আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা
বিনিয়োগকারী হারাচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার। শেয়ারের জিম্মাদার প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য বলছে, গত দুই বছরে বেনিফিশিয়ারি ওনার (বিও) হিসাব কমেছে সাড়ে ৬ লাখের বেশি। এর কারণ হিসেবে দেশের পুঁজিবাজারের দুর্বল অবস্থাকে দায়ী করেছেন বিশ্লেষকেরা।
পুঁজিবাজারে লেনদেনে একজন বিনিয়োগকারীর বিও হিসাব থাকতে হয়। এই হিসাবের মাধ্যমেই চলে শেয়ার কেনাবেচা। বিও হিসাব দিয়ে নিরূপণ করা যায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা।
সিডিবিএলের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের ৬ জুলাই পর্যন্ত দেশে বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭০৬টি। ২০২১ সালের একই দিনে এ সংখ্যাটি ছিল ২৫ লাখ ১২ হাজার ১টি। অর্থাৎ এই সময়ে বিও হিসাব বন্ধ হয়েছে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ২৯৫টি।
বন্ধ হওয়া বিও হিসাবের সবাই প্রকৃত বিনিয়োগকারী নন বলে মনে করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই সাড়ে ৬ লাখের বেশির ভাগই আইপিও শিকারি। হয়তো ৫০ হাজারের মতো প্রকৃত বিনিয়োগকারী হবেন, যাঁরা বিভিন্ন কারণে বাজার ছেড়েছেন।
পুঁজিবাজারে নতুন কোনো কোম্পানি এলে তাঁরা প্রাথমিক পাবলিক অফারিং বা আইপিওর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করেন। অতীতে লটারির মাধ্যমে আইপিওর শেয়ার বরাদ্দ করা হতো। ফলে কম দামে শেয়ার পেতে কয়েক বছর আগে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ বিপুলসংখ্যক বিও হিসাব পরিচালনা করতেন।
২০২০ সালে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আইপিওর নিয়মে পরিবর্তন আনে। লটারির মাধ্যমে শেয়ার বরাদ্দের বিপরীতে প্রো-রাটা ভিত্তিতে শেয়ার বরাদ্দের নিয়ম চালু করা হয়। অর্থাৎ আইপিওতে যতগুলো বিও হিসাবের মাধ্যমে আবেদন জমা পড়বে, তাদের সবার মাঝে সমানহারে শেয়ার বণ্টন করা হবে।
যেহেতু আইপিওতে বিপুলসংখ্যক বিনিয়োগকারী আবেদন করেন, সেহেতু সমানহারে বণ্টন ব্যবস্থার ফলে অল্পসংখ্যক শেয়ার পাওয়া যায়। এ ছাড়াও বিএসইসি শর্ত জুড়ে দেয় যে, পুঁজিবাজারে সেকেন্ডারি মার্কেটে যাদের ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকবে, তাঁরাই কেবল আইপিওতে আবেদন করতে পারবেন।
এই দুটি নিয়মের কারণে বিও হিসাব পরিচালনা অলাভজনক হয়ে দাঁড়ায়। তাই আইপিও শিকারিরা বাজার ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
শাকিল রিজভী বলেন, প্রো-রাটা পদ্ধতির কারণে অনেকেই বিও বন্ধ করে দিয়েছেন। এ ছাড়া আইপিও শিকারি অনেক ছোট বিনিয়োগকারীও বাজারে ছিলেন। পুঁজিবাজারে পুঁজির প্রয়োজন। জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির কারণে তাঁরা অনেকেই বাজার ছেড়ে যেতে পারেন।
লটারির পরিবর্তে প্রো-রাটা শেয়ার বরাদ্দ পদ্ধতি চালু করা বিএসইসির একটি ভালো পদক্ষেপ বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক। তাঁরা বলছেন, এর ফলে প্রকৃত বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়বে। দীর্ঘ সময়ের জন্য শেয়ার ধারণের মানসিকতা তৈরি এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে।
এদিকে গত কয়েক মাসে নতুন বিও হিসাব খোলার সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রোকারেজ হাউসসংশ্লিষ্টরা। এর কারণ, সেকেন্ডারি মার্কেট আর লাভজনক নয় বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এর জন্য দায়ী শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে পুঁজিবাজারে দরপতন ঠেকাতে গত বছরের জুলাইয়ের শেষে দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। এর ফলে সূচকের পতন ঠেকানো গেলেও শক্তিশালী মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলো ফ্লোরে আটকে রয়েছে।
ক্রেতাসংকটে লেনদেন হচ্ছে না। বিপরীতে দুর্বল ও লোকসানি কোম্পানির শেয়ারদর লাফাতে দেখা গেছে। গত দুই বছরে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতা নেই, ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ যেমন প্রয়োজন, তেমনি ট্রেডিং হওয়াও দরকার আছে। সেকেন্ডারি মার্কেটে তো কোনো ব্যবসা নেই। কেউ ক্যাপিটাল গেইন করতে পারছেন না। যাঁরা ট্রেডিং করেন তাঁরা অর্থ উপার্জন করতে পারছেন না। তাহলে নতুন বিনিয়োগকারীরা কীভাবে বাজারে আসবেন?
বিনিয়োগকারী হারাচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার। শেয়ারের জিম্মাদার প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) তথ্য বলছে, গত দুই বছরে বেনিফিশিয়ারি ওনার (বিও) হিসাব কমেছে সাড়ে ৬ লাখের বেশি। এর কারণ হিসেবে দেশের পুঁজিবাজারের দুর্বল অবস্থাকে দায়ী করেছেন বিশ্লেষকেরা।
পুঁজিবাজারে লেনদেনে একজন বিনিয়োগকারীর বিও হিসাব থাকতে হয়। এই হিসাবের মাধ্যমেই চলে শেয়ার কেনাবেচা। বিও হিসাব দিয়ে নিরূপণ করা যায় পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীর সংখ্যা।
সিডিবিএলের তথ্য অনুসারে, চলতি বছরের ৬ জুলাই পর্যন্ত দেশে বিও হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭০৬টি। ২০২১ সালের একই দিনে এ সংখ্যাটি ছিল ২৫ লাখ ১২ হাজার ১টি। অর্থাৎ এই সময়ে বিও হিসাব বন্ধ হয়েছে ৬ লাখ ৫৬ হাজার ২৯৫টি।
বন্ধ হওয়া বিও হিসাবের সবাই প্রকৃত বিনিয়োগকারী নন বলে মনে করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, এই সাড়ে ৬ লাখের বেশির ভাগই আইপিও শিকারি। হয়তো ৫০ হাজারের মতো প্রকৃত বিনিয়োগকারী হবেন, যাঁরা বিভিন্ন কারণে বাজার ছেড়েছেন।
পুঁজিবাজারে নতুন কোনো কোম্পানি এলে তাঁরা প্রাথমিক পাবলিক অফারিং বা আইপিওর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রি করেন। অতীতে লটারির মাধ্যমে আইপিওর শেয়ার বরাদ্দ করা হতো। ফলে কম দামে শেয়ার পেতে কয়েক বছর আগে বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ বিপুলসংখ্যক বিও হিসাব পরিচালনা করতেন।
২০২০ সালে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) আইপিওর নিয়মে পরিবর্তন আনে। লটারির মাধ্যমে শেয়ার বরাদ্দের বিপরীতে প্রো-রাটা ভিত্তিতে শেয়ার বরাদ্দের নিয়ম চালু করা হয়। অর্থাৎ আইপিওতে যতগুলো বিও হিসাবের মাধ্যমে আবেদন জমা পড়বে, তাদের সবার মাঝে সমানহারে শেয়ার বণ্টন করা হবে।
যেহেতু আইপিওতে বিপুলসংখ্যক বিনিয়োগকারী আবেদন করেন, সেহেতু সমানহারে বণ্টন ব্যবস্থার ফলে অল্পসংখ্যক শেয়ার পাওয়া যায়। এ ছাড়াও বিএসইসি শর্ত জুড়ে দেয় যে, পুঁজিবাজারে সেকেন্ডারি মার্কেটে যাদের ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকবে, তাঁরাই কেবল আইপিওতে আবেদন করতে পারবেন।
এই দুটি নিয়মের কারণে বিও হিসাব পরিচালনা অলাভজনক হয়ে দাঁড়ায়। তাই আইপিও শিকারিরা বাজার ছেড়ে চলে যাচ্ছেন বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
শাকিল রিজভী বলেন, প্রো-রাটা পদ্ধতির কারণে অনেকেই বিও বন্ধ করে দিয়েছেন। এ ছাড়া আইপিও শিকারি অনেক ছোট বিনিয়োগকারীও বাজারে ছিলেন। পুঁজিবাজারে পুঁজির প্রয়োজন। জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির কারণে তাঁরা অনেকেই বাজার ছেড়ে যেতে পারেন।
লটারির পরিবর্তে প্রো-রাটা শেয়ার বরাদ্দ পদ্ধতি চালু করা বিএসইসির একটি ভালো পদক্ষেপ বলে মনে করেন অনেক বিশ্লেষক। তাঁরা বলছেন, এর ফলে প্রকৃত বিনিয়োগকারীর সংখ্যা বাড়বে। দীর্ঘ সময়ের জন্য শেয়ার ধারণের মানসিকতা তৈরি এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে।
এদিকে গত কয়েক মাসে নতুন বিও হিসাব খোলার সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্রোকারেজ হাউসসংশ্লিষ্টরা। এর কারণ, সেকেন্ডারি মার্কেট আর লাভজনক নয় বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এর জন্য দায়ী শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে পুঁজিবাজারে দরপতন ঠেকাতে গত বছরের জুলাইয়ের শেষে দ্বিতীয়বারের মতো ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। এর ফলে সূচকের পতন ঠেকানো গেলেও শক্তিশালী মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলো ফ্লোরে আটকে রয়েছে।
ক্রেতাসংকটে লেনদেন হচ্ছে না। বিপরীতে দুর্বল ও লোকসানি কোম্পানির শেয়ারদর লাফাতে দেখা গেছে। গত দুই বছরে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩৮ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ২১ শতাংশ বেড়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ারের ক্রেতা নেই, ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে। দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ যেমন প্রয়োজন, তেমনি ট্রেডিং হওয়াও দরকার আছে। সেকেন্ডারি মার্কেটে তো কোনো ব্যবসা নেই। কেউ ক্যাপিটাল গেইন করতে পারছেন না। যাঁরা ট্রেডিং করেন তাঁরা অর্থ উপার্জন করতে পারছেন না। তাহলে নতুন বিনিয়োগকারীরা কীভাবে বাজারে আসবেন?
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
৬ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
৮ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে