হুসাইন আহমদ, ঢাকা
২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে চরম দারিদ্র্য নির্মূলের যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে, তা অর্জিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। কারণ, করোনা মহামারিতে দারিদ্র্য হ্রাসের বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ১৯৯০ সালের পর সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে। তার সঙ্গে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি একে আরও অবনতির দিকে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। সব মিলিয়ে চলতি দশকজুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বাধাগ্রস্ত থাকবে।
‘পোভার্টি অ্যান্ড শেয়ার্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট’ নামক বিশ্বব্যাংকের নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমার সঙ্গে সঙ্গে চরম দারিদ্র্য হ্রাসে অগ্রগতি একেবারেই কমে গেছে। মূল্যস্ফীতি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন ও উন্নয়নের পথে বিস্তৃত নানা সংকট চরম দারিদ্র্য বাড়িয়েছে। আর তার সঙ্গে কমিয়েছে সাধারণ সমৃদ্ধি। অর্থাৎ সমৃদ্ধিতে বৈষম্য বেড়েছে। আমাদের সামনে এটাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়। এর অর্থ হলো, বিশ্বের শত শত কোটি মানুষের সামনে ভবিষ্যৎ ম্লান।’
এই সংকট থেকে উত্তরণের পথে কী করণীয়, সে বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরে তিনি বলেন, বৈশ্বিক পুঁজির বণ্টন উন্নত করতে হবে। মুদ্রার স্থিতিশীলতা জোরদার ও মধ্যম আয়ে পুনরায় প্রবৃদ্ধি চালু করতে সামগ্রিক অর্থনৈতিক নীতিমালায় সংস্কার আনতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ও গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান মনে করেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে চরম দারিদ্র্য পরিস্থিতি বিশ্বব্যাংকের ধারণার চেয়ে আরও বাজে হতে পারে। কারণ, এ বিষয়ে সামগ্রিক হালনাগাদ তথ্য নেই; সরকারিভাবে ২০১৬ সালের পর কোনো জরিপ হয়নি; আর করোনা মহামারির কারণে দারিদ্র্যের হার দিগুণ হওয়ার আলামত আগেই মিলেছে।
আজকের পত্রিকাকে সেলিম রায়হান বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কোভিডের মারাত্মক প্রভাবের পর কয়েক মাস ধরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চরম দারিদ্র্য পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে “অফিশিয়াল” কোনো ডেটা নেই, যেটা দিয়ে আমরা বলতে পারি দারিদ্র্যের হার কত। ২০২১ সালের শুরুতে সানেমের এক জরিপেও দেখা গিয়েছিল, যে দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণ হয়েছে। বিআইডিএসের জরিপেও কাছাকাছি তথ্যই উঠেছিল। কিন্তু সরকার সেটিকে গ্রহণ না করে বলেছে, এগুলো বেসরকারি সংস্থার তথ্য, তাদের পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা আছে। কিন্তু সরকারের কাছেও তো কোনো তথ্য-উপাত্ত নেই। দারিদ্র্য পরিস্থিতি নিয়ে ২০১৬ সালের পর সরকারিভাবে আর কোনো জরিপ হয়নি। দরিদ্রতা নিয়ে সরকার থেকে যা বলা হচ্ছে, তার সবই অনুমানভিত্তিক। হালনাগাদ কোনো ডেটাই যদি না থাকে, দারিদ্র্যের হার কমানো পরের কথা, তার উদ্যোগ নেওয়াই তো সম্ভব নয়। সার্বিকভাবে বাংলাদেশের বড় সংকট হলো—সরকারিভাবে হালনাগাদ ডেটা না থাকা ও তথ্যের অস্বচ্ছতা।’
সানেমের নির্বাহী পরিচালক বলেন, প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার পাশাপাশি চরম দারিদ্র্য নির্মূলের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সুপারিশের সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো কারণ নেই। এর পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষার নানা পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশে জিডিপিতে কর রাজস্বের অবদান খুবই কম, সে ক্ষেত্রে নজর দেওয়া দরকার। কিন্তু হালনাগাদ ও স্বচ্ছ তথ্য থাকতে হবে, যার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা যায়।
গত কয়েক বছরে বৈশ্বিক অর্থনীতি যেসব কঠিন হোঁচট খেয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে প্রথমবারের মতো দারিদ্র্যের বৈশ্বিক পরিস্থিতির সামগ্রিক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে বিশ্বব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে। ২০২০ সালে মহামারি চরম দারিদ্র্য পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে প্রায় ৭ কোটি মানুষকে। ১৯৯০ সালে বৈশ্বিক দারিদ্র্য পর্যবেক্ষণ শুরুর পর এই সংখ্যা এক বছরের হিসাবে সর্বোচ্চ। এর ফলে ২০২০ সাল শেষে ৭১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ দৈনিক ২ ডলার ১৫ সেন্টের সমপরিমাণ অর্থের ওপর কোনোমতে বেঁচে থাকছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাংক নতুন বৈশ্বিক দারিদ্র্যসীমা মাথাপিছু দৈনিক ২ ডলার ১৫ সেন্টে নির্ধারণ করেছে। অর্থাৎ যাদের আয় এর চেয়ে কম, তারা দারিদ্র্যসীমার নিচে বা চরম দরিদ্রতার মধ্যে জীবন যাপন করছেন। আগে এই সীমা ছিল ১ ডলার ৯০ সেন্ট। ক্রয়সক্ষমতা সমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে বৈশ্বিক দারিদ্র্যসীমা নির্ধারণ করা হয়। আর পিপিপি হলো বিভিন্ন মুদ্রাকে সাধারণ ও তুলনাযোগ্য এককে রূপান্তরে ব্যবহৃত প্রধান ডেটা এবং বিভিন্ন দেশের দামের ভিন্নতার হিসাব। আগের দারিদ্র্যসীমা ২০১৭ সালের পিপিপির ভিত্তিতে নির্ধারিত ছিল। দেশে দেশে দামের ভিন্নতা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সময়ে সময়ে বৈশ্বিক দারিদ্র্যসীমাকেও হালনাগাদ করতে হয়।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সাল এমন যুগান্তকারী সময় ছিল, যেখানে বৈশ্বিক আয়ে ব্যাপক বৈষম্য তৈরি হয়েছে। মহামারির সবচেয়ে বেশি মাশুল গুনতে হয়েছে দরিদ্র মানুষদের। দরিদ্রতম ৪০ শতাংশ মানুষের মধ্যে গড়ে ৪ শতাংশ আয় হারিয়েছে, যা সর্বোচ্চ ধনীর ২০ শতাংশের ক্ষতির চেয়ে দ্বিগুণ।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় নীতিগতভাবে তিন দিকে বেশি জোর এসেছে প্রতিবেদনে। তা হলো বড় ভর্তুকি এড়িয়ে লক্ষ্যভিত্তিক নগদ বিতরণ বাড়ানো, দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধিতে নজর দেওয়া ও দরিদ্রদের আঘাত না করে রাজস্ব আহরণ বাড়ানো।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, বাংলাদেশে যত মানুষের কর দেওয়ার কথা, তাঁদের কাছ থেকে সরকার কর আদায় করতে পারছে না। সমাজে যাঁরা বড় শিল্পপতি, তাঁরা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করছেন না। রাজনৈতিক প্রভাবে অটেকসই প্রকল্পে বা বাস্তবে প্রকল্প না থাকলেও ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ফলে আর্থিক পরিস্থিতির দিক থেকে বাংলাদেশ খুব ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্ব থেকে চরম দারিদ্র্য নির্মূলের যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে, তা অর্জিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই দেখা যাচ্ছে না। কারণ, করোনা মহামারিতে দারিদ্র্য হ্রাসের বৈশ্বিক প্রচেষ্টা ১৯৯০ সালের পর সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছে। তার সঙ্গে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি একে আরও অবনতির দিকে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। সব মিলিয়ে চলতি দশকজুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বাধাগ্রস্ত থাকবে।
‘পোভার্টি অ্যান্ড শেয়ার্ড প্রসপারিটি রিপোর্ট’ নামক বিশ্বব্যাংকের নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমার সঙ্গে সঙ্গে চরম দারিদ্র্য হ্রাসে অগ্রগতি একেবারেই কমে গেছে। মূল্যস্ফীতি, মুদ্রার অবমূল্যায়ন ও উন্নয়নের পথে বিস্তৃত নানা সংকট চরম দারিদ্র্য বাড়িয়েছে। আর তার সঙ্গে কমিয়েছে সাধারণ সমৃদ্ধি। অর্থাৎ সমৃদ্ধিতে বৈষম্য বেড়েছে। আমাদের সামনে এটাই সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয়। এর অর্থ হলো, বিশ্বের শত শত কোটি মানুষের সামনে ভবিষ্যৎ ম্লান।’
এই সংকট থেকে উত্তরণের পথে কী করণীয়, সে বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরে তিনি বলেন, বৈশ্বিক পুঁজির বণ্টন উন্নত করতে হবে। মুদ্রার স্থিতিশীলতা জোরদার ও মধ্যম আয়ে পুনরায় প্রবৃদ্ধি চালু করতে সামগ্রিক অর্থনৈতিক নীতিমালায় সংস্কার আনতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ও গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান মনে করেন, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে চরম দারিদ্র্য পরিস্থিতি বিশ্বব্যাংকের ধারণার চেয়ে আরও বাজে হতে পারে। কারণ, এ বিষয়ে সামগ্রিক হালনাগাদ তথ্য নেই; সরকারিভাবে ২০১৬ সালের পর কোনো জরিপ হয়নি; আর করোনা মহামারির কারণে দারিদ্র্যের হার দিগুণ হওয়ার আলামত আগেই মিলেছে।
আজকের পত্রিকাকে সেলিম রায়হান বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কোভিডের মারাত্মক প্রভাবের পর কয়েক মাস ধরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চরম দারিদ্র্য পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে “অফিশিয়াল” কোনো ডেটা নেই, যেটা দিয়ে আমরা বলতে পারি দারিদ্র্যের হার কত। ২০২১ সালের শুরুতে সানেমের এক জরিপেও দেখা গিয়েছিল, যে দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণ হয়েছে। বিআইডিএসের জরিপেও কাছাকাছি তথ্যই উঠেছিল। কিন্তু সরকার সেটিকে গ্রহণ না করে বলেছে, এগুলো বেসরকারি সংস্থার তথ্য, তাদের পদ্ধতি নিয়ে সমস্যা আছে। কিন্তু সরকারের কাছেও তো কোনো তথ্য-উপাত্ত নেই। দারিদ্র্য পরিস্থিতি নিয়ে ২০১৬ সালের পর সরকারিভাবে আর কোনো জরিপ হয়নি। দরিদ্রতা নিয়ে সরকার থেকে যা বলা হচ্ছে, তার সবই অনুমানভিত্তিক। হালনাগাদ কোনো ডেটাই যদি না থাকে, দারিদ্র্যের হার কমানো পরের কথা, তার উদ্যোগ নেওয়াই তো সম্ভব নয়। সার্বিকভাবে বাংলাদেশের বড় সংকট হলো—সরকারিভাবে হালনাগাদ ডেটা না থাকা ও তথ্যের অস্বচ্ছতা।’
সানেমের নির্বাহী পরিচালক বলেন, প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার পাশাপাশি চরম দারিদ্র্য নির্মূলের বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সুপারিশের সঙ্গে দ্বিমত করার কোনো কারণ নেই। এর পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষার নানা পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলাদেশে জিডিপিতে কর রাজস্বের অবদান খুবই কম, সে ক্ষেত্রে নজর দেওয়া দরকার। কিন্তু হালনাগাদ ও স্বচ্ছ তথ্য থাকতে হবে, যার ভিত্তিতে নির্ধারণ করা যায়।
গত কয়েক বছরে বৈশ্বিক অর্থনীতি যেসব কঠিন হোঁচট খেয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে প্রথমবারের মতো দারিদ্র্যের বৈশ্বিক পরিস্থিতির সামগ্রিক পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়েছে বিশ্বব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে। ২০২০ সালে মহামারি চরম দারিদ্র্য পরিস্থিতিতে ঠেলে দিয়েছে প্রায় ৭ কোটি মানুষকে। ১৯৯০ সালে বৈশ্বিক দারিদ্র্য পর্যবেক্ষণ শুরুর পর এই সংখ্যা এক বছরের হিসাবে সর্বোচ্চ। এর ফলে ২০২০ সাল শেষে ৭১ কোটি ৯০ লাখ মানুষ দৈনিক ২ ডলার ১৫ সেন্টের সমপরিমাণ অর্থের ওপর কোনোমতে বেঁচে থাকছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাংক নতুন বৈশ্বিক দারিদ্র্যসীমা মাথাপিছু দৈনিক ২ ডলার ১৫ সেন্টে নির্ধারণ করেছে। অর্থাৎ যাদের আয় এর চেয়ে কম, তারা দারিদ্র্যসীমার নিচে বা চরম দরিদ্রতার মধ্যে জীবন যাপন করছেন। আগে এই সীমা ছিল ১ ডলার ৯০ সেন্ট। ক্রয়সক্ষমতা সমতার (পিপিপি) ভিত্তিতে বৈশ্বিক দারিদ্র্যসীমা নির্ধারণ করা হয়। আর পিপিপি হলো বিভিন্ন মুদ্রাকে সাধারণ ও তুলনাযোগ্য এককে রূপান্তরে ব্যবহৃত প্রধান ডেটা এবং বিভিন্ন দেশের দামের ভিন্নতার হিসাব। আগের দারিদ্র্যসীমা ২০১৭ সালের পিপিপির ভিত্তিতে নির্ধারিত ছিল। দেশে দেশে দামের ভিন্নতা বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে সময়ে সময়ে বৈশ্বিক দারিদ্র্যসীমাকেও হালনাগাদ করতে হয়।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সাল এমন যুগান্তকারী সময় ছিল, যেখানে বৈশ্বিক আয়ে ব্যাপক বৈষম্য তৈরি হয়েছে। মহামারির সবচেয়ে বেশি মাশুল গুনতে হয়েছে দরিদ্র মানুষদের। দরিদ্রতম ৪০ শতাংশ মানুষের মধ্যে গড়ে ৪ শতাংশ আয় হারিয়েছে, যা সর্বোচ্চ ধনীর ২০ শতাংশের ক্ষতির চেয়ে দ্বিগুণ।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় নীতিগতভাবে তিন দিকে বেশি জোর এসেছে প্রতিবেদনে। তা হলো বড় ভর্তুকি এড়িয়ে লক্ষ্যভিত্তিক নগদ বিতরণ বাড়ানো, দীর্ঘমেয়াদি প্রবৃদ্ধিতে নজর দেওয়া ও দরিদ্রদের আঘাত না করে রাজস্ব আহরণ বাড়ানো।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, বাংলাদেশে যত মানুষের কর দেওয়ার কথা, তাঁদের কাছ থেকে সরকার কর আদায় করতে পারছে না। সমাজে যাঁরা বড় শিল্পপতি, তাঁরা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করছেন না। রাজনৈতিক প্রভাবে অটেকসই প্রকল্পে বা বাস্তবে প্রকল্প না থাকলেও ঋণ দেওয়া হচ্ছে। ফলে আর্থিক পরিস্থিতির দিক থেকে বাংলাদেশ খুব ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
১ ঘণ্টা আগেএকদিন ভোরবেলা জাকারবার্গ লক্ষ করলেন যে পৃথিবীতে একটা ছোট্ট দেশে তাঁর সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হচ্ছে। সামনের ফ্লোরটায় দেখলেন দেশটা ছোট বটে, কিন্তু জনসংখ্যা বেশি। আর এই দেশের জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। ফেসবুকে দেখতে পেলেন অসংখ্য বার্তা—সবই রাজনৈতিক এবং ছবিতে এ বিষয়ে বিপুল জনগণের
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২৩ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তাদের নেতা-কর্মীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র হামলা পরিচালনা করে অসংখ্য আন্দোলনকারীকে হত্যা ও অনেকের জীবন বি
২ ঘণ্টা আগেইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম রোমান্টিক কবি ছিলেন জন কিটস। কবিতা ছাড়া কিটস কোনো গদ্য লেখার চেষ্টা করেননি। তাঁর কাব্যজীবন ছিল মাত্র ছয় বছরের। অর্থাৎ উনিশ থেকে চব্বিশ বছর বয়স পর্যন্ত। মৃত্যুর মাত্র চার বছর আগে তাঁর কবিতাগুলো প্রকাশিত হয়। তৎকালীন সমালোচকদের দ্বারা কিটসের কবিতা খুব একটা আলোচিত হয়নি। তবে মৃত্য
২ ঘণ্টা আগে