সিলেটে এ বছর নতুন করে ৩৪ জন এইডস রোগী চিহ্নিত হয়েছে। সিলেটে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হওয়া এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ২০ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪৩১ জন। বাকিদের মধ্যে ৫৫৮ জন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে অবস্থিত এআরটি সেন্টার থেকে নিয়মিত ওষুধ সেবন করে যাচ্ছেন।

সরকারি অর্থায়নে এসব রোগীকে ওষুধ এবং অন্যান্য সেবা বিনা মূল্যে প্রদান করা হয়। পাশাপাশি এইচআইভির নতুন সংক্রমণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ইউনিসেফের সহায়তায় এই দুটি হাসপাতালে পিএমটিসিটি প্রকল্প চলমান আছে। যার মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে।

‘সমতার বাংলাদেশ, এইডস ও অতিমারি হবে শেষ’ এই প্রতিপাদ্যে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ (সিওমকে) হাসপাতালে গতকাল বিশ্ব এইডস দিবসের অনুষ্ঠানে এসব তথ্য জানানো হয়।

সকালে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদারের নেতৃত্বে এইডস দিবস উপলক্ষে স্ট্যান্ডিং র‍্যালির আয়োজন করা হয়। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে সব ধরনের স্বাস্থ্য সুরক্ষার নিয়ম মেনে র‍্যালিসহ এইডস দিবসের যাবতীয় কর্মসূচি পালন করা হয়। কর্মসূচিতে হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, অধ্যাপক, চিকিৎসক, সেবিকা সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মচারী ও সেবা গ্রহীতারা অংশগ্রহণ করেন। র‍্যালি পরবর্তীতে হাসপাতালের সেমিনার কক্ষে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

হাসপাতালের পরিচালক এবং ইউনিসেফের সহায়তায় পরিচালিত পিএমটিসিটি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান সভায় সভাপতিত্ব করেন।

ওসমানী হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ব্রায়ান বঙ্কিম হালদার বলেন, ‘সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এইচআইভি আক্রান্তদের জন্য সব ধরনের সেবা ব্যবস্থা রয়েছে। সাধারণ রোগীর মতোই কোনো ধরনের বৈষম্য ছাড়াই এসব রোগী সেবা পাচ্ছেন। ক্ষেত্র বিশেষে তাঁদের জন্য বিশেষায়িত চিকিৎসার ব্যবস্থাও আছে। তবে চিকিৎসা ব্যবস্থা যতই উন্নত এবং সময়োপযোগী হোক না কেন সবার আগে মনোযোগ দিতে হবে এইচআইভির সংক্রমণ প্রতিরোধের ওপর। এই রোগ নিয়ে ভীত না হয়ে সচেতন হতে হবে।’