ফারুক মেহেদী, কাতার থেকে
আজ বিশ্বের শত শত কোটি চোখ থাকবে কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে। ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপার লড়াই আজ এ মাঠেই। এক সঙ্গে মাঠে বসে মেসি-এমবাপ্পেদের খেলা দেখবেন অন্তত ৮৫ হাজার দর্শক। এর আগে এ মাঠে আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকোর ম্যাচে সর্বোচ্চ ৮৯ হাজার দর্শক খেলা দেখেছেন।
কাতারের মেগা প্রকল্প বিলাসবহুল শহর লুসাইল সিটিতে আইকনিক লুসাইল স্টেডিয়াম দেশটির সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন আর ব্যয়বহুল স্টেডিয়াম। এটি একটি ব্রিটিশ সংস্থার ডিজাইনে আরবের ঐতিহ্যবাহী খেজুরের বাটির আদলে তৈরি। স্টেডিয়াম ঘিরে তৈরি হয়েছে চারটি আইকনিক টাওয়ার, মেট্রোরেল, ট্রাম স্টেশনসহ বহু স্থাপনা। খেলা উপলক্ষে বিপুলসংখ্যক দর্শক-সমর্থকের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে এবং জায়গাটি যানজটমুক্ত রাখতে স্টেডিয়ামের আশপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। পার্কিং অনেক দূরে হওয়ায় হেঁটে আসার বিড়ম্বনা থেকে বাঁচতে এখানে খেলা দেখতে আসা বেশির ভাগ দর্শক মাটির নিচে মেট্রোরেলকেই বেছে নেবেন। এরই মধ্যে মেট্রোরেল ও লুসাইল ট্রামে ৯১ লাখ ৯০ হাজার ট্রিপ দেওয়া হয়েছে। আর দিনে অন্তত ৭ লাখ ৭ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে। যেসব ভাগ্যবান দর্শক-সমর্থক ফাইনালের টিকিট পেয়েছেন, তাঁরা আজ আনন্দ-উৎসাহে, গানবাজনা-ঢোলবাদ্যের তালে তালে লুসাইলের মাঠে প্রবেশ করবেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
ফুটবল বিশ্বকাপ সম্পর্কিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনাল ঘিরে কাতারের দোহায় এখন শেষ মুহূর্তের উৎসবের আমেজ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক দর্শক-পর্যটক কাতার ছেড়ে যাওয়ায় বিশ্বকাপের রং ফিকে হতে শুরু করলেও ফাইনালের টিকিট পাওয়া দর্শকেরা শুধু শেষ উৎসবের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। তাঁরা অধীর আগ্রহে ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার অপেক্ষায়। অনেক আর্জেন্টাইন ও ফ্রান্সের সমর্থকও ফাইনাল খেলা দেখার জন্য কাতারে আসছেন বলে জানা গেছে।
লুসাইল স্টেডিয়ামে সরাসরি খেলা দেখবেন বলে আগের দিন অনেক দর্শক-সমর্থক নিজ নিজ পছন্দের দলের জার্সি ও বিভিন্ন স্যুভেনির কেনায় ব্যস্ত ছিলেন। গতকাল কাতারের হায়াত প্লাজা ও ভিলাজিও শপিং মলে অনেক সমর্থককে এসব কেনাকাটায় সময় কাটাতে দেখা যায়। যদিও বাড়তি চাহিদার কারণে এসব দলের জার্সির সংকট দেখা দেয় এবং এ জন্য বাড়তি দামও হাঁকা হয়। এ সময় আর্জেন্টিনা থেকে উড়ে আসা দেশটির সমর্থক পালেমো ও মার্টিন উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন, ‘অনেক চড়াই-উতরাইয়ের পর আর্জেন্টিনা ফাইনালে খেলছে। খেলা দেখতে আমরা আর্জেন্টিনা থেকে এসেছি। এটা আমাদের জন্য স্মরণীয় একটা ঘটনা হতে যাচ্ছে। আমরা এবার মেসির হাতে কাপ দেখতে চাই।’
বেশ কিছু ফ্রান্সের সমর্থককেও পছন্দের দলের জার্সি কিনতে দেখা যায়। তাঁরা এর আগে অন্য দলের সমর্থন করলেও আর্জেন্টিনা-বিরোধী বলে এখন ফ্রান্সকে সমর্থন দিচ্ছেন জানিয়ে আলেকজেন্ডার ও লুসিয়া নামের দুই সমর্থক বলেন, ‘এমবাপ্পের হাতেই উঠবে এবারের বিশ্বকাপ ট্রফি। আর্জেন্টিনা ফাইনালে গেলেও তারা এবার ভালো খেলেনি। তারা শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের সঙ্গে পেরে উঠবে না। ফ্রান্স খুবই ভারসাম্যপূর্ণ দল।’
বাংলাদেশ থেকেও অনেকে এসেছেন ফাইনাল খেলা দেখতে। অনেকে পরিবারসহ এসেছেন। তাঁদেরই একজন সায়েক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় দল ফাইনালে উঠতে পারেনি। তবে যেহেতু ফাইনালের টিকিট পেয়েছি, তাই ইতিহাসের সাক্ষী হতে আমরা লুসাইল স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যাব। যারাই জিতুক, কাতারে মাঠে বসে ফাইনাল খেলা দেখার আনন্দের কোনো তুলনা হবে না। এটা উপভোগ করছি।’
বিশ্বকাপ ফাইনাল দিয়ে আজ লুসাইলেই শেষ হবে মাসব্যাপী মহাআয়োজন। ভাঙবে তারার হাট। স্টেডিয়ামের পাশাপাশি কাতারের বিভিন্ন স্থানেও বিপুলসংখ্যক দর্শক বড় পর্দায় খেলা দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আজ কাতারের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। একটি বিশেষ দিনে খেলাটা হচ্ছে বলে এখানে সরকারি ছুটি। কাতারের স্থানীয় নাগরিক, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ অন্য দেশের প্রবাসীরা আজ একেবারেই ছুটির মেজাজে। ছুটির দিনে ব্যাপক আনন্দ-উৎসাহের সঙ্গে দেখবেন, কে হচ্ছে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
বিশ্বকাপ ফুটবল সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
আজ বিশ্বের শত শত কোটি চোখ থাকবে কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে। ফুটবল বিশ্বকাপের শিরোপার লড়াই আজ এ মাঠেই। এক সঙ্গে মাঠে বসে মেসি-এমবাপ্পেদের খেলা দেখবেন অন্তত ৮৫ হাজার দর্শক। এর আগে এ মাঠে আর্জেন্টিনা ও মেক্সিকোর ম্যাচে সর্বোচ্চ ৮৯ হাজার দর্শক খেলা দেখেছেন।
কাতারের মেগা প্রকল্প বিলাসবহুল শহর লুসাইল সিটিতে আইকনিক লুসাইল স্টেডিয়াম দেশটির সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন আর ব্যয়বহুল স্টেডিয়াম। এটি একটি ব্রিটিশ সংস্থার ডিজাইনে আরবের ঐতিহ্যবাহী খেজুরের বাটির আদলে তৈরি। স্টেডিয়াম ঘিরে তৈরি হয়েছে চারটি আইকনিক টাওয়ার, মেট্রোরেল, ট্রাম স্টেশনসহ বহু স্থাপনা। খেলা উপলক্ষে বিপুলসংখ্যক দর্শক-সমর্থকের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে এবং জায়গাটি যানজটমুক্ত রাখতে স্টেডিয়ামের আশপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। পার্কিং অনেক দূরে হওয়ায় হেঁটে আসার বিড়ম্বনা থেকে বাঁচতে এখানে খেলা দেখতে আসা বেশির ভাগ দর্শক মাটির নিচে মেট্রোরেলকেই বেছে নেবেন। এরই মধ্যে মেট্রোরেল ও লুসাইল ট্রামে ৯১ লাখ ৯০ হাজার ট্রিপ দেওয়া হয়েছে। আর দিনে অন্তত ৭ লাখ ৭ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে। যেসব ভাগ্যবান দর্শক-সমর্থক ফাইনালের টিকিট পেয়েছেন, তাঁরা আজ আনন্দ-উৎসাহে, গানবাজনা-ঢোলবাদ্যের তালে তালে লুসাইলের মাঠে প্রবেশ করবেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই।
ফুটবল বিশ্বকাপ সম্পর্কিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন
বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনাল ঘিরে কাতারের দোহায় এখন শেষ মুহূর্তের উৎসবের আমেজ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আসা বিপুলসংখ্যক দর্শক-পর্যটক কাতার ছেড়ে যাওয়ায় বিশ্বকাপের রং ফিকে হতে শুরু করলেও ফাইনালের টিকিট পাওয়া দর্শকেরা শুধু শেষ উৎসবের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন। তাঁরা অধীর আগ্রহে ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার অপেক্ষায়। অনেক আর্জেন্টাইন ও ফ্রান্সের সমর্থকও ফাইনাল খেলা দেখার জন্য কাতারে আসছেন বলে জানা গেছে।
লুসাইল স্টেডিয়ামে সরাসরি খেলা দেখবেন বলে আগের দিন অনেক দর্শক-সমর্থক নিজ নিজ পছন্দের দলের জার্সি ও বিভিন্ন স্যুভেনির কেনায় ব্যস্ত ছিলেন। গতকাল কাতারের হায়াত প্লাজা ও ভিলাজিও শপিং মলে অনেক সমর্থককে এসব কেনাকাটায় সময় কাটাতে দেখা যায়। যদিও বাড়তি চাহিদার কারণে এসব দলের জার্সির সংকট দেখা দেয় এবং এ জন্য বাড়তি দামও হাঁকা হয়। এ সময় আর্জেন্টিনা থেকে উড়ে আসা দেশটির সমর্থক পালেমো ও মার্টিন উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে বলেন, ‘অনেক চড়াই-উতরাইয়ের পর আর্জেন্টিনা ফাইনালে খেলছে। খেলা দেখতে আমরা আর্জেন্টিনা থেকে এসেছি। এটা আমাদের জন্য স্মরণীয় একটা ঘটনা হতে যাচ্ছে। আমরা এবার মেসির হাতে কাপ দেখতে চাই।’
বেশ কিছু ফ্রান্সের সমর্থককেও পছন্দের দলের জার্সি কিনতে দেখা যায়। তাঁরা এর আগে অন্য দলের সমর্থন করলেও আর্জেন্টিনা-বিরোধী বলে এখন ফ্রান্সকে সমর্থন দিচ্ছেন জানিয়ে আলেকজেন্ডার ও লুসিয়া নামের দুই সমর্থক বলেন, ‘এমবাপ্পের হাতেই উঠবে এবারের বিশ্বকাপ ট্রফি। আর্জেন্টিনা ফাইনালে গেলেও তারা এবার ভালো খেলেনি। তারা শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সের সঙ্গে পেরে উঠবে না। ফ্রান্স খুবই ভারসাম্যপূর্ণ দল।’
বাংলাদেশ থেকেও অনেকে এসেছেন ফাইনাল খেলা দেখতে। অনেকে পরিবারসহ এসেছেন। তাঁদেরই একজন সায়েক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় দল ফাইনালে উঠতে পারেনি। তবে যেহেতু ফাইনালের টিকিট পেয়েছি, তাই ইতিহাসের সাক্ষী হতে আমরা লুসাইল স্টেডিয়ামে খেলা দেখতে যাব। যারাই জিতুক, কাতারে মাঠে বসে ফাইনাল খেলা দেখার আনন্দের কোনো তুলনা হবে না। এটা উপভোগ করছি।’
বিশ্বকাপ ফাইনাল দিয়ে আজ লুসাইলেই শেষ হবে মাসব্যাপী মহাআয়োজন। ভাঙবে তারার হাট। স্টেডিয়ামের পাশাপাশি কাতারের বিভিন্ন স্থানেও বিপুলসংখ্যক দর্শক বড় পর্দায় খেলা দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আজ কাতারের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। একটি বিশেষ দিনে খেলাটা হচ্ছে বলে এখানে সরকারি ছুটি। কাতারের স্থানীয় নাগরিক, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ অন্য দেশের প্রবাসীরা আজ একেবারেই ছুটির মেজাজে। ছুটির দিনে ব্যাপক আনন্দ-উৎসাহের সঙ্গে দেখবেন, কে হচ্ছে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
বিশ্বকাপ ফুটবল সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে