মুড়িকাটা পেঁয়াজে লাভের আশা রাজবাড়ীর কৃষকের

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩: ৫০

পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশে তৃতীয় রাজবাড়ী জেলা। সারা দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের ১৪ শতাংশ পেঁয়াজ এ জেলায় উৎপাদন হয়। এ জেলায় হালি ও মুড়িকাটা এই দুই ধরনের পেঁয়াজের আবাদ হয়। এরই মধ্যে মুড়িকাটা পেঁয়াজ ঘরে তুলছেন চাষিরা। আর হালি পেঁয়াজ রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, চাষিরা মুড়িকাটা পেঁয়াজ মাঠ থেকে ওঠাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাষিরা তাঁদের উৎপাদিত পেঁয়াজ মাঠ থেকে উত্তোলন করছেন। অনেকেই জমি থেকেই পেঁয়াজ বিক্রি করে দিচ্ছেন। এ বছর পেঁয়াজের ফলন ভালো হওয়ায় ও দাম ভালো পাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে।

সদর উপজেলার পেঁয়াজচাষি আকবর মোল্লা বলেন, দুই বিঘা জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ করেছেন তিনি। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে কিছু পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। শঙ্কায় ছিলেন আশানুরূপ ফলন হবে কি না, কিন্তু ফলন ভালো হওয়ায় ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় খুশি তিনি।

কৃষক হুমায়ন আহম্মেদ বলেন, তিনি পাঁচ একর জমিতে মুড়িকাটা পেঁয়াজ আবাদ করেছেন। এর মধ্যে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে লাগানোর পর তিন একর জমির পেঁয়াজখেত ডুবে যায়। পরবর্তী সময়ে সেই জমিতে আবার পেঁয়াজ লাগাতে হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বিগত বছরগুলোর চেয়ে অনেক ভালো ফলন হয়েছে। প্রথমে ৭০০-৮০০ টাকা দাম ছিল। এখন ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা মণ। এই দাম থাকলে নষ্ট হয়ে যাওয়া পেঁয়াজের লোকসান উঠিয়ে লাভবান হবেন তিনি।

রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ উপপরিচালক এস এম সহীদ নূর আকবর বলেন, রাজবাড়ী জেলায় প্রতিবছরই পেঁয়াজের আবাদ বাড়ছে। গত বছর জেলায় ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়েছিল। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হবে। এ বছর মুড়িকাটা পেঁয়াজচাষিরা ঘূর্ণিঝড়ে কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এরপরও উৎপাদন ভালো হওয়ায় ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় তাঁদের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, এখন চলছে হালি পেঁয়াজ রোপণের মৌসুম। এরই মধ্যে অনেক কৃষক তাঁদের জমি থেকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ উত্তোলন করে হালি পেঁয়াজ রোপণ করছেন। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত