রাসেল আহমেদ (তেরখাদা) ও গাজী আব্দুল কুদ্দুস (ডুমুরিয়া)
ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের আশ্রয়ের জন্য তৃতীয় ধাপে আরও ঘর নির্মাণ করছে সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তেরখাদা উপজেলায় ৬৫টি ঘরের নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে চলছে। কিছুদিনের মধ্যেই সুবিধাভোগীদের হাতে এগুলো হস্তান্তর করা হবে।
ডুমুরিয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য ৬০টি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে। আরও ৩ একর খাসজমির সীমানা নির্ধারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে সেখানে ঘরের নির্মাণকাজ শুরু হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে অনেক ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবার মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবে।
জানা গেছে, মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই ধারাবাহিকতায় তেরখাদায় ৩য় ধাপে ৬৫টি ঘরের নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে তেরখাদার বারাসাত ইউনিয়নের হাঁড়িখালী আশ্রয়ণ প্রকল্প-সংলগ্ন প্রায় ১৩০ শতক সরকারি খাসজমিতে এসব ঘরের নির্মাণকাজ চলছে। ইতিমধ্যে নির্মাণকাজের ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
খুলনা-৪ আসনের সাংসদ আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও), সহকারী কমিশনার (ভূমি, এসি ল্যান্ড) এসব কাজ বাস্তবায়ন করছেন। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ২ শতক জমির মালিকানাসহ রঙিন টিনশেডের সেমিপাকা ঘরগুলো পাবেন গৃহহীন ও ভূমিহীনেরা। প্রতিটি ঘরে থাকছে ২টি কক্ষ, ১টি রান্নাঘর, ১টি টয়লেট ও বারান্দা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. সোহেল রানা বলেন, নির্মাণকাজের গুণগত মান আগের চেয়ে আরও ভালো করতে বেজ ঢালাই ও কলাম দিয়ে গৃহ নির্মাণের কাজ চলছে। বর্তমানে প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শারাফাত হোসেন মুক্তি বলেন, ‘তেরখাদায় তৃতীয় ধাপে ৬৫টি ঘরের নির্মাণকাজ অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে এগিয়ে চলছে। আমি, ইউএনও, এসি ল্যান্ড ও পিআইও প্রতিনিয়ত নির্মাণকাজ তদারক করছি।
এদিকে ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া ইউনিয়নের বিলপাবলা মৌজার খাস খতিয়ানভুক্ত তিন একর জমি পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল ওয়াদুদ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ঘর নির্মাণকাজ শুরু হবে।
জানা যায়, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় গৃহহীন, ভূমিহীন ও ছিন্নমূল পরিবারদের জন্য ১ হাজার ১৮৫টি ঘর নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ডুমুরিয়ায়। ইতিমধ্যে ৬৪০টি ঘর ভূমিহীন পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ছাড়া আরও ৬০টি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে খুলনা শহরকেন্দ্রিক গুটুদিয়া ইউনিয়নে মোস্তফার মোড় এলাকায় মূল্যবান তিন একরের বেশি খাসজমি আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত উপজেলায় ৩৫ একর জমির ওপর গৃহহীনদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে সরকার।
এ প্রসঙ্গে গুটুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ তুহিনুল ইসলাম জানান, ইউনিয়নে অসংখ্য হতদরিদ্র, অসহায়, দুস্থ ও গৃহহীন পরিবার রয়েছে। এরা অন্যের জায়গায় বা রাস্তার পাশে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য গৃহহীনদের গৃহনির্মাণের ব্যবস্থা করতে ইউএনওর কাছে গত ২৫ জানুয়ারি আবেদন করা হয়। এখানে জমির বাজারমূল্য প্রতি শতক ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ডুমুরিয়ায় ১ হাজার ১৮৫টি ঘর নির্মাণের টার্গেট রয়েছে। ইতিমধ্যে কাঁঠালতলা, চুকনগর, বাদুরগাছা, বাহাদুরপুর, ধামালিয়া, থুকড়া, সাজিয়াড়া, এলাকায় প্রায় সাড়ে ৬০০ ঘর নির্মাণ ও হস্তান্তর হয়েছে। তবে সবচেয়ে উত্তম জায়গা মোস্তফা মোড় এলাকার জমি।
আব্দুল ওয়াদুদ আরও বলেন, সরেজমিন জায়গা সার্ভে করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানটা যেহেতু শহরকেন্দ্রিক, এখানে ঘর নির্মিত হলে একটা নান্দনিক দৃশ্য শোভা পাবে। যা নজর কাড়বে পথচারী ও শহরবাসীর।
ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের আশ্রয়ের জন্য তৃতীয় ধাপে আরও ঘর নির্মাণ করছে সরকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তেরখাদা উপজেলায় ৬৫টি ঘরের নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে চলছে। কিছুদিনের মধ্যেই সুবিধাভোগীদের হাতে এগুলো হস্তান্তর করা হবে।
ডুমুরিয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের জন্য ৬০টি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে। আরও ৩ একর খাসজমির সীমানা নির্ধারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে সেখানে ঘরের নির্মাণকাজ শুরু হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে অনেক ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবার মাথা গোঁজার ঠাঁই পাবে।
জানা গেছে, মুজিববর্ষের উপহার হিসেবে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহ নির্মাণ করে দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই ধারাবাহিকতায় তেরখাদায় ৩য় ধাপে ৬৫টি ঘরের নির্মাণকাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে তেরখাদার বারাসাত ইউনিয়নের হাঁড়িখালী আশ্রয়ণ প্রকল্প-সংলগ্ন প্রায় ১৩০ শতক সরকারি খাসজমিতে এসব ঘরের নির্মাণকাজ চলছে। ইতিমধ্যে নির্মাণকাজের ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।
খুলনা-৪ আসনের সাংসদ আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও), সহকারী কমিশনার (ভূমি, এসি ল্যান্ড) এসব কাজ বাস্তবায়ন করছেন। সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ২ শতক জমির মালিকানাসহ রঙিন টিনশেডের সেমিপাকা ঘরগুলো পাবেন গৃহহীন ও ভূমিহীনেরা। প্রতিটি ঘরে থাকছে ২টি কক্ষ, ১টি রান্নাঘর, ১টি টয়লেট ও বারান্দা।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. সোহেল রানা বলেন, নির্মাণকাজের গুণগত মান আগের চেয়ে আরও ভালো করতে বেজ ঢালাই ও কলাম দিয়ে গৃহ নির্মাণের কাজ চলছে। বর্তমানে প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় বাড়িয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শারাফাত হোসেন মুক্তি বলেন, ‘তেরখাদায় তৃতীয় ধাপে ৬৫টি ঘরের নির্মাণকাজ অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে এগিয়ে চলছে। আমি, ইউএনও, এসি ল্যান্ড ও পিআইও প্রতিনিয়ত নির্মাণকাজ তদারক করছি।
এদিকে ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া ইউনিয়নের বিলপাবলা মৌজার খাস খতিয়ানভুক্ত তিন একর জমি পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল ওয়াদুদ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে ঘর নির্মাণকাজ শুরু হবে।
জানা যায়, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় গৃহহীন, ভূমিহীন ও ছিন্নমূল পরিবারদের জন্য ১ হাজার ১৮৫টি ঘর নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ডুমুরিয়ায়। ইতিমধ্যে ৬৪০টি ঘর ভূমিহীন পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ ছাড়া আরও ৬০টি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে খুলনা শহরকেন্দ্রিক গুটুদিয়া ইউনিয়নে মোস্তফার মোড় এলাকায় মূল্যবান তিন একরের বেশি খাসজমি আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত উপজেলায় ৩৫ একর জমির ওপর গৃহহীনদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে সরকার।
এ প্রসঙ্গে গুটুদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ তুহিনুল ইসলাম জানান, ইউনিয়নে অসংখ্য হতদরিদ্র, অসহায়, দুস্থ ও গৃহহীন পরিবার রয়েছে। এরা অন্যের জায়গায় বা রাস্তার পাশে মানবেতর জীবন যাপন করছে। তাই প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য গৃহহীনদের গৃহনির্মাণের ব্যবস্থা করতে ইউএনওর কাছে গত ২৫ জানুয়ারি আবেদন করা হয়। এখানে জমির বাজারমূল্য প্রতি শতক ৭ থেকে ৮ লাখ টাকা।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ডুমুরিয়ায় ১ হাজার ১৮৫টি ঘর নির্মাণের টার্গেট রয়েছে। ইতিমধ্যে কাঁঠালতলা, চুকনগর, বাদুরগাছা, বাহাদুরপুর, ধামালিয়া, থুকড়া, সাজিয়াড়া, এলাকায় প্রায় সাড়ে ৬০০ ঘর নির্মাণ ও হস্তান্তর হয়েছে। তবে সবচেয়ে উত্তম জায়গা মোস্তফা মোড় এলাকার জমি।
আব্দুল ওয়াদুদ আরও বলেন, সরেজমিন জায়গা সার্ভে করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্থানটা যেহেতু শহরকেন্দ্রিক, এখানে ঘর নির্মিত হলে একটা নান্দনিক দৃশ্য শোভা পাবে। যা নজর কাড়বে পথচারী ও শহরবাসীর।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে