নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রামপুরায় শিক্ষার্থী নিহতের বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে গতকাল বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেন আশপাশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বেলা ১১টা থেকে রামপুরা, বাড্ডাসহ বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন জরুরি পরিবহন চলাচলে সহযোগিতা করেন। হাফ ভাড়া দেওয়ার শর্ত মানা অনেক গণপরিবহনও ছাড়তে দেখা গেছে।
অবরোধে আটকে পড়া মানুষ ভোগান্তির শিকার হলেও ছাত্রদের প্রতি ক্ষোভ নেই কারও। বরং ছাত্রদের আন্দোলনকে যৌক্তিক বলছেন তাঁরা। রামপুরা টিভি সেন্টারের সামনে শফিউল ইসলাম বলেন, ওমরায় যাওয়ার জন্য বসুন্ধরায় গিয়েছিলেন করোনা টেস্ট করাতে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে হেঁটে ফিরতে হচ্ছে। কষ্ট হলেও তিনি চান, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরুক।
ফারুক হোসেন নামের আরেক পথচারী বলেন, সংসদ, প্রেসক্লাব কোথাও দাঁড়িয়ে দাবি আদায় করা যায় না। কিন্তু ছাত্ররা দেখিয়েছে, রাস্তায় নেমে কীভাবে দাবি আদায় করতে হয়। এতে কষ্ট হলেও তাঁদের সঙ্গে আছেন।
এদিকে গতকাল বেলা ১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রামপুরা ব্রিজ এলাকায় লাইসেন্স না থাকায় পুলিশের একটি গাড়ি আটক করেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, লাইসেন্স দেখতে চাইলে এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দেন গাড়িতে থাকা এক পুলিশ সদস্য। এতে খিলগাঁও আইডিয়াল কলেজের ওই শিক্ষার্থী পড়ে গেলে হাত কেটে যায়।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশের গাড়িতে উঠে স্লোগান দেন। পরে খিলগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) নুরে আলম শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন এবং গাড়িচালককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স নেই। গাড়িটিতে কোনো নম্বর প্লেট নেই। শুধু ইঞ্জিন নম্বর লেখা। সড়কে যাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, সেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স না থাকলে নিরাপদ সড়ক কীভাবে হবে।
এডিসি নুরে আলম জানান, পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স না থাকায় শিক্ষার্থীরা গাড়িটিকে আটক করেছেন। তবে শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশের যথেষ্ট উপস্থিতি ছিল।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মূল সড়কের পাশাপাশি হাতিরঝিলের সড়কও বন্ধ করে দেন। ফলে অনেকেই হেঁটে গন্তব্যে যান। আবার অনেকেই ওয়াটার ট্যাক্সিতে ওঠেন।
ওয়াটার ট্যাক্সির রামপুরা কাউন্টারের কাউন্টার মাস্টার রাজু আহমেদ জানান, ছাত্রদের আন্দোলনের কারণে গত দুই দিন ধরে যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। চাপ বাড়ায় টিকিটের জন্য দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। অতিরিক্ত দুটি বোট নামিয়েও যাত্রীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয়।
বনশ্রী এলাকার হেলেনা মাহমুদ জানান, পান্থপথের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হাতিরঝিলের বাস ও ওয়াটার ট্যাক্সি ব্যবহার করেন। কিন্তু ছাত্রদের আন্দোলনের কারণে রাস্তায় গাড়ি নেই। ৩০ মিনিট অপেক্ষার পর ওয়াটার ট্যাক্সিতে উঠতে পেরেছেন।
এদিকে, গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গতকাল সকালে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রুট পারমিটবিহীন বাস ও পারমিটবিহীন রুটে চলাচলকারী বাসের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে নামে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি), বিআরটিএ ও ডিএমপি। অভিযানের খবরে গুলিস্তান, মতিঝিল এলাকায় থাকা কাগজপত্রহীন গাড়িগুলো সটকে পড়ে। ভ্রাম্যমাণ আদালত বিকেল পর্যন্ত কাগজপত্রহীন কোনো গাড়ি পাননি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সামাদ জানান, ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ কমিটির ১৯তম সভার সিদ্ধান্তের আলোকে এ অভিযান চালানো হয়।
রামপুরায় শিক্ষার্থী নিহতের বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে গতকাল বুধবার দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ করেন আশপাশের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বেলা ১১টা থেকে রামপুরা, বাড্ডাসহ বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। তবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অ্যাম্বুলেন্সসহ বিভিন্ন জরুরি পরিবহন চলাচলে সহযোগিতা করেন। হাফ ভাড়া দেওয়ার শর্ত মানা অনেক গণপরিবহনও ছাড়তে দেখা গেছে।
অবরোধে আটকে পড়া মানুষ ভোগান্তির শিকার হলেও ছাত্রদের প্রতি ক্ষোভ নেই কারও। বরং ছাত্রদের আন্দোলনকে যৌক্তিক বলছেন তাঁরা। রামপুরা টিভি সেন্টারের সামনে শফিউল ইসলাম বলেন, ওমরায় যাওয়ার জন্য বসুন্ধরায় গিয়েছিলেন করোনা টেস্ট করাতে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে হেঁটে ফিরতে হচ্ছে। কষ্ট হলেও তিনি চান, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরুক।
ফারুক হোসেন নামের আরেক পথচারী বলেন, সংসদ, প্রেসক্লাব কোথাও দাঁড়িয়ে দাবি আদায় করা যায় না। কিন্তু ছাত্ররা দেখিয়েছে, রাস্তায় নেমে কীভাবে দাবি আদায় করতে হয়। এতে কষ্ট হলেও তাঁদের সঙ্গে আছেন।
এদিকে গতকাল বেলা ১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা রামপুরা ব্রিজ এলাকায় লাইসেন্স না থাকায় পুলিশের একটি গাড়ি আটক করেন। শিক্ষার্থীদের দাবি, লাইসেন্স দেখতে চাইলে এক শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দেন গাড়িতে থাকা এক পুলিশ সদস্য। এতে খিলগাঁও আইডিয়াল কলেজের ওই শিক্ষার্থী পড়ে গেলে হাত কেটে যায়।
এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা পুলিশের গাড়িতে উঠে স্লোগান দেন। পরে খিলগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) নুরে আলম শিক্ষার্থীদের শান্ত করেন এবং গাড়িচালককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স নেই। গাড়িটিতে কোনো নম্বর প্লেট নেই। শুধু ইঞ্জিন নম্বর লেখা। সড়কে যাদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা, সেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাড়ি ও চালকের লাইসেন্স না থাকলে নিরাপদ সড়ক কীভাবে হবে।
এডিসি নুরে আলম জানান, পুলিশের গাড়ির লাইসেন্স না থাকায় শিক্ষার্থীরা গাড়িটিকে আটক করেছেন। তবে শিক্ষার্থীকে ধাক্কা দেওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়।
রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশের যথেষ্ট উপস্থিতি ছিল।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মূল সড়কের পাশাপাশি হাতিরঝিলের সড়কও বন্ধ করে দেন। ফলে অনেকেই হেঁটে গন্তব্যে যান। আবার অনেকেই ওয়াটার ট্যাক্সিতে ওঠেন।
ওয়াটার ট্যাক্সির রামপুরা কাউন্টারের কাউন্টার মাস্টার রাজু আহমেদ জানান, ছাত্রদের আন্দোলনের কারণে গত দুই দিন ধরে যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে। চাপ বাড়ায় টিকিটের জন্য দীর্ঘ সারি তৈরি হয়। অতিরিক্ত দুটি বোট নামিয়েও যাত্রীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হয়।
বনশ্রী এলাকার হেলেনা মাহমুদ জানান, পান্থপথের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হাতিরঝিলের বাস ও ওয়াটার ট্যাক্সি ব্যবহার করেন। কিন্তু ছাত্রদের আন্দোলনের কারণে রাস্তায় গাড়ি নেই। ৩০ মিনিট অপেক্ষার পর ওয়াটার ট্যাক্সিতে উঠতে পেরেছেন।
এদিকে, গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গতকাল সকালে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী রুট পারমিটবিহীন বাস ও পারমিটবিহীন রুটে চলাচলকারী বাসের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে নামে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি), বিআরটিএ ও ডিএমপি। অভিযানের খবরে গুলিস্তান, মতিঝিল এলাকায় থাকা কাগজপত্রহীন গাড়িগুলো সটকে পড়ে। ভ্রাম্যমাণ আদালত বিকেল পর্যন্ত কাগজপত্রহীন কোনো গাড়ি পাননি।
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুস সামাদ জানান, ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ কমিটির ১৯তম সভার সিদ্ধান্তের আলোকে এ অভিযান চালানো হয়।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে