দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সফল কোচ তিনি। প্রায় এক যুগ সময় নিয়ে ক্রিকেট কোচিং নিয়ে বই লিখেছেন সালাহ উদ্দীন। সেটিও বাংলায়; সহজ, সরল, প্রাঞ্জল ভাষায়। গতকাল মিরপুরের একটি স্পোর্টস শপে রানা আব্বাসের সঙ্গে সেই বই নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে দেশের দুর্বল ক্রিকেটকাঠামোর নানা ফাঁকফোকর তুলে ধরলেন সালাহ উদ্দীন।
প্রশ্ন: এ মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে আপনার পর্যালোচনা কী?
সালাহ উদ্দীন: (সিলেট) টেস্ট ম্যাচ দেখে তো ভালো লেগেছে। আসলে রাগ কেন হয়, আমাদের সুযোগ আছে ভালো করার। আমরা সবাই ট্যালেন্টেড খেলোয়াড়ের কথা বলি। আমি মনে করি, ট্যালেন্টেড খেলোয়াড়ের অভাব নেই। খেলোয়াড় একা বের হতে পারে না। তার আশপাশের মানুষদের ট্যালেন্টেড হতে হয়। আমি কোচ হিসেবে ট্যালেন্টেড নই। কিন্তু আমার কাছে ১৬-১৭ বছরের একটা প্রতিভাবান ছেলে এল।
যদি শিক্ষক হিসেবে তাঁকে ভালো পড়াতে না পারি, তাঁকে আমি কী দেব? কোচ হিসেবে আমি নিজে উন্নতি করছি না, তাহলে ওই প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে কীভাবে পরিচর্যা করব? শুধু কোচ, খেলোয়াড়ই নয়; সংগঠক, কর্মকর্তারা কি প্রতিভাবান? সংগঠক প্রতিভাবান না হলে সে দূরদর্শী কীভাবে হবে? সে কীভাবে ভাববে যে এ রকম একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে এ রকম কিছু খেলোয়াড় বের করতে পারব? কীভাবে খেলোয়াড়দের আর্থিক নিরাপত্তা তৈরি করবে?
সেই দূরদর্শী, সেই ট্যালেন্ট লোক কি আমাদের আছে? শুধু খেলোয়াড়দের দোষ দিয়েই আমরা চলে যাই। আমার ক্রিকেট পাঁচ বছর পরে এখানে যাবে, সেই দূরদর্শী লোক কি আপনার আছে? প্রতিটি জায়গায় আপনার প্রতিভাবান লোক থাকতে হবে। তাহলে খেলা ভালোভাবে এগোবে। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে একটা ভালো খেলোয়াড় পেতে আপনাকে তাকিয়ে থাকতে হয় শুধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দিকে। এত দিনে কি আর কোনো টুর্নামেন্ট করতে পারলাম না? টি-টোয়েন্টিতে শুধু বিপিএলই ভরসা। শুধু কেন ঢাকায় সব করতে হবে?
প্রতিটি বিভাগ কিংবা জেলায় ভালো টুর্নামেন্ট করা যায় না? যদি দু-তিনটা ভালো টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যায়, তাহলেও ধারাবাহিক ভালো খেলোয়াড় উঠে আসে। খেলোয়াড় তুলে নিয়ে আসতে তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সংগঠকদেরও প্রতিভাবান হতে হবে। হয়তো পয়সা উপার্জনের ট্যালেন্ট আছে, আপনি ব্যবসায়ী, জানেন ওখানে কীভাবে টাকা আয় করা যায়। কিন্তু আপনি যখন স্পোর্টসে এসেছেন, ওই ট্যালেন্ট নিয়ে আসতে হবে। শুধু কর্মকর্তা হয়ে গেলেন, পরিচালক হয়ে গেলেন কিন্তু দূরদৃষ্টি নেই, তাহলে খেলোয়াড়কে কীভাবে সহায়তা করবেন? এখন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটাররা কোচিংয়ে আসছে। তাদের প্রতিভা আছে। কিন্তু পরের ধাপে যেতে তাদের কী করণীয়, সেই রাস্তা কি হয়েছে?
প্রশ্ন: দেশের দুর্বল ক্রিকেটকাঠামোর বিষয়টি আপনি তুলে ধরেছেন। এই যে (আজ থেকে) লংগার ভার্সন বিসিএল শুরু হচ্ছে। দেশে ক্রিকেট নিয়ে এত উন্মাদনা। অথচ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ঠিকঠাক বিপণন করতে পারছে না বিসিবি। এখান থেকে বিসিবি আয় করতে পারছে না, সেটির চেয়ে বড় কথা, এটা কি দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের দৈন্যর একটা খণ্ডচিত্র নয়?
সালাহ উদ্দীন: এখানে আসলে দায় কার? নিশ্চয়ই প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতা। ওখানে যারা কাজ করছে, তারা ট্যালেন্টেড নয়—সহজ হিসাব। যদি বাজার ধরে রাখতে না পারেন, কর্মকর্তা হিসেবে আপনি ব্যর্থ। স্পোর্টস একটা বিজনেস, সেটি ঠিকঠাক করতে না পারা মানে আপনার দূরদর্শিতার অভাব। একটা টুর্নামেন্ট করছেন। দুদিন আগে বলছেন, চলো, খেলতে যাই। কোচ কে হবে, সে কীভাবে খেলোয়াড় তৈরি করবে, এটার কোনো সুযোগ নেই। সে চ্যাম্পিয়ন হলেও তার কৃতিত্ব দেওয়ার সুযোগ নেই। সবকিছুর দীর্ঘ প্রস্তুতি, পরিকল্পনা দরকার।
প্রশ্ন: আগামী মাসে বিপিএল। আপনার দল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের প্রস্তুতি কী?
সালাহ উদ্দীন: আমাদের প্রস্তুতি যদি দেখেন, ভালো ফল করার অনেক কারণ আছে। আজও (কাল) সকালে দুই ঘণ্টা এটা নিয়ে কাজ করেছি। প্রস্তুতি আমরা এক বছর আগে থেকে শুরু করি। অনেক সুসংগঠিতভাবে কাজ করি। এত কিছুর পরও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সাফল্য না-ও আসতে পারে । তবু ভালো প্রস্তুতি নিয়ে রাখি। কাজ চলছে।
প্রশ্ন: আপনাদের প্রস্তুতি তাহলে শেষ বলা যায়?
সালাহ উদ্দীন: প্রস্তুতি নিয়েই ফেলেছি। আবার ঝামেলায় আছি পিএসএলের খেলোয়াড়দের পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে। কোনো নির্দেশনা ছাড়া বোর্ড যেভাবে একেকটা বিষয় ধরিয়ে দেয়, এখনো খেলার তারিখও নির্দিষ্ট করে বলেনি, কীভাবে একটা বিদেশি খেলোয়াড়ের লজিস্টিক্যাল বিষয়গুলো নিশ্চিত করব? একটা ফ্লাইট পরিবর্তন করতে গেলে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। এখানে বাজেট অনেক বড় বিষয়। টাকা তো ফেরত আসে না। একজন বিনিয়োগকারী কত দিন এভাবে শুধু টাকা দিয়ে যাবে। সবাই তো আর জনসেবা করতে আসে না। প্রতিবছর ১০-১২ কোটি টাকা কেন শুধু শুধু খরচ করবে? এখানে দূরদর্শী হলে আয়োজক, অংশগ্রহণকারী—সবারই লাভ হয়।
দায়বদ্ধতা থেকে লেখা যে বই
গুরু সালাহ উদ্দীন তাঁর ২৫ বছরের ক্রিকেট কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা থেকে একটি বই লিখেছেন। বইয়ের নাম ‘সালাহ উদ্দীন’স মাস্টার ক্লাস ক্রিকেট কোচিং বুক।’ ক্রিকেট কোচিংয়ের ওপর লেখা গুরুর প্রথম বই নিয়ে তারকা ছাত্র সাকিব আল হাসানের পর্যালোচনা হচ্ছে, ‘দুয়েকটা বানান ভুল আছে!’
সাকিবের রসাত্মক ‘বুক রিভিউ’ সালাহ উদ্দীন গুরুত্বের সঙ্গেই নিচ্ছেন। পরের মুদ্রণ বা সংস্করণে মুদ্রণপ্রমাদ কিংবা টুকটাক ঘাটতি সংশোধন করার ভাবনা দেশের সবচেয়ে সফল কোচের। গতকাল মিরপুরে একটি স্পোর্টস শপে বসে নিজের বই নিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘১০-১২ বছর ধরে বইটা লেখার প্রস্তুতি নিয়েছি। সারা দিন মাঠে থাকি। ব্যস্ততার মধ্যে রাতে লিখতে বসা। এর মধ্যে অনেক পড়াশোনা করেই লিখতে হয়েছে।’ বই লেখার উদ্দেশ্য নিয়ে সালাহ উদ্দীন আরও যোগ করলেন, ‘যা শিখেছি, জেনেছি, সেই দায়িত্ব থেকে এরকম একটা বই লেখার তাগিদ অনুভব করেছি। টেকনিক্যাল বিষয়ের চেয়ে টেকটিক্যাল, মনস্তাত্ত্বিক বিষয় বেশি এসেছে বইয়ে। আমাদের ছেলেদের পড়ার সেভাবে অভ্যাস নেই। না পড়লে শেখার ক্ষমতা কমে যায়। সহজভাবে লেখায় সবাই আগ্রহী নিয়ে পড়বে আশা করি।’
দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের সফল কোচ তিনি। প্রায় এক যুগ সময় নিয়ে ক্রিকেট কোচিং নিয়ে বই লিখেছেন সালাহ উদ্দীন। সেটিও বাংলায়; সহজ, সরল, প্রাঞ্জল ভাষায়। গতকাল মিরপুরের একটি স্পোর্টস শপে রানা আব্বাসের সঙ্গে সেই বই নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে দেশের দুর্বল ক্রিকেটকাঠামোর নানা ফাঁকফোকর তুলে ধরলেন সালাহ উদ্দীন।
প্রশ্ন: এ মুহূর্তে বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে আপনার পর্যালোচনা কী?
সালাহ উদ্দীন: (সিলেট) টেস্ট ম্যাচ দেখে তো ভালো লেগেছে। আসলে রাগ কেন হয়, আমাদের সুযোগ আছে ভালো করার। আমরা সবাই ট্যালেন্টেড খেলোয়াড়ের কথা বলি। আমি মনে করি, ট্যালেন্টেড খেলোয়াড়ের অভাব নেই। খেলোয়াড় একা বের হতে পারে না। তার আশপাশের মানুষদের ট্যালেন্টেড হতে হয়। আমি কোচ হিসেবে ট্যালেন্টেড নই। কিন্তু আমার কাছে ১৬-১৭ বছরের একটা প্রতিভাবান ছেলে এল।
যদি শিক্ষক হিসেবে তাঁকে ভালো পড়াতে না পারি, তাঁকে আমি কী দেব? কোচ হিসেবে আমি নিজে উন্নতি করছি না, তাহলে ওই প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে কীভাবে পরিচর্যা করব? শুধু কোচ, খেলোয়াড়ই নয়; সংগঠক, কর্মকর্তারা কি প্রতিভাবান? সংগঠক প্রতিভাবান না হলে সে দূরদর্শী কীভাবে হবে? সে কীভাবে ভাববে যে এ রকম একটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করলে এ রকম কিছু খেলোয়াড় বের করতে পারব? কীভাবে খেলোয়াড়দের আর্থিক নিরাপত্তা তৈরি করবে?
সেই দূরদর্শী, সেই ট্যালেন্ট লোক কি আমাদের আছে? শুধু খেলোয়াড়দের দোষ দিয়েই আমরা চলে যাই। আমার ক্রিকেট পাঁচ বছর পরে এখানে যাবে, সেই দূরদর্শী লোক কি আপনার আছে? প্রতিটি জায়গায় আপনার প্রতিভাবান লোক থাকতে হবে। তাহলে খেলা ভালোভাবে এগোবে। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে একটা ভালো খেলোয়াড় পেতে আপনাকে তাকিয়ে থাকতে হয় শুধু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দিকে। এত দিনে কি আর কোনো টুর্নামেন্ট করতে পারলাম না? টি-টোয়েন্টিতে শুধু বিপিএলই ভরসা। শুধু কেন ঢাকায় সব করতে হবে?
প্রতিটি বিভাগ কিংবা জেলায় ভালো টুর্নামেন্ট করা যায় না? যদি দু-তিনটা ভালো টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যায়, তাহলেও ধারাবাহিক ভালো খেলোয়াড় উঠে আসে। খেলোয়াড় তুলে নিয়ে আসতে তাদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে সংগঠকদেরও প্রতিভাবান হতে হবে। হয়তো পয়সা উপার্জনের ট্যালেন্ট আছে, আপনি ব্যবসায়ী, জানেন ওখানে কীভাবে টাকা আয় করা যায়। কিন্তু আপনি যখন স্পোর্টসে এসেছেন, ওই ট্যালেন্ট নিয়ে আসতে হবে। শুধু কর্মকর্তা হয়ে গেলেন, পরিচালক হয়ে গেলেন কিন্তু দূরদৃষ্টি নেই, তাহলে খেলোয়াড়কে কীভাবে সহায়তা করবেন? এখন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটাররা কোচিংয়ে আসছে। তাদের প্রতিভা আছে। কিন্তু পরের ধাপে যেতে তাদের কী করণীয়, সেই রাস্তা কি হয়েছে?
প্রশ্ন: দেশের দুর্বল ক্রিকেটকাঠামোর বিষয়টি আপনি তুলে ধরেছেন। এই যে (আজ থেকে) লংগার ভার্সন বিসিএল শুরু হচ্ছে। দেশে ক্রিকেট নিয়ে এত উন্মাদনা। অথচ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ঠিকঠাক বিপণন করতে পারছে না বিসিবি। এখান থেকে বিসিবি আয় করতে পারছে না, সেটির চেয়ে বড় কথা, এটা কি দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের দৈন্যর একটা খণ্ডচিত্র নয়?
সালাহ উদ্দীন: এখানে আসলে দায় কার? নিশ্চয়ই প্রাতিষ্ঠানিক ব্যর্থতা। ওখানে যারা কাজ করছে, তারা ট্যালেন্টেড নয়—সহজ হিসাব। যদি বাজার ধরে রাখতে না পারেন, কর্মকর্তা হিসেবে আপনি ব্যর্থ। স্পোর্টস একটা বিজনেস, সেটি ঠিকঠাক করতে না পারা মানে আপনার দূরদর্শিতার অভাব। একটা টুর্নামেন্ট করছেন। দুদিন আগে বলছেন, চলো, খেলতে যাই। কোচ কে হবে, সে কীভাবে খেলোয়াড় তৈরি করবে, এটার কোনো সুযোগ নেই। সে চ্যাম্পিয়ন হলেও তার কৃতিত্ব দেওয়ার সুযোগ নেই। সবকিছুর দীর্ঘ প্রস্তুতি, পরিকল্পনা দরকার।
প্রশ্ন: আগামী মাসে বিপিএল। আপনার দল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের প্রস্তুতি কী?
সালাহ উদ্দীন: আমাদের প্রস্তুতি যদি দেখেন, ভালো ফল করার অনেক কারণ আছে। আজও (কাল) সকালে দুই ঘণ্টা এটা নিয়ে কাজ করেছি। প্রস্তুতি আমরা এক বছর আগে থেকে শুরু করি। অনেক সুসংগঠিতভাবে কাজ করি। এত কিছুর পরও ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে সাফল্য না-ও আসতে পারে । তবু ভালো প্রস্তুতি নিয়ে রাখি। কাজ চলছে।
প্রশ্ন: আপনাদের প্রস্তুতি তাহলে শেষ বলা যায়?
সালাহ উদ্দীন: প্রস্তুতি নিয়েই ফেলেছি। আবার ঝামেলায় আছি পিএসএলের খেলোয়াড়দের পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে। কোনো নির্দেশনা ছাড়া বোর্ড যেভাবে একেকটা বিষয় ধরিয়ে দেয়, এখনো খেলার তারিখও নির্দিষ্ট করে বলেনি, কীভাবে একটা বিদেশি খেলোয়াড়ের লজিস্টিক্যাল বিষয়গুলো নিশ্চিত করব? একটা ফ্লাইট পরিবর্তন করতে গেলে অনেক টাকা খরচ হয়ে যায়। এখানে বাজেট অনেক বড় বিষয়। টাকা তো ফেরত আসে না। একজন বিনিয়োগকারী কত দিন এভাবে শুধু টাকা দিয়ে যাবে। সবাই তো আর জনসেবা করতে আসে না। প্রতিবছর ১০-১২ কোটি টাকা কেন শুধু শুধু খরচ করবে? এখানে দূরদর্শী হলে আয়োজক, অংশগ্রহণকারী—সবারই লাভ হয়।
দায়বদ্ধতা থেকে লেখা যে বই
গুরু সালাহ উদ্দীন তাঁর ২৫ বছরের ক্রিকেট কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা থেকে একটি বই লিখেছেন। বইয়ের নাম ‘সালাহ উদ্দীন’স মাস্টার ক্লাস ক্রিকেট কোচিং বুক।’ ক্রিকেট কোচিংয়ের ওপর লেখা গুরুর প্রথম বই নিয়ে তারকা ছাত্র সাকিব আল হাসানের পর্যালোচনা হচ্ছে, ‘দুয়েকটা বানান ভুল আছে!’
সাকিবের রসাত্মক ‘বুক রিভিউ’ সালাহ উদ্দীন গুরুত্বের সঙ্গেই নিচ্ছেন। পরের মুদ্রণ বা সংস্করণে মুদ্রণপ্রমাদ কিংবা টুকটাক ঘাটতি সংশোধন করার ভাবনা দেশের সবচেয়ে সফল কোচের। গতকাল মিরপুরে একটি স্পোর্টস শপে বসে নিজের বই নিয়ে তিনি বলছিলেন, ‘১০-১২ বছর ধরে বইটা লেখার প্রস্তুতি নিয়েছি। সারা দিন মাঠে থাকি। ব্যস্ততার মধ্যে রাতে লিখতে বসা। এর মধ্যে অনেক পড়াশোনা করেই লিখতে হয়েছে।’ বই লেখার উদ্দেশ্য নিয়ে সালাহ উদ্দীন আরও যোগ করলেন, ‘যা শিখেছি, জেনেছি, সেই দায়িত্ব থেকে এরকম একটা বই লেখার তাগিদ অনুভব করেছি। টেকনিক্যাল বিষয়ের চেয়ে টেকটিক্যাল, মনস্তাত্ত্বিক বিষয় বেশি এসেছে বইয়ে। আমাদের ছেলেদের পড়ার সেভাবে অভ্যাস নেই। না পড়লে শেখার ক্ষমতা কমে যায়। সহজভাবে লেখায় সবাই আগ্রহী নিয়ে পড়বে আশা করি।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৫ ঘণ্টা আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪