হুমায়ুন মাসুদ, চট্টগ্রাম
রমজানের এক মাস আগে থেকেই খাতুনগঞ্জে খাদ্যপণ্য বেচাকেনার ধুম পড়ে। কয়েক দশক ধরে এটিই হয়ে আসছিল। কিন্তু এবার ঠিক তার উল্টো। এ বছর রমজান সামনে রেখে খাতুনগঞ্জে খাদ্যপণ্য বেচাকেনা আগের মতো নেই।
জানা গেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সম্প্রতি ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ছোলা, ডাল, তেল কেনা কমিয়ে দিয়েছেন ভোক্তারা। আর তাতেই খাতুনগঞ্জে কমেছে বেচাকেনা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্যান্য বছর রমজানের আগে যে-ই পরিমাণ বেচাকেনা হতো, এবার তার ২০ শতাংশও হচ্ছে না। অথচ এবার রমজান ঘিরে অন্যান্য বছরের তুলনায় ভোগ্যপণ্য সরবরাহ বেশি ছিল। চাহিদার তুলনায় এবার ছোলা, চিনি, ডাল বেশি আমদানি হয়েছে। এদিকে আমদানির বিপরীতে বেচাকেনা কমে যাওয়ায় এবার লোকসানে পড়তে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের তৈয়্যবিয়া ট্রেডার্সের মালিক সোলায়মান বাদশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রমজান ঘিরে প্রতিবছর শবে বরাতের আগ থেকে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হয়। এবার শবে বরাতের আগেও বেচাকেনা খুব বেশি ছিল না। শবে বরাতের পরও বেচাকেনা নেই। অন্যান্য বছর এই সময় যে বেচাকেনা হতো, এবার তার ১০ শতাংশও নেই।’
সোলায়মান বাদশা আরও বলেন, ‘বেচাকেনা কমে যাওয়ায় আমরা লোকসানের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি। আমরা এখন উভয় সংকটে আছি। একদিকে গুদামে মালামাল পড়ে আছে, অন্যদিকে বিক্রি করতে না পারায় ব্যাংকের লোন পরিশোধ করতে পারছি না। এতে ব্যাংকের ইন্টারেস্ট বেড়ে যাচ্ছে।’
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রমজানে খাতুনগঞ্জে ১ লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টন ছোলার চাহিদা থাকে। এ চাহিদার বিপরীতে এবার গত তিন মাসে প্রায় ২ লাখ টন ছোলা আমদানি করা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের গত ৯ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২ লাখ ৫২ হাজার ২১৩ টন ৩২৪ কেজি ছোলা আমদানি করা হয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে ১০ হাজার টন ছোলা ব্যবহার হয়। সেই হিসাবে ৯ মাসে ৯০ হাজার টনের চাহিদা বাদ দিলে এখনো বাজারে ছোলা মজুত আছে প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজার টন।
শুধু ছোলা নয়, বাজারে এখন চিনি, মসুর ডাল, মোটর, ভোজ্যতেলসহ সব পণ্যের মজুত বেশি। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এনবিআর সূত্র জানিয়েছে এই চাহিদার বিপরীতে চলতি অর্থবছরের গত ৯ মাসে দেশে ২৪ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭ টন ভোজ্যতেল আমদানি করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে এবার দেশের ৫টি বেসরকারি সুগার মিল ১৯ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৭ টন ১৩০ কেজি অপরিশোধিত চিনি আমদানি করেছে। একই সময়ে ৩ লাখ ১২ হাজার ৫৪৬ টন মসুর ডাল আমদানি হয়েছে। এ ছাড়া ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৩৭ টন ১৯০ কেজি মোটর ডাল আমদানি হয়।
এই সরবরাহের বিপরীতে বাজারে অন্যান্য বছরের তুলনায় ২০ শতাংশও বেচাকেনা নেই বলে জানিয়েছেন খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এবার ভোগ্যপণ্যের দামের ওঠা-নামার কারণে লোকসানের মুখোমুখি হতে পারেন, এমন ভয় থেকে প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা ভোগ্যপণ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। যে কারণে বাজারে এখন বেচাকেনা নেই। ভোজ্যতেলের দাম কমে যাওয়ায়, আগে যারা বেশি দামে তেল কিনেছেন তাদের এখন কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে। এই ভয়ে তারা অন্য পণ্যও কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। বাজার ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরে না এলে বেচাকেনা স্বাভাবিক হবে না। এতে ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখোমুখি হবেন। পরে একপর্যায়ে ভোগ্যপণ্য আমদানি কমিয়ে দেবেন আমদানিকারকরা। তাতে সামনে দেশে খাদ্যসংকট তৈরি হতে পারে।
এ বিষয়ে খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১০-১২ দিন পর রমজান। এবার এর কোনো রেশ খাতুনগঞ্জে নেই। অন্যান্য বছর রমজান ঘিরে আমদানি করা পণ্যে অর্ধেকের বেশি শবে বরাতের আগেই বিক্রি হয়ে যেত। কিন্তু এবার তার চার ভাগের এক ভাগও মাল বিক্রি হয়নি।
একই ধরনের কথা বলেন, খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগির আহমদ। তিনি বলেন, ‘বাজারে এখন সব পণ্যের দামই নিম্নমুখী। এরপরও বেচাকেনা অনেক কম। যদি এই প্রবাহ চলতে থাকে, তাহলে বাজারে ঋণাত্মক একটা অবস্থা তৈরি হবে। একপর্যায়ে পণ্যের সরবরাহ কমে যাবে। তখন বাজারে ভোগ্যপণ্যের সংকট তৈরি হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ছৈয়দ ছগির বলেন, তেলের দাম হঠাৎ কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভয় তৈরি হয়েছে।
রমজানের এক মাস আগে থেকেই খাতুনগঞ্জে খাদ্যপণ্য বেচাকেনার ধুম পড়ে। কয়েক দশক ধরে এটিই হয়ে আসছিল। কিন্তু এবার ঠিক তার উল্টো। এ বছর রমজান সামনে রেখে খাতুনগঞ্জে খাদ্যপণ্য বেচাকেনা আগের মতো নেই।
জানা গেছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে সম্প্রতি ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ছোলা, ডাল, তেল কেনা কমিয়ে দিয়েছেন ভোক্তারা। আর তাতেই খাতুনগঞ্জে কমেছে বেচাকেনা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, অন্যান্য বছর রমজানের আগে যে-ই পরিমাণ বেচাকেনা হতো, এবার তার ২০ শতাংশও হচ্ছে না। অথচ এবার রমজান ঘিরে অন্যান্য বছরের তুলনায় ভোগ্যপণ্য সরবরাহ বেশি ছিল। চাহিদার তুলনায় এবার ছোলা, চিনি, ডাল বেশি আমদানি হয়েছে। এদিকে আমদানির বিপরীতে বেচাকেনা কমে যাওয়ায় এবার লোকসানে পড়তে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাতুনগঞ্জের তৈয়্যবিয়া ট্রেডার্সের মালিক সোলায়মান বাদশা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রমজান ঘিরে প্রতিবছর শবে বরাতের আগ থেকে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হয়। এবার শবে বরাতের আগেও বেচাকেনা খুব বেশি ছিল না। শবে বরাতের পরও বেচাকেনা নেই। অন্যান্য বছর এই সময় যে বেচাকেনা হতো, এবার তার ১০ শতাংশও নেই।’
সোলায়মান বাদশা আরও বলেন, ‘বেচাকেনা কমে যাওয়ায় আমরা লোকসানের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি। আমরা এখন উভয় সংকটে আছি। একদিকে গুদামে মালামাল পড়ে আছে, অন্যদিকে বিক্রি করতে না পারায় ব্যাংকের লোন পরিশোধ করতে পারছি না। এতে ব্যাংকের ইন্টারেস্ট বেড়ে যাচ্ছে।’
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রমজানে খাতুনগঞ্জে ১ লাখ ২০ থেকে ৩০ হাজার টন ছোলার চাহিদা থাকে। এ চাহিদার বিপরীতে এবার গত তিন মাসে প্রায় ২ লাখ টন ছোলা আমদানি করা হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের গত ৯ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ২ লাখ ৫২ হাজার ২১৩ টন ৩২৪ কেজি ছোলা আমদানি করা হয়েছে। প্রতি মাসে গড়ে ১০ হাজার টন ছোলা ব্যবহার হয়। সেই হিসাবে ৯ মাসে ৯০ হাজার টনের চাহিদা বাদ দিলে এখনো বাজারে ছোলা মজুত আছে প্রায় ১ লাখ ৬২ হাজার টন।
শুধু ছোলা নয়, বাজারে এখন চিনি, মসুর ডাল, মোটর, ভোজ্যতেলসহ সব পণ্যের মজুত বেশি। খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। এনবিআর সূত্র জানিয়েছে এই চাহিদার বিপরীতে চলতি অর্থবছরের গত ৯ মাসে দেশে ২৪ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭ টন ভোজ্যতেল আমদানি করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে এবার দেশের ৫টি বেসরকারি সুগার মিল ১৯ লাখ ৮৩ হাজার ১৫৭ টন ১৩০ কেজি অপরিশোধিত চিনি আমদানি করেছে। একই সময়ে ৩ লাখ ১২ হাজার ৫৪৬ টন মসুর ডাল আমদানি হয়েছে। এ ছাড়া ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৩৭ টন ১৯০ কেজি মোটর ডাল আমদানি হয়।
এই সরবরাহের বিপরীতে বাজারে অন্যান্য বছরের তুলনায় ২০ শতাংশও বেচাকেনা নেই বলে জানিয়েছেন খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এবার ভোগ্যপণ্যের দামের ওঠা-নামার কারণে লোকসানের মুখোমুখি হতে পারেন, এমন ভয় থেকে প্রান্তিক ব্যবসায়ীরা ভোগ্যপণ্য কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। যে কারণে বাজারে এখন বেচাকেনা নেই। ভোজ্যতেলের দাম কমে যাওয়ায়, আগে যারা বেশি দামে তেল কিনেছেন তাদের এখন কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা লোকসান দিতে হচ্ছে। এই ভয়ে তারা অন্য পণ্যও কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। বাজার ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ফিরে না এলে বেচাকেনা স্বাভাবিক হবে না। এতে ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখোমুখি হবেন। পরে একপর্যায়ে ভোগ্যপণ্য আমদানি কমিয়ে দেবেন আমদানিকারকরা। তাতে সামনে দেশে খাদ্যসংকট তৈরি হতে পারে।
এ বিষয়ে খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ১০-১২ দিন পর রমজান। এবার এর কোনো রেশ খাতুনগঞ্জে নেই। অন্যান্য বছর রমজান ঘিরে আমদানি করা পণ্যে অর্ধেকের বেশি শবে বরাতের আগেই বিক্রি হয়ে যেত। কিন্তু এবার তার চার ভাগের এক ভাগও মাল বিক্রি হয়নি।
একই ধরনের কথা বলেন, খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ ছগির আহমদ। তিনি বলেন, ‘বাজারে এখন সব পণ্যের দামই নিম্নমুখী। এরপরও বেচাকেনা অনেক কম। যদি এই প্রবাহ চলতে থাকে, তাহলে বাজারে ঋণাত্মক একটা অবস্থা তৈরি হবে। একপর্যায়ে পণ্যের সরবরাহ কমে যাবে। তখন বাজারে ভোগ্যপণ্যের সংকট তৈরি হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ছৈয়দ ছগির বলেন, তেলের দাম হঠাৎ কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ভয় তৈরি হয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে