চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে গত ৫ জানুয়ারি বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচির সময় পুলিশের সঙ্গে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনার মামলায় জামিন শুনানির জন্য আদালতে সময় চেয়েছেন দলটির ২২ নেতা-কর্মী।

তোয়ালি থানায় করা মামলাটিতে আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন পেয়েছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষে তাঁদের চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আজিজ আহমেদ ভূঞার আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।

তকাল সোমবার আদালত এ বিষয়ে শুনানির জন্য ২৬ মে দিন ধার্য করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির আহ্বায়ক  ডা. মো. শাহাদাত হোসেন, মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক  মো. আবু সুফিয়ান, মহানগর যুবদল সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শহীদুল্লাহ শহীদ, নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক  ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, চান্দগাঁও থানা যুবদলের আহ্বায়ক মো. গুলজার হোসেন, পাঁচলাইশ থানা যুবদল আহ্বায়ক  মো. আল সাকী ওরফে আলী সাকি, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান ওরফে নাহিদ, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহ, মো. মিয়া ভোলা, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, এস এম সাইফুল আলম, ইসকান্দর মির্জা, কাজী বেলাল উদ্দিন, কামরুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান, শাহ আলম, মো. কফিল উদ্দিন, মো. রাইহান উদ্দিন, মো. নাজিমুর রহমান।

জেলা পিপি একেএম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

আদালতের পেশকার মো. মোরশেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, নগরের এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আসামিদের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

চট্টগ্রাম নগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা গত ৫ জানুয়ারি বিকেলে জামাল খানে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ কর্মসূচি পালন করতে মানববন্ধনের জন্য জড়ো হন। 

সময় রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের রাস্তা থেকে সরে ফুটপাতে যেতে বললে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়ার অভিযোগ করে পুলিশ।

রপর পুলিশের সঙ্গে মানববন্ধনকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় চার পুলিশ আহত হন। অপরদিকে বিএনপি তাদের ৩৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করে।

এ ঘটনায় পুলিশ পরে অভিযান চালিয়ে দলের ৪৯ নেতা-কর্মীকে আটক করে। এ ঘটনায় ওই ২২ আসামিসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে নগরীর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মেহেদী হাসান মামলা করেন।