আলী এনআইডি পেলেন কীভাবে?

কক্সবাজার ও উখিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৮: ১১
আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২২, ১২: ১৬

মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরসার প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীর ভাই শাহ আলীকে গ্রেপ্তারের পর তাঁর কাছে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়া গেছে। এতে চট্টগ্রাম শহরের কোতোয়ালি থানার দেওয়ান বাজারের ঠিকানা ব্যবহার করেছেন তিনি। এই এনআইডি তিনি কীভাবে পেলেন, সেই উত্তর খুঁজছে পুলিশ। উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ এসব তথ্য জানান।

১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) উপপরিদর্শক মোহাম্মদ রুহুল আজম বাদী হয়ে এ ঘটনায় উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এ ছাড়া মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার এবং অপহরণের ঘটনায় আরও পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় শাহ আলী ও ৬ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের এ-১১ ব্লকের বাসিন্দা মৃত আবুল কালামের ছেলে মোহাম্মদ জোবাইরসহ (২৫) আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে শাহ আলীর সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।

গত রোববার ভোরে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ের ৬ নম্বর রোহিঙ্গা শিবিরের নৌকার মাঠ সংলগ্ন এলাকা থেকে অস্ত্র ও মাদকসহ শাহ আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি একটি বন্দুক, একটি বড় আকারের ছোরা ও এক হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার নাঈমুল হক বলেন, ‘তাঁদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল উখিয়ার ৬ নম্বর রোহিঙ্গা শিবির এলাকায় কিছু দুষ্কৃতকারী অবস্থান নিয়েছে। তারা শিবিরে বড় ধরনের নাশকতা ঘটাতে পারে। এমন তথ্যের ভিত্তিতে ড্রোন ব্যবহার করে আর্মড পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এ সময় মিয়ানমারের নিষিদ্ধ সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীর ভাই মো. শাহ আলীকে আটক করা হয়।’

অধিনায়ক আরও বলেন, ‘শাহ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদে আরসা নেতা তাঁর ভাই আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীর সঙ্গে যোগাযোগ থাকার কথা স্বীকার করেছেন।’

আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, আরসা সৌদি আরবের মক্কায় বসবাসরত বিশ জন নেতৃত্বস্থানীয় রোহিঙ্গা সংগঠনটি গড়ে তোলে। বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারতে তাদের যোগাযোগ রয়েছে।

সংগঠনটির প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি। তাঁর বাবা মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে পাকিস্তানের করাচিতে চলে যান। করাচিতেই আতাউল্লাহর জন্ম। পরে সৌদিআরবের মক্কায় পাড়ি জমান তিনি। সেখানে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন। ২০১৭ সালে আরাকানে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর তিনি আলোচনায় আসেন।

গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর উখিয়ার কুতুপালং লাম্বাশিয়া ক্যাম্পে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ। দেশ-বিদেশে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে সরব ছিলেন মুহিবুল্লাহ। এ জন্য প্রত্যাবাসনবিরোধী ও আরসার সদস্যরা তাঁকে হত্যা করেছেন বলে পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়।

উখিয়া থানার ওসি আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ জানান, তিনটি মামলা হয়েছে। আরসার বড় ধরনের কোনো নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা ছিল কি-না তা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষকালে বোমা বিস্ফোরণের ছিটকে পড়েন সেনাসদস্য—ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা

ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত