খান রফিক, বরিশাল
শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বরিশাল অশ্বিনীকুমার হল দুই বছর ধরে বন্ধ। বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) এটি সংস্কারের নামে তালাবদ্ধ করে রেখেছে। যে কারণে নগরের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূতিকাগার অশ্বিনীকুমার হলে বহুদিন কোনো কর্মসূচি করা যাচ্ছে না। অনেকটা বাধ্য হয়েই বিভিন্ন সংগঠন ও দল তাদের কর্মসূচি দূরবর্তী স্থানে বাড়তি ভাড়ায় করছে। এ সুযোগে ব্যানার, তোরণ ফেস্টুন দিয়ে অশ্বিনীকুমার হল (টাউন হল) আড়াল করে রাখছে বিভিন্ন মহল।
রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি, সিটি করপোরেশন অলিখিতভাবে অশ্বিনীকুমার হলে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। বছরের পর বছর হলটি এভাবে ম্লান করে রাখায় ক্ষুব্ধ রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো সভা-সমাবেশ করতে এটি খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. ফারুক এ প্রসঙ্গে জানান, অশ্বিনীকুমার হলের সংস্কারকাজ শেষ হলে বরাদ্দ দেওয়া হবে। তাঁর ধারণা, ছিল, সংস্কার শুরু হয়েছে। কিন্তু কেন হচ্ছে না দেখবেন। হলের সামনে ব্যানার কেন সাঁটানো হয়েছে, তা-ও খোঁজ নেবেন।
তবে দুই দিন ধরে নগরীর সদর রোডসংলগ্ন অশ্বিনীকুমার হলের আশপাশে ঘুরে দেখা গেছে, এর প্রধান দরজা তালাবদ্ধ। ভেতরে সংস্কারের কোনো চিহ্ন নেই। হলের বিভিন্ন কক্ষ ভাড়া নেওয়া সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, তাঁদের সংস্কারের কথা বলে সিটি করপোরেশন অনেক আগেই কক্ষ ছেড়ে দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে। যে কারণে সংগঠনের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে অশ্বিনীকুমার হলের সামনের অংশ রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে ঢেকে যাওয়ায় হলটি এখন চেনা কঠিন হয়ে পড়ছে। এতে হতাশ সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মীরা।
বরিশাল বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৈয়দ দুলাল বলেন, অশ্বিনীকুমার হল খুলে দেওয়ার জন্য বিসিসিকে বলেছেন। তাঁরা জানিয়েছে সংস্কারকাজের স্টিমেট চলছে। কিন্তু সেটা আর কত দিন। মেয়র সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে একবার অশ্বিনীকুমার হলের সামনে ব্যানার না রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু ব্যানারের কারণে হলটি দেখার জন্য চুল পরিমাণ জায়গা ফাঁকা নেই। যাঁরা মেয়রের নির্দেশ অমান্য করে এখানে ব্যানার সাঁটিয়েছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা দরকার। তিনি অবিলম্বে অশ্বিনীকুমার হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান।
২৭টি সংগঠনের জোট সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম ইকবাল বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সভা-সমাবেশ করার জন্য ১৯২১ সালে অশ্বিনীকুমার দত্ত সদর রোডে দেড় বিঘা জমির ওপর হলটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৩০ সালে হলের নির্মাণকাজ শেষ হয়। তখন অশ্বিনীকুমার হল ট্রাস্টি ডিড করে ট্রাস্টি বোর্ডকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। যেহেতু এটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পত্তি, সেহেতু দেখভালের দায়িত্বে থাকা সিটি করপোরেশনের হলটি সংস্কারের কথা বলে এত দিন বন্ধ রাখা উচিত হয়নি।
জানতে চাইলে বরিশাল থিয়েটারের সভাপতি সুভংকর চক্রবর্তী বলেন, তাঁরা বাধ্য হয়ে এখন শিল্পকলা, শহীদ মিনারে ছুটছেন। অন্য জায়গায় বেশি ভাড়া আর দূরবর্তী হওয়ায় অনুষ্ঠানে আগ্রহ হারাচ্ছে সংগঠনগুলো। সিটি করপোরেশন কেবল মাপজোক করছে। কিন্তু এভাবে যদি তালাবদ্ধ করে রাখা হয়, তাহলে হলটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাবে। তা ছাড়া এর সম্মুখভাগ যেভাবে দখল করে রাখা হয়েছে, তাতে হলটির সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, ট্রাস্টি সম্পত্তি হিসেবে সর্বসাধারণের সভা-সমাবেশ, সামাজিক অনুষ্ঠান করার জন্য হলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিসিসি এটি দেখভাল করছে। কিন্তু প্রায় ২ বছর তালা দিয়ে রাখায় কোনো অনুষ্ঠান করা যাচ্ছে না। সামাজিক, রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক এ সূতিকাগারকে দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
বাসদের সদস্যসচিব মনীষা চক্রবর্তী বলেন, বর্তমান মেয়র আসার পর থেকে অশ্বিনীকুমার হল বরাদ্দ দিচ্ছে না সিটি করপোরেশন। প্রথম দিকে বলেছে সরকারি কর্মসূচি আছে। এরপর সংস্কার করার কথা বললেও রাজনৈতিক-সভা সমাবেশ অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ করেছে। মনীষা মনে করেন, এটি অগণতান্ত্রিক আচরণ। অশ্বিনীকুমার হল জনগণের পয়সায় নির্মিত ট্রাস্টি সম্পত্তি।
জাতীয় পার্টির জেলা আহ্বায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, অশ্বিনীকুমার হল বিসিসি বন্ধ করে দিয়েছে। সংস্কার আর কবে হবে? তাঁরা এ বিষয়ে চিন্তা করছেন।
শত বছরের ঐতিহ্যবাহী বরিশাল অশ্বিনীকুমার হল দুই বছর ধরে বন্ধ। বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) এটি সংস্কারের নামে তালাবদ্ধ করে রেখেছে। যে কারণে নগরের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূতিকাগার অশ্বিনীকুমার হলে বহুদিন কোনো কর্মসূচি করা যাচ্ছে না। অনেকটা বাধ্য হয়েই বিভিন্ন সংগঠন ও দল তাদের কর্মসূচি দূরবর্তী স্থানে বাড়তি ভাড়ায় করছে। এ সুযোগে ব্যানার, তোরণ ফেস্টুন দিয়ে অশ্বিনীকুমার হল (টাউন হল) আড়াল করে রাখছে বিভিন্ন মহল।
রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি, সিটি করপোরেশন অলিখিতভাবে অশ্বিনীকুমার হলে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে। বছরের পর বছর হলটি এভাবে ম্লান করে রাখায় ক্ষুব্ধ রাজনৈতিক দল ও সংগঠনগুলো সভা-সমাবেশ করতে এটি খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. ফারুক এ প্রসঙ্গে জানান, অশ্বিনীকুমার হলের সংস্কারকাজ শেষ হলে বরাদ্দ দেওয়া হবে। তাঁর ধারণা, ছিল, সংস্কার শুরু হয়েছে। কিন্তু কেন হচ্ছে না দেখবেন। হলের সামনে ব্যানার কেন সাঁটানো হয়েছে, তা-ও খোঁজ নেবেন।
তবে দুই দিন ধরে নগরীর সদর রোডসংলগ্ন অশ্বিনীকুমার হলের আশপাশে ঘুরে দেখা গেছে, এর প্রধান দরজা তালাবদ্ধ। ভেতরে সংস্কারের কোনো চিহ্ন নেই। হলের বিভিন্ন কক্ষ ভাড়া নেওয়া সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, তাঁদের সংস্কারের কথা বলে সিটি করপোরেশন অনেক আগেই কক্ষ ছেড়ে দেওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে। যে কারণে সংগঠনের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এদিকে অশ্বিনীকুমার হলের সামনের অংশ রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যানারে ঢেকে যাওয়ায় হলটি এখন চেনা কঠিন হয়ে পড়ছে। এতে হতাশ সাংস্কৃতিক ও সামাজিক কর্মীরা।
বরিশাল বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সৈয়দ দুলাল বলেন, অশ্বিনীকুমার হল খুলে দেওয়ার জন্য বিসিসিকে বলেছেন। তাঁরা জানিয়েছে সংস্কারকাজের স্টিমেট চলছে। কিন্তু সেটা আর কত দিন। মেয়র সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে একবার অশ্বিনীকুমার হলের সামনে ব্যানার না রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু ব্যানারের কারণে হলটি দেখার জন্য চুল পরিমাণ জায়গা ফাঁকা নেই। যাঁরা মেয়রের নির্দেশ অমান্য করে এখানে ব্যানার সাঁটিয়েছেন, তাঁদের চিহ্নিত করা দরকার। তিনি অবিলম্বে অশ্বিনীকুমার হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান।
২৭টি সংগঠনের জোট সাংস্কৃতিক সংগঠন সমন্বয় পরিষদের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এস এম ইকবাল বলেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সভা-সমাবেশ করার জন্য ১৯২১ সালে অশ্বিনীকুমার দত্ত সদর রোডে দেড় বিঘা জমির ওপর হলটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ১৯৩০ সালে হলের নির্মাণকাজ শেষ হয়। তখন অশ্বিনীকুমার হল ট্রাস্টি ডিড করে ট্রাস্টি বোর্ডকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। যেহেতু এটি ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পত্তি, সেহেতু দেখভালের দায়িত্বে থাকা সিটি করপোরেশনের হলটি সংস্কারের কথা বলে এত দিন বন্ধ রাখা উচিত হয়নি।
জানতে চাইলে বরিশাল থিয়েটারের সভাপতি সুভংকর চক্রবর্তী বলেন, তাঁরা বাধ্য হয়ে এখন শিল্পকলা, শহীদ মিনারে ছুটছেন। অন্য জায়গায় বেশি ভাড়া আর দূরবর্তী হওয়ায় অনুষ্ঠানে আগ্রহ হারাচ্ছে সংগঠনগুলো। সিটি করপোরেশন কেবল মাপজোক করছে। কিন্তু এভাবে যদি তালাবদ্ধ করে রাখা হয়, তাহলে হলটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাবে। তা ছাড়া এর সম্মুখভাগ যেভাবে দখল করে রাখা হয়েছে, তাতে হলটির সৌন্দর্য ম্লান হয়ে যাচ্ছে।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী এনায়েত হোসেন শিবলু বলেন, ট্রাস্টি সম্পত্তি হিসেবে সর্বসাধারণের সভা-সমাবেশ, সামাজিক অনুষ্ঠান করার জন্য হলটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিসিসি এটি দেখভাল করছে। কিন্তু প্রায় ২ বছর তালা দিয়ে রাখায় কোনো অনুষ্ঠান করা যাচ্ছে না। সামাজিক, রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক এ সূতিকাগারকে দ্রুত খুলে দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
বাসদের সদস্যসচিব মনীষা চক্রবর্তী বলেন, বর্তমান মেয়র আসার পর থেকে অশ্বিনীকুমার হল বরাদ্দ দিচ্ছে না সিটি করপোরেশন। প্রথম দিকে বলেছে সরকারি কর্মসূচি আছে। এরপর সংস্কার করার কথা বললেও রাজনৈতিক-সভা সমাবেশ অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ করেছে। মনীষা মনে করেন, এটি অগণতান্ত্রিক আচরণ। অশ্বিনীকুমার হল জনগণের পয়সায় নির্মিত ট্রাস্টি সম্পত্তি।
জাতীয় পার্টির জেলা আহ্বায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, অশ্বিনীকুমার হল বিসিসি বন্ধ করে দিয়েছে। সংস্কার আর কবে হবে? তাঁরা এ বিষয়ে চিন্তা করছেন।
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
১ ঘণ্টা আগেএকদিন ভোরবেলা জাকারবার্গ লক্ষ করলেন যে পৃথিবীতে একটা ছোট্ট দেশে তাঁর সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হচ্ছে। সামনের ফ্লোরটায় দেখলেন দেশটা ছোট বটে, কিন্তু জনসংখ্যা বেশি। আর এই দেশের জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। ফেসবুকে দেখতে পেলেন অসংখ্য বার্তা—সবই রাজনৈতিক এবং ছবিতে এ বিষয়ে বিপুল জনগণের
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২৩ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তাদের নেতা-কর্মীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র হামলা পরিচালনা করে অসংখ্য আন্দোলনকারীকে হত্যা ও অনেকের জীবন বি
২ ঘণ্টা আগেইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম রোমান্টিক কবি ছিলেন জন কিটস। কবিতা ছাড়া কিটস কোনো গদ্য লেখার চেষ্টা করেননি। তাঁর কাব্যজীবন ছিল মাত্র ছয় বছরের। অর্থাৎ উনিশ থেকে চব্বিশ বছর বয়স পর্যন্ত। মৃত্যুর মাত্র চার বছর আগে তাঁর কবিতাগুলো প্রকাশিত হয়। তৎকালীন সমালোচকদের দ্বারা কিটসের কবিতা খুব একটা আলোচিত হয়নি। তবে মৃত্য
২ ঘণ্টা আগে