আগামী সোমবার মহা ষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা।

আসন্ন এই পূজাকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ সময়ের সাজসজ্জার কাজ।

উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, এবার ৩৪টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। ইতিমধ্যে সব মণ্ডপেই প্রতিমা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। বেশির ভাগ মণ্ডপে শেষ হয়েছে রঙের কাজ।

কুলিয়ারচর পৌর এলাকার কালীবাড়ি ও দাসপাড়া সর্বজনীন দুর্গাপূজা মণ্ডপে গেলে দেখা যায় প্রতিমা তৈরি শেষ। চলছে সাজসজ্জার কাজ। এ সময় কথা হয় স্থানীয় কয়েকজন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে। তাঁরা বলেন মহালয়ার মাধ্যমেই শুরু হয়ে গেছে দেবীপক্ষ। সোমবার রাত থেকে শুরু হবে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।

একজন প্রতিমাশিল্পী বলেন, প্রতিমা গড়ার কাজ শেষ। রং করার কাজও শেষের দিকে। এখন মণ্ডপের সাজসজ্জার কাজ চলছে। চলছে আলোকসজ্জার কাজ।

উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনমথ চন্দ্র দাস বলেন, ‘এ বছর কুলিয়ারচর উপজেলায় পৌরসভাসহ ৬টি ইউনিয়নে মোট ৩৪টি পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে শারদীয় দুর্গাপূজা। এর মধ্যে পৌর শহরে ১২টি, ছয়সুতি ইউনিয়নে ৩, ফরিদপুর ইউনিয়নে ২, গোবরদিয়া আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নে ১, হালুয়া ইউনিয়নে ৮, রামদী ইউনিয়নে ৫, উছমানপুর ইউনিয়নে ৩টি মণ্ডপ রয়েছে। পূজা আনুষ্ঠানিকতা ও উৎসবকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে মন্দিরগুলোতে চলছে শেষ সময়ের সাজসজ্জা। করোনাকালে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নিরাপদে উৎসব পালন করতে পারবে বলে আমি আশাবাদী।’

কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমি বিভিন্ন মণ্ডপ ঘুরে দেখেছি। শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে পুলিশের তৎপরতা বজায় থাকবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রুবাইয়াৎ ফেরদৌসী বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সব সনাতন ধর্মাবলম্বীকে শারদীয় দুর্গার পূজার শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।