জলঢাকায় ২২ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ

নীলফামারী ও জলঢাকা প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২১, ০৭: ৪২
আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০২১, ১২: ৩১

তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের প্রচার গতকাল শুক্রবার রাত ১২টায় শেষ হয়েছে।

শেষ মুহূর্তে নীলফামারীর জলঢাকার ১১টি ইউনিয়নে প্রার্থীরা প্রচারে মরিয়া হয়ে ওঠেন। এতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে কিছু বিছিন্ন ঘটনাও ঘটেছে। তবে ওই ইউনিয়নে সংঘর্ষের কোনো অভিযোগ পাননি বলে জানান জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ কবির।

তিনি জানান, ১১ ইউনিয়নে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৮টিসহ ২২টি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে। এসব কেন্দ্রে চার স্তরের নিরাপত্তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি ও পুলিশের মোবাইল টিম থাকবে।

জলঢাকা থানা সূত্র জানায়, গত তিন দিনে মীরগঞ্জ ও ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আহম্মেদ হোসেন ভেন্ডার জানান, বুধবার রাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রবিউল ইসলাম লিপন ও তাঁর লোকজন আমার ছয়জন কর্মীকে পিটিয়ে আহত করে। আহতের মধ্যে তিন জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

 অন্যদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম লিপন অভিযোগ করে জানান, আচরণবিধি ভঙ্গ করে মধ্যরাতে নৌকার কর্মীরা ইউনিয়নের ওকরারডাঙ্গা এলাকায় ভোটারদের মধ্যে টাকা বিতরণ করছিল। আমার কর্মীরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের মারপিট করে। এতে আমার দুজন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বালাগ্রাম ইউনিয়নের সরকারপাড়া এলাকার নারী ভোটার সালমা বেগম জানান, ‘যে মারামারি এখানে শুরু হয়েছে, আমরা ভোটকেন্দ্রে যেতে পারব কি না সন্দেহ।’

নীলফামারী জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, আগামীকাল ভোট গ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। আজ শনিবার ইউনিয়ন পর্যায়ের ভোট কেন্দ্রগুলোতে সরঞ্জাম পাঠানো হবে। শুধু ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, ভোটকেন্দ্র ছাড়াও নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবির মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স। এ ক্ষেত্রে পৌরসভায় বিজিবির ৩ প্লাটুন ও র‍্যাবের ৫টি টিম এবং প্রতি উপজেলায় বিজিবি ২ প্লাটুন ও র‍্যাবের তিনটি টিম মোতায়েন থাকবে।

এ ছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মনিটরিং সেল স্থাপন করা হয়েছে। যা নির্বাচনের পরেও দুদিন চালু থাকবে

উল্লেখ্য, জলঢাকা উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫৬ জন, সাধারণ আসনে ৩৮১ ও সংরক্ষিত আসনে ১৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সঙ্গে জাতীয় পার্টি, বিএনপি, জামায়াত, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষকালে বোমা বিস্ফোরণের ছিটকে পড়েন সেনাসদস্য—ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা

ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত