সম্পাদকীয়
আমাদের দেশে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত রেলযাত্রা এখন আর মানুষের কাছে নিরাপদ নয়। বাস-ট্রাকের পাশাপাশি রেলেও নাশকতা চালানো হচ্ছে। মনে হচ্ছে, রেলই এখন নাশকতাকারীদের বড় লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। আজকের পত্রিকায় এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদসূত্রে জানা যায়, জামালপুরের সরিষাবাড়ীর শহীদনগর-বারইপটল স্টেশন এলাকায় রোববার গভীর রাতে রেললাইনের ফিশপ্লেট খুলে ফেলে নাশকতার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। অপরদিকে ফেনীতে একই দিনে দুপুর ১২টার দিকে রেললাইনের ১২টি ক্লিপ খুলে নাশকতার চেষ্টা করার সময় তিনজনকে ধাওয়া করেন আনসার সদস্যরা। যদিও কাউকে আটক করতে পারেননি তাঁরা।
এর আগে ১৯ ডিসেম্বর ভোরে বিমানবন্দর স্টেশনে থামা একটি ট্রেনে নাশকতাকারীরা আগুন লাগালে শিশুসহ চারজনের মৃত্যু এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। এতে ট্রেনের তিনটি বগি পুড়ে যায়।
একের পর এক আগুনের ঘটনা ঘটার পরও কেন ট্রেনে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? যদিও ২০ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় রেলপথগুলোয় সাড়ে আট হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি সারা দেশের সব স্টেশন, রেলপথ এবং ট্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বগিগুলোয় জরুরি ভিত্তিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগের কথা জানা গেছে। কিন্তু তারপরও কেন রেলপথে নাশকতা বন্ধ করা যাচ্ছে না?
একের পর এক ট্রেনে নাশকতার ঘটনা ঘটছে, কিন্তু এদিকে সরকারের কোনো জোরালো ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। এর আগের ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধী দলকে দায়ী করা হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকার নাশকতা করে হরতাল-অবরোধকারীদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। সেই সঙ্গে তারা বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছিল। সরকার ও বিরোধী দলের পারস্পরিক দোষারোপের মধ্যে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করা যাবে না। নাশকতা করে, সাধারণ মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করে সরকারের বিরোধিতা করা, কিংবা নাশকতা করে বিরোধীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া গণতন্ত্রের চর্চা হতে পারে না। আর যেকোনো ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দায়ী করা অসুস্থ রাজনীতিরই পরিচয়। অপর দিকে বিরোধী দল দাবি আদায়ে যে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি পালন করছে, সেসব ঘিরে যাতে কেউ নাশকতামূলক কাজ না করতে পারে, সেই সব বিষয়েও তাদের সর্বোচ্চ সজাগ থাকা জরুরি।
যারা ট্রেন-বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যাসহ দেশের সম্পদ ধ্বংস করে, তারা দেশ ও জনগণের শত্রু। কোনো পক্ষেরই উচিত হবে না রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এবং নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করতে এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ করা।
যেকোনো ঘটনায় মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব সরকারের। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যর্থতাই মেনে নেওয়া যায় না। সে জন্য যেভাবেই হোক, নাশকতাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। ভবিষ্যতে আর কোনো নিরীহ মানুষকে যেন রাজনৈতিক সংকটের বলি হতে না হয়, সে বিষয়টিও খেয়াল রাখা জরুরি।
আমাদের দেশে তুলনামূলকভাবে নিরাপদ হিসেবে বিবেচিত রেলযাত্রা এখন আর মানুষের কাছে নিরাপদ নয়। বাস-ট্রাকের পাশাপাশি রেলেও নাশকতা চালানো হচ্ছে। মনে হচ্ছে, রেলই এখন নাশকতাকারীদের বড় লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। আজকের পত্রিকায় এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
সংবাদসূত্রে জানা যায়, জামালপুরের সরিষাবাড়ীর শহীদনগর-বারইপটল স্টেশন এলাকায় রোববার গভীর রাতে রেললাইনের ফিশপ্লেট খুলে ফেলে নাশকতার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। অপরদিকে ফেনীতে একই দিনে দুপুর ১২টার দিকে রেললাইনের ১২টি ক্লিপ খুলে নাশকতার চেষ্টা করার সময় তিনজনকে ধাওয়া করেন আনসার সদস্যরা। যদিও কাউকে আটক করতে পারেননি তাঁরা।
এর আগে ১৯ ডিসেম্বর ভোরে বিমানবন্দর স্টেশনে থামা একটি ট্রেনে নাশকতাকারীরা আগুন লাগালে শিশুসহ চারজনের মৃত্যু এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। এতে ট্রেনের তিনটি বগি পুড়ে যায়।
একের পর এক আগুনের ঘটনা ঘটার পরও কেন ট্রেনে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? যদিও ২০ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত কোর কমিটির সভায় রেলপথগুলোয় সাড়ে আট হাজার আনসার সদস্য মোতায়েন করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি সারা দেশের সব স্টেশন, রেলপথ এবং ট্রেনের গুরুত্বপূর্ণ বগিগুলোয় জরুরি ভিত্তিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের উদ্যোগের কথা জানা গেছে। কিন্তু তারপরও কেন রেলপথে নাশকতা বন্ধ করা যাচ্ছে না?
একের পর এক ট্রেনে নাশকতার ঘটনা ঘটছে, কিন্তু এদিকে সরকারের কোনো জোরালো ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। এর আগের ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধী দলকে দায়ী করা হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সরকার নাশকতা করে হরতাল-অবরোধকারীদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। সেই সঙ্গে তারা বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়েছিল। সরকার ও বিরোধী দলের পারস্পরিক দোষারোপের মধ্যে প্রকৃত সত্যকে আড়াল করা যাবে না। নাশকতা করে, সাধারণ মানুষকে লক্ষ্যবস্তু করে সরকারের বিরোধিতা করা, কিংবা নাশকতা করে বিরোধীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া গণতন্ত্রের চর্চা হতে পারে না। আর যেকোনো ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দায়ী করা অসুস্থ রাজনীতিরই পরিচয়। অপর দিকে বিরোধী দল দাবি আদায়ে যে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি পালন করছে, সেসব ঘিরে যাতে কেউ নাশকতামূলক কাজ না করতে পারে, সেই সব বিষয়েও তাদের সর্বোচ্চ সজাগ থাকা জরুরি।
যারা ট্রেন-বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যাসহ দেশের সম্পদ ধ্বংস করে, তারা দেশ ও জনগণের শত্রু। কোনো পক্ষেরই উচিত হবে না রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এবং নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করতে এ ধরনের অপরাধমূলক কাজ করা।
যেকোনো ঘটনায় মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব সরকারের। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যর্থতাই মেনে নেওয়া যায় না। সে জন্য যেভাবেই হোক, নাশকতাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। ভবিষ্যতে আর কোনো নিরীহ মানুষকে যেন রাজনৈতিক সংকটের বলি হতে না হয়, সে বিষয়টিও খেয়াল রাখা জরুরি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে