রানা আব্বাস, কলম্বো থেকে
নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন আর শেখ মেহেদী হাসান গতকাল দুপুরে একসঙ্গে খেতে বেরিয়েছিলেন। আফিফ-মেহেদীকে তবু স্বাভাবিক দেখাল। কিন্তু নাঈমকে আক্ষরিক অর্থেই বিধ্বস্ত মনে হলো। কলম্বোর সব মেঘ যেন নেমে এসেছে তাঁর মুখাবয়বে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই যুগে আরেকটি যন্ত্রণা হচ্ছে ট্রলিং। কেউ ধারাবাহিক ব্যর্থ হলে তাঁকে নিয়ে ট্রল হয় অতি বিষাক্ত। সেই বিষে নীল নাঈমের মনে এখন নাজমুল হোসেন শান্তর সেই অনুভূতিই হয়তো হচ্ছে। শান্ত যখন এমন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন, এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, তিনি যেন নিজের দেশের বিরুদ্ধে খেলছেন!
চারদিকে নাঈম আর দলকে নিয়ে যে আলোচনা-সমালোচনা, তাতে বেশ বিরক্ত আবদুর রাজ্জাক। সাবেক বাঁহাতি স্পিনার, বর্তমানে বিসিবির নির্বাচক গতকাল কলম্বোয় সমালোচকদের একহাতই নিলেন, ‘সমালোচনা তো থাকবেই। আপনারা তো সমালোচনার জন্যই আছেন, সমালোচনা তো করবেনই।
কিন্তু বুঝলে সমালোচনা করার কথা না। এখন না বুঝে করলে কিছু বলার নাই।’ এরপর রাজ্জাক ঝাঁজালো কণ্ঠেই বললেন, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে, সমালোচনার পথটা ভুল। আমি শুনছি, তাকে (নাঈম) নিয়ে যা-তা বলা হচ্ছে। (দলে) না নেওয়ার মতো তো কোনো কিছু সে করেনি। জাতীয় দলে খেলার মতো কাজই সে করেছে। এখানে সে ক্লিক করতে পারেনি। তার অতীত রেকর্ড যে খুব একটা খারাপ, তা না।
যখন আন্তর্জাতিক আঙিনায় সে পরিচিত হয়েছে, তখন সে এতটা খারাপ ছিল না। তার মানে এই না যে ওকে ছুড়ে ফেলা হবে, ওর ওপর চাপ তৈরি করা হবে। একটা খেলোয়াড় যখন জাতীয় দলে খেলে বা অন্য যেকোনো পর্যায়ে খেলে...সে খারাপ খেললে কিন্তু নিজেই বোঝে।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো না করলে চাপে পড়ে না কোন ক্রিকেটার? সমালোচনা হয় না কোন দলকে নিয়ে? রাজ্জাক তা মানছেন। এখানে রাজ্জাকের চাওয়া, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যেহেতু তীব্র চাপের। এর সঙ্গে আর বাড়তি কোনো চাপ যেন চাপিয়ে না দেওয়া হয়।
বিসিবির নির্বাচক বলছেন, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচ মানেই চাপ। কাউকে কিছু বলতে হবে না। অতিরিক্ত যে আমরা চাপিয়ে দিচ্ছি, এটা না দেওয়াই ভালো। আমি যখন ভালো খেলব না, তখন আমার চেয়ে বেশি চাপে আর কেউ থাকবে না। মিডিয়ার চাপ তো থাকবেই। তবে একটা মাত্রা থাকা উচিত।’
এশিয়া কাপে চার ম্যাচের তিনটিতে হারের পর দল নির্বাচন নিয়ে যে প্রশ্ন, এবার সমালোচকদের দিকেই আর্মার ছুড়লেন রাজ্জাক, ‘টুর্নামেন্ট শুরুর আগে, খেলার আগেই আমরা দেশে কত খেলা খেলে এলাম। ওরাও (খেলোয়াড়) তো মানুষ। ওরা খেলতে নেমে চাপে পড়তে পারে, ওদের ভয় লাগতে পারে।
এ কেন নেই, ও কেন আছে। ওকে কেন নেওয়া হলো। যে আছে দলে, তাকে উৎসাহিত না করে তার ওপর উল্টো চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছি। কতটা বাংলাদেশের ভালো চাচ্ছি, সেটাও দেখার বিষয়।’ ওপেনিং কিংবা লোয়ার মিডল অর্ডারে কে কেন খেলছেন—এ ধরনের প্রশ্নেও বিরক্তি রাজ্জাকের, ‘একমাত্র আমরাই শুধু ওপেনিং, সাতে, আটে, দশে কে খেলবে; সবারই এই চিন্তা—পৃথিবীতে কোথাও শুনিনি আগে, পরে। যখন যেখানে যাকে দরকার, সে সেখানে খেলবে।’
অনেকে এই দলে অভিজ্ঞতার ঘাটতি দেখছেন। কিন্তু রাজ্জাক তা মনে করেন না। তাঁর যুক্তি, ‘সবারই সামর্থ্য আছে। এই এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ দিয়ে আমাদের শেষ না। আমাদের সামনেও তাকাতে হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এটাই সঠিক সময় কি না। কিন্তু কিছু খেলোয়াড়ের জন্য আমাদের সুযোগ তৈরি করতে হবে।’
সবার সামর্থ্য থাকলে দল এভাবে ধারাবাহিক ব্যর্থ হচ্ছে কেন, এ প্রশ্নে রাজ্জাকের ব্যাখ্যা, ‘সঠিক সমন্বয় নিয়েই এসেছি। হয়তো ফল আশানুরূপ হয়নি। আশানুরূপ না হলেও ফল যে সঠিক সমন্বয় হবে না, সেটা ঠিক না। হয়তো ক্লিক করেনি।’
গতকাল প্রেমাদাসায় আবার দেখা হলো শ্রীধরন শ্রীরামের সঙ্গে। বাংলাদেশ দলের সাবেক এ কোচ শান্ত-হৃদয়দের নিয়ে বিশ্বকাপে আশাবাদী, ‘ফল হতাশাজনক (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে)। তবে এখনই তরুণ খেলোয়াড়দের সমর্থন দেওয়ার ভালো সময়। এদের নিয়ে বিশ্বকাপে অনেক আশা। আশা করি বাংলাদেশ কোয়ালিফাইও করতে পারবে (শেষ চারে।)’
নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন আর শেখ মেহেদী হাসান গতকাল দুপুরে একসঙ্গে খেতে বেরিয়েছিলেন। আফিফ-মেহেদীকে তবু স্বাভাবিক দেখাল। কিন্তু নাঈমকে আক্ষরিক অর্থেই বিধ্বস্ত মনে হলো। কলম্বোর সব মেঘ যেন নেমে এসেছে তাঁর মুখাবয়বে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই যুগে আরেকটি যন্ত্রণা হচ্ছে ট্রলিং। কেউ ধারাবাহিক ব্যর্থ হলে তাঁকে নিয়ে ট্রল হয় অতি বিষাক্ত। সেই বিষে নীল নাঈমের মনে এখন নাজমুল হোসেন শান্তর সেই অনুভূতিই হয়তো হচ্ছে। শান্ত যখন এমন কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন, এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, তিনি যেন নিজের দেশের বিরুদ্ধে খেলছেন!
চারদিকে নাঈম আর দলকে নিয়ে যে আলোচনা-সমালোচনা, তাতে বেশ বিরক্ত আবদুর রাজ্জাক। সাবেক বাঁহাতি স্পিনার, বর্তমানে বিসিবির নির্বাচক গতকাল কলম্বোয় সমালোচকদের একহাতই নিলেন, ‘সমালোচনা তো থাকবেই। আপনারা তো সমালোচনার জন্যই আছেন, সমালোচনা তো করবেনই।
কিন্তু বুঝলে সমালোচনা করার কথা না। এখন না বুঝে করলে কিছু বলার নাই।’ এরপর রাজ্জাক ঝাঁজালো কণ্ঠেই বললেন, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে, সমালোচনার পথটা ভুল। আমি শুনছি, তাকে (নাঈম) নিয়ে যা-তা বলা হচ্ছে। (দলে) না নেওয়ার মতো তো কোনো কিছু সে করেনি। জাতীয় দলে খেলার মতো কাজই সে করেছে। এখানে সে ক্লিক করতে পারেনি। তার অতীত রেকর্ড যে খুব একটা খারাপ, তা না।
যখন আন্তর্জাতিক আঙিনায় সে পরিচিত হয়েছে, তখন সে এতটা খারাপ ছিল না। তার মানে এই না যে ওকে ছুড়ে ফেলা হবে, ওর ওপর চাপ তৈরি করা হবে। একটা খেলোয়াড় যখন জাতীয় দলে খেলে বা অন্য যেকোনো পর্যায়ে খেলে...সে খারাপ খেললে কিন্তু নিজেই বোঝে।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভালো না করলে চাপে পড়ে না কোন ক্রিকেটার? সমালোচনা হয় না কোন দলকে নিয়ে? রাজ্জাক তা মানছেন। এখানে রাজ্জাকের চাওয়া, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যেহেতু তীব্র চাপের। এর সঙ্গে আর বাড়তি কোনো চাপ যেন চাপিয়ে না দেওয়া হয়।
বিসিবির নির্বাচক বলছেন, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচ মানেই চাপ। কাউকে কিছু বলতে হবে না। অতিরিক্ত যে আমরা চাপিয়ে দিচ্ছি, এটা না দেওয়াই ভালো। আমি যখন ভালো খেলব না, তখন আমার চেয়ে বেশি চাপে আর কেউ থাকবে না। মিডিয়ার চাপ তো থাকবেই। তবে একটা মাত্রা থাকা উচিত।’
এশিয়া কাপে চার ম্যাচের তিনটিতে হারের পর দল নির্বাচন নিয়ে যে প্রশ্ন, এবার সমালোচকদের দিকেই আর্মার ছুড়লেন রাজ্জাক, ‘টুর্নামেন্ট শুরুর আগে, খেলার আগেই আমরা দেশে কত খেলা খেলে এলাম। ওরাও (খেলোয়াড়) তো মানুষ। ওরা খেলতে নেমে চাপে পড়তে পারে, ওদের ভয় লাগতে পারে।
এ কেন নেই, ও কেন আছে। ওকে কেন নেওয়া হলো। যে আছে দলে, তাকে উৎসাহিত না করে তার ওপর উল্টো চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছি। কতটা বাংলাদেশের ভালো চাচ্ছি, সেটাও দেখার বিষয়।’ ওপেনিং কিংবা লোয়ার মিডল অর্ডারে কে কেন খেলছেন—এ ধরনের প্রশ্নেও বিরক্তি রাজ্জাকের, ‘একমাত্র আমরাই শুধু ওপেনিং, সাতে, আটে, দশে কে খেলবে; সবারই এই চিন্তা—পৃথিবীতে কোথাও শুনিনি আগে, পরে। যখন যেখানে যাকে দরকার, সে সেখানে খেলবে।’
অনেকে এই দলে অভিজ্ঞতার ঘাটতি দেখছেন। কিন্তু রাজ্জাক তা মনে করেন না। তাঁর যুক্তি, ‘সবারই সামর্থ্য আছে। এই এশিয়া কাপ, বিশ্বকাপ দিয়ে আমাদের শেষ না। আমাদের সামনেও তাকাতে হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, এটাই সঠিক সময় কি না। কিন্তু কিছু খেলোয়াড়ের জন্য আমাদের সুযোগ তৈরি করতে হবে।’
সবার সামর্থ্য থাকলে দল এভাবে ধারাবাহিক ব্যর্থ হচ্ছে কেন, এ প্রশ্নে রাজ্জাকের ব্যাখ্যা, ‘সঠিক সমন্বয় নিয়েই এসেছি। হয়তো ফল আশানুরূপ হয়নি। আশানুরূপ না হলেও ফল যে সঠিক সমন্বয় হবে না, সেটা ঠিক না। হয়তো ক্লিক করেনি।’
গতকাল প্রেমাদাসায় আবার দেখা হলো শ্রীধরন শ্রীরামের সঙ্গে। বাংলাদেশ দলের সাবেক এ কোচ শান্ত-হৃদয়দের নিয়ে বিশ্বকাপে আশাবাদী, ‘ফল হতাশাজনক (শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে)। তবে এখনই তরুণ খেলোয়াড়দের সমর্থন দেওয়ার ভালো সময়। এদের নিয়ে বিশ্বকাপে অনেক আশা। আশা করি বাংলাদেশ কোয়ালিফাইও করতে পারবে (শেষ চারে।)’
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
১ ঘণ্টা আগেএকদিন ভোরবেলা জাকারবার্গ লক্ষ করলেন যে পৃথিবীতে একটা ছোট্ট দেশে তাঁর সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হচ্ছে। সামনের ফ্লোরটায় দেখলেন দেশটা ছোট বটে, কিন্তু জনসংখ্যা বেশি। আর এই দেশের জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। ফেসবুকে দেখতে পেলেন অসংখ্য বার্তা—সবই রাজনৈতিক এবং ছবিতে এ বিষয়ে বিপুল জনগণের
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২৩ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তাদের নেতা-কর্মীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র হামলা পরিচালনা করে অসংখ্য আন্দোলনকারীকে হত্যা ও অনেকের জীবন বি
২ ঘণ্টা আগেইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম রোমান্টিক কবি ছিলেন জন কিটস। কবিতা ছাড়া কিটস কোনো গদ্য লেখার চেষ্টা করেননি। তাঁর কাব্যজীবন ছিল মাত্র ছয় বছরের। অর্থাৎ উনিশ থেকে চব্বিশ বছর বয়স পর্যন্ত। মৃত্যুর মাত্র চার বছর আগে তাঁর কবিতাগুলো প্রকাশিত হয়। তৎকালীন সমালোচকদের দ্বারা কিটসের কবিতা খুব একটা আলোচিত হয়নি। তবে মৃত্য
২ ঘণ্টা আগে