ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
সয়াবিন তেল কিনতে গিয়ে এখন যেন ত্রাহি অবস্থা সাধারণ মানুষের। তিন লাফেই ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছে। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা এবং মাসের শেষে এসে ২০০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে দাম। খোলা সয়াবিন তেল সবশেষ ১৬৮ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও অদৃশ্য কারণে বাড়ছে দাম।
ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহ্যবাহী শম্ভুগঞ্জ বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়। এমনকি বিভিন্ন দোকান ঘুরে খোলা সয়াবিন তেল ও বোতলজাত তেলের দামে ১৫ থেকে ২০ টাকা পার্থক্য পাওয়া যায়।
মঞ্জুরুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা ২৫০ গ্রাম সয়াবিন তেল কেনেন ৫০ টাকায়। সে হিসাবে এক কেজি খোলা সয়াবিন তেলের দাম ২০০ টাকা। তিনি বলেন, ‘তৃতীয় সপ্তাহে ২০০ টাকায় কিনতে হয়েছে সয়াবিন তেল। চতুর্থ সপ্তাহে না জানি কী হয়?’
ওই বাজারের অথই স্টোরের বিক্রেতা শিবু সাহা বলেন, ‘খোলা সয়াবিন তেল তিন সপ্তাহে ৩০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকা কেজি হয়েছে। এ ছাড়া পাম তেল ১৭৫ ও কোয়ালিটি ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।’ একই বাজারের খোকন মিয়া বলেন, পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে।
এদিকে রাজলক্ষ্মী স্টোরের বিক্রেতা নূপুর দাস বলেন, ‘৫০ কেজি চিনির বস্তা গত সপ্তাহে ৩ হাজার ৭০০ টাকায় কিনেছি। এ সপ্তাহে ৩ হাজার ৮২০ টাকায় কিনতে হয়েছে। তবে চিনি ৮০ টাকা কেজি দামেই বিক্রি করছি।’ তিনি জানান, ফুটবল মসুর ডাল ৯৫ টাকা, দেশি ১২০, মাষকলাই ১৮০, মুগডাল ১৩০, বুটের ডাল ৮০, মটর ১২০, ছোলা বুট ৭৫, খোলা আটা ৩৫ ও প্যাকেট ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
শম্ভুগঞ্জ বাজারের সবজি বিক্রেতা হাসান ফকির বলেন, সব ধরনের সবজির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। তিনি জানান, বেগুন ৪০, টমেটো ৩০, বাঁধাকপি ৪৫, কাঁচামরিচ ৪০, চিচিঙ্গা ৫৫, মটরশুঁটি ৮০, শিম ৩৫, করলা ৮০, মুলা ৪০, লতা ৮০, ঢ্যাঁড়স ১০০, ফুলকপি ৫০, ছোট লাউ ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বাজারের মানিক মিয়া বলেন, মাছের দামে তেমন উঠানামা নেই। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান, রুই ২৪০, পাবদা ২৫০, হইল্লা ৫০০, বেদা ৪৫০, টাকি ৩২০, কই ২৪০, ইছা ৬০০, কাকিলা ৫০০, ট্যাংরা মাছ ৪০০, মৃগেল ৩০০, কারপিও ২৪০, শিং ৩০০, কাতল ২৮০, তেলাপিয়া ১৪০ ও বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি।
ওই বাজারের মুরগি বিক্রেতা মিজান মিয়া বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়েনি। তবে সোনালি মুরগি কেজিতে ৪০ টাকা বেড়েছে। সোনালি মুরগি ৩০০, ব্রয়লার ১৫০, কক ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে মাংস বিক্রেতা সুলতান মিয়া বলেন, ‘মাস খানিক আগে খাসি ও গরুর মাংসের দাম বেড়েছিল। তারপর আর কমেনি। খাসির মাংস ৯২০ থেকে ৯৫০ টাকা ও গরুর ৬০০ থেকে ৬২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা আনার হোসেন বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ঊর্ধ্বে চলে যাচ্ছে। মানুষ খুব বিপদের মধ্যে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারে জোরালো হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন।’
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সিটি করপোরেশন নিয়মিত মনিটরিং করছে। ভোজ্যতেলের দাম সারা দেশেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের কিছু করার নেই।’
সয়াবিন তেল কিনতে গিয়ে এখন যেন ত্রাহি অবস্থা সাধারণ মানুষের। তিন লাফেই ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছে। ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা এবং মাসের শেষে এসে ২০০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে দাম। খোলা সয়াবিন তেল সবশেষ ১৬৮ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হলেও অদৃশ্য কারণে বাড়ছে দাম।
ময়মনসিংহ নগরীর ঐতিহ্যবাহী শম্ভুগঞ্জ বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়। এমনকি বিভিন্ন দোকান ঘুরে খোলা সয়াবিন তেল ও বোতলজাত তেলের দামে ১৫ থেকে ২০ টাকা পার্থক্য পাওয়া যায়।
মঞ্জুরুল ইসলাম নামে এক ক্রেতা ২৫০ গ্রাম সয়াবিন তেল কেনেন ৫০ টাকায়। সে হিসাবে এক কেজি খোলা সয়াবিন তেলের দাম ২০০ টাকা। তিনি বলেন, ‘তৃতীয় সপ্তাহে ২০০ টাকায় কিনতে হয়েছে সয়াবিন তেল। চতুর্থ সপ্তাহে না জানি কী হয়?’
ওই বাজারের অথই স্টোরের বিক্রেতা শিবু সাহা বলেন, ‘খোলা সয়াবিন তেল তিন সপ্তাহে ৩০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকা কেজি হয়েছে। এ ছাড়া পাম তেল ১৭৫ ও কোয়ালিটি ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।’ একই বাজারের খোকন মিয়া বলেন, পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে।
এদিকে রাজলক্ষ্মী স্টোরের বিক্রেতা নূপুর দাস বলেন, ‘৫০ কেজি চিনির বস্তা গত সপ্তাহে ৩ হাজার ৭০০ টাকায় কিনেছি। এ সপ্তাহে ৩ হাজার ৮২০ টাকায় কিনতে হয়েছে। তবে চিনি ৮০ টাকা কেজি দামেই বিক্রি করছি।’ তিনি জানান, ফুটবল মসুর ডাল ৯৫ টাকা, দেশি ১২০, মাষকলাই ১৮০, মুগডাল ১৩০, বুটের ডাল ৮০, মটর ১২০, ছোলা বুট ৭৫, খোলা আটা ৩৫ ও প্যাকেট ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
শম্ভুগঞ্জ বাজারের সবজি বিক্রেতা হাসান ফকির বলেন, সব ধরনের সবজির দাম সপ্তাহের ব্যবধানে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। তিনি জানান, বেগুন ৪০, টমেটো ৩০, বাঁধাকপি ৪৫, কাঁচামরিচ ৪০, চিচিঙ্গা ৫৫, মটরশুঁটি ৮০, শিম ৩৫, করলা ৮০, মুলা ৪০, লতা ৮০, ঢ্যাঁড়স ১০০, ফুলকপি ৫০, ছোট লাউ ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছ বাজারের মানিক মিয়া বলেন, মাছের দামে তেমন উঠানামা নেই। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। তিনি জানান, রুই ২৪০, পাবদা ২৫০, হইল্লা ৫০০, বেদা ৪৫০, টাকি ৩২০, কই ২৪০, ইছা ৬০০, কাকিলা ৫০০, ট্যাংরা মাছ ৪০০, মৃগেল ৩০০, কারপিও ২৪০, শিং ৩০০, কাতল ২৮০, তেলাপিয়া ১৪০ ও বোয়াল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা কেজি।
ওই বাজারের মুরগি বিক্রেতা মিজান মিয়া বলেন, ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়েনি। তবে সোনালি মুরগি কেজিতে ৪০ টাকা বেড়েছে। সোনালি মুরগি ৩০০, ব্রয়লার ১৫০, কক ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে মাংস বিক্রেতা সুলতান মিয়া বলেন, ‘মাস খানিক আগে খাসি ও গরুর মাংসের দাম বেড়েছিল। তারপর আর কমেনি। খাসির মাংস ৯২০ থেকে ৯৫০ টাকা ও গরুর ৬০০ থেকে ৬২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতা আনার হোসেন বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয় ক্ষমতার ঊর্ধ্বে চলে যাচ্ছে। মানুষ খুব বিপদের মধ্যে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকারে জোরালো হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন।’
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা দীপক মজুমদার বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সিটি করপোরেশন নিয়মিত মনিটরিং করছে। ভোজ্যতেলের দাম সারা দেশেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের কিছু করার নেই।’
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
১ ঘণ্টা আগেএকদিন ভোরবেলা জাকারবার্গ লক্ষ করলেন যে পৃথিবীতে একটা ছোট্ট দেশে তাঁর সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হচ্ছে। সামনের ফ্লোরটায় দেখলেন দেশটা ছোট বটে, কিন্তু জনসংখ্যা বেশি। আর এই দেশের জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। ফেসবুকে দেখতে পেলেন অসংখ্য বার্তা—সবই রাজনৈতিক এবং ছবিতে এ বিষয়ে বিপুল জনগণের
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২৩ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তাদের নেতা-কর্মীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র হামলা পরিচালনা করে অসংখ্য আন্দোলনকারীকে হত্যা ও অনেকের জীবন বি
২ ঘণ্টা আগেইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম রোমান্টিক কবি ছিলেন জন কিটস। কবিতা ছাড়া কিটস কোনো গদ্য লেখার চেষ্টা করেননি। তাঁর কাব্যজীবন ছিল মাত্র ছয় বছরের। অর্থাৎ উনিশ থেকে চব্বিশ বছর বয়স পর্যন্ত। মৃত্যুর মাত্র চার বছর আগে তাঁর কবিতাগুলো প্রকাশিত হয়। তৎকালীন সমালোচকদের দ্বারা কিটসের কবিতা খুব একটা আলোচিত হয়নি। তবে মৃত্য
২ ঘণ্টা আগে