বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
বান্দরবান জেলায় চিকিৎসক-সংকট দীর্ঘদিনের। এতে ব্যাহত হচ্ছিল সেবা কার্যক্রম। এই সমস্যা সমাধানে গতকাল সোমবার জেলায় ৪২ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সবাই ৪২তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার হিসেবে নতুন নিয়োগ পেয়েছেন। প্রত্যেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেবেন।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন নীহার রঞ্জন নন্দী গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার চিকিৎসক-সংকট নিরসনে একযোগে সারা দেশে চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বান্দরবানে ৪২ জন চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নতুন নিয়োগ পাওয়া ৪২ চিকিৎসক জেলার ৭ উপজেলায় ৭টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ জন করে পদায়ন করা হয়।
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ৪২ চিকিৎসক পার্বত্য জেলা পরিষদ বিধি মোতাবেক বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে যোগদানপত্র দাখিল করার কথা। এ প্রক্রিয়া শেষ হলেই তাঁরা নিজ কর্মস্থলে যোগ দেবেন।
পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন মোতাবেক, জেলার স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা, প্রাথমিক শিক্ষা, কৃষি, সমাজসেবা, সমবায়, যুব উন্নয়ন, বিসিক, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, তুলা উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকারি ২১টি বিভাগ পার্বত্য জেলা পরিষদে ন্যস্ত। জেলায় এসব বিভাগে যোগদানপত্র চেয়ারম্যান বরাবর দেওয়া হয়।
সিভিল সার্জন বলেন, সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জেলায় মাসিক সভা ছিল। সোমবার নিয়োগপ্রাপ্তদের কেউ কেউ হয়তো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দিতে পারেন।
গত বছরের ৫ জুলাই চিকিৎসক-সংকট নিরসনের লক্ষ্যে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৬ চিকিৎসকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে পদায়ন করা হয়েছিল। তখন বান্দরবানবাসী আশা করেছিলেন, চিকিৎসক-সংকট কিছুটা হলেও কমবে। কিন্তু ১৬ চিকিৎসক যোগদানের আগেই ৬ জুলাই যোগদান আদেশ বাতিল হওয়ায় তাঁরা বান্দরবানে যোগ দেননি। ফলে চিকিৎসক-সংকট থেকেই যায়।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানের জেলা সদর হাসপাতালে ২১ জন, ৭ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮৮ জনসহ মোট ১০৯টি চিকিৎসক পদ রয়েছে। জেলায় এর আগে ৪৯ জন চিকিৎসক পদায়ন হলেও শূন্য ছিল ৬০টি।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৯ সালে ৫০ শয্যা দিয়ে চালু হয় বান্দরবান সদর হাসপাতালটি। পরে ২০০৫ সালে হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তখন এ হাসপাতালের জন্য ২১টি চিকিৎসক পদ অনুমোদিত হয়েছিল।
বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অনুমোদিত চিকিৎসকসহ জনবল প্রায় অর্ধেক দিয়ে চলছে ১০০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতাল। এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াও চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানের সংকট আছে।
জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সিভিল সার্জন বলেন, কিছু পদ শূন্য থাকলেও চিকিৎসকসহ যাঁরা কর্মরত আছেন, তাঁদের দিয়ে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। চিকিৎসকসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মীদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার কারণে করোনা পরিস্থিতিতেও স্বাস্থ্যসেবা সচল ছিল; পাশাপাশি করোনা রোগীদের চিকিৎসা এবং করোনার টিকা কার্যক্রম সফলভাবেই পরিচালনা করা হচ্ছে।
এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট ২০২ জন নার্স থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন প্রায় ১০০ জন। এভাবে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট, সাধারণ কর্মচারীদের জন্য অনুমোদিত পদের অনেকগুলোই এখনো শূন্য।
বান্দরবান জেলায় চিকিৎসক-সংকট দীর্ঘদিনের। এতে ব্যাহত হচ্ছিল সেবা কার্যক্রম। এই সমস্যা সমাধানে গতকাল সোমবার জেলায় ৪২ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা সবাই ৪২তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার হিসেবে নতুন নিয়োগ পেয়েছেন। প্রত্যেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দেবেন।
বান্দরবানের সিভিল সার্জন নীহার রঞ্জন নন্দী গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সরকার চিকিৎসক-সংকট নিরসনে একযোগে সারা দেশে চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বান্দরবানে ৪২ জন চিকিৎসক নিয়োগ দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নতুন নিয়োগ পাওয়া ৪২ চিকিৎসক জেলার ৭ উপজেলায় ৭টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬ জন করে পদায়ন করা হয়।
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত ৪২ চিকিৎসক পার্বত্য জেলা পরিষদ বিধি মোতাবেক বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে যোগদানপত্র দাখিল করার কথা। এ প্রক্রিয়া শেষ হলেই তাঁরা নিজ কর্মস্থলে যোগ দেবেন।
পার্বত্য জেলা পরিষদ আইন মোতাবেক, জেলার স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা, প্রাথমিক শিক্ষা, কৃষি, সমাজসেবা, সমবায়, যুব উন্নয়ন, বিসিক, মৎস্য, প্রাণিসম্পদ, তুলা উন্নয়ন বোর্ডসহ সরকারি ২১টি বিভাগ পার্বত্য জেলা পরিষদে ন্যস্ত। জেলায় এসব বিভাগে যোগদানপত্র চেয়ারম্যান বরাবর দেওয়া হয়।
সিভিল সার্জন বলেন, সোমবার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের জেলায় মাসিক সভা ছিল। সোমবার নিয়োগপ্রাপ্তদের কেউ কেউ হয়তো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগ দিতে পারেন।
গত বছরের ৫ জুলাই চিকিৎসক-সংকট নিরসনের লক্ষ্যে রাঙামাটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৬ চিকিৎসকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে পদায়ন করা হয়েছিল। তখন বান্দরবানবাসী আশা করেছিলেন, চিকিৎসক-সংকট কিছুটা হলেও কমবে। কিন্তু ১৬ চিকিৎসক যোগদানের আগেই ৬ জুলাই যোগদান আদেশ বাতিল হওয়ায় তাঁরা বান্দরবানে যোগ দেননি। ফলে চিকিৎসক-সংকট থেকেই যায়।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বান্দরবানের জেলা সদর হাসপাতালে ২১ জন, ৭ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮৮ জনসহ মোট ১০৯টি চিকিৎসক পদ রয়েছে। জেলায় এর আগে ৪৯ জন চিকিৎসক পদায়ন হলেও শূন্য ছিল ৬০টি।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৯ সালে ৫০ শয্যা দিয়ে চালু হয় বান্দরবান সদর হাসপাতালটি। পরে ২০০৫ সালে হাসপাতালটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। তখন এ হাসপাতালের জন্য ২১টি চিকিৎসক পদ অনুমোদিত হয়েছিল।
বান্দরবান জেলা সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অনুমোদিত চিকিৎসকসহ জনবল প্রায় অর্ধেক দিয়ে চলছে ১০০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতাল। এখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াও চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ানের সংকট আছে।
জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সিভিল সার্জন বলেন, কিছু পদ শূন্য থাকলেও চিকিৎসকসহ যাঁরা কর্মরত আছেন, তাঁদের দিয়ে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। চিকিৎসকসহ অন্য কর্মকর্তা-কর্মীদের নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার কারণে করোনা পরিস্থিতিতেও স্বাস্থ্যসেবা সচল ছিল; পাশাপাশি করোনা রোগীদের চিকিৎসা এবং করোনার টিকা কার্যক্রম সফলভাবেই পরিচালনা করা হচ্ছে।
এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় মোট ২০২ জন নার্স থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন প্রায় ১০০ জন। এভাবে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট, সাধারণ কর্মচারীদের জন্য অনুমোদিত পদের অনেকগুলোই এখনো শূন্য।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে