খায়রুল বাসার নির্ঝর
সম্প্রতি নেটফ্লিক্সের ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-এ এসেছিলেন আমির খান। শেয়ার করেছেন মজার মজার গল্প। জানিয়েছেন সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি। নতুন শোর এ পর্ব দেখে লিখেছেন খায়রুল বাসার নির্ঝর
ফ্যামিলি ম্যান আমির
ইন্ডাস্ট্রির কোনো পার্টিতে কখনোই পাওয়া যায় না আমির খানকে। বন্ধুবান্ধবের সংখ্যাও হাতে গোনা। বলিউডে যেসব জাঁকজমক অ্যাওয়ার্ড শো হয়, সেসবও এড়িয়ে চলেন। নিজের বিনোদনের জন্য তাহলে কী করেন আমির? তাঁর জবাব, ‘বেশির ভাগ সময় ঘরেই থাকি। বই পড়তে ভালোবাসি। আমি কিছুটা লাজুক ধরনের মানুষ। কোনো আড্ডায় খুব একটা যাই না।’ পরিবারের সঙ্গেই বেশির ভাগ সময় কাটান আমির। দর্শকের কাছে তিনি মিস্টার পারফেকশনিস্ট হলেও এখনো মা-বোনদের কাছে বকা খেতে হয় তাঁকে। তাঁরাই ঠিক করে দেন, কোন অনুষ্ঠানে আমির কোন পোশাক পরবেন। কোনটা করা উচিত কিংবা উচিত নয়; সে উপদেশও দেন পরিবারের সদস্যরা। ইন্ডাস্ট্রির নতুন প্রজন্ম আমিরের কাছ থেকে পরামর্শ নিলেও নিজের ছেলেমেয়েরা তাঁর কথা শোনে না, সেটাও অভিনেতা জানিয়েছেন এ শোয়ে।
যেভাবে মিস্টার পারফেকশনিস্ট তকমা
আমির খান স্বভাবে অতি খুঁতখুঁতে। সবকিছু তাঁর নিখুঁত হওয়া চাই। এ কারণে লোকে তাঁকে বলেন ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’। কপিল শোতে আমির জানিয়েছেন, এ নাম তাঁকে প্রথম দেন অভিনেত্রী শাবানা আজমি। আমির তখন ‘দিল’ সিনেমার শুটিং করছেন। বাবা আজমি ছিলেন ওই সিনেমার চিত্রগ্রাহক। তাঁর বাড়িতে প্রায়ই যেতেন আমির। একদিন দুজনে মিলে গভীর আলোচনায় ব্যস্ত। শাবানা আজমি তাঁদের জন্য চা নিয়ে আসেন।
আমিরকে জিজ্ঞেস করেন, চায়ে কত চামচ চিনি দেব? উত্তরে আমির জানতে চান, কাপ আর চামচ কত বড়? শাবানা তাঁকে কাপ ও চামচ দেখান। তারপরই আমির জানান, এক চামচ চিনি। এ ঘটনায় খুব অবাক হন শাবানা আজমি। তাঁর মাধ্যমে গোটা ইন্ডাস্ট্রিতে ছড়িয়ে পড়ে এ গল্প। এভাবেই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর নাম হয়ে যায় মিস্টার পারফেকশনিস্ট।
নগ্ন হয়ে শুটিং
‘পিকে’ সিনেমায় আমিরের সেই দৃশ্যের কথা নিশ্চয় মনে আছে সবার। স্পেসশিপ থেকে এক মরুভূমিতে নামেন এলিয়েনরূপী আমির। এ দৃশ্যে তাঁকে দেখা গিয়েছিল প্রায় নগ্ন অবস্থায়। আমির জানান, দৃশ্যটির শুটিংয়ের প্রয়োজনে তাঁকে সত্যিই নগ্ন হতে হয়েছিল। আমিরকে নির্মাতা রাজকুমার হিরানি জানিয়েছিলেন, অ্যাবডমিনাল গার্ডের মতো একটি বিশেষ পোশাক তাঁর জন্য বানানো হবে, যাতে সেটা ক্যামেরায় ধরা না পড়ে। ওটা পরে শট দিচ্ছিলেন আমির।
রাজস্থানের এক নির্জন লোকেশনে হচ্ছিল শুটিং। শটটি ছিল এমন, দূরে এক ব্যক্তিকে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে দৌড়ে যাবে এলিয়েন। তবে বিশেষ ওই পোশাক পরে ঠিকঠাক দৌড়াতে পারছিলেন না আমির। কয়েকবার ব্যর্থ হওয়ার পর আমির সিদ্ধান্ত নেন, কোনো ধরনের পোশাক ছাড়াই শট দেবেন। ক্যামেরা দূরে নেওয়া হয়। ইউনিটও অনেক দূরে অবস্থান করে। এবার আমির কোনো ধরনের পোশাক ছাড়াই দৌড়াতে শুরু করেন। শটটি ওকে হয়।
এক বন্ধ-এ জীবন বদল
ছোটবেলায় আমির মহারাষ্ট্র সাব-জুনিয়র দলে টেনিস খেলতেন। কিন্তু পরীক্ষায় দুই বিষয়ে ফেল করায় টেনিসে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তাঁর বাবা। কলেজে উঠে মঞ্চনাটকের দলে যোগ দেন আমির। অডিশনে ফেল করেছিলেন, তাই মুখ্য চরিত্রে সুযোগ পাননি। সুযোগ পান একটি ভিড়ের দৃশ্যে। পুরো নাটকে তাঁর একটিই সংলাপ ছিল। মূল মঞ্চায়নের দুই দিন আগে মহারাষ্ট্র বন্ধ-এর কবলে পড়ে। ওই দিন নাটকের রিহার্সালে যেতে দেননি মা। পরের দিন গেলে নির্দেশক আমিরকে বাদ দিয়ে দেন।
এ ঘটনায় ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলেন আমির। দূরে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে নাটকের রিহার্সাল দেখছিলেন। তাঁকে সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে আসেন এক বন্ধু; জানান, পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে এক ডিপ্লোমা ফিল্ম তৈরি হচ্ছে, আমির চাইলে তাতে অভিনয় করতে পারেন। তখনই ব্যাগ গুছিয়ে পুনের উদ্দেশে রওনা হন আমির। ওই ডিপ্লোমা ফিল্মে অভিনয় করেন।
পরে সিনেমাটি দেখে আমিরকে ‘হোলি’ সিনেমায় কাস্ট করেন কেতন মেহতা। হোলি দেখে তাঁকে ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তাক’ সিনেমায় চূড়ান্ত করেন মনসুর খান। এর আগে অবশ্য কয়েক বছর সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। আমির বলেন, ‘মহারাষ্ট্রে যদি ওই দিন বন্ধ না হতো, জানি না আমি কখনো অভিনেতা হতে পারতাম কি না!’
সম্প্রতি নেটফ্লিক্সের ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-এ এসেছিলেন আমির খান। শেয়ার করেছেন মজার মজার গল্প। জানিয়েছেন সাফল্য-ব্যর্থতা নিয়ে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি। নতুন শোর এ পর্ব দেখে লিখেছেন খায়রুল বাসার নির্ঝর
ফ্যামিলি ম্যান আমির
ইন্ডাস্ট্রির কোনো পার্টিতে কখনোই পাওয়া যায় না আমির খানকে। বন্ধুবান্ধবের সংখ্যাও হাতে গোনা। বলিউডে যেসব জাঁকজমক অ্যাওয়ার্ড শো হয়, সেসবও এড়িয়ে চলেন। নিজের বিনোদনের জন্য তাহলে কী করেন আমির? তাঁর জবাব, ‘বেশির ভাগ সময় ঘরেই থাকি। বই পড়তে ভালোবাসি। আমি কিছুটা লাজুক ধরনের মানুষ। কোনো আড্ডায় খুব একটা যাই না।’ পরিবারের সঙ্গেই বেশির ভাগ সময় কাটান আমির। দর্শকের কাছে তিনি মিস্টার পারফেকশনিস্ট হলেও এখনো মা-বোনদের কাছে বকা খেতে হয় তাঁকে। তাঁরাই ঠিক করে দেন, কোন অনুষ্ঠানে আমির কোন পোশাক পরবেন। কোনটা করা উচিত কিংবা উচিত নয়; সে উপদেশও দেন পরিবারের সদস্যরা। ইন্ডাস্ট্রির নতুন প্রজন্ম আমিরের কাছ থেকে পরামর্শ নিলেও নিজের ছেলেমেয়েরা তাঁর কথা শোনে না, সেটাও অভিনেতা জানিয়েছেন এ শোয়ে।
যেভাবে মিস্টার পারফেকশনিস্ট তকমা
আমির খান স্বভাবে অতি খুঁতখুঁতে। সবকিছু তাঁর নিখুঁত হওয়া চাই। এ কারণে লোকে তাঁকে বলেন ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’। কপিল শোতে আমির জানিয়েছেন, এ নাম তাঁকে প্রথম দেন অভিনেত্রী শাবানা আজমি। আমির তখন ‘দিল’ সিনেমার শুটিং করছেন। বাবা আজমি ছিলেন ওই সিনেমার চিত্রগ্রাহক। তাঁর বাড়িতে প্রায়ই যেতেন আমির। একদিন দুজনে মিলে গভীর আলোচনায় ব্যস্ত। শাবানা আজমি তাঁদের জন্য চা নিয়ে আসেন।
আমিরকে জিজ্ঞেস করেন, চায়ে কত চামচ চিনি দেব? উত্তরে আমির জানতে চান, কাপ আর চামচ কত বড়? শাবানা তাঁকে কাপ ও চামচ দেখান। তারপরই আমির জানান, এক চামচ চিনি। এ ঘটনায় খুব অবাক হন শাবানা আজমি। তাঁর মাধ্যমে গোটা ইন্ডাস্ট্রিতে ছড়িয়ে পড়ে এ গল্প। এভাবেই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর নাম হয়ে যায় মিস্টার পারফেকশনিস্ট।
নগ্ন হয়ে শুটিং
‘পিকে’ সিনেমায় আমিরের সেই দৃশ্যের কথা নিশ্চয় মনে আছে সবার। স্পেসশিপ থেকে এক মরুভূমিতে নামেন এলিয়েনরূপী আমির। এ দৃশ্যে তাঁকে দেখা গিয়েছিল প্রায় নগ্ন অবস্থায়। আমির জানান, দৃশ্যটির শুটিংয়ের প্রয়োজনে তাঁকে সত্যিই নগ্ন হতে হয়েছিল। আমিরকে নির্মাতা রাজকুমার হিরানি জানিয়েছিলেন, অ্যাবডমিনাল গার্ডের মতো একটি বিশেষ পোশাক তাঁর জন্য বানানো হবে, যাতে সেটা ক্যামেরায় ধরা না পড়ে। ওটা পরে শট দিচ্ছিলেন আমির।
রাজস্থানের এক নির্জন লোকেশনে হচ্ছিল শুটিং। শটটি ছিল এমন, দূরে এক ব্যক্তিকে দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে দৌড়ে যাবে এলিয়েন। তবে বিশেষ ওই পোশাক পরে ঠিকঠাক দৌড়াতে পারছিলেন না আমির। কয়েকবার ব্যর্থ হওয়ার পর আমির সিদ্ধান্ত নেন, কোনো ধরনের পোশাক ছাড়াই শট দেবেন। ক্যামেরা দূরে নেওয়া হয়। ইউনিটও অনেক দূরে অবস্থান করে। এবার আমির কোনো ধরনের পোশাক ছাড়াই দৌড়াতে শুরু করেন। শটটি ওকে হয়।
এক বন্ধ-এ জীবন বদল
ছোটবেলায় আমির মহারাষ্ট্র সাব-জুনিয়র দলে টেনিস খেলতেন। কিন্তু পরীক্ষায় দুই বিষয়ে ফেল করায় টেনিসে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তাঁর বাবা। কলেজে উঠে মঞ্চনাটকের দলে যোগ দেন আমির। অডিশনে ফেল করেছিলেন, তাই মুখ্য চরিত্রে সুযোগ পাননি। সুযোগ পান একটি ভিড়ের দৃশ্যে। পুরো নাটকে তাঁর একটিই সংলাপ ছিল। মূল মঞ্চায়নের দুই দিন আগে মহারাষ্ট্র বন্ধ-এর কবলে পড়ে। ওই দিন নাটকের রিহার্সালে যেতে দেননি মা। পরের দিন গেলে নির্দেশক আমিরকে বাদ দিয়ে দেন।
এ ঘটনায় ভীষণ কষ্ট পেয়েছিলেন আমির। দূরে দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে নাটকের রিহার্সাল দেখছিলেন। তাঁকে সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে আসেন এক বন্ধু; জানান, পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটে এক ডিপ্লোমা ফিল্ম তৈরি হচ্ছে, আমির চাইলে তাতে অভিনয় করতে পারেন। তখনই ব্যাগ গুছিয়ে পুনের উদ্দেশে রওনা হন আমির। ওই ডিপ্লোমা ফিল্মে অভিনয় করেন।
পরে সিনেমাটি দেখে আমিরকে ‘হোলি’ সিনেমায় কাস্ট করেন কেতন মেহতা। হোলি দেখে তাঁকে ‘কেয়ামত সে কেয়ামত তাক’ সিনেমায় চূড়ান্ত করেন মনসুর খান। এর আগে অবশ্য কয়েক বছর সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। আমির বলেন, ‘মহারাষ্ট্রে যদি ওই দিন বন্ধ না হতো, জানি না আমি কখনো অভিনেতা হতে পারতাম কি না!’
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
১ ঘণ্টা আগেএকদিন ভোরবেলা জাকারবার্গ লক্ষ করলেন যে পৃথিবীতে একটা ছোট্ট দেশে তাঁর সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হচ্ছে। সামনের ফ্লোরটায় দেখলেন দেশটা ছোট বটে, কিন্তু জনসংখ্যা বেশি। আর এই দেশের জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। ফেসবুকে দেখতে পেলেন অসংখ্য বার্তা—সবই রাজনৈতিক এবং ছবিতে এ বিষয়ে বিপুল জনগণের
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২৩ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তাদের নেতা-কর্মীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র হামলা পরিচালনা করে অসংখ্য আন্দোলনকারীকে হত্যা ও অনেকের জীবন বি
২ ঘণ্টা আগেইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম রোমান্টিক কবি ছিলেন জন কিটস। কবিতা ছাড়া কিটস কোনো গদ্য লেখার চেষ্টা করেননি। তাঁর কাব্যজীবন ছিল মাত্র ছয় বছরের। অর্থাৎ উনিশ থেকে চব্বিশ বছর বয়স পর্যন্ত। মৃত্যুর মাত্র চার বছর আগে তাঁর কবিতাগুলো প্রকাশিত হয়। তৎকালীন সমালোচকদের দ্বারা কিটসের কবিতা খুব একটা আলোচিত হয়নি। তবে মৃত্য
২ ঘণ্টা আগে