শিপুল ইসলাম, তারাগঞ্জ
তারাগঞ্জ উপজেলার রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার অংশে নিয়ম লঙ্ঘন করে চলছে ধান ও খড় শুকানোর কাজ। এতে সড়কটি সংকুচিত হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও সচেতন ব্যক্তিরা।
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক একটি ব্যস্ততম সড়ক। ওই সড়ক দিয়ে দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী ও রংপুর জেলার মানুষ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। বর্তমানে দিগন্তজোড়া মাঠজুড়ে পেকেছে আগাম জাতের বোরো ধান। মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার অংশ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার পাকা সড়কগুলোতে বোরো ধান মাড়াই, খড় ও ধান শুকানোর কাজে ব্যবহার করছেন কৃষকেরা।
গতকাল সোমবার বেলা দুইটার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের বরাতি সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের দুই ধারে আধা কিলোমিটার অংশে ধান ও খড় শুকানো হচ্ছে। সেই খড় ও ধানের পাশ দিয়ে ছুটে চলছে দ্রুত গতির যানবাহন। ধান ও খড় শুকানোয় সড়ক হয়ে পড়েছে সংকীর্ণ। ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
ইকরচালী বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় ওই সড়কের ট্রাকের চালক সামিউল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘তারাগঞ্জ উপজেলায় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কৃষকেরা ধান ও খড় শুকানোয় নির্দিষ্ট গতিতে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে ধানের ভেজা খড়ের ওপর দিয়ে ট্রাক চালানো খুব ঝুঁকিপূর্ণ। মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মানুষ মরলে ড্রাইভারদের সবাই দোষ করেন। কিন্তু সড়কের ওপর যে অবৈধভাবে ধান শুকানো হচ্ছে সে দিকে কেউ দেখছে না।’
ওই সড়কে যাতায়াতকারী আরেক ট্রাক চালক কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কের অর্ধেক অংশজুড়ে ধান শুকাতে দেওয়া হচ্ছে। ধান নেড়ে দেওয়ার সময় অনেকে গাড়ির সামনে এসে যায়। হর্ন দিলেও শোনে না। নিষেধ করলে মানে না, উল্টাপাল্টা কথা বলে। এভাবে চলতে থাকলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
মোটরসাইকেল আরোহী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ভাই মহাসড়কে এই ১২ কিলোমিটার অংশে মাসে কমপক্ষে ৬-৭টি দুর্ঘটনা ঘটে। ধান আর খড় শুকানোয় সড়ক সরু হয়ে গেছে। বাইক নিয়া যাওয়ার সময় বড় বাস ট্রাক গা ঘেঁষে চলে যাচ্ছে। প্রতি বছর বোরো মৌসুমে সড়কে ঝুঁকি নিয়ে ধান মাড়াই, খড় ও ধান শুকানো হয়। এ জন্য জীবনের ঝুঁকি হাতে নিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে।’
রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের বালাপাড়া এলাকায় সড়কের ওপর ধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত দুই নারী। তাঁদের গা ঘেঁষে চলেছে দূরপাল্লার যান। কাছে গিয়ে নাম জিজ্ঞেস করতেই বলেন একজনের নাম ওসপেয়ারা বেগম, আরেকজনের নাম নুর জাহান। কথা হলে ওসপেয়ারা বেগম বলেন, ‘আমরা কাজে আলছি। ধান আর খড় হামার নোয়ায়। এ্যালা আকাশের যে অবস্থা কখন পানি হয় তাঁর ঠিক নাই। ওই তকনে (এ কারণে) সড়কোত ধান নাড়ি (শুকাতে) দিছি টপাস (তাড়াতাড়ি) করি শুকাইবে।’
ওই সড়কে খড় উল্টাচ্ছিলেন শরিফুল নামের এক কৃষক। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকবার বোরো ধানের খড় পানিত পচি যায়। এবারও দেওয়ার (আকাশের) পানি হওছে। পাকা সড়কোত তাড়াতাড়ি ধান, খড় শুকায়। এটে ঝুঁকি আছে কিন্তু হামরা সাবধানে থাকি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহাবুব মোর্শেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কে ধান শুকানো ঠিক নয়। শিগগিরই কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
তারাগঞ্জ উপজেলার রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার অংশে নিয়ম লঙ্ঘন করে চলছে ধান ও খড় শুকানোর কাজ। এতে সড়কটি সংকুচিত হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও সচেতন ব্যক্তিরা।
বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক একটি ব্যস্ততম সড়ক। ওই সড়ক দিয়ে দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী ও রংপুর জেলার মানুষ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করেন। বর্তমানে দিগন্তজোড়া মাঠজুড়ে পেকেছে আগাম জাতের বোরো ধান। মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার অংশ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার পাকা সড়কগুলোতে বোরো ধান মাড়াই, খড় ও ধান শুকানোর কাজে ব্যবহার করছেন কৃষকেরা।
গতকাল সোমবার বেলা দুইটার দিকে রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের বরাতি সেতু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের দুই ধারে আধা কিলোমিটার অংশে ধান ও খড় শুকানো হচ্ছে। সেই খড় ও ধানের পাশ দিয়ে ছুটে চলছে দ্রুত গতির যানবাহন। ধান ও খড় শুকানোয় সড়ক হয়ে পড়েছে সংকীর্ণ। ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
ইকরচালী বাসস্ট্যান্ডে কথা হয় ওই সড়কের ট্রাকের চালক সামিউল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘তারাগঞ্জ উপজেলায় মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে কৃষকেরা ধান ও খড় শুকানোয় নির্দিষ্ট গতিতে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। বিশেষ করে ধানের ভেজা খড়ের ওপর দিয়ে ট্রাক চালানো খুব ঝুঁকিপূর্ণ। মহাসড়কে দুর্ঘটনায় মানুষ মরলে ড্রাইভারদের সবাই দোষ করেন। কিন্তু সড়কের ওপর যে অবৈধভাবে ধান শুকানো হচ্ছে সে দিকে কেউ দেখছে না।’
ওই সড়কে যাতায়াতকারী আরেক ট্রাক চালক কবিরুল ইসলাম বলেন, ‘সড়কের অর্ধেক অংশজুড়ে ধান শুকাতে দেওয়া হচ্ছে। ধান নেড়ে দেওয়ার সময় অনেকে গাড়ির সামনে এসে যায়। হর্ন দিলেও শোনে না। নিষেধ করলে মানে না, উল্টাপাল্টা কথা বলে। এভাবে চলতে থাকলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’
মোটরসাইকেল আরোহী আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘ভাই মহাসড়কে এই ১২ কিলোমিটার অংশে মাসে কমপক্ষে ৬-৭টি দুর্ঘটনা ঘটে। ধান আর খড় শুকানোয় সড়ক সরু হয়ে গেছে। বাইক নিয়া যাওয়ার সময় বড় বাস ট্রাক গা ঘেঁষে চলে যাচ্ছে। প্রতি বছর বোরো মৌসুমে সড়কে ঝুঁকি নিয়ে ধান মাড়াই, খড় ও ধান শুকানো হয়। এ জন্য জীবনের ঝুঁকি হাতে নিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে।’
রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়কের বালাপাড়া এলাকায় সড়কের ওপর ধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত দুই নারী। তাঁদের গা ঘেঁষে চলেছে দূরপাল্লার যান। কাছে গিয়ে নাম জিজ্ঞেস করতেই বলেন একজনের নাম ওসপেয়ারা বেগম, আরেকজনের নাম নুর জাহান। কথা হলে ওসপেয়ারা বেগম বলেন, ‘আমরা কাজে আলছি। ধান আর খড় হামার নোয়ায়। এ্যালা আকাশের যে অবস্থা কখন পানি হয় তাঁর ঠিক নাই। ওই তকনে (এ কারণে) সড়কোত ধান নাড়ি (শুকাতে) দিছি টপাস (তাড়াতাড়ি) করি শুকাইবে।’
ওই সড়কে খড় উল্টাচ্ছিলেন শরিফুল নামের এক কৃষক। তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকবার বোরো ধানের খড় পানিত পচি যায়। এবারও দেওয়ার (আকাশের) পানি হওছে। পাকা সড়কোত তাড়াতাড়ি ধান, খড় শুকায়। এটে ঝুঁকি আছে কিন্তু হামরা সাবধানে থাকি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহাবুব মোর্শেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মহাসড়কে ধান শুকানো ঠিক নয়। শিগগিরই কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে