জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়া ও মইয়ার হাওরের ধান রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) একটি ফসল রক্ষা বাঁধ গতকাল শনিবার ভোরে ভেঙে গেছে। তবে বিকল্প বাঁধ নির্মাণ করে রাখায় রক্ষা পেয়েছে দুটি হাওরের ধান।
কৃষক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, নলুয়া ও মইয়ার হাওরের ফসল রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড মইয়ার হাওরের কলইকাটা নামক জায়গায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। গত ২৭ মার্চ বাঁধে ফাটল দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধের ফাটল বন্ধ করতে কাজ শুরু করে। ২৯ মার্চ আবারও বাঁধ ধসে গেলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে বাঁধটি টেকসই করতে আরও কাজ করা হয়। পরে ৩০ মার্চ বাঁধে আবারও ফাটল দেখা দিলে পাউবোর জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম বেড়িবাঁধ রক্ষার পরামর্শ করেন। এ সময় পাউবোর কর্মকর্তারা আরও কিছু বাঁশ বস্তা দিলে বাঁধটি রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১ এপ্রিল থেকে ইউএনও সাজেদুল ইসলাম ওই জায়গা থেকে সরিয়ে পাশেই আরেকটি বিকল্প বেড়িবাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। নির্মিত ওই বাঁধের কারণেই রক্ষা পেয়েছে উপজেলার এই দুই হাওরের ফসল।
চিলাউড়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আব্দুল গফুর বলেন, বিকল্প বাঁধ নির্মাণ করা না হলে দুটি হাওরের ফসল তলিয়ে যেত। পানি উন্নয়ন বোর্ড বিকল্প বাঁধ নির্মাণের পক্ষে ছিল না। কৃষকদের অনুভূতি বুঝতে পেরে ইউএনও সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই এখন স্বস্তিতে ধান কাটতে পারছি।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলার কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল দাশ বলেন, দুটি হাওরের ফসল রক্ষায় বিকল্প বেড়িবাঁধ ইউএনওর সময়োপযোগী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত ছিল। পাউবোর শুরুতেই ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাকে বাঁধ দিয়ে বিকল্প বেড়িবাঁধ নির্মাণ করলে সরকারের অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হতো না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী (পাউবো) হাসান গাজী বলেন, ‘আমাদের ধারণা ছিল কলইকাটা এলাকায় নির্মিত বেড়িবাঁধ টিকবে। সেই মোতাবেক বাঁধ টেকসই করতে কাজ করেছি। শনিবার বাঁধটি ভেঙে যায়। ইউএনও সাজেদুল ইসলামের প্রস্তাবে বিকল্প বাঁধ নির্মাণ করায় ফসল রক্ষার মূল বাঁধ ভাঙলেও কোনো ক্ষতি হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে বিকল্প বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও এর ব্যয়ভার নির্ধারণ ও বিল পরিশোধ করা হয়নি।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাওরের ফসল রক্ষায় আমি কোনো ঝুঁকি রাখতে চাইনি। তাই যেখানে যা প্রয়োজন, তা-ই করেছি। কলইকাটা বিকল্প বাঁধে দুটি হাওরের ফসল রক্ষা পাওয়ায় ভালো লাগছে।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়া ও মইয়ার হাওরের ধান রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) একটি ফসল রক্ষা বাঁধ গতকাল শনিবার ভোরে ভেঙে গেছে। তবে বিকল্প বাঁধ নির্মাণ করে রাখায় রক্ষা পেয়েছে দুটি হাওরের ধান।
কৃষক ও পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, নলুয়া ও মইয়ার হাওরের ফসল রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড মইয়ার হাওরের কলইকাটা নামক জায়গায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে দুটি ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়। গত ২৭ মার্চ বাঁধে ফাটল দেখা দিলে পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধের ফাটল বন্ধ করতে কাজ শুরু করে। ২৯ মার্চ আবারও বাঁধ ধসে গেলে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে বাঁধটি টেকসই করতে আরও কাজ করা হয়। পরে ৩০ মার্চ বাঁধে আবারও ফাটল দেখা দিলে পাউবোর জেলা ও উপজেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম বেড়িবাঁধ রক্ষার পরামর্শ করেন। এ সময় পাউবোর কর্মকর্তারা আরও কিছু বাঁশ বস্তা দিলে বাঁধটি রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১ এপ্রিল থেকে ইউএনও সাজেদুল ইসলাম ওই জায়গা থেকে সরিয়ে পাশেই আরেকটি বিকল্প বেড়িবাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। নির্মিত ওই বাঁধের কারণেই রক্ষা পেয়েছে উপজেলার এই দুই হাওরের ফসল।
চিলাউড়া গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আব্দুল গফুর বলেন, বিকল্প বাঁধ নির্মাণ করা না হলে দুটি হাওরের ফসল তলিয়ে যেত। পানি উন্নয়ন বোর্ড বিকল্প বাঁধ নির্মাণের পক্ষে ছিল না। কৃষকদের অনুভূতি বুঝতে পেরে ইউএনও সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাই এখন স্বস্তিতে ধান কাটতে পারছি।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলার কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল দাশ বলেন, দুটি হাওরের ফসল রক্ষায় বিকল্প বেড়িবাঁধ ইউএনওর সময়োপযোগী ও দূরদর্শী সিদ্ধান্ত ছিল। পাউবোর শুরুতেই ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাকে বাঁধ দিয়ে বিকল্প বেড়িবাঁধ নির্মাণ করলে সরকারের অতিরিক্ত টাকা ব্যয় হতো না।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী (পাউবো) হাসান গাজী বলেন, ‘আমাদের ধারণা ছিল কলইকাটা এলাকায় নির্মিত বেড়িবাঁধ টিকবে। সেই মোতাবেক বাঁধ টেকসই করতে কাজ করেছি। শনিবার বাঁধটি ভেঙে যায়। ইউএনও সাজেদুল ইসলামের প্রস্তাবে বিকল্প বাঁধ নির্মাণ করায় ফসল রক্ষার মূল বাঁধ ভাঙলেও কোনো ক্ষতি হয়নি। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে বিকল্প বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও এর ব্যয়ভার নির্ধারণ ও বিল পরিশোধ করা হয়নি।
এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাওরের ফসল রক্ষায় আমি কোনো ঝুঁকি রাখতে চাইনি। তাই যেখানে যা প্রয়োজন, তা-ই করেছি। কলইকাটা বিকল্প বাঁধে দুটি হাওরের ফসল রক্ষা পাওয়ায় ভালো লাগছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে