মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
খাদ্যের সংকটে বন ছেড়ে বানরের দল মৌলভীবাজার শহরের বাসাবাড়িতে হানা দিচ্ছে। এতে শহরের কোনো কোনো বাসিন্দা অতিষ্ঠ হলেও অনেকে আবার মমতার সঙ্গে খাবার দিচ্ছেন। এদিকে বানর বন ছেড়ে লোকালয়ে আসার ঘটনায় পরিবেশকর্মীরা বনের খাদ্যসংকটকে দায়ী করছেন।
ছাদবাগানের ফুলের টব ভেঙে যাওয়া, গাছের কাঁচা-পাকা ফল, সবজি লাপাত্তা—এসব যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
এতে অনেকেই অতিষ্ঠ হয়ে বানরের দলকে তাড়িয়ে দিলেও আবার চলে আসে। আবার কেউ কেউ ডেকে খাবারও দেন। অনেকের রান্নাঘরের সামনে, ছাদে, কার্নিশে খাদ্যের জন্য ওত পেতে থাকতে দেখা যায় বানরের দলকে।
মৌলভীবাজার শহরের চাঁদনীঘাট এলাকায় প্রায়ই দেখা যায় দুই থেকে তিনটি বানরের উপদ্রব। একইভাবে শহরের শান্তিবাগ সৈয়ারপুর, ঘোষপট্টিসহ বিভিন্ন এলাকায় বানরের দল হানা দিচ্ছে। শহরের বনশ্রী এলাকায় প্রায়ই আট থেকে দশটি বানর হানা দিয়ে ফসল, ফলাদি নষ্ট করছে।
চাঁদনীঘাটের বাসিন্দা বদরুল ইসলাম সোহাগ বলেন, বানর এসে ফসল খেয়ে নষ্ট করে চলে যায়।
শহরের বাসিন্দা জাবেদ আহমেদ বলেন, বানর দেখে ছোট বাচ্চারা আনন্দিত হয়। বানরের দল দেখে মনে হয় তারা অনেক ক্ষুধার্ত। যেকোনো খাবার দিলে তারা খেয়ে ফেলে।
এক সপ্তাহ ধরে দুপুরে নিয়ম করে বাসার ছাদে ভাত রাখেন সায়মা আক্তার। তিনি বলেন, ‘বন্যপ্রাণীরা তো খাবারের জন্যই এখানে আসে। ওদের প্রতি মায়া জেগে গেছে। তাই খেতে দিই।’
অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সাবরিনা জানায়, ‘দুটো বানর প্রায়ই আমাদের ছাদে আসে, আমি তাদের দূর থেকে কলা, বিস্কুট, পাউরুটি খেতে দিই।’
শহরের সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা সুমন দাস বলেন, ‘আমার ছাদবাগানের পাকা পেঁপে বানর খেয়ে যায়। তবে ব্যাপারটা ভালোই লাগে।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মৌলভীবাজার-এর সমন্বয়ক আসম সালেহ সোহেল বলেন, বনে খাদ্যসংকট। তাই খাদ্যের সন্ধানে বানরের দল শহরের বিভিন্ন স্থানে হানা দিচ্ছে। ধীরে ধীরে এরা বন্য পরিবেশ ভুলে গেলে পুনরায় বনে ফেরানো কঠিন হবে। বন বিভাগের জরুরি ভিত্তিতে ওদের বনে ফেরানোর ব্যবস্থা করা উচিত।
শহরের বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা পরিবেশকর্মী সোনিয়া মান্নান বলেন, কখনো ৩-৪টা, কখনো ৮-১০টা বানর আসে। এরা ফল-সবজি নিয়ে যায়। তবে এদের বাঁচাতে হবে, খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। পরিকল্পিতভাবে বনে বানরদের জন্য খাদ্যের সংস্থান জরুরি।
লাউয়াছড়া বনের বিট কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ জানান, বনে সব সময় খাদ্য থাকে না। এটা মৌসুমি বলা যায়। এই সময়ে বট এবং ডুমুর ছাড়া অন্য খাদ্য কম। তবে বন বিভাগ পরিকল্পিতভাবেই বন্যপ্রাণীর খাদ্য সংস্থানের জন্য বনে ব্যাপক হারে ফলদ গাছ রোপণ করেছে।
খাদ্যের সংকটে বন ছেড়ে বানরের দল মৌলভীবাজার শহরের বাসাবাড়িতে হানা দিচ্ছে। এতে শহরের কোনো কোনো বাসিন্দা অতিষ্ঠ হলেও অনেকে আবার মমতার সঙ্গে খাবার দিচ্ছেন। এদিকে বানর বন ছেড়ে লোকালয়ে আসার ঘটনায় পরিবেশকর্মীরা বনের খাদ্যসংকটকে দায়ী করছেন।
ছাদবাগানের ফুলের টব ভেঙে যাওয়া, গাছের কাঁচা-পাকা ফল, সবজি লাপাত্তা—এসব যেন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে।
এতে অনেকেই অতিষ্ঠ হয়ে বানরের দলকে তাড়িয়ে দিলেও আবার চলে আসে। আবার কেউ কেউ ডেকে খাবারও দেন। অনেকের রান্নাঘরের সামনে, ছাদে, কার্নিশে খাদ্যের জন্য ওত পেতে থাকতে দেখা যায় বানরের দলকে।
মৌলভীবাজার শহরের চাঁদনীঘাট এলাকায় প্রায়ই দেখা যায় দুই থেকে তিনটি বানরের উপদ্রব। একইভাবে শহরের শান্তিবাগ সৈয়ারপুর, ঘোষপট্টিসহ বিভিন্ন এলাকায় বানরের দল হানা দিচ্ছে। শহরের বনশ্রী এলাকায় প্রায়ই আট থেকে দশটি বানর হানা দিয়ে ফসল, ফলাদি নষ্ট করছে।
চাঁদনীঘাটের বাসিন্দা বদরুল ইসলাম সোহাগ বলেন, বানর এসে ফসল খেয়ে নষ্ট করে চলে যায়।
শহরের বাসিন্দা জাবেদ আহমেদ বলেন, বানর দেখে ছোট বাচ্চারা আনন্দিত হয়। বানরের দল দেখে মনে হয় তারা অনেক ক্ষুধার্ত। যেকোনো খাবার দিলে তারা খেয়ে ফেলে।
এক সপ্তাহ ধরে দুপুরে নিয়ম করে বাসার ছাদে ভাত রাখেন সায়মা আক্তার। তিনি বলেন, ‘বন্যপ্রাণীরা তো খাবারের জন্যই এখানে আসে। ওদের প্রতি মায়া জেগে গেছে। তাই খেতে দিই।’
অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী সাবরিনা জানায়, ‘দুটো বানর প্রায়ই আমাদের ছাদে আসে, আমি তাদের দূর থেকে কলা, বিস্কুট, পাউরুটি খেতে দিই।’
শহরের সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা সুমন দাস বলেন, ‘আমার ছাদবাগানের পাকা পেঁপে বানর খেয়ে যায়। তবে ব্যাপারটা ভালোই লাগে।’
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মৌলভীবাজার-এর সমন্বয়ক আসম সালেহ সোহেল বলেন, বনে খাদ্যসংকট। তাই খাদ্যের সন্ধানে বানরের দল শহরের বিভিন্ন স্থানে হানা দিচ্ছে। ধীরে ধীরে এরা বন্য পরিবেশ ভুলে গেলে পুনরায় বনে ফেরানো কঠিন হবে। বন বিভাগের জরুরি ভিত্তিতে ওদের বনে ফেরানোর ব্যবস্থা করা উচিত।
শহরের বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা পরিবেশকর্মী সোনিয়া মান্নান বলেন, কখনো ৩-৪টা, কখনো ৮-১০টা বানর আসে। এরা ফল-সবজি নিয়ে যায়। তবে এদের বাঁচাতে হবে, খাদ্যের প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। পরিকল্পিতভাবে বনে বানরদের জন্য খাদ্যের সংস্থান জরুরি।
লাউয়াছড়া বনের বিট কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ জানান, বনে সব সময় খাদ্য থাকে না। এটা মৌসুমি বলা যায়। এই সময়ে বট এবং ডুমুর ছাড়া অন্য খাদ্য কম। তবে বন বিভাগ পরিকল্পিতভাবেই বন্যপ্রাণীর খাদ্য সংস্থানের জন্য বনে ব্যাপক হারে ফলদ গাছ রোপণ করেছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে