তানিম আহমেদ
আজকের পত্রিকা: আপনি একটি রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। আপনার পিতা একজন সুপরিচিত রাজনীতিক ছিলেন। আপনার রাজনীতিতে আসা কি তাঁরই ধারাবাহিকতা?
ওয়াসিকা আয়শা খান: আমার প্রপিতামহ বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন। পিতামহও দুই মেয়াদে জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। আর আমার পিতা আতাউর রহমান খান কায়সার ১৯৭০ সালে জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) এবং পরবর্তী সময়ে গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। প্রপিতামহের পর জনসেবায় নিয়োজিত এই পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম আমি। আমার মাতা নীলুফার রহমান খান আজীবন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে গেছেন। ছাত্রজীবন থেকেই পিতামাতার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ ও দশের কল্যাণে আমার রাজনীতি শুরু হয়েছিল, যা এখনো চলমান।
আজকের পত্রিকা: প্রথমবারের মতো প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। দায়িত্বও পেলেন অর্থের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের। দেশের অর্থনীতিতে মোটাদাগে কী কী সমস্যা রয়েছে বলে আপনি মনে করেন?
ওয়াসিকা আয়শা খান: আমাদের সামনে কয়েকটি চ্যালেঞ্জ। সেগুলো হলো—সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখা, অর্থনীতিকে প্রবৃদ্ধির ধারায় রেখেই বিভিন্ন সংস্কার বাস্তবায়ন, অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি ও বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসা।
আজকের পত্রিকা: ব্যাংকিং খাতে আস্থার সংকট আছে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন কি?
ওয়াসিকা আয়শা খান: জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নে ব্যাংকিং সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমানতের সুদের ওপর আরোপিত ক্যাপ তুলে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো এখন চাইলেই বেশি সুদে আমানত সংগ্রহ করতে পারছে। কোনো কোনো ব্যাংক ৮-৯ শতাংশ সুদে আমানত সংগ্রহ করছে। আমানতের ওপর আরোপিত সুদের হার এবং ব্যাংকঋণের সুদের হার বাজারভিত্তিক হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়।
যেহেতু একসময় আমানতের ওপর প্রদেয় সুদের হার এবং ব্যাংকঋণের সর্বোচ্চ সুদের হারের ওপর ক্যাপ করা ছিল, তাই এটাকে বাজারভিত্তিক করতে হলে কিছুটা ধীরগতিতে আমাদের এগোতে হবে। তাহলে ব্যাংকিং সেক্টরের ওপর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত চাপ সৃষ্টি হবে না। অন্যথায় যে চাপ সৃষ্টি হবে, তা অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। যেকোনো অ্যাডজাস্টমেন্ট ধীরে করা হলে তা অর্থনীতির জন্য সহনীয় হয়। তবে যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা চলতে দিতে হবে এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে আমাদের সুদ নির্ধারণের বিষয়টি বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। ব্যাংক কতটা দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে, সেটাও বড় বিষয়। এখনো দেশে মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ ব্যাংকিং কার্যক্রমের আওতার বাইরে রয়ে গেছে। মানুষ যত বেশি হারে ব্যাংকিং কার্যক্রমের আওতায় আসতে পারবে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নও তত ত্বরান্বিত হবে। আর্থিক খাতের অবস্থা বিবেচনা করে সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। ব্যাংকের সংখ্যা কত, সেটা বড় কথা নয়। কথা হচ্ছে, ব্যাংকগুলো সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না।
আজকের পত্রিকা: দুর্নীতিমুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়তে আপনি কাজ করবেন বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছেন কি?
ওয়াসিকা আয়শা খান: বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে এক নীরব সংকট বিরাজমান। উন্নত দেশগুলোতেও মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্বসহ নানা অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে। যেকোনো সংকট থেকে মুক্তির ধারাবাহিক ধাপগুলো হলো সংকট চিহ্নিত করা, সংকটের প্রকৃত কারণ উদ্ধার এবং এরপর উত্তরণের পথ বের করা। উত্তরণের একটি পথ বাতলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বিশেষ কোনো দল বা গোষ্ঠী লক্ষ্যবস্তু নয়, বরং প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করে বাস্তবতা ও অর্থনীতির মৌলিক সূত্রের আলোকে এর সমাধান নিয়ে কাজ করাই আমার মূল লক্ষ্য।
আজকের পত্রিকা: নারীদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে আরও বেশি যুক্ত করতে আপনার নিজের পরিকল্পনা কী?
ওয়াসিকা আয়শা খান: বর্তমান সরকার নারী উন্নয়নে বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সব সময় বাংলাদেশের নারীদের অংশগ্রহণ ছিল। ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীদের ভোগান্তি কমিয়ে ব্যাংকঋণের সহজলভ্যতা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে তাঁদের সহজ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ জন্য জেন্ডার ইনক্লুসিভ ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেম এবং জেন্ডার লেন্স ইনভেস্টমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। নারী-পুরুষ বৈষম্য নিরসন করে জেন্ডার লেন্স ইনভেস্টমেন্ট-সুবিধা প্রান্তিক পর্যায়ে নারীদের কাছে পৌঁছে দিয়ে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নারীদের সম্পৃক্ততা বাড়ালে সমগ্র দেশ উপকৃত হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে শহরমুখী উদোক্তাদের ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি প্রান্তিক নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য গ্রামীণ এলাকায় নারী উদ্যোক্তাদের সময়মতো ঋণ দিতে হবে। বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে বাজারমুখী করার চেষ্টা করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: আপনার দৃষ্টিতে নারীর অগ্রযাত্রায় এখনো সীমাবদ্ধতা কোথায়?
ওয়াসিকা আয়শা খান: পরিবারের পাশাপাশি দেশের চলমান অগ্রযাত্রায় নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ইটভাঙা শ্রমিক থেকে শুরু করে হিমালয়ের চূড়া জয় করা, পোশাকশিল্প, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে থেকে কাজে অংশগ্রহণ, পুলিশ, বিজিবি, সামরিক বাহিনীসহ সব ক্ষেত্রেই নারীর অংশগ্রহণ ও ফলপ্রসূ ভূমিকা দৃশ্যমান। নারী অগ্রসর হলেও কিছু সামাজিক মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি নারীকে অধস্তন করে রাখছে। এর ফলে নতুন নতুন ধরনের নৃশংস ও নিষ্ঠুর সহিংসতার শিকার হচ্ছে আমাদের মা ও বোনেরা। নারীরা পরিবার, রাস্তাঘাট, গণপরিবহন, কর্মক্ষেত্র, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন সহিংসতা ও টিজিংয়ের শিকার হয়ে থাকে। এসব জায়গায় আমাদের সামাজিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে দেশ ও দশের স্বার্থেই সবাই মিলে নারীদের এগিয়ে নিতে কাজ করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: আপনি একটি রাজনৈতিক পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। আপনার পিতা একজন সুপরিচিত রাজনীতিক ছিলেন। আপনার রাজনীতিতে আসা কি তাঁরই ধারাবাহিকতা?
ওয়াসিকা আয়শা খান: আমার প্রপিতামহ বঙ্গীয় আইন পরিষদের সদস্য ছিলেন। পিতামহও দুই মেয়াদে জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। আর আমার পিতা আতাউর রহমান খান কায়সার ১৯৭০ সালে জাতীয় পরিষদের সদস্য (এমএনএ) এবং পরবর্তী সময়ে গণপরিষদের সদস্য ছিলেন। প্রপিতামহের পর জনসেবায় নিয়োজিত এই পরিবারের চতুর্থ প্রজন্ম আমি। আমার মাতা নীলুফার রহমান খান আজীবন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে গেছেন। ছাত্রজীবন থেকেই পিতামাতার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে দেশ ও দশের কল্যাণে আমার রাজনীতি শুরু হয়েছিল, যা এখনো চলমান।
আজকের পত্রিকা: প্রথমবারের মতো প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। দায়িত্বও পেলেন অর্থের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের। দেশের অর্থনীতিতে মোটাদাগে কী কী সমস্যা রয়েছে বলে আপনি মনে করেন?
ওয়াসিকা আয়শা খান: আমাদের সামনে কয়েকটি চ্যালেঞ্জ। সেগুলো হলো—সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখা, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখা, অর্থনীতিকে প্রবৃদ্ধির ধারায় রেখেই বিভিন্ন সংস্কার বাস্তবায়ন, অভ্যন্তরীণ আয় বৃদ্ধি ও বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে আসা।
আজকের পত্রিকা: ব্যাংকিং খাতে আস্থার সংকট আছে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছেন কি?
ওয়াসিকা আয়শা খান: জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নে ব্যাংকিং সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। আমানতের সুদের ওপর আরোপিত ক্যাপ তুলে দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো এখন চাইলেই বেশি সুদে আমানত সংগ্রহ করতে পারছে। কোনো কোনো ব্যাংক ৮-৯ শতাংশ সুদে আমানত সংগ্রহ করছে। আমানতের ওপর আরোপিত সুদের হার এবং ব্যাংকঋণের সুদের হার বাজারভিত্তিক হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়।
যেহেতু একসময় আমানতের ওপর প্রদেয় সুদের হার এবং ব্যাংকঋণের সর্বোচ্চ সুদের হারের ওপর ক্যাপ করা ছিল, তাই এটাকে বাজারভিত্তিক করতে হলে কিছুটা ধীরগতিতে আমাদের এগোতে হবে। তাহলে ব্যাংকিং সেক্টরের ওপর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত চাপ সৃষ্টি হবে না। অন্যথায় যে চাপ সৃষ্টি হবে, তা অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। যেকোনো অ্যাডজাস্টমেন্ট ধীরে করা হলে তা অর্থনীতির জন্য সহনীয় হয়। তবে যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তা চলতে দিতে হবে এবং চূড়ান্ত পর্যায়ে আমাদের সুদ নির্ধারণের বিষয়টি বাজারের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। ব্যাংক কতটা দক্ষতার সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে, সেটাও বড় বিষয়। এখনো দেশে মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশ ব্যাংকিং কার্যক্রমের আওতার বাইরে রয়ে গেছে। মানুষ যত বেশি হারে ব্যাংকিং কার্যক্রমের আওতায় আসতে পারবে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নও তত ত্বরান্বিত হবে। আর্থিক খাতের অবস্থা বিবেচনা করে সমস্যাগ্রস্ত ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। ব্যাংকের সংখ্যা কত, সেটা বড় কথা নয়। কথা হচ্ছে, ব্যাংকগুলো সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হচ্ছে কি না।
আজকের পত্রিকা: দুর্নীতিমুক্ত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়তে আপনি কাজ করবেন বলে ইতিমধ্যে জানিয়েছেন। এ ক্ষেত্রে কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছেন কি?
ওয়াসিকা আয়শা খান: বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে এক নীরব সংকট বিরাজমান। উন্নত দেশগুলোতেও মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্বসহ নানা অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে। যেকোনো সংকট থেকে মুক্তির ধারাবাহিক ধাপগুলো হলো সংকট চিহ্নিত করা, সংকটের প্রকৃত কারণ উদ্ধার এবং এরপর উত্তরণের পথ বের করা। উত্তরণের একটি পথ বাতলে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বিশেষ কোনো দল বা গোষ্ঠী লক্ষ্যবস্তু নয়, বরং প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করে বাস্তবতা ও অর্থনীতির মৌলিক সূত্রের আলোকে এর সমাধান নিয়ে কাজ করাই আমার মূল লক্ষ্য।
আজকের পত্রিকা: নারীদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে আরও বেশি যুক্ত করতে আপনার নিজের পরিকল্পনা কী?
ওয়াসিকা আয়শা খান: বর্তমান সরকার নারী উন্নয়নে বিশেষ করে নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলছে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সব সময় বাংলাদেশের নারীদের অংশগ্রহণ ছিল। ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নারীদের ভোগান্তি কমিয়ে ব্যাংকঋণের সহজলভ্যতা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে তাঁদের সহজ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ জন্য জেন্ডার ইনক্লুসিভ ফিন্যান্সিয়াল সিস্টেম এবং জেন্ডার লেন্স ইনভেস্টমেন্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। নারী-পুরুষ বৈষম্য নিরসন করে জেন্ডার লেন্স ইনভেস্টমেন্ট-সুবিধা প্রান্তিক পর্যায়ে নারীদের কাছে পৌঁছে দিয়ে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নারীদের সম্পৃক্ততা বাড়ালে সমগ্র দেশ উপকৃত হবে। এ ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে শহরমুখী উদোক্তাদের ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি প্রান্তিক নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য গ্রামীণ এলাকায় নারী উদ্যোক্তাদের সময়মতো ঋণ দিতে হবে। বাস্তবসম্মত ও সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে বাজারমুখী করার চেষ্টা করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: আপনার দৃষ্টিতে নারীর অগ্রযাত্রায় এখনো সীমাবদ্ধতা কোথায়?
ওয়াসিকা আয়শা খান: পরিবারের পাশাপাশি দেশের চলমান অগ্রযাত্রায় নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ইটভাঙা শ্রমিক থেকে শুরু করে হিমালয়ের চূড়া জয় করা, পোশাকশিল্প, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে থেকে কাজে অংশগ্রহণ, পুলিশ, বিজিবি, সামরিক বাহিনীসহ সব ক্ষেত্রেই নারীর অংশগ্রহণ ও ফলপ্রসূ ভূমিকা দৃশ্যমান। নারী অগ্রসর হলেও কিছু সামাজিক মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গি নারীকে অধস্তন করে রাখছে। এর ফলে নতুন নতুন ধরনের নৃশংস ও নিষ্ঠুর সহিংসতার শিকার হচ্ছে আমাদের মা ও বোনেরা। নারীরা পরিবার, রাস্তাঘাট, গণপরিবহন, কর্মক্ষেত্র, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন সহিংসতা ও টিজিংয়ের শিকার হয়ে থাকে। এসব জায়গায় আমাদের সামাজিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা করে দেশ ও দশের স্বার্থেই সবাই মিলে নারীদের এগিয়ে নিতে কাজ করতে হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪