গাংনী (মেহেরপুর) প্রতিনিধি
মেহেরপুরের গাংনীতে আমনে হানা দিয়েছে মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগ। একদিকে মজুরি খরচসহ তেল ও সারের মূল্য বৃদ্ধি, তার ওপর ধানে পোকা ও পচন ধরায় কপালে হাত উঠেছে কৃষকদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গাংনী উপজেলার বিভিন্ন মাঠের আমনখেত মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। কৃষকেরা ছিটাচ্ছেন বিভিন্ন কীটনাশক। এ সময় কৃষকেরা জানান, কীটনাশক দেওয়ার পরেও যদি আমনের মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগ দমন না হয়, তাহলে আমনের ফলন নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হবে তাঁদের।
তেরাইল গ্রামের আমনচাষি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমনখেতে মাজরা পোকার আক্রমণ এবং গোড়া পচা রোগ দেখা দিয়েছে। ধানের শিষ না আসতেই ধানের এমন রোগ দেখা দেওয়ায় আমরা হতাশ। কীটনাশক প্রয়োগের পোকার আক্রমণ কিছুটা কমেছে। তবে খেত সম্পূর্ণভাবে মাজরা পোকা মুক্ত হয়নি। আর গোড়া পচা রোগে কোনো ওষুধ কাজ করছে না। যদি এই রোগ দূর না করা যায়, তবে ধানের ফলন নিয়ে হতাশায় পড়তে হবে।’
মটমুড়া গ্রামের আমনচাষি বাবলু মিয়া বলেন, ‘আমনে গোড়া পচা রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণ নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি। বর্তমানে আবাদ করা খুবই কষ্টের। ধান চাষের সব উপাদানের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। এর মধ্যে আবার গোড়া পচা রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণ। কীটনাশক প্রয়োগ করে কমতে শুরু করেছে রোগ। শেষ পর্যন্ত কী হয়, সেই অপেক্ষায় আছি।’
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমন ধান রোপণ করা রয়েছে ১৩ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে। আমনে মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগ দেখা দেওয়ায় উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে চাষিদের।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলি খাতুন জানান, পূর্ণবয়স্ক মাজরা পোকার প্রাদুর্ভাব যখন বেড়ে যায়, তখন ধানখেত থেকে ২০০-৩০০ মিটার দূরে আলোক ফাঁদ বসিয়ে পোকা দমন করা যায়। তা ছাড়া ধানের জমিতে ১০০ মিটারের মধ্যে ১০-১৫টি মরা শিষ অথবা পাঁচটি মরা শিষ পাওয়া গেলে কীটনাশক ভিরতাকো-৪০ ডব্লিউজি অথবা ফুরাডান-৫ জিসহ বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহারে পোকা দমন করা যায়। তবে এসব কীটনাশক সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। কিছু কীটনাশক পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হয়। তবে দানাদার কীটনাশক প্রয়োগের সময় জমিতে অবশ্যই পানি থাকতে হবে।’
কৃষি কর্মকর্তা লাভলি খাতুন আরও জানান, আর গোড়া পচা রোগ দমনে টিল্ট ২৫০ ইসি অথবা এমিস্টার টপ নির্ধারিত মাত্রায় ৭ দিন পরপর ৩ বার স্প্রে করতে হবে। গোড়া পচা রোগের ক্ষেত্রে জমির পানি বের করে দিতে হবে। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করছি মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগ দমন করা যাবে।
মেহেরপুরের গাংনীতে আমনে হানা দিয়েছে মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগ। একদিকে মজুরি খরচসহ তেল ও সারের মূল্য বৃদ্ধি, তার ওপর ধানে পোকা ও পচন ধরায় কপালে হাত উঠেছে কৃষকদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গাংনী উপজেলার বিভিন্ন মাঠের আমনখেত মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। কৃষকেরা ছিটাচ্ছেন বিভিন্ন কীটনাশক। এ সময় কৃষকেরা জানান, কীটনাশক দেওয়ার পরেও যদি আমনের মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগ দমন না হয়, তাহলে আমনের ফলন নিয়ে শঙ্কায় পড়তে হবে তাঁদের।
তেরাইল গ্রামের আমনচাষি হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমনখেতে মাজরা পোকার আক্রমণ এবং গোড়া পচা রোগ দেখা দিয়েছে। ধানের শিষ না আসতেই ধানের এমন রোগ দেখা দেওয়ায় আমরা হতাশ। কীটনাশক প্রয়োগের পোকার আক্রমণ কিছুটা কমেছে। তবে খেত সম্পূর্ণভাবে মাজরা পোকা মুক্ত হয়নি। আর গোড়া পচা রোগে কোনো ওষুধ কাজ করছে না। যদি এই রোগ দূর না করা যায়, তবে ধানের ফলন নিয়ে হতাশায় পড়তে হবে।’
মটমুড়া গ্রামের আমনচাষি বাবলু মিয়া বলেন, ‘আমনে গোড়া পচা রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণ নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি। বর্তমানে আবাদ করা খুবই কষ্টের। ধান চাষের সব উপাদানের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। এর মধ্যে আবার গোড়া পচা রোগ ও মাজরা পোকার আক্রমণ। কীটনাশক প্রয়োগ করে কমতে শুরু করেছে রোগ। শেষ পর্যন্ত কী হয়, সেই অপেক্ষায় আছি।’
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় আমন ধান রোপণ করা রয়েছে ১৩ হাজার ৬১০ হেক্টর জমিতে। আমনে মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগ দেখা দেওয়ায় উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে সব ধরনের পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হচ্ছে চাষিদের।
গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলি খাতুন জানান, পূর্ণবয়স্ক মাজরা পোকার প্রাদুর্ভাব যখন বেড়ে যায়, তখন ধানখেত থেকে ২০০-৩০০ মিটার দূরে আলোক ফাঁদ বসিয়ে পোকা দমন করা যায়। তা ছাড়া ধানের জমিতে ১০০ মিটারের মধ্যে ১০-১৫টি মরা শিষ অথবা পাঁচটি মরা শিষ পাওয়া গেলে কীটনাশক ভিরতাকো-৪০ ডব্লিউজি অথবা ফুরাডান-৫ জিসহ বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহারে পোকা দমন করা যায়। তবে এসব কীটনাশক সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। কিছু কীটনাশক পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হয়। তবে দানাদার কীটনাশক প্রয়োগের সময় জমিতে অবশ্যই পানি থাকতে হবে।’
কৃষি কর্মকর্তা লাভলি খাতুন আরও জানান, আর গোড়া পচা রোগ দমনে টিল্ট ২৫০ ইসি অথবা এমিস্টার টপ নির্ধারিত মাত্রায় ৭ দিন পরপর ৩ বার স্প্রে করতে হবে। গোড়া পচা রোগের ক্ষেত্রে জমির পানি বের করে দিতে হবে। কৃষি অফিস থেকে চাষিদের সব ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করছি মাজরা পোকা ও গোড়া পচা রোগ দমন করা যাবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে