বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কে ছোট-বড় ১২টি বেইলি সেতুর সবই ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ৫টি সেতু অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে সড়ক বিভাগ। তবে প্রতিদিন এসব সেতু দিয়েই অসংখ্য যানবাহন চলাচল করছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বান্দরবান জেলা শহরের কাছের উপজেলা রোয়াংছড়ি যাতায়াতের একমাত্র উপায় ২২ কিলোমিটার সড়ক। ব্যস্ত সড়কে প্রতিনিয়ত ভারী ও মাঝারি ওজনের যানবাহন, ছোট-বড় মোটরযান চলাচল করে। সড়কে ৫টি সেতুকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ উল্লেখ করে দুই পাশে সতর্কতা বিজ্ঞপ্তি লাগিয়েছে বান্দরবান সড়ক বিভাগ। এসব সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে জানিয়েছেন সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী অংশৈপ্রু মারমা বাফ্রু।
উপসহকারী প্রকৌশলী বলেন, ‘সড়কের সব সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হলেও ৫টি সেতু অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সড়ক বিভাগ ইতিমধ্যে সড়কের হানসামাপাড়ায় (খানসামা) নোয়াপতং খালের ওপর প্রায় ৫০ মিটার দীর্ঘ পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণকাজ করছে। গত বছরের ১০ ডিসেম্বরে শুরু হওয়া কাজ চলতি বছরের শেষনাগাদ সম্পন্ন হবে। এতে ব্যয় হচ্ছে ৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।’
বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুগুলো হলো রোয়াংছড়ি সদরের জিরো পয়েন্টে তারাছা খালের ওপর পুরোনো সেতু, ১১ কিলোমিটার পুনর্বাসনপাড়া এলাকার সেতু, ক্রাইক্ষ্যংপাড়া ও বিজিবি সেক্টর সদর দপ্তর এলাকার সেতু এবং ৪ কিলোমিটার এলাকার স্বাগতম সেতু।
বান্দরবান সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৩ সালের দিকে জেলায় অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ চালু হয়। ওই সময় সড়ক বিভাগের অধীনে মোট ১৫৯টি বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়। এর অধিকাংশ ইস্পাত, কিছু কাঠ ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হয়। এরপর গত ৪ দশকে জেলায় জনসংখ্যা ও গাড়ি বাড়লেও সেতুগুলো আগের মতোই রয়ে গেছে। এখন অনেক সেতুই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, পাহাড়ি ঢলে সেতুর নিচের বেইজের অংশের মাটি দেবে ও সরে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পড়েছে সেতুটি। সেতুর পুরোনো গাইড ওয়াল ভেঙে যান চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সেতুতে ভারী যানবাহন চলাচল করলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
কাঁচামাল ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত ট্রাক ও মিনিট্রাক ভরে কাঁচামাল নিয়ে ব্যবসা করি। কিন্তু বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কে অধিকাংশ বেইলি সেতুর নিচে মাটি সরে যাওয়ায় যান চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
মিনিট্রাকের চালক আমির হোসেন বলেন, ‘সেতু ভেঙে যাওয়া অবস্থা দেখেও না দেখার ভান করে আতঙ্ক নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। এ সড়কে প্রায় সেতুই ভাঙা রয়েছে।’
নোয়াপতং ইউপি সদস্য চাইসিং মারমা বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে কয়েকটি বেইলি সেতু পুরোনো হওয়ায় গাড়িতে আসা-যাওয়া করতে খুব সমস্যা হচ্ছে। ইতিমধ্যে রোয়াংছড়ি সদর জিরো পয়েন্ট, ১১ কিলোমিটার পুনর্বাসনপাড়া ও ৪ কিলোমিটার এলাকার স্বাগতম সেতুসহ ৩টি সেতু নতুনভাবে নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হয়ে এলে দ্রুতই কাজ শুরু করা হবে।’
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘জেলার সব বেইলি সেতুই পর্যায়ক্রমে পাকা গার্ডার সেতুতে পরিণত করার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে জেলার ১০টি বেইলি সেতুকে পাকা গার্ডার সেতুতে রূপান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে এসেছে। বাকিগুলোও রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’
বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কে ছোট-বড় ১২টি বেইলি সেতুর সবই ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ৫টি সেতু অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে সড়ক বিভাগ। তবে প্রতিদিন এসব সেতু দিয়েই অসংখ্য যানবাহন চলাচল করছে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলো সংস্কার বা পুনর্নির্মাণ করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বান্দরবান জেলা শহরের কাছের উপজেলা রোয়াংছড়ি যাতায়াতের একমাত্র উপায় ২২ কিলোমিটার সড়ক। ব্যস্ত সড়কে প্রতিনিয়ত ভারী ও মাঝারি ওজনের যানবাহন, ছোট-বড় মোটরযান চলাচল করে। সড়কে ৫টি সেতুকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ উল্লেখ করে দুই পাশে সতর্কতা বিজ্ঞপ্তি লাগিয়েছে বান্দরবান সড়ক বিভাগ। এসব সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল ‘অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে জানিয়েছেন সড়ক বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী অংশৈপ্রু মারমা বাফ্রু।
উপসহকারী প্রকৌশলী বলেন, ‘সড়কের সব সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হলেও ৫টি সেতু অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সড়ক বিভাগ ইতিমধ্যে সড়কের হানসামাপাড়ায় (খানসামা) নোয়াপতং খালের ওপর প্রায় ৫০ মিটার দীর্ঘ পাকা গার্ডার সেতু নির্মাণকাজ করছে। গত বছরের ১০ ডিসেম্বরে শুরু হওয়া কাজ চলতি বছরের শেষনাগাদ সম্পন্ন হবে। এতে ব্যয় হচ্ছে ৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।’
বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতুগুলো হলো রোয়াংছড়ি সদরের জিরো পয়েন্টে তারাছা খালের ওপর পুরোনো সেতু, ১১ কিলোমিটার পুনর্বাসনপাড়া এলাকার সেতু, ক্রাইক্ষ্যংপাড়া ও বিজিবি সেক্টর সদর দপ্তর এলাকার সেতু এবং ৪ কিলোমিটার এলাকার স্বাগতম সেতু।
বান্দরবান সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৩ সালের দিকে জেলায় অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ চালু হয়। ওই সময় সড়ক বিভাগের অধীনে মোট ১৫৯টি বেইলি সেতু নির্মাণ করা হয়। এর অধিকাংশ ইস্পাত, কিছু কাঠ ও স্টিল দিয়ে নির্মাণ করা হয়। এরপর গত ৪ দশকে জেলায় জনসংখ্যা ও গাড়ি বাড়লেও সেতুগুলো আগের মতোই রয়ে গেছে। এখন অনেক সেতুই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, পাহাড়ি ঢলে সেতুর নিচের বেইজের অংশের মাটি দেবে ও সরে গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পড়েছে সেতুটি। সেতুর পুরোনো গাইড ওয়াল ভেঙে যান চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সেতুতে ভারী যানবাহন চলাচল করলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
কাঁচামাল ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত ট্রাক ও মিনিট্রাক ভরে কাঁচামাল নিয়ে ব্যবসা করি। কিন্তু বান্দরবান-রোয়াংছড়ি সড়কে অধিকাংশ বেইলি সেতুর নিচে মাটি সরে যাওয়ায় যান চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।’
মিনিট্রাকের চালক আমির হোসেন বলেন, ‘সেতু ভেঙে যাওয়া অবস্থা দেখেও না দেখার ভান করে আতঙ্ক নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। এ সড়কে প্রায় সেতুই ভাঙা রয়েছে।’
নোয়াপতং ইউপি সদস্য চাইসিং মারমা বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে কয়েকটি বেইলি সেতু পুরোনো হওয়ায় গাড়িতে আসা-যাওয়া করতে খুব সমস্যা হচ্ছে। ইতিমধ্যে রোয়াংছড়ি সদর জিরো পয়েন্ট, ১১ কিলোমিটার পুনর্বাসনপাড়া ও ৪ কিলোমিটার এলাকার স্বাগতম সেতুসহ ৩টি সেতু নতুনভাবে নির্মাণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হয়ে এলে দ্রুতই কাজ শুরু করা হবে।’
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘জেলার সব বেইলি সেতুই পর্যায়ক্রমে পাকা গার্ডার সেতুতে পরিণত করার কাজ চলছে। ইতিমধ্যে জেলার ১০টি বেইলি সেতুকে পাকা গার্ডার সেতুতে রূপান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে এসেছে। বাকিগুলোও রূপান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’
১০ বছর ধরে নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন বরেণ্য অভিনেতা, নাট্যকার ও নির্মাতা আবুল হায়াত। নাম দিয়েছেন ‘রবি পথ’। অবশেষে প্রকাশ হচ্ছে তাঁর আত্মজীবনী। আগামী ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজন করা হয়েছে রবি পথের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান।
১ ঘণ্টা আগেএকদিন ভোরবেলা জাকারবার্গ লক্ষ করলেন যে পৃথিবীতে একটা ছোট্ট দেশে তাঁর সবচেয়ে বেশি ব্যবসা হচ্ছে। সামনের ফ্লোরটায় দেখলেন দেশটা ছোট বটে, কিন্তু জনসংখ্যা বেশি। আর এই দেশের জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে। ফেসবুকে দেখতে পেলেন অসংখ্য বার্তা—সবই রাজনৈতিক এবং ছবিতে এ বিষয়ে বিপুল জনগণের
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২৩ অক্টোবর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে অভিযোগ—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তাদের নেতা-কর্মীরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র হামলা পরিচালনা করে অসংখ্য আন্দোলনকারীকে হত্যা ও অনেকের জীবন বি
২ ঘণ্টা আগেইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম রোমান্টিক কবি ছিলেন জন কিটস। কবিতা ছাড়া কিটস কোনো গদ্য লেখার চেষ্টা করেননি। তাঁর কাব্যজীবন ছিল মাত্র ছয় বছরের। অর্থাৎ উনিশ থেকে চব্বিশ বছর বয়স পর্যন্ত। মৃত্যুর মাত্র চার বছর আগে তাঁর কবিতাগুলো প্রকাশিত হয়। তৎকালীন সমালোচকদের দ্বারা কিটসের কবিতা খুব একটা আলোচিত হয়নি। তবে মৃত্য
২ ঘণ্টা আগে