বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
বড়লেখা উপজেলার হাকালুকি হাওরে হিজল-করচসহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজ বৃক্ষ নিধনের পর সেই জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। আবার কোথাও বোরো ধান চাষের জন্য ট্রাক্টর দিয়ে জমি তৈরির কাজ চলছে।
হাওরের মালাম বিলের দক্ষিণ পাশের ও সাতবিলার উত্তর পাশের প্রায় ৫ একর জমি থেকে এই গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, মালাম বিলের দক্ষিণ পাশের ও সাতবিলার উত্তর পাশের জমি থেকে প্রায় ৬০০ গাছ কাটা হয়েছে। এর আগে প্রায় ৭ মাস আগে হাকালুকি হাওরের মালাম বিলের দক্ষিণ-পূর্ব পাশের খাসজমি থেকেও কয়েক হাজার গাছ কাটা হয়।
এদিকে গাছ কাটার ঘটনায় গত বুধবার বড়লেখা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন হাল্লা ফরেস্ট ক্যাম্পের কর্মকর্তা জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউট তপন চন্দ্র দেবনাথ। এতে ৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের কাজিরবন্দ গ্রামের পারভেজ আহমদ, রিয়াজ আলী, নাজিম উদ্দিন, গফুর উদ্দিন, হান্নান, জয়নাল, মালেক ও সুরুজ আলী এবং কাজিরবন্দ গ্রামের মোশাইদ আলী।
এদিকে হাওরের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যেখানে গাছ লাগানোর কথা, সেখানে সরকারি খাসজমি থেকে গাছ কেটে অবৈধ দখলদারেরা ধান চাষ করায় পরিবেশবিদসহ স্থানীয় বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে হাকালুকি হাওরে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে হিজল-করচসহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজ গাছ লাগানো হয়। এ ছাড়া এখানে প্রাকৃতিকভাবে বেশ কিছু গাছ বেড়ে উঠেছে। গত ৩০ নভেম্বর হাওরের মালাম বিলের দক্ষিণ পাশের ও সাতবিলার উত্তর পাশের প্রায় ৫ একর জমি থেকে জলজ বৃক্ষ কেটে ধান চাষের জন্য জমি তৈরি করার খবর পান হাল্লা ফরেস্ট ক্যাম্পের কর্মকর্তা। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গাছ কেটে জমি তৈরি ও বোরো আবাদের প্রমাণ পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনায় চার-পাঁচ লাখ টাকার গাছ ধ্বংস করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। প্রায় ৭ মাস আগে হাকালুকি হাওরের মালাম বিলের দক্ষিণ-পূর্ব পাশের খাসজমি থেকেও কয়েক হাজার গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছিল।
এই ঘটনায় পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ব্যবস্থাপনা বিধিমালায় সাতজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। ওই মামলা এখন তদন্তাধীন রয়েছে।
তপন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘চলতি বছরের মে মাসে কয়েক হাজার জলজ বৃক্ষ ধ্বংস করে ট্রাক্টর দিয়ে জমি তৈরি করা হয়। সেই জায়গার অন্য পাশের প্রায় ৫ একর ভূমিতে এবার চার-পাঁচ লাখ টাকার গাছ উপড়িয়ে বোরো ধান লাগানো হয়েছে। আগের ঘটনায় অভিযুক্ত কয়েকজন এবারও গাছ কাটায় জড়িত আছেন।’
পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম রোববার দুপুরে বলেন, ‘গত শনিবার সরেজমিন পরিদর্শন (হাওরের যেখানে গাছ কাটা হয়েছে) করেছি। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, এখানে প্রায় ৬০০ গাছ কাটা হয়েছে। ওই জায়গায় লাল ফ্ল্যাগ বসানো হয়েছে, যাতে আর কেউ এই এলাকায় ঢুকতে না পারে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা বলেন, ‘গাছ কাটার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বড়লেখা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। খাসজমির বনের ভেতরে জমি তৈরি করে বোরো ধানের চারা লাগানোর আলামত পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা যেহেতু পরিবেশ অধিদপ্তরের আওতাধীন, তারা নিয়মিত মামলা করবে। এর আগেও গাছ কাটার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছিল।’
বড়লেখা উপজেলার হাকালুকি হাওরে হিজল-করচসহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজ বৃক্ষ নিধনের পর সেই জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। আবার কোথাও বোরো ধান চাষের জন্য ট্রাক্টর দিয়ে জমি তৈরির কাজ চলছে।
হাওরের মালাম বিলের দক্ষিণ পাশের ও সাতবিলার উত্তর পাশের প্রায় ৫ একর জমি থেকে এই গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, মালাম বিলের দক্ষিণ পাশের ও সাতবিলার উত্তর পাশের জমি থেকে প্রায় ৬০০ গাছ কাটা হয়েছে। এর আগে প্রায় ৭ মাস আগে হাকালুকি হাওরের মালাম বিলের দক্ষিণ-পূর্ব পাশের খাসজমি থেকেও কয়েক হাজার গাছ কাটা হয়।
এদিকে গাছ কাটার ঘটনায় গত বুধবার বড়লেখা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন হাল্লা ফরেস্ট ক্যাম্পের কর্মকর্তা জুনিয়র ওয়াইল্ড লাইফ স্কাউট তপন চন্দ্র দেবনাথ। এতে ৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযুক্তরা হলেন বড়লেখা উপজেলার বর্ণি ইউনিয়নের কাজিরবন্দ গ্রামের পারভেজ আহমদ, রিয়াজ আলী, নাজিম উদ্দিন, গফুর উদ্দিন, হান্নান, জয়নাল, মালেক ও সুরুজ আলী এবং কাজিরবন্দ গ্রামের মোশাইদ আলী।
এদিকে হাওরের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যেখানে গাছ লাগানোর কথা, সেখানে সরকারি খাসজমি থেকে গাছ কেটে অবৈধ দখলদারেরা ধান চাষ করায় পরিবেশবিদসহ স্থানীয় বিভিন্ন মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালে হাকালুকি হাওরে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের উদ্যোগে হিজল-করচসহ বিভিন্ন প্রজাতির জলজ গাছ লাগানো হয়। এ ছাড়া এখানে প্রাকৃতিকভাবে বেশ কিছু গাছ বেড়ে উঠেছে। গত ৩০ নভেম্বর হাওরের মালাম বিলের দক্ষিণ পাশের ও সাতবিলার উত্তর পাশের প্রায় ৫ একর জমি থেকে জলজ বৃক্ষ কেটে ধান চাষের জন্য জমি তৈরি করার খবর পান হাল্লা ফরেস্ট ক্যাম্পের কর্মকর্তা। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গাছ কেটে জমি তৈরি ও বোরো আবাদের প্রমাণ পেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনায় চার-পাঁচ লাখ টাকার গাছ ধ্বংস করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। প্রায় ৭ মাস আগে হাকালুকি হাওরের মালাম বিলের দক্ষিণ-পূর্ব পাশের খাসজমি থেকেও কয়েক হাজার গাছ কাটার ঘটনা ঘটেছিল।
এই ঘটনায় পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। পরিবেশ সংরক্ষণ আইন এবং প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ব্যবস্থাপনা বিধিমালায় সাতজনকে আসামি করে মামলা করা হয়। ওই মামলা এখন তদন্তাধীন রয়েছে।
তপন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, ‘চলতি বছরের মে মাসে কয়েক হাজার জলজ বৃক্ষ ধ্বংস করে ট্রাক্টর দিয়ে জমি তৈরি করা হয়। সেই জায়গার অন্য পাশের প্রায় ৫ একর ভূমিতে এবার চার-পাঁচ লাখ টাকার গাছ উপড়িয়ে বোরো ধান লাগানো হয়েছে। আগের ঘটনায় অভিযুক্ত কয়েকজন এবারও গাছ কাটায় জড়িত আছেন।’
পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম রোববার দুপুরে বলেন, ‘গত শনিবার সরেজমিন পরিদর্শন (হাওরের যেখানে গাছ কাটা হয়েছে) করেছি। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, এখানে প্রায় ৬০০ গাছ কাটা হয়েছে। ওই জায়গায় লাল ফ্ল্যাগ বসানো হয়েছে, যাতে আর কেউ এই এলাকায় ঢুকতে না পারে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
পরিবেশ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা বলেন, ‘গাছ কাটার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বড়লেখা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতাউর রহমান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। খাসজমির বনের ভেতরে জমি তৈরি করে বোরো ধানের চারা লাগানোর আলামত পাওয়া গেছে। এই বিষয়ে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা যেহেতু পরিবেশ অধিদপ্তরের আওতাধীন, তারা নিয়মিত মামলা করবে। এর আগেও গাছ কাটার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছিল।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে