গনেশ দাস, বগুড়া
বগুড়ায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রির ধুম পড়েছে। কৃষকেরা খেতের উপরিভাগের এক ফুট মাটি (টপ সয়েল) বিক্রি করে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীদের কাছে। সেই মাটি হাত বদল হয়ে চলে যাচ্ছে ইটভাটায়। মাটি গবেষকেরা বলছেন, কৃষক নগদ টাকার আশায় নিজের সর্বনাশ নিজেই করছেন। টপ সয়েল তুলে ফেলায় জমির যে ক্ষতি হচ্ছে, তা পূরণ হতে সময় লাগবে ৪০ বছর। আর কৃষি বিভাগ বলছে, এটি রোধে কৃষককে বোঝানো এবং প্রশাসনকে খবর দেওয়া ছাড়া তাদের কিছু করার নেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গাবতলী, শিবগঞ্জ, শাজাহানপুর ও শেরপুর উপজেলার মাটি ইট তৈরির জন্য তুলনামূলক ভালো হওয়ায় সেখানকার মাঠ থেকে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। ধান কাটার পর কৃষকেরা জমির উপরিভাগ থেকে এক ফুট পরিমাণ মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। এক্সকাভেটর বা খননযন্ত্র নিয়ে কেটে নেওয়া মাটি ট্রাকযোগে চলে যাচ্ছে ইটভাটায়।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১ শতাংশ জমির এক ফুট মাটি বিক্রি হয় এক থেকে দেড় হাজার টাকায়। সেই মাটি ব্যবসায়ীরা ট্রাকযোগে ভাটায় পৌঁছে দিচ্ছেন দ্বিগুণ দামে। গাবতলীর কাগইল গ্রামের কৃষক সুলতান বলেন, ফসল আবাদ করে লাভ কম। এ ছাড়া জমি উঁচু শ্রেণির হওয়ায় মাটি বিক্রি করছেন। এতে জমির উর্বরতা শক্তি যে কমে যাচ্ছে, সেই বিষয়ে তিনি বলেন, সারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে উর্বরতা শক্তি ফিরে আসবে।
তবে বগুড়ার মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ফসলি জমির মাটি বিক্রি করে কৃষক নিজের যে সর্বনাশ করছেন, তা পূরণ হতে সময় লাগবে কমপক্ষে ৪০ বছর। তিনি জানান, জমির ওপরের এক ফুট স্তরকে টপ সয়েল বলে। এর ১৫ সেন্টিমিটারে থাকে ১৭ প্রকার জৈব উপাদান, যা প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়। জৈব কিংবা রাসায়নিক সার বেশি ব্যবহার করেও এই ক্ষতি পোষাতে পারবেন না কৃষক। টপ সয়েল না থাকায় পরে সার প্রয়োগ করলে তা চলে যাবে বালুর স্তরে। টপ সয়েল বিক্রি করে দেওয়ার কারণে জৈব উপাদান চলে যাচ্ছে। এতে জমির উর্বরতা শক্তি কমে গিয়ে ফসলের উৎপাদন কমে যাবে।
এ বিষয়ে কথা হলে বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলুবুর রহমান বলেন, ‘কৃষিজমি থেকে মাটি বিক্রি করে শ্রেণি পরিবর্তন করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। আমাদের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বলা আছে, কৃষিজমির মাটি বিক্রির বিষয়টি নজরে এলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের নজরে আনতে। পাশাপাশি মাটি বিক্রি না করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিতে। এ ছাড়া কৃষি বিভাগের আর কিছু করার নাই। কিন্তু কৃষকদের বুঝিয়েও মাটি বিক্রি বন্ধ করা যাচ্ছে না।’
বগুড়ায় ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রির ধুম পড়েছে। কৃষকেরা খেতের উপরিভাগের এক ফুট মাটি (টপ সয়েল) বিক্রি করে দিচ্ছেন ব্যবসায়ীদের কাছে। সেই মাটি হাত বদল হয়ে চলে যাচ্ছে ইটভাটায়। মাটি গবেষকেরা বলছেন, কৃষক নগদ টাকার আশায় নিজের সর্বনাশ নিজেই করছেন। টপ সয়েল তুলে ফেলায় জমির যে ক্ষতি হচ্ছে, তা পূরণ হতে সময় লাগবে ৪০ বছর। আর কৃষি বিভাগ বলছে, এটি রোধে কৃষককে বোঝানো এবং প্রশাসনকে খবর দেওয়া ছাড়া তাদের কিছু করার নেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গাবতলী, শিবগঞ্জ, শাজাহানপুর ও শেরপুর উপজেলার মাটি ইট তৈরির জন্য তুলনামূলক ভালো হওয়ায় সেখানকার মাঠ থেকে মাটি বিক্রি করা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। ধান কাটার পর কৃষকেরা জমির উপরিভাগ থেকে এক ফুট পরিমাণ মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন। এক্সকাভেটর বা খননযন্ত্র নিয়ে কেটে নেওয়া মাটি ট্রাকযোগে চলে যাচ্ছে ইটভাটায়।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১ শতাংশ জমির এক ফুট মাটি বিক্রি হয় এক থেকে দেড় হাজার টাকায়। সেই মাটি ব্যবসায়ীরা ট্রাকযোগে ভাটায় পৌঁছে দিচ্ছেন দ্বিগুণ দামে। গাবতলীর কাগইল গ্রামের কৃষক সুলতান বলেন, ফসল আবাদ করে লাভ কম। এ ছাড়া জমি উঁচু শ্রেণির হওয়ায় মাটি বিক্রি করছেন। এতে জমির উর্বরতা শক্তি যে কমে যাচ্ছে, সেই বিষয়ে তিনি বলেন, সারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিলে উর্বরতা শক্তি ফিরে আসবে।
তবে বগুড়ার মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেছেন, ফসলি জমির মাটি বিক্রি করে কৃষক নিজের যে সর্বনাশ করছেন, তা পূরণ হতে সময় লাগবে কমপক্ষে ৪০ বছর। তিনি জানান, জমির ওপরের এক ফুট স্তরকে টপ সয়েল বলে। এর ১৫ সেন্টিমিটারে থাকে ১৭ প্রকার জৈব উপাদান, যা প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়। জৈব কিংবা রাসায়নিক সার বেশি ব্যবহার করেও এই ক্ষতি পোষাতে পারবেন না কৃষক। টপ সয়েল না থাকায় পরে সার প্রয়োগ করলে তা চলে যাবে বালুর স্তরে। টপ সয়েল বিক্রি করে দেওয়ার কারণে জৈব উপাদান চলে যাচ্ছে। এতে জমির উর্বরতা শক্তি কমে গিয়ে ফসলের উৎপাদন কমে যাবে।
এ বিষয়ে কথা হলে বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মতলুবুর রহমান বলেন, ‘কৃষিজমি থেকে মাটি বিক্রি করে শ্রেণি পরিবর্তন করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। আমাদের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বলা আছে, কৃষিজমির মাটি বিক্রির বিষয়টি নজরে এলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসনের নজরে আনতে। পাশাপাশি মাটি বিক্রি না করার জন্য কৃষকদের পরামর্শ দিতে। এ ছাড়া কৃষি বিভাগের আর কিছু করার নাই। কিন্তু কৃষকদের বুঝিয়েও মাটি বিক্রি বন্ধ করা যাচ্ছে না।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
২ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪