কাজল সরকার, হবিগঞ্জ
বহু প্রতীক্ষিত হবিগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দরের নির্মাণকাজ এগিয়ে চলেছে দ্রুত গতিতে। ২০২৪ সাল নাগাদ বন্দরটি চালু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা জানান, বন্দরটি চালু হলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। একই সঙ্গে বন্দরটি ঘিরে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রত্যাশা করছেন তাঁরা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৭ সালে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা সীমান্তের বাল্লায় বাংলাদেশ-ভারত শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম চালু হয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ১৯৯১ সালে পুনরায় সেটির কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে সীমিত পরিসরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় সীমান্তের খোয়াই নদী। কখনো নৌকায়, আবার কখনো শ্রমিকদের মাথায় করে পণ্য আনা-নেওয়ার কারণে খরচ বেশি হওয়ায় আমদানি-রপ্তানিতে আগ্রহ হারান ব্যবসায়ীরা।
তবে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার ব্যাপক বাণিজ্য সম্ভাবনা থাকায় শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দরে রূপান্তরের উদ্যোগ নেয় সরকার। সীমান্তের কেদারাকোট এলাকায় ১৩ একর ভূমির ওপর ৪ হাজার ৮৯০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প গ্রহণ করে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, ওয়্যার হাউস, অফিস ভবন, ডরমিটরি, সীমানা দেয়াল, সড়ক, ফায়ার হেডেন, ইয়ার্ড, ড্রেন, বিদ্যুতায়ন, ওয়েব্রিজসহ বিভিন্ন কাজ। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় স্থলবন্দরের নির্মাণকাজ কিছুটা পেছালেও। চলতি বছরের মার্চে পুনরায় কাজ শুরু হয়।
বর্তমানে বন্দরের উন্নয়নকাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে বলে দাবি প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর। বন্দরের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেই সঙ্গে চলছে বন্দরের ভেতরের সড়ক ও পণ্যবাহী পরিবহন রাখার স্থান নির্মাণ। শিগগিরই শুরু হবে ওয়্যার হাউস ও অফিস ভবনের নির্মাণকাজ।
বাল্লা স্থলবন্দরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘মোট কাজের অগ্রগতি প্রায় ৫০ শতাংশ। এর মধ্যে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ। শেষ পর্যায়ে আছে ডরমিটরি নির্মাণের কাজও। চলতি মাসেই ভবন ও বিদ্যুতায়নের কাজ শুরু হবে। আমরা আশা করছি, ২০২৪ সালের ভেতরে শেষ হবে বন্দরের কাজ।’
ব্যবসায়ীরা বলছে, স্থলবন্দরটি নির্মাণ হলে দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার পাশাপাশি প্রসার ঘটবে ব্যবসা-বাণিজ্যে। ভারত থেকে কম খরচে আমদানি করা যাবে ফলমূল-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী সহজেই রপ্তানি করা যাবে প্রতিবেশী দেশটিতে।
বাল্লা স্থলবন্দরের আমদানিকারক জালাল আহমেদ বলেন, ‘এই বন্দর চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচন হবে। আমরা কম খরচে ভারত থেকে বিভিন্ন মালামাল আমদানি করতে পারব। এ ছাড়া বিভিন্ন জিনিস রপ্তানি করতেও পরিবহন খরচ অনেকটা কমে আসবে।’
জালাল আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশের ২৩তম এই স্থলবন্দরটি চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের পাশাপাশি কর্মসংস্থান হবে কয়েক হাজার মানুষের।
প্রসঙ্গত, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে বন্দরের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৫ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক রয়েছে। এখনো সড়ক নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। তবে শিগগিরই দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বহু প্রতীক্ষিত হবিগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দরের নির্মাণকাজ এগিয়ে চলেছে দ্রুত গতিতে। ২০২৪ সাল নাগাদ বন্দরটি চালু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা জানান, বন্দরটি চালু হলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। একই সঙ্গে বন্দরটি ঘিরে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রত্যাশা করছেন তাঁরা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা গেছে, ১৯৫৭ সালে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা সীমান্তের বাল্লায় বাংলাদেশ-ভারত শুল্ক স্টেশনের কার্যক্রম চালু হয়। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ১৯৯১ সালে পুনরায় সেটির কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর থেকে সীমিত পরিসরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হলেও বাধা হয়ে দাঁড়ায় সীমান্তের খোয়াই নদী। কখনো নৌকায়, আবার কখনো শ্রমিকদের মাথায় করে পণ্য আনা-নেওয়ার কারণে খরচ বেশি হওয়ায় আমদানি-রপ্তানিতে আগ্রহ হারান ব্যবসায়ীরা।
তবে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার ব্যাপক বাণিজ্য সম্ভাবনা থাকায় শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দরে রূপান্তরের উদ্যোগ নেয় সরকার। সীমান্তের কেদারাকোট এলাকায় ১৩ একর ভূমির ওপর ৪ হাজার ৮৯০ কোটি ৫৯ লাখ টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প গ্রহণ করে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ছিল ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ভূমি অধিগ্রহণ, ভূমি উন্নয়ন, ওয়্যার হাউস, অফিস ভবন, ডরমিটরি, সীমানা দেয়াল, সড়ক, ফায়ার হেডেন, ইয়ার্ড, ড্রেন, বিদ্যুতায়ন, ওয়েব্রিজসহ বিভিন্ন কাজ। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় স্থলবন্দরের নির্মাণকাজ কিছুটা পেছালেও। চলতি বছরের মার্চে পুনরায় কাজ শুরু হয়।
বর্তমানে বন্দরের উন্নয়নকাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে বলে দাবি প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর। বন্দরের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। সেই সঙ্গে চলছে বন্দরের ভেতরের সড়ক ও পণ্যবাহী পরিবহন রাখার স্থান নির্মাণ। শিগগিরই শুরু হবে ওয়্যার হাউস ও অফিস ভবনের নির্মাণকাজ।
বাল্লা স্থলবন্দরের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘মোট কাজের অগ্রগতি প্রায় ৫০ শতাংশ। এর মধ্যে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ প্রায় ৮০ শতাংশ শেষ। শেষ পর্যায়ে আছে ডরমিটরি নির্মাণের কাজও। চলতি মাসেই ভবন ও বিদ্যুতায়নের কাজ শুরু হবে। আমরা আশা করছি, ২০২৪ সালের ভেতরে শেষ হবে বন্দরের কাজ।’
ব্যবসায়ীরা বলছে, স্থলবন্দরটি নির্মাণ হলে দুই দেশের মধ্যে সুসম্পর্ক আরও দৃঢ় হওয়ার পাশাপাশি প্রসার ঘটবে ব্যবসা-বাণিজ্যে। ভারত থেকে কম খরচে আমদানি করা যাবে ফলমূল-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী। সেই সঙ্গে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী সহজেই রপ্তানি করা যাবে প্রতিবেশী দেশটিতে।
বাল্লা স্থলবন্দরের আমদানিকারক জালাল আহমেদ বলেন, ‘এই বন্দর চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের নতুন দ্বার উন্মোচন হবে। আমরা কম খরচে ভারত থেকে বিভিন্ন মালামাল আমদানি করতে পারব। এ ছাড়া বিভিন্ন জিনিস রপ্তানি করতেও পরিবহন খরচ অনেকটা কমে আসবে।’
জালাল আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশের ২৩তম এই স্থলবন্দরটি চালু হলে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারের পাশাপাশি কর্মসংস্থান হবে কয়েক হাজার মানুষের।
প্রসঙ্গত, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে বন্দরের দূরত্ব প্রায় ২৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৫ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক রয়েছে। এখনো সড়ক নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। তবে শিগগিরই দরপত্র আহ্বান করা হবে বলে জানায় বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪