সৌগত বসু, ঢাকা
চলতি বছরের ডিসেম্বরেই যমুনা নদীর ওপর নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর কার্যক্রম চালু হওয়ার কথা। প্রত্যাশা রয়েছে, এ রেললাইনে সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলবে। কিন্তু প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুরু থেকে কম্পিউটারভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় সংকেত ব্যবস্থা বা কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলিঙ্ক সিস্টেম (সিবিআইএস) চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে প্রথম দিকে ট্রেনের গতি অনেক কম থাকবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গড়িমসি এবং ভারত থেকে প্রযুক্তিপণ্য আমদানিতে জটিলতার কারণে সেতুটিতে শুরু থেকে সিবিআইএস চালু করা যাচ্ছে না।
প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান গত রোববার বলেন, নতুন এই রেলসেতু দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সিবিআইএসের কাজের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ। সেতু চালু হওয়ার পরে আরও দু-তিন মাস লাগতে পারে এ পদ্ধতি চালু করতে। আপাতত প্রথাগত নন-ইন্টারলিঙ্ক ব্যবস্থায় ট্রেন চালাতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিক স্বয়ংক্রিয় সংকেত ব্যবস্থা চালু না হলে ট্রেনের গতি কমে সময়ের অপচয় হওয়া ছাড়াও নিরাপত্তার দিকে ঘাটতি থাকবে।
রেল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর অদূরেই সমান্তরালভাবে নির্মীয়মাণ প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতুটির জন্য সাড়ে ৭ কিলোমিটারের বেশি রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী গত আগস্টের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে প্রকল্পের সময়সীমা সংশোধন করে তা ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বরেই সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। প্রকল্প পরিচালক বলেছেন, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ভৌত অগ্রগতি ৯৪ শতাংশ।
সময় বাঁচবে বলে প্রত্যাশা
রেলওয়ের তথ্যমতে, বর্তমানে যমুনার ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুতে যে মিটারগেজ রেল রয়েছে, তাতে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ৭০ কিলো-নিউটন/মিটার ওজন বহন করা সম্ভব। তাই ট্রেনে বেশি বগি যুক্ত করার সুযোগ নেই। এ ছাড়া এক লাইনের সীমাবদ্ধতা থাকায় বেশি ট্রেন চালানোও সম্ভব নয়। মাত্র ২০ কিলোমিটার গতিতে প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি পার হতে ২৫ মিনিট লেগে যায়। দুই পাড়ের স্টেশনে সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘক্ষণ। সব মিলিয়ে মাত্র ৫ কিলোমিটার পাড়ি দিতে লাগে এক ঘণ্টার বেশি। বঙ্গবন্ধু রেলসেতু উদ্বোধন হলে এ রুটে গড়ে সময় বাঁচবে এক ঘণ্টা। ক্রসিংয়েও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না।
সিবিআইএস চালুতে যে সমস্যা
প্রকল্প কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ডব্লিউডি-১ ও ডব্লিউডি-২ নামে দুটি প্যাকেজে পাঁচটি জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। সেতুর উভয় প্রান্তের দুই স্টেশনে সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ হচ্ছে ডব্লিউডি-৩ নামে অপর একটি প্যাকেজের আওতায়। সিবিআইএস চালু করার কাজে রেলওয়ে সহায়তা নিচ্ছে জাপানি বহুজাতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান হিটাচির। ভারতে হিটাচির পণ্য উৎপাদন কারখানা থাকায় জাপানি ঠিকাদারেরা সেখান থেকেই পণ্য আমদানি করছিলেন। ঠিকাদারেরা সম্প্রতি সেখান থেকে পণ্য আমদানি করতে কিছু জটিলতায় পড়ার কথা বলছেন। প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, এ জটিলতা নিরসনে রেলওয়ে ঠিকাদারদের তাগাদা দিচ্ছে।
সিবিআইএস ছাড়া যা হবে
প্রকল্প পরিচালক বলেন, পুরোনো নন-ইন্টারলিঙ্ক ব্যবস্থা যত দিন চালু থাকবে, তত দিন নতুন সেতুতে ট্রেনের গড় গতিসীমা থাকবে মাত্র ১৬ কিলোমিটার। এ ব্যবস্থায় একটি ট্রেনও বাড়াতে গেলে মারাত্মক শিডিউল বিপর্যয় ঘটবে।
সিবিআইএস চালু না হলে পশ্চিমাঞ্চলের রেলপথে নিরাপত্তাগত শঙ্কা থেকে যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের শুরুতে সিগন্যাল সিস্টেমের ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত ছিল। অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, ‘যে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ট্রেনের গতি বাড়িয়ে শিডিউল বিপর্যয় কমানো; সেখানে নন-ইন্টারলিঙ্ক সিস্টেম চালু থাকলে যাত্রীসেবার মান বিন্দুমাত্র বাড়বে না। এতে করে রেলপথে ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।’
কাজের সার্বিক অগ্রগতি
নকশা অনুযায়ী সেতু নির্মাণের জন্য ৫০টি পিয়ার ও ৪৯টি স্প্যানের নির্মাণকাজ চলছে। সব পিয়ার ও স্প্যানের উপরিকাঠামোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেতুর দুই দিকে বাঁধ নির্মাণের কাজও শেষ। সেতুর ওপর রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এখন ১ থেকে ২৩ নম্বর পিয়ারের মাঝের অংশে লাইনের খুঁটিনাটি কিছু কারিগরি কাজ চলছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশনে স্টেশন ভবন, প্ল্যাটফর্ম, প্ল্যাটফর্ম শেড, পার্কিং এরিয়া, অন্যান্য পূর্তসংক্রান্ত নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে এ কাজের ৭৫ শতাংশ সমাপ্ত। উভয় প্রান্তে সিগন্যালিং ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার কাজের অগ্রগতি ৪৫ শতাংশ।
যমুনা বহুমুখী সেতু দিয়ে বর্তমানে দিনে ৩৮টি ট্রেন চলে। নতুন রেলসেতু চালুর পরে আন্তনগর, লোকাল, কমিউটার, মালবাহী ট্রেনসহ ৮৮টি ট্রেন চালানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রেলওয়ে।
সার্বিক বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, সিবিআইএস চালুর বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক জানেন। তবে এটা সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। দেরি হলেও ১৫ দিন থেকে ১ মাস বেশি লাগবে।
পৃথক এই রেলসেতুর উদ্বোধন হলে নতুন ট্রেন চালু হবে কি না জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, ‘ঢাকার সঙ্গে ওই অঞ্চলে নতুন ট্রেন যুক্ত করা কঠিন হয়ে যাবে। থার্ড বা ফোর্থ লাইন চালু না হলে নতুন ট্রেনের ক্যাপাসিটি তৈরি হবে না। নতুন ট্রেন এলেও জয়দেবপুর বা টঙ্গী পর্যন্ত চালানো যেতে পারে। এতে লাভ হবে না।’
আরও খবর পড়ুন:
চলতি বছরের ডিসেম্বরেই যমুনা নদীর ওপর নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলসেতুর কার্যক্রম চালু হওয়ার কথা। প্রত্যাশা রয়েছে, এ রেললাইনে সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার বেগে ট্রেন চলবে। কিন্তু প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুরু থেকে কম্পিউটারভিত্তিক স্বয়ংক্রিয় সংকেত ব্যবস্থা বা কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলিঙ্ক সিস্টেম (সিবিআইএস) চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে প্রথম দিকে ট্রেনের গতি অনেক কম থাকবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গড়িমসি এবং ভারত থেকে প্রযুক্তিপণ্য আমদানিতে জটিলতার কারণে সেতুটিতে শুরু থেকে সিবিআইএস চালু করা যাচ্ছে না।
প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান গত রোববার বলেন, নতুন এই রেলসেতু দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু সিবিআইএসের কাজের অগ্রগতি হয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ। সেতু চালু হওয়ার পরে আরও দু-তিন মাস লাগতে পারে এ পদ্ধতি চালু করতে। আপাতত প্রথাগত নন-ইন্টারলিঙ্ক ব্যবস্থায় ট্রেন চালাতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিক স্বয়ংক্রিয় সংকেত ব্যবস্থা চালু না হলে ট্রেনের গতি কমে সময়ের অপচয় হওয়া ছাড়াও নিরাপত্তার দিকে ঘাটতি থাকবে।
রেল কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর অদূরেই সমান্তরালভাবে নির্মীয়মাণ প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতুটির জন্য সাড়ে ৭ কিলোমিটারের বেশি রেলওয়ে অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট এবং লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। জাপান ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী গত আগস্টের মধ্যে এর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে প্রকল্পের সময়সীমা সংশোধন করে তা ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী ডিসেম্বরেই সেতুর ওপর দিয়ে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে। প্রকল্প পরিচালক বলেছেন, ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর ভৌত অগ্রগতি ৯৪ শতাংশ।
সময় বাঁচবে বলে প্রত্যাশা
রেলওয়ের তথ্যমতে, বর্তমানে যমুনার ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুতে যে মিটারগেজ রেল রয়েছে, তাতে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ৭০ কিলো-নিউটন/মিটার ওজন বহন করা সম্ভব। তাই ট্রেনে বেশি বগি যুক্ত করার সুযোগ নেই। এ ছাড়া এক লাইনের সীমাবদ্ধতা থাকায় বেশি ট্রেন চালানোও সম্ভব নয়। মাত্র ২০ কিলোমিটার গতিতে প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটি পার হতে ২৫ মিনিট লেগে যায়। দুই পাড়ের স্টেশনে সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করতে হয় দীর্ঘক্ষণ। সব মিলিয়ে মাত্র ৫ কিলোমিটার পাড়ি দিতে লাগে এক ঘণ্টার বেশি। বঙ্গবন্ধু রেলসেতু উদ্বোধন হলে এ রুটে গড়ে সময় বাঁচবে এক ঘণ্টা। ক্রসিংয়েও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না।
সিবিআইএস চালুতে যে সমস্যা
প্রকল্প কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, ডব্লিউডি-১ ও ডব্লিউডি-২ নামে দুটি প্যাকেজে পাঁচটি জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। সেতুর উভয় প্রান্তের দুই স্টেশনে সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনের কাজ হচ্ছে ডব্লিউডি-৩ নামে অপর একটি প্যাকেজের আওতায়। সিবিআইএস চালু করার কাজে রেলওয়ে সহায়তা নিচ্ছে জাপানি বহুজাতিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান হিটাচির। ভারতে হিটাচির পণ্য উৎপাদন কারখানা থাকায় জাপানি ঠিকাদারেরা সেখান থেকেই পণ্য আমদানি করছিলেন। ঠিকাদারেরা সম্প্রতি সেখান থেকে পণ্য আমদানি করতে কিছু জটিলতায় পড়ার কথা বলছেন। প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, এ জটিলতা নিরসনে রেলওয়ে ঠিকাদারদের তাগাদা দিচ্ছে।
সিবিআইএস ছাড়া যা হবে
প্রকল্প পরিচালক বলেন, পুরোনো নন-ইন্টারলিঙ্ক ব্যবস্থা যত দিন চালু থাকবে, তত দিন নতুন সেতুতে ট্রেনের গড় গতিসীমা থাকবে মাত্র ১৬ কিলোমিটার। এ ব্যবস্থায় একটি ট্রেনও বাড়াতে গেলে মারাত্মক শিডিউল বিপর্যয় ঘটবে।
সিবিআইএস চালু না হলে পশ্চিমাঞ্চলের রেলপথে নিরাপত্তাগত শঙ্কা থেকে যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের শুরুতে সিগন্যাল সিস্টেমের ওপর অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত ছিল। অধ্যাপক হাদিউজ্জামান বলেন, ‘যে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ট্রেনের গতি বাড়িয়ে শিডিউল বিপর্যয় কমানো; সেখানে নন-ইন্টারলিঙ্ক সিস্টেম চালু থাকলে যাত্রীসেবার মান বিন্দুমাত্র বাড়বে না। এতে করে রেলপথে ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।’
কাজের সার্বিক অগ্রগতি
নকশা অনুযায়ী সেতু নির্মাণের জন্য ৫০টি পিয়ার ও ৪৯টি স্প্যানের নির্মাণকাজ চলছে। সব পিয়ার ও স্প্যানের উপরিকাঠামোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সেতুর দুই দিকে বাঁধ নির্মাণের কাজও শেষ। সেতুর ওপর রেললাইন বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। এখন ১ থেকে ২৩ নম্বর পিয়ারের মাঝের অংশে লাইনের খুঁটিনাটি কিছু কারিগরি কাজ চলছে। বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশনে স্টেশন ভবন, প্ল্যাটফর্ম, প্ল্যাটফর্ম শেড, পার্কিং এরিয়া, অন্যান্য পূর্তসংক্রান্ত নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তে এ কাজের ৭৫ শতাংশ সমাপ্ত। উভয় প্রান্তে সিগন্যালিং ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার কাজের অগ্রগতি ৪৫ শতাংশ।
যমুনা বহুমুখী সেতু দিয়ে বর্তমানে দিনে ৩৮টি ট্রেন চলে। নতুন রেলসেতু চালুর পরে আন্তনগর, লোকাল, কমিউটার, মালবাহী ট্রেনসহ ৮৮টি ট্রেন চালানোর লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রেলওয়ে।
সার্বিক বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, সিবিআইএস চালুর বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক জানেন। তবে এটা সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। দেরি হলেও ১৫ দিন থেকে ১ মাস বেশি লাগবে।
পৃথক এই রেলসেতুর উদ্বোধন হলে নতুন ট্রেন চালু হবে কি না জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, ‘ঢাকার সঙ্গে ওই অঞ্চলে নতুন ট্রেন যুক্ত করা কঠিন হয়ে যাবে। থার্ড বা ফোর্থ লাইন চালু না হলে নতুন ট্রেনের ক্যাপাসিটি তৈরি হবে না। নতুন ট্রেন এলেও জয়দেবপুর বা টঙ্গী পর্যন্ত চালানো যেতে পারে। এতে লাভ হবে না।’
আরও খবর পড়ুন:
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৪ দিন আগে