ভূঞাপুর প্রতিনিধি
ভূঞাপুরের গোপিনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা মতিয়ার রহমান মানু। বয়স ৮০ বছর। স্বামী-স্ত্রীর সংসার। বয়সের ভারে ন্যুব্জ মানু আয়-উপার্জনে অক্ষম। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধও কিনতে পারেন না। তাঁর এক ছেলে পরিবার নিয়ে চাকরির সুবাদে থাকেন ঢাকায়। মাঝেমধ্যে মা-বাবাকে দেখতে যান গ্রামে। খরচও দেন যতটুকু পারেন। আর মেয়ে বিয়ের পর সংসার নিয়ে ব্যস্ত।
মানুর মতো বয়স্ক, অসচ্ছল ব্যক্তিদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে যমুনাপাড়ের জনপদ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। সামাজিক সংগঠনটি অসুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে। অসহায় ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা, শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ, বৃক্ষরোপণসহ নানা সামাজিক কাজে যুক্ত হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। মহৎ কাজের জন্য এলাকায় যমুনাপাড়ের জনপদ সংগঠনটি পরিচিতি পেয়েছে মানবতার ফেরিওয়ালা নামে।
মতিয়ার রহমান মানু বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। ‘যমুনাপাড়ের জনপদ’ সংগঠন আমাকে খাবারসহ ফলমূল কিনে দেয়। অসহায় ও বৃদ্ধ মানুষের পাশে সংগঠনটি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে। আসলে বৃদ্ধ বয়সে একা একা লাগে। সংগঠনের ছেলেরা আমার মতো অনেকের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখে। ওদের মাধ্যমে একাকিত্ব দূর হয়েছে। এই ছেলেগুলো ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাক, এটাই আমার প্রত্যাশা।’
গোপিনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই (৬০)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইজ (পক্ষাঘাতগ্রস্ত)। চলাফেরা করতে পারেন না ঠিকমতো। আর্থিকভাবে অসচ্ছল আব্দুল হাইকে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে সহায়তা করেছে সংগঠনটি। আব্দুল হাই বলেন, ‘এই ছেলেগুলো আমায় অনেক সহযোগিতা করেছে। আমি অনেক খুশি। আল্লাহ ওদের ভালো করুক।’
উপজেলা যমুনা নদীবেষ্টিত হওয়ায় এখানে চরাঞ্চল অনেক বেশি। চরাঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা অনেকটাই কঠিন। যাতায়াতব্যবস্থাও দুরূহ। এ পরিস্থিতে ২০২০ সালে যমুনাপাড়ের কয়েকটি গ্রামের একদল যুবক অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে গড়ে তোলে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘যমুনা পাড়ের জনপদ।’ এটি অরাজনৈতিক সংগঠন।
সংগঠনটি এলাকার মানুষের জন্য নির্মাণ করেছে একাধিক সাঁকো। মহামারি করোনার সময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করে সংগঠনটি। বন্যাকবলিতদের প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহও করে। করোনার কারণে অসহায় ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা, গাছে গাছে ধর্মীয় লিফলেট লাগানো, বাবা দিবসে অসুস্থ বাবার পাশে দাঁড়ানো, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন, খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ, ঈদে কৃষকদের নিয়ে আনন্দের অনুষ্ঠান আয়োজন, কবরস্থান পরিষ্কারসহ নানা রকম সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে এই সংগঠন।
প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন লিটন বলেন, ‘সংগঠনটি আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। করোনার সময় ছাত্রছাত্রীদের মাস্ক, স্যানিটাইজার দিয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় সেবামূলক কাজ করছে। আমি সংগঠনটির জনসেবামূলক কাজে সত্যি অভিভূত।’
সংগঠনটির সমন্বয়ক আ. রহিম বলেন, ‘সংগঠনের অ্যাডমিন এবং মডারেটরদের নিজস্ব অর্থে জনসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে সুবিধাবঞ্চিত চরাঞ্চলের মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চাই।’
ভূঞাপুরের গোপিনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা মতিয়ার রহমান মানু। বয়স ৮০ বছর। স্বামী-স্ত্রীর সংসার। বয়সের ভারে ন্যুব্জ মানু আয়-উপার্জনে অক্ষম। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধও কিনতে পারেন না। তাঁর এক ছেলে পরিবার নিয়ে চাকরির সুবাদে থাকেন ঢাকায়। মাঝেমধ্যে মা-বাবাকে দেখতে যান গ্রামে। খরচও দেন যতটুকু পারেন। আর মেয়ে বিয়ের পর সংসার নিয়ে ব্যস্ত।
মানুর মতো বয়স্ক, অসচ্ছল ব্যক্তিদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে যমুনাপাড়ের জনপদ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। সামাজিক সংগঠনটি অসুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে। অসহায় ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা, শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ, বৃক্ষরোপণসহ নানা সামাজিক কাজে যুক্ত হয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। মহৎ কাজের জন্য এলাকায় যমুনাপাড়ের জনপদ সংগঠনটি পরিচিতি পেয়েছে মানবতার ফেরিওয়ালা নামে।
মতিয়ার রহমান মানু বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ। ‘যমুনাপাড়ের জনপদ’ সংগঠন আমাকে খাবারসহ ফলমূল কিনে দেয়। অসহায় ও বৃদ্ধ মানুষের পাশে সংগঠনটি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দাঁড়িয়েছে। আসলে বৃদ্ধ বয়সে একা একা লাগে। সংগঠনের ছেলেরা আমার মতো অনেকের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখে। ওদের মাধ্যমে একাকিত্ব দূর হয়েছে। এই ছেলেগুলো ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাক, এটাই আমার প্রত্যাশা।’
গোপিনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হাই (৬০)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্যারালাইজ (পক্ষাঘাতগ্রস্ত)। চলাফেরা করতে পারেন না ঠিকমতো। আর্থিকভাবে অসচ্ছল আব্দুল হাইকে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে সহায়তা করেছে সংগঠনটি। আব্দুল হাই বলেন, ‘এই ছেলেগুলো আমায় অনেক সহযোগিতা করেছে। আমি অনেক খুশি। আল্লাহ ওদের ভালো করুক।’
উপজেলা যমুনা নদীবেষ্টিত হওয়ায় এখানে চরাঞ্চল অনেক বেশি। চরাঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা অনেকটাই কঠিন। যাতায়াতব্যবস্থাও দুরূহ। এ পরিস্থিতে ২০২০ সালে যমুনাপাড়ের কয়েকটি গ্রামের একদল যুবক অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে গড়ে তোলে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘যমুনা পাড়ের জনপদ।’ এটি অরাজনৈতিক সংগঠন।
সংগঠনটি এলাকার মানুষের জন্য নির্মাণ করেছে একাধিক সাঁকো। মহামারি করোনার সময় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করে সংগঠনটি। বন্যাকবলিতদের প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহও করে। করোনার কারণে অসহায় ব্যক্তিদের আর্থিক সহায়তা, গাছে গাছে ধর্মীয় লিফলেট লাগানো, বাবা দিবসে অসুস্থ বাবার পাশে দাঁড়ানো, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন, খেলাধুলার সামগ্রী বিতরণ, ঈদে কৃষকদের নিয়ে আনন্দের অনুষ্ঠান আয়োজন, কবরস্থান পরিষ্কারসহ নানা রকম সামাজিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে এই সংগঠন।
প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন লিটন বলেন, ‘সংগঠনটি আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। করোনার সময় ছাত্রছাত্রীদের মাস্ক, স্যানিটাইজার দিয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকায় সেবামূলক কাজ করছে। আমি সংগঠনটির জনসেবামূলক কাজে সত্যি অভিভূত।’
সংগঠনটির সমন্বয়ক আ. রহিম বলেন, ‘সংগঠনের অ্যাডমিন এবং মডারেটরদের নিজস্ব অর্থে জনসেবামূলক কাজ করে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে সুবিধাবঞ্চিত চরাঞ্চলের মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চাই।’
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
১ ঘণ্টা আগেএকদিন ভোরবেলা জাকারবার্গ লক্ষ করলেন যে পৃথিবীতে একটা ছোট্ট দেশে তাঁর সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হচ্ছে। সামনের ফ্লোরটায় দেখলেন দেশটা ছোট বটে, কিন্তু জনসংখ্যা বেশি। আর এই দেশের জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। ফেসবুকে দেখতে পেলেন অসংখ্য বার্তা—সবই রাজনৈতিক এবং ছবিতে এ বিষয়ে বিপুল জনগণের
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২৩ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তাদের নেতা-কর্মীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র হামলা পরিচালনা করে অসংখ্য আন্দোলনকারীকে হত্যা ও অনেকের জীবন বি
২ ঘণ্টা আগেইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম রোমান্টিক কবি ছিলেন জন কিটস। কবিতা ছাড়া কিটস কোনো গদ্য লেখার চেষ্টা করেননি। তাঁর কাব্যজীবন ছিল মাত্র ছয় বছরের। অর্থাৎ উনিশ থেকে চব্বিশ বছর বয়স পর্যন্ত। মৃত্যুর মাত্র চার বছর আগে তাঁর কবিতাগুলো প্রকাশিত হয়। তৎকালীন সমালোচকদের দ্বারা কিটসের কবিতা খুব একটা আলোচিত হয়নি। তবে মৃত্য
২ ঘণ্টা আগে