রাশেদ নিজাম ও খান রফিক, বরিশাল
সব সমীকরণ উল্টে দিয়ে ভাতিজা সাদিক আবদুল্লাহর চেয়ারে বসছেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। গতকাল সোমবার বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) নির্বাচনে বেসরকারিভাবে তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
ভোটের নানা সমীকরণ, দলের ভেতর থেকে চক্রান্তের চেষ্টার আশঙ্কা, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর ওপর হামলা, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, ফলাফল প্রত্যাখ্যান—নির্বাচনের সব উপাদানই ছিল কীর্তনখোলা পারের নগরে। তবে দিন শেষে জয় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহর। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের সঙ্গে তাঁর ভোটের ব্যবধান প্রায় ৫৪ হাজার।
অনানুষ্ঠানিকভাবে ফল জানার পর গণমাধ্যমে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বরিশালের নতুন নগরপিতা খোকন সেরনিয়াবাত ভোটারদের ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের অঙ্গীকারও করেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, বিসিসি নির্বাচনে মোট ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৫৬ জন; যা মোট ভোটের প্রায় ৫১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। খোকন সেরনিয়াবাত পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা প্রতীকের সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট। আলোচনায় থাকা বিএনপির বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন ও জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস—দুজনেই জামানত হারিয়েছেন।
বিসিসি নির্বাচনে ফল ঘোষণার জন্য নির্ধারিত ছিল বঙ্গবন্ধু উদ্যান এলাকার শিল্পকলা একাডেমি। রাত আটটার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির যখন ৫০ কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করেন, তার কিছুক্ষণ আগেই নিজের নির্বাচনী কার্যালয়ে বিজয়ের প্রতিক্রিয়া জানান খোকন সেরনিয়াবাত।
রাত সাড়ে নয়টার দিকে ১২৬টির মধ্যে সব কটির ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। টেবিল ঘড়িতে ৭ হাজার ৯৯৯ এবং লাঙ্গলে পড়েছে ৬ হাজার ৬৬৫ ভোট। জাকের পার্টির গোলাপ ফুলের প্রতীকে মিজানুর রহমান বাচ্চু ২ হাজার ৫৪৬ ভোট, হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান ৫২৯ এবং হরিণ প্রতীকের আলী হোসেন হাওলাদার পেয়েছেন ২ হাজার ৩৮১ ভোট। ৪২১টি ভোট বাতিল হয়েছে। সুষ্ঠু ভোট উপহার দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ফয়জুল করীমের ওপর হামলা এবং কিছু কেন্দ্রে নৌকার এজেন্টদের শক্তি প্রদর্শনের অভিযোগ ছাড়া ভোট গ্রহণকালে তেমন বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সকাল থেকে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে নারী ও পুরুষ ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসেন। বিসিসি নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবেই চলছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু অভিযোগ জানানো হচ্ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সৈয়দ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়। তবে ভোট গ্রহণে এর প্রভাব দেখা যায়নি। তবে কিছু কেন্দ্রে ইভিএমে জটিলতায় ভোট দিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় ভোটারদের। ভোট গ্রহণের শেষ দেড় ঘণ্টা তুমুল বৃষ্টির কারণে ভোটার ছিল না বললেই চলে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ছাবেরা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান হাতপাখার প্রার্থী ফয়জুল করীম। সেখান থেকে বের হওয়ার পর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথার কাছে ৩০-৪০ জন ব্যক্তি তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালান।হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল ব্যবহার করেন। এতে তিনিসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।
ফয়জুল করীমের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন।
দুপুর ১২টার দিকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউনিয়া ব্র্যাঞ্চ হাফিজিয়া মাদ্রাসার একটি কক্ষে নৌকার এজেন্টকে গোপন কক্ষে অন্যদের ভোট দিয়ে দিতে দেখা যায়। আজকের পত্রিকাকে ওই এজেন্ট কামরুল হাসান বলেন, ওপরের নির্দেশ আছে। তাই তিনি এখানে। ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হান্নান শেখ বলেন, তিনি কয়েকবার তাঁকে বের হয়ে যেতে বলেছেন। কিন্তু তিনি উল্টো তাঁকেই বের করে দেওয়ার হুমকি দেন।
৩০ কাউন্সিলরের অর্ধেকই সাদিক অনুসারী
বিসিসি নির্বাচনে ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের মধ্যে অর্ধেকে বিজয়ী হয়েছেন সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারীরা। সাদিকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ১০ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৪ জনই পরাজিত হয়েছেন। নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহর কিছু অনুসারীও কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচিত কাউন্সিলররা: ১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আউয়াল মোল্লা (আ. লীগ), ২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মুন্না হাওলাদার (আ.লীগ), ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো. হাবিবুর রহমান ফারুক (বিএনপি), ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ শামসুদ্দোহা আবিদ (আ.লীগ), ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কেফায়েত হোসেন রনি (আ.লীগ), ৬ নম্বর ওয়ার্ডে খান মো. জামাল হোসেন (আ.লীগ), ৭ নম্বর ওয়ার্ডে রফিকুল ইসলাম খোকন (আ.লীগ), ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সেলিম হাওলাদার (বিএনপি), ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ হুমায়ুন কবির লিংকু (বিএনপি), ১০ নম্বর ওয়ার্ডে মো. জয়নাল আবেদিন হাওলাদার (আ.লীগ), ১১ নম্বর ওয়ার্ডে মজিবর রহমান (আ.লীগ), ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আনোয়ার হোসেন রয়েল (আ.লীগ), ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মেহেদী পারভেজ খান (আ.লীগ), ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে শাকিল হোসেন পলাশ (আ.লীগ), ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সামজিদুল কবির (স্বতন্ত্র), ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে মো. শাহিন সিকদার (আ.লীগ), ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আক্তারুজ্জামান গাজী হিরু (আ.লীগ), ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. জিয়াউল হক মাসুম (বিএনপি), ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে গাজী নইমুল হোসেন লিটু (আ.লীগ), ২০ নম্বর ওয়ার্ডে জিয়াউর রহমান বিপ্লব (আ.লীগ), ২১ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ সাইদ আহমেদ (আ.লীগ), ২২ নম্বর ওয়ার্ডে আনিচুর রহমান (আ.লীগ), ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে এনামুল হক বাহার (আ.লীগ), ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ফিরোজ আহমেদ (বিএনপি), ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে সুলতান মাহমুদ (আ.লীগ), ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে হুমায়ুন কবির (আ.লীগ), ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. হুমায়ুন কবির (বিএনপি), ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ইমরান মোল্লা (আ.লীগ), ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে মো. খাইরুল মামুন শাহিন (বিএনপি)। তাঁদের মধ্যে ১, ২, ৪, ৫, ৬, ৭, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৬, ১৭, ১৯, ২১ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়ী কাউন্সিলররা সাদিকের অনুসারী বলে জানা যায়।
সংরক্ষিত আসনে বিজয়ী যাঁরা: সংরক্ষিত ১ নম্বরে আলিয়া পারভীন, ২ নম্বরে আলমতাজ বেগম, ৩ নম্বরে কোহিনুর বেগম, ৪ নম্বরে আয়েশা তৌহিদা লুনা (আ.লীগ), ৫ নম্বরে লাভলী বেগম (আ.লীগ), ৬ নম্বরে মজিদা বোরহান (বিএনপি), ৭ নম্বরে সালমা আক্তার শিলা (আ.লীগ), ৮ নম্বরে রেশমী বেগম (আ.লীগ), ৯ নম্বরে বিএনপির বহিষ্কৃত সেলিনা বেগম, ১০ নম্বরে বিএনপির বহিষ্কৃত রাশিদা পারভীন। তাঁদের মধ্যে অন্তত চারজন সাদিকের অনুসারী।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন সাখাওয়াত ফাহাদ ও নাজমুল হাসান সাগর]
সব সমীকরণ উল্টে দিয়ে ভাতিজা সাদিক আবদুল্লাহর চেয়ারে বসছেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ ওরফে খোকন সেরনিয়াবাত। গতকাল সোমবার বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) নির্বাচনে বেসরকারিভাবে তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
ভোটের নানা সমীকরণ, দলের ভেতর থেকে চক্রান্তের চেষ্টার আশঙ্কা, নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর ওপর হামলা, পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, ফলাফল প্রত্যাখ্যান—নির্বাচনের সব উপাদানই ছিল কীর্তনখোলা পারের নগরে। তবে দিন শেষে জয় আওয়ামী লীগের মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহর। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীমের সঙ্গে তাঁর ভোটের ব্যবধান প্রায় ৫৪ হাজার।
অনানুষ্ঠানিকভাবে ফল জানার পর গণমাধ্যমে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বরিশালের নতুন নগরপিতা খোকন সেরনিয়াবাত ভোটারদের ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের অঙ্গীকারও করেছেন তিনি।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনী কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, বিসিসি নির্বাচনে মোট ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৫৬ জন; যা মোট ভোটের প্রায় ৫১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। খোকন সেরনিয়াবাত পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতপাখা প্রতীকের সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট। আলোচনায় থাকা বিএনপির বহিষ্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন ও জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস—দুজনেই জামানত হারিয়েছেন।
বিসিসি নির্বাচনে ফল ঘোষণার জন্য নির্ধারিত ছিল বঙ্গবন্ধু উদ্যান এলাকার শিল্পকলা একাডেমি। রাত আটটার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির যখন ৫০ কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করেন, তার কিছুক্ষণ আগেই নিজের নির্বাচনী কার্যালয়ে বিজয়ের প্রতিক্রিয়া জানান খোকন সেরনিয়াবাত।
রাত সাড়ে নয়টার দিকে ১২৬টির মধ্যে সব কটির ফলাফল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। টেবিল ঘড়িতে ৭ হাজার ৯৯৯ এবং লাঙ্গলে পড়েছে ৬ হাজার ৬৬৫ ভোট। জাকের পার্টির গোলাপ ফুলের প্রতীকে মিজানুর রহমান বাচ্চু ২ হাজার ৫৪৬ ভোট, হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান ৫২৯ এবং হরিণ প্রতীকের আলী হোসেন হাওলাদার পেয়েছেন ২ হাজার ৩৮১ ভোট। ৪২১টি ভোট বাতিল হয়েছে। সুষ্ঠু ভোট উপহার দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী ফয়জুল করীমের ওপর হামলা এবং কিছু কেন্দ্রে নৌকার এজেন্টদের শক্তি প্রদর্শনের অভিযোগ ছাড়া ভোট গ্রহণকালে তেমন বড় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সকাল থেকে প্রচণ্ড রোদের মধ্যে নারী ও পুরুষ ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসেন। বিসিসি নির্বাচনে প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবেই চলছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিচ্ছিন্নভাবে কিছু অভিযোগ জানানো হচ্ছিল। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সৈয়দ ফয়জুল করীমের ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এরপর পরিস্থিতি কিছুটা উত্তপ্ত হয়। তবে ভোট গ্রহণে এর প্রভাব দেখা যায়নি। তবে কিছু কেন্দ্রে ইভিএমে জটিলতায় ভোট দিতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় ভোটারদের। ভোট গ্রহণের শেষ দেড় ঘণ্টা তুমুল বৃষ্টির কারণে ভোটার ছিল না বললেই চলে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের ছাবেরা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে যান হাতপাখার প্রার্থী ফয়জুল করীম। সেখান থেকে বের হওয়ার পর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথার কাছে ৩০-৪০ জন ব্যক্তি তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালান।হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল ব্যবহার করেন। এতে তিনিসহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।
ফয়জুল করীমের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ ছাড়া বরিশাল মহানগর পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন।
দুপুর ১২টার দিকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউনিয়া ব্র্যাঞ্চ হাফিজিয়া মাদ্রাসার একটি কক্ষে নৌকার এজেন্টকে গোপন কক্ষে অন্যদের ভোট দিয়ে দিতে দেখা যায়। আজকের পত্রিকাকে ওই এজেন্ট কামরুল হাসান বলেন, ওপরের নির্দেশ আছে। তাই তিনি এখানে। ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হান্নান শেখ বলেন, তিনি কয়েকবার তাঁকে বের হয়ে যেতে বলেছেন। কিন্তু তিনি উল্টো তাঁকেই বের করে দেওয়ার হুমকি দেন।
৩০ কাউন্সিলরের অর্ধেকই সাদিক অনুসারী
বিসিসি নির্বাচনে ৩০টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদের মধ্যে অর্ধেকে বিজয়ী হয়েছেন সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর অনুসারীরা। সাদিকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ১০ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৪ জনই পরাজিত হয়েছেন। নবনির্বাচিত মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহর কিছু অনুসারীও কাউন্সিলর পদে বিজয়ী হয়েছেন।
নির্বাচিত কাউন্সিলররা: ১ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আউয়াল মোল্লা (আ. লীগ), ২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মুন্না হাওলাদার (আ.লীগ), ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মো. হাবিবুর রহমান ফারুক (বিএনপি), ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ শামসুদ্দোহা আবিদ (আ.লীগ), ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কেফায়েত হোসেন রনি (আ.লীগ), ৬ নম্বর ওয়ার্ডে খান মো. জামাল হোসেন (আ.লীগ), ৭ নম্বর ওয়ার্ডে রফিকুল ইসলাম খোকন (আ.লীগ), ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সেলিম হাওলাদার (বিএনপি), ৯ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ হুমায়ুন কবির লিংকু (বিএনপি), ১০ নম্বর ওয়ার্ডে মো. জয়নাল আবেদিন হাওলাদার (আ.লীগ), ১১ নম্বর ওয়ার্ডে মজিবর রহমান (আ.লীগ), ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আনোয়ার হোসেন রয়েল (আ.লীগ), ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে মেহেদী পারভেজ খান (আ.লীগ), ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে শাকিল হোসেন পলাশ (আ.লীগ), ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সামজিদুল কবির (স্বতন্ত্র), ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে মো. শাহিন সিকদার (আ.লীগ), ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে মো. আক্তারুজ্জামান গাজী হিরু (আ.লীগ), ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. জিয়াউল হক মাসুম (বিএনপি), ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে গাজী নইমুল হোসেন লিটু (আ.লীগ), ২০ নম্বর ওয়ার্ডে জিয়াউর রহমান বিপ্লব (আ.লীগ), ২১ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ সাইদ আহমেদ (আ.লীগ), ২২ নম্বর ওয়ার্ডে আনিচুর রহমান (আ.লীগ), ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে এনামুল হক বাহার (আ.লীগ), ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ফিরোজ আহমেদ (বিএনপি), ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে সুলতান মাহমুদ (আ.লীগ), ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে হুমায়ুন কবির (আ.লীগ), ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. হুমায়ুন কবির (বিএনপি), ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ইমরান মোল্লা (আ.লীগ), ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে মো. খাইরুল মামুন শাহিন (বিএনপি)। তাঁদের মধ্যে ১, ২, ৪, ৫, ৬, ৭, ১১, ১২, ১৩, ১৪, ১৬, ১৭, ১৯, ২১ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়ী কাউন্সিলররা সাদিকের অনুসারী বলে জানা যায়।
সংরক্ষিত আসনে বিজয়ী যাঁরা: সংরক্ষিত ১ নম্বরে আলিয়া পারভীন, ২ নম্বরে আলমতাজ বেগম, ৩ নম্বরে কোহিনুর বেগম, ৪ নম্বরে আয়েশা তৌহিদা লুনা (আ.লীগ), ৫ নম্বরে লাভলী বেগম (আ.লীগ), ৬ নম্বরে মজিদা বোরহান (বিএনপি), ৭ নম্বরে সালমা আক্তার শিলা (আ.লীগ), ৮ নম্বরে রেশমী বেগম (আ.লীগ), ৯ নম্বরে বিএনপির বহিষ্কৃত সেলিনা বেগম, ১০ নম্বরে বিএনপির বহিষ্কৃত রাশিদা পারভীন। তাঁদের মধ্যে অন্তত চারজন সাদিকের অনুসারী।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন সাখাওয়াত ফাহাদ ও নাজমুল হাসান সাগর]
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
১ ঘণ্টা আগেএকদিন ভোরবেলা জাকারবার্গ লক্ষ করলেন যে পৃথিবীতে একটা ছোট্ট দেশে তাঁর সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হচ্ছে। সামনের ফ্লোরটায় দেখলেন দেশটা ছোট বটে, কিন্তু জনসংখ্যা বেশি। আর এই দেশের জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। ফেসবুকে দেখতে পেলেন অসংখ্য বার্তা—সবই রাজনৈতিক এবং ছবিতে এ বিষয়ে বিপুল জনগণের
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২৩ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তাদের নেতা-কর্মীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র হামলা পরিচালনা করে অসংখ্য আন্দোলনকারীকে হত্যা ও অনেকের জীবন বি
২ ঘণ্টা আগেইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম রোমান্টিক কবি ছিলেন জন কিটস। কবিতা ছাড়া কিটস কোনো গদ্য লেখার চেষ্টা করেননি। তাঁর কাব্যজীবন ছিল মাত্র ছয় বছরের। অর্থাৎ উনিশ থেকে চব্বিশ বছর বয়স পর্যন্ত। মৃত্যুর মাত্র চার বছর আগে তাঁর কবিতাগুলো প্রকাশিত হয়। তৎকালীন সমালোচকদের দ্বারা কিটসের কবিতা খুব একটা আলোচিত হয়নি। তবে মৃত্য
২ ঘণ্টা আগে