স্থানীয়দের সঙ্গে ফের সংঘাত ছাত্রলীগের

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ মে ২০২২, ০৭: ০১
আপডেট : ২৩ মে ২০২২, ১৩: ২০

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের বিরোধ মীমাংসার এক মাস না যেতেই আবার স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। এতে ছাত্রলীগের পাঁচ কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া স্থানীয়দের অন্তত পাঁচটি বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

গতকাল রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেট এলাকার অদূরে জনগণ পাড়ায় ছাত্রলীগকর্মীর মোটরবাইকের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই নম্বর গেট এলাকার অদূরে জনগণ পাড়ায় ছাত্রলীগকর্মীর মোটরসাইকেলকে ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রলীগকর্মীরা অটোরিকশাচালককে দৌড়ে ধরে ধাক্কা দেওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। পরবর্তী সময়ে খবর পেয়ে হল থেকে ছাত্রলীগের অন্য কর্মীরা এলে স্থানীয়রা তাদের মারধর করে। এতে অন্তত পাঁচজন কর্মী আহত হয়।

এ খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আলাওল হল থেকে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বের হয়ে জোবরা গ্রামের দুই নম্বর ওয়ার্ডে ঢুকে এলোপাতাড়ি ভাঙচুর চালান ছাত্রলীগকর্মীরা। এ সময় রামদার কোপে বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনার বিচারের দাবিতে স্থানীয়রা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলক্রসিং এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গতকাল সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. আব্দুল কাদের আজকের পত্রিকাকে বলেন, ছাত্ররা স্থানীয়দের বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে। তাতে অন্তত পাঁচটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এলাকাবাসীকে মারধরও করেছে। জানতে চাইলে ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের নেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, ‘ছোট ভাইয়েরা ঘুরতে বের হয়েছিল। একটা অটোরিকশা তাদের বাইকে ধাক্কা দেয় ৷ এটা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে ছোট ভাইদের তারা মারধর করে। পরে হল থেকে তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা বের হয়ে প্রতিবাদ জানায়। আমরা বিষয়টি প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে কথা বলে সমাধান করছি।’ বাড়িঘরে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেক ছাত্র একসঙ্গে গেছে। হয়তো উষ্টা-লাথি দিতে পারে। তবে হামলা হয়নি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের কর্মীরা স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে। স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের মারধর করেছে বলে শুনেছি। শিক্ষার্থীরাও স্থানীয়দের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পেয়েছি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আগামীকাল (আজ) পুলিশ প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বসে বিরোধ মীমাংসা করা হবে।’

এর আগে গত ১৪ এপ্রিল স্থানীয়দের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় অন্তত ২০ জন শিক্ষার্থীকে মারধর করে স্থানীয়রা। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে বেশ কিছুদিন উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে হাটহাজারী থানা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে বিরোধ মীমাংসা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষকালে বোমা বিস্ফোরণের ছিটকে পড়েন সেনাসদস্য—ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা

ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত