নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লি স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তির অংশ হিসেবে স্থান পেয়েছে। তবে এই শক্তি শান্তির জন্যই ব্যবহার করা হবে।
গতকাল রোববার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিপি) প্রথম রি-অ্যাক্টর প্রেশার ভ্যাসেল বা পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের কাজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কাজের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরমাণু শক্তির অংশ হিসেবে একটা স্থান করে নিতে পারলাম আজ। সেটা শান্তির জন্য। এটা হচ্ছে বাস্তবতা। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরমাণু শক্তি আমরা শান্তির জন্যই ব্যবহার করব। পরমাণু শক্তি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। সেটা গ্রামের মানুষের কাছে যাবে। তাদের আর্থসামাজিক উন্নতি হবে।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শুরু করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘কাজেই আমরা ২০২৩ সালের মধ্যে আশা করি আমাদের এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বা ২০২৪ সালে আমাদের দ্বিতীয় ইউনিট শুরু হয়ে যাবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র হয়ে যাওয়ার পরে আমরা দক্ষিণাঞ্চলে জায়গা খুঁজছি। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলে শক্ত মাটির জায়গা পাওয়া খুবই কঠিন। তার পরও বিভিন্ন দ্বীপ ও অঞ্চলে জরিপ করছি। আরেকটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করব। সেটা আমরা কোথায় ভালো জায়গা পাই, আমদের ইচ্ছা পদ্মার ওপারেই করার। আশা করি এ ব্যাপারে কোনো অসুবিধা হবে না।’
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, `এখানে থেমে গেলে চলবে না। ৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ব। ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ উদ্যাপন করা হবে। নিশ্চয় নতুন প্রজন্ম একটি সুন্দর, উন্নত, সমৃদ্ধিশালী ও আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ দেশ হিসেবে স্বাধীনতার শতবর্ষ উদ্যাপন করবে।’
দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে বিষয়টি আবারও জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, `মানুষের যতটা আর্থিক সচ্ছলতা আসবে, তাদের চাহিদাও বাড়তে থাকবে। তা ছাড়া আমরা ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছি। সেখানে শিল্পায়ন হবে। যত বেশি শিল্পায়ন হবে, তত বেশি বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়ে যাবে। সেটা মাথায় রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালনের পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি।’
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সহযোগিতা কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমি যখন রাশিয়ায় যাই, তাদের রাষ্ট্রপতি পুতিনের সঙ্গে বিষয়টি আলাপ হয়। তিনি আমাদের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করে দেবেন, এই কথাটা বলেন। তাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আলাপ হয়। সেখানে আমার কতগুলো প্রশ্নও ছিল এর নিরাপত্তা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে। কারণ বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ। এখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়। আমাদের যে চুক্তি হয়, তাতে এটাও নিশ্চিত করা হয় যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সব সময় রাশিয়া নিজেরাই করবে।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে আণবিক কমিশনে কর্মরতদের অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা রাশিয়ায় প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। ভারতেও দিচ্ছি। কারণ সেখানে একই রকম আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। আর এখানে কাজ করতে গিয়ে আমাদের দেশের মানুষ বিভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা পাচ্ছে।’ রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, এখান থেকে চার স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমরা করেছি। পারমাণবিক চুল্লির কাছে যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদেরও অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ দরকার।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের মাটি খুবই নরম। এখানে চুল্লি বসাতে গেলে ওজন নিতে হয়। সেটার জন্য এই মাটিকেও নতুনভাবে তৈরি করতে হয়েছে। নদী ড্রেজিং করতে হয়েছে। সেই ভলগা থেকে পদ্মা আমরা পাড়ি দিচ্ছি। সেটাও আমাদের ভবিষ্যৎ ব্যবসা-বাণিজ্যের দুয়ার খুলে গেল বলে মনে করি।’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান। বক্তব্য রাখেন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ।
রূপপুর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশন। এটি রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লি স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তির অংশ হিসেবে স্থান পেয়েছে। তবে এই শক্তি শান্তির জন্যই ব্যবহার করা হবে।
গতকাল রোববার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিপি) প্রথম রি-অ্যাক্টর প্রেশার ভ্যাসেল বা পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের কাজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কাজের উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরমাণু শক্তির অংশ হিসেবে একটা স্থান করে নিতে পারলাম আজ। সেটা শান্তির জন্য। এটা হচ্ছে বাস্তবতা। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরমাণু শক্তি আমরা শান্তির জন্যই ব্যবহার করব। পরমাণু শক্তি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। সেটা গ্রামের মানুষের কাছে যাবে। তাদের আর্থসামাজিক উন্নতি হবে।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য সঞ্চালন লাইন নির্মাণ শুরু করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘কাজেই আমরা ২০২৩ সালের মধ্যে আশা করি আমাদের এই বিদ্যুৎ সরবরাহ বা ২০২৪ সালে আমাদের দ্বিতীয় ইউনিট শুরু হয়ে যাবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্র হয়ে যাওয়ার পরে আমরা দক্ষিণাঞ্চলে জায়গা খুঁজছি। আমাদের দক্ষিণাঞ্চলে শক্ত মাটির জায়গা পাওয়া খুবই কঠিন। তার পরও বিভিন্ন দ্বীপ ও অঞ্চলে জরিপ করছি। আরেকটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করব। সেটা আমরা কোথায় ভালো জায়গা পাই, আমদের ইচ্ছা পদ্মার ওপারেই করার। আশা করি এ ব্যাপারে কোনো অসুবিধা হবে না।’
বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, `এখানে থেমে গেলে চলবে না। ৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গড়ব। ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ উদ্যাপন করা হবে। নিশ্চয় নতুন প্রজন্ম একটি সুন্দর, উন্নত, সমৃদ্ধিশালী ও আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ দেশ হিসেবে স্বাধীনতার শতবর্ষ উদ্যাপন করবে।’
দেশের ৯৯ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে বিষয়টি আবারও জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, `মানুষের যতটা আর্থিক সচ্ছলতা আসবে, তাদের চাহিদাও বাড়তে থাকবে। তা ছাড়া আমরা ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছি। সেখানে শিল্পায়ন হবে। যত বেশি শিল্পায়ন হবে, তত বেশি বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়ে যাবে। সেটা মাথায় রেখে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সঞ্চালনের পরিকল্পনা আমরা নিয়েছি।’
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সহযোগিতা কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, ‘আমি যখন রাশিয়ায় যাই, তাদের রাষ্ট্রপতি পুতিনের সঙ্গে বিষয়টি আলাপ হয়। তিনি আমাদের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করে দেবেন, এই কথাটা বলেন। তাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আলাপ হয়। সেখানে আমার কতগুলো প্রশ্নও ছিল এর নিরাপত্তা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে। কারণ বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ। এখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সম্ভব নয়। আমাদের যে চুক্তি হয়, তাতে এটাও নিশ্চিত করা হয় যে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সব সময় রাশিয়া নিজেরাই করবে।’
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মাধ্যমে আণবিক কমিশনে কর্মরতদের অভিজ্ঞতা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা রাশিয়ায় প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। ভারতেও দিচ্ছি। কারণ সেখানে একই রকম আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। আর এখানে কাজ করতে গিয়ে আমাদের দেশের মানুষ বিভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা পাচ্ছে।’ রূপপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, এখান থেকে চার স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা আমরা করেছি। পারমাণবিক চুল্লির কাছে যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদেরও অভিজ্ঞতা ও প্রশিক্ষণ দরকার।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের মাটি খুবই নরম। এখানে চুল্লি বসাতে গেলে ওজন নিতে হয়। সেটার জন্য এই মাটিকেও নতুনভাবে তৈরি করতে হয়েছে। নদী ড্রেজিং করতে হয়েছে। সেই ভলগা থেকে পদ্মা আমরা পাড়ি দিচ্ছি। সেটাও আমাদের ভবিষ্যৎ ব্যবসা-বাণিজ্যের দুয়ার খুলে গেল বলে মনে করি।’
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান। বক্তব্য রাখেন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ।
রূপপুর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তি কমিশন। এটি রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় নির্মিত হচ্ছে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৪ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪