলাম। সে কি উত্তেজনা আমাদের। কী কী কেনা যায়, কীভাবে দোকানটাকে সাজানো যায়—এমনি কত চিন্তা ওই ছোট্ট মাথায়! নিজেকে বড় ব্যবসায়ী মনে হতো লাগল। সেই দিনগুলোর কথা এখনো খুব মনে পড়ে। এ ছাড়া বৈশাখের দিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে গোসল করে পান্তা-ইলিশ খাওয়া, বন্ধুদের নিয়ে মেলায় ঘুরতে যাওয়া, সবাই মিলে হইহুল্লোড় করা—এসব তো ছিলই। ছোটবেলার পয়লা বৈশাখের অন্য রকম আমেজ ছিল। তখন গ্রামে বৈশাখের যে আনন্দটা ছিল, তা এখন কোথাও পাই না। তা ছাড়া, অনেক বছর ধরে কাজের ব্যস্ততার কারণে আগের মতো আর এই দিন উদ্যাপন করা হয় না।
আনন্দের স্মৃতির সঙ্গে কষ্টের গল্পও আছে
—কর্নিয়া, গায়িকা
ঈদের মতোই পয়লা বৈশাখের অপেক্ষায় থাকতাম ছোটবেলায়। নতুন জামা পরা, পান্তা-ইলিশ খাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে মেলায় যাওয়া—কত মজা হতো সে সময়। অনেক আনন্দের স্মৃতির সঙ্গে আমার একটা কষ্টের গল্পও আছে। পয়লা বৈশাখের আগের দিন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আলপনা আঁকা হয়। কয়েক বছর আগে রাত ১২টার দিকে আম্মু ও মামাকে নিয়ে সেখানে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ প্রাইভেট গাড়ি থেকে এক ছিনতাইকারী আম্মুর ব্যাগ ধরে টান দিলে তিনি রিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যান। দৌড়ে গিয়ে দেখি আম্মুর মাথা থেকে রক্ত বের হচ্ছে, তাঁর জ্ঞান নেই। অনেক কষ্ট করে মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সারা রাত দুশ্চিন্তায় আমাদের ঘুম আসেনি। আম্মুর জ্ঞান ফেরে সকালবেলা। সেদিন আমার প্রায় চারটি কনসার্টে অংশ নেওয়ার কথা। কিন্তু মাকে এভাবে রেখে যেতে মন চাইছিল না। মা বুঝতে পারলেন, আমার মাথায় হাত রেখে বললেন, ‘যাও, শোতে অংশ নেও।’ মন সায় না দিলেও আম্মুকে হাসপাতালে রেখেই কনসার্টে অংশ নিই।
ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে
—বিদ্যা সিনহা মিম, অভিনেত্রী
ছোটবেলায় পয়লা বৈশাখের দিন নাশতা শুরু হতো পান্তা-ইলিশ দিয়ে। এরপর নতুন জামা পরে বাইরে বেরিয়ে পড়তাম। বন্ধুদের সঙ্গে ছোটবেলায় বৈশাখের মেলায় যাওয়া মিস হতো না। আমার ছোটবেলা কেটেছে ভোলায়। সেখানে প্রতিবছর মেলায় যেতাম। কুমিল্লাতে যখন থেকেছি তখনো মেলায় যাওয়া মিস করতাম না। নাগরদোলায় চড়া, বিভিন্ন কসমেটিক, রংবেরঙের চুড়ি কেনা—কত্ত কত্ত আনন্দ! প্রতি বৈশাখে আমার একটা চাওয়া ছিল, নতুন পোশাকের সঙ্গে আমার নতুন ঘড়ি লাগবেই। একবার বাবা আমাকে ঘড়ি কিনে দেননি। সকালবেলা যখন মেলায় যাওয়ার জন্য বন্ধুরা হাজির, আমি ঘর থেকে বের হচ্ছি না। আমার মন খারাপ। মা-বাবা ছুটে এসে জানতে চাইলেন, কী হয়েছে? অনেকক্ষণ পর আমি কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বললাম, আমার ঘড়ি কই? মা-বাবা দুজনেই হেসে ফেললেন। আমাকে চমকে দিয়ে হাতে তুলে দিলেন নতুন ঘড়ি। আমাকে জানতেও দেননি যে তাঁরা আমার জন্য ঘড়ি কিনে রেখেছেন। আমার সে কী উল্লাস! এখনো পয়লা বৈশাখ আমার কাছে ভীষণ আনন্দের একটা দিন। তবে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়লেই অন্য রকম আনন্দ পাই।
বৈশাখ কখনোই পান্তা-ইলিশে আটকে ছিল না
—সাইমন সাদিক, অভিনেতা
আমার বৈশাখ কখনোই পান্তা-ইলিশের মধ্যে আটকে ছিল না। পয়লা বৈশাখ আমার অন্য রকম আয়োজনে ভরপুর একটা দিন। বৈশাখের খাঁটি আনন্দ সেই ছোটবেলা থেকেই পেয়েছি। আমার ছোটবেলা কেটেছে কিশোরগঞ্জে। তখন পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে সেখানে নানারকম আয়োজন হতে দেখতাম। এখনো হয়। পরিবার, আত্মীয়স্বজন সবার সঙ্গে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন করতাম। সব বন্ধু মিলে মেলায় যেতাম। বৈশাখী মেলা মানেই পুতুলনাচ, নাগরদোলা—আরও কত-কী! সারা দিন আনন্দ করেই কাটিয়ে দিতাম। সেসব এখন খুব মিস করি। তবে চেষ্টা করি পয়লা বৈশাখের আনন্দটা উপভোগ করার।
আজ পয়লা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে নানা উৎসবের রীতি বহু বছরের। প্রাণের উৎসবকে ঘিরে তারকাদেরও নানা রকম স্মৃতি। ছোটবেলায় এই আনন্দের দিনটা কীভাবে কাটাতেন তারকারা, তা-ই জানালেন শিহাব আহমেদ
বৈশাখের আমেজটাই ছিল অন্য রকম
—আরিফিন শুভ, অভিনেতা
আমি যখন স্কুলে পড়তাম তখন বৈশাখ উপলক্ষে ময়মনসিংহে তিন দিনব্যাপী মেলা হতো। একবার সেই মেলায় ভাই ও বন্ধুরা মিলে স্টল নিয়েছিলাম। জমানো টাকা দিয়ে সেই স্টলের জন্য পণ্য কিনেছিলাম। সে কি উত্তেজনা আমাদের। কী কী কেনা যায়, কীভাবে দোকানটাকে সাজানো যায়—এমনি কত চিন্তা ওই ছোট্ট মাথায়! নিজেকে বড় ব্যবসায়ী মনে হতো লাগল। সেই দিনগুলোর কথা এখনো খুব মনে পড়ে। এ ছাড়া বৈশাখের দিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে গোসল করে পান্তা-ইলিশ খাওয়া, বন্ধুদের নিয়ে মেলায় ঘুরতে যাওয়া, সবাই মিলে হইহুল্লোড় করা—এসব তো ছিলই। ছোটবেলার পয়লা বৈশাখের অন্য রকম আমেজ ছিল। তখন গ্রামে বৈশাখের যে আনন্দটা ছিল, তা এখন কোথাও পাই না। তা ছাড়া, অনেক বছর ধরে কাজের ব্যস্ততার কারণে আগের মতো আর এই দিন উদ্যাপন করা হয় না।
আনন্দের স্মৃতির সঙ্গে কষ্টের গল্পও আছে
—কর্নিয়া, গায়িকা
ঈদের মতোই পয়লা বৈশাখের অপেক্ষায় থাকতাম ছোটবেলায়। নতুন জামা পরা, পান্তা-ইলিশ খাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে মেলায় যাওয়া—কত মজা হতো সে সময়। অনেক আনন্দের স্মৃতির সঙ্গে আমার একটা কষ্টের গল্পও আছে। পয়লা বৈশাখের আগের দিন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আলপনা আঁকা হয়। কয়েক বছর আগে রাত ১২টার দিকে আম্মু ও মামাকে নিয়ে সেখানে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ প্রাইভেট গাড়ি থেকে এক ছিনতাইকারী আম্মুর ব্যাগ ধরে টান দিলে তিনি রিকশা থেকে ছিটকে পড়ে যান। দৌড়ে গিয়ে দেখি আম্মুর মাথা থেকে রক্ত বের হচ্ছে, তাঁর জ্ঞান নেই। অনেক কষ্ট করে মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। সারা রাত দুশ্চিন্তায় আমাদের ঘুম আসেনি। আম্মুর জ্ঞান ফেরে সকালবেলা। সেদিন আমার প্রায় চারটি কনসার্টে অংশ নেওয়ার কথা। কিন্তু মাকে এভাবে রেখে যেতে মন চাইছিল না। মা বুঝতে পারলেন, আমার মাথায় হাত রেখে বললেন, ‘যাও, শোতে অংশ নেও।’ মন সায় না দিলেও আম্মুকে হাসপাতালে রেখেই কনসার্টে অংশ নিই।
ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়ে
—বিদ্যা সিনহা মিম, অভিনেত্রী
ছোটবেলায় পয়লা বৈশাখের দিন নাশতা শুরু হতো পান্তা-ইলিশ দিয়ে। এরপর নতুন জামা পরে বাইরে বেরিয়ে পড়তাম। বন্ধুদের সঙ্গে ছোটবেলায় বৈশাখের মেলায় যাওয়া মিস হতো না। আমার ছোটবেলা কেটেছে ভোলায়। সেখানে প্রতিবছর মেলায় যেতাম। কুমিল্লাতে যখন থেকেছি তখনো মেলায় যাওয়া মিস করতাম না। নাগরদোলায় চড়া, বিভিন্ন কসমেটিক, রংবেরঙের চুড়ি কেনা—কত্ত কত্ত আনন্দ! প্রতি বৈশাখে আমার একটা চাওয়া ছিল, নতুন পোশাকের সঙ্গে আমার নতুন ঘড়ি লাগবেই। একবার বাবা আমাকে ঘড়ি কিনে দেননি। সকালবেলা যখন মেলায় যাওয়ার জন্য বন্ধুরা হাজির, আমি ঘর থেকে বের হচ্ছি না। আমার মন খারাপ। মা-বাবা ছুটে এসে জানতে চাইলেন, কী হয়েছে? অনেকক্ষণ পর আমি কাঁদো কাঁদো কণ্ঠে বললাম, আমার ঘড়ি কই? মা-বাবা দুজনেই হেসে ফেললেন। আমাকে চমকে দিয়ে হাতে তুলে দিলেন নতুন ঘড়ি। আমাকে জানতেও দেননি যে তাঁরা আমার জন্য ঘড়ি কিনে রেখেছেন। আমার সে কী উল্লাস! এখনো পয়লা বৈশাখ আমার কাছে ভীষণ আনন্দের একটা দিন। তবে ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়লেই অন্য রকম আনন্দ পাই।
বৈশাখ কখনোই পান্তা-ইলিশে আটকে ছিল না
—সাইমন সাদিক, অভিনেতা
আমার বৈশাখ কখনোই পান্তা-ইলিশের মধ্যে আটকে ছিল না। পয়লা বৈশাখ আমার অন্য রকম আয়োজনে ভরপুর একটা দিন। বৈশাখের খাঁটি আনন্দ সেই ছোটবেলা থেকেই পেয়েছি। আমার ছোটবেলা কেটেছে কিশোরগঞ্জে। তখন পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে সেখানে নানারকম আয়োজন হতে দেখতাম। এখনো হয়। পরিবার, আত্মীয়স্বজন সবার সঙ্গে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপন করতাম। সব বন্ধু মিলে মেলায় যেতাম। বৈশাখী মেলা মানেই পুতুলনাচ, নাগরদোলা—আরও কত-কী! সারা দিন আনন্দ করেই কাটিয়ে দিতাম। সেসব এখন খুব মিস করি। তবে চেষ্টা করি পয়লা বৈশাখের আনন্দটা উপভোগ করার।
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
১ ঘণ্টা আগেএকদিন ভোরবেলা জাকারবার্গ লক্ষ করলেন যে পৃথিবীতে একটা ছোট্ট দেশে তাঁর সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হচ্ছে। সামনের ফ্লোরটায় দেখলেন দেশটা ছোট বটে, কিন্তু জনসংখ্যা বেশি। আর এই দেশের জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। ফেসবুকে দেখতে পেলেন অসংখ্য বার্তা—সবই রাজনৈতিক এবং ছবিতে এ বিষয়ে বিপুল জনগণের
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২৩ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তাদের নেতা-কর্মীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র হামলা পরিচালনা করে অসংখ্য আন্দোলনকারীকে হত্যা ও অনেকের জীবন বি
২ ঘণ্টা আগেইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম রোমান্টিক কবি ছিলেন জন কিটস। কবিতা ছাড়া কিটস কোনো গদ্য লেখার চেষ্টা করেননি। তাঁর কাব্যজীবন ছিল মাত্র ছয় বছরের। অর্থাৎ উনিশ থেকে চব্বিশ বছর বয়স পর্যন্ত। মৃত্যুর মাত্র চার বছর আগে তাঁর কবিতাগুলো প্রকাশিত হয়। তৎকালীন সমালোচকদের দ্বারা কিটসের কবিতা খুব একটা আলোচিত হয়নি। তবে মৃত্য
২ ঘণ্টা আগে