নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিক্রয়যোগ্য পণ্যের শতভাগ মজুত সক্ষমতা নেই সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব গুদামে অর্ধেক আর বাকি পণ্য রাখার জন্য গুদাম ভাড়া করতে হয়। এ জন্য বছরে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয় করতে হয়। এসব বিবেচনা করে আঞ্চলিক পর্যায়ে তিনটি গুদাম নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। তবে সে প্রকল্প চলছে বেশ ধীরগতিতে। মূল মেয়াদ শেষ হলেও কাজ হয়েছে মাত্র চার ভাগের এক ভাগ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে টিসিবির আপৎকালীন মজুত ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম, সিলেট ও রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের জন্য গুদাম নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। গুদাম নির্মাণের সে প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ২৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। কাজ শেষ করার কথা ছিল চলতি বছরের ডিসেম্বরে। তবে এরই মধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে এক বছর, ব্যয়ও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ কোটি ১৫ লাখ টাকায়। কিন্তু গুদাম নির্মাণের কাজে গতি আসেনি। এই তিন গুদামে প্রায় চার হাজার টন মজুত সক্ষমতা বাড়বে টিসিবির।
ধীরগতির এ প্রকল্প নিয়ে গত ২০ জুন প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির পঞ্চম সভা বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জানানো হয়, গত ১৯ জুন পর্যন্ত প্রকল্পে ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় মাত্র ৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আর্থিক অগ্রগতি ১৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং বাস্তব অগ্রগতি ২৫ শতাংশ। সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ ছিল ৫ কোটি টাকা। খরচ হয়েছে ৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প শুরুর দুই বছরে কোনো কাজই হয়নি।
সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে গুণগতমান নিশ্চিত করে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যেই মূল অবকাঠামো নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার তাগিদ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রকল্প পরিচালকসহ টিসিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়মিত প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে বাস্তবায়ন অগ্রগতি বাড়াতে জোর দেওয়া হয়।
বাজারে মোট পণ্যের চাহিদার মাত্র ১ শতাংশের মতো বিক্রি করে টিসিবি। ফলে দাম নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না সংস্থাটি। তাই চাহিদার ৩ শতাংশ পর্যন্ত বিক্রি সক্ষমতা বাড়াতে চাইছে তারা। সাধারণ মানুষের কাছে টিসিবির পণ্যের চাহিদা বাড়লেও সংস্থাটির মজুত সক্ষমতা বাড়েনি গত এক দশকে। পর্যাপ্ত গুদামের অভাবে পণ্য মজুত করা যাচ্ছে না। বর্তমানে যে ১৫টি গুদামে টিসিবির পণ্য রাখা হচ্ছে, এর ১০টিই ভাড়া করা।
গুদামভাড়ায় বছরে প্রায় ৪৪ লাখ টাকা দিতে হচ্ছে টিসিবিকে। বছরে আপৎকালীন সময়ে টিসিবির নিত্যপণ্যের প্রয়োজন ২৫ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ১০ হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন গুদাম ভাড়া করতে হয় টিসিবিকে। সারা বছর পণ্য মজুত না করলেও এসব গুদামের জন্য ভাড়া দিতে হয়। বছরের বিভিন্ন সময়ে ভাড়া নির্ধারিত হয় বিভিন্ন রেটে। এ ছাড়া ভাড়া করা গুদামের মান সব সময় ভালো থাকে না বলে মজুত করা পণ্যের অপচয় হচ্ছে। এতে সরকারের টাকা অপচয়ের পাশাপাশি পণ্যের মানও ঠিক থাকে না।
টিসিবি বলছে, সক্ষমতা আরও বাড়াতে নতুন গুদাম এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে টিসিবির অফিস ও আঞ্চলিক কার্যালয় নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে বছরে প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার পণ্যের সেবা দেওয়া হয়। পণ্যের পর্যাপ্ত আপৎকালীন মজুদ গড়ে তোলার পাশাপাশি সংরক্ষণ করা, স্থানীয়ভাবে ক্রয় বা আমদানি করা পণ্যসামগ্রী বিক্রয় এবং বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।
আলোচ্য প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও রংপুরে গুদাম নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি মৌলভীবাজার ও রংপুরে দুটি আঞ্চলিক অফিসও নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত ছাড়াও অন্য পণ্যের জন্য গুদামের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা যাবে।
সাধারণত স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য বাজারদরের চেয়ে অনেক কম দামে ভোজ্য তেল, পেঁয়াজ, মসুর ডাল ও চিনি বিক্রি করে টিসিবি। এ ছাড়া রমজানের সময় এর সঙ্গে যোগ হয় খেজুর ও ছোলা।
বিক্রয়যোগ্য পণ্যের শতভাগ মজুত সক্ষমতা নেই সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি)। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব গুদামে অর্ধেক আর বাকি পণ্য রাখার জন্য গুদাম ভাড়া করতে হয়। এ জন্য বছরে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ব্যয় করতে হয়। এসব বিবেচনা করে আঞ্চলিক পর্যায়ে তিনটি গুদাম নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। তবে সে প্রকল্প চলছে বেশ ধীরগতিতে। মূল মেয়াদ শেষ হলেও কাজ হয়েছে মাত্র চার ভাগের এক ভাগ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থাটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে টিসিবির আপৎকালীন মজুত ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে চট্টগ্রাম, সিলেট ও রংপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের জন্য গুদাম নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। গুদাম নির্মাণের সে প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ২৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। কাজ শেষ করার কথা ছিল চলতি বছরের ডিসেম্বরে। তবে এরই মধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ বেড়েছে এক বছর, ব্যয়ও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৮ কোটি ১৫ লাখ টাকায়। কিন্তু গুদাম নির্মাণের কাজে গতি আসেনি। এই তিন গুদামে প্রায় চার হাজার টন মজুত সক্ষমতা বাড়বে টিসিবির।
ধীরগতির এ প্রকল্প নিয়ে গত ২০ জুন প্রকল্পের স্টিয়ারিং কমিটির পঞ্চম সভা বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় জানানো হয়, গত ১৯ জুন পর্যন্ত প্রকল্পে ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় মাত্র ৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আর্থিক অগ্রগতি ১৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং বাস্তব অগ্রগতি ২৫ শতাংশ। সমাপ্ত ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ ছিল ৫ কোটি টাকা। খরচ হয়েছে ৪ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রকল্প শুরুর দুই বছরে কোনো কাজই হয়নি।
সভায় বিস্তারিত আলোচনা শেষে গুণগতমান নিশ্চিত করে ২০২৩ সালের জুনের মধ্যেই মূল অবকাঠামো নির্মাণকাজ সম্পন্ন করার তাগিদ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে প্রকল্প পরিচালকসহ টিসিবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিয়মিত প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করে বাস্তবায়ন অগ্রগতি বাড়াতে জোর দেওয়া হয়।
বাজারে মোট পণ্যের চাহিদার মাত্র ১ শতাংশের মতো বিক্রি করে টিসিবি। ফলে দাম নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না সংস্থাটি। তাই চাহিদার ৩ শতাংশ পর্যন্ত বিক্রি সক্ষমতা বাড়াতে চাইছে তারা। সাধারণ মানুষের কাছে টিসিবির পণ্যের চাহিদা বাড়লেও সংস্থাটির মজুত সক্ষমতা বাড়েনি গত এক দশকে। পর্যাপ্ত গুদামের অভাবে পণ্য মজুত করা যাচ্ছে না। বর্তমানে যে ১৫টি গুদামে টিসিবির পণ্য রাখা হচ্ছে, এর ১০টিই ভাড়া করা।
গুদামভাড়ায় বছরে প্রায় ৪৪ লাখ টাকা দিতে হচ্ছে টিসিবিকে। বছরে আপৎকালীন সময়ে টিসিবির নিত্যপণ্যের প্রয়োজন ২৫ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে ১০ হাজার ৬০০ টন ধারণক্ষমতাসম্পন্ন গুদাম ভাড়া করতে হয় টিসিবিকে। সারা বছর পণ্য মজুত না করলেও এসব গুদামের জন্য ভাড়া দিতে হয়। বছরের বিভিন্ন সময়ে ভাড়া নির্ধারিত হয় বিভিন্ন রেটে। এ ছাড়া ভাড়া করা গুদামের মান সব সময় ভালো থাকে না বলে মজুত করা পণ্যের অপচয় হচ্ছে। এতে সরকারের টাকা অপচয়ের পাশাপাশি পণ্যের মানও ঠিক থাকে না।
টিসিবি বলছে, সক্ষমতা আরও বাড়াতে নতুন গুদাম এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে টিসিবির অফিস ও আঞ্চলিক কার্যালয় নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে বছরে প্রায় ২ হাজার ২০০ কোটি টাকার পণ্যের সেবা দেওয়া হয়। পণ্যের পর্যাপ্ত আপৎকালীন মজুদ গড়ে তোলার পাশাপাশি সংরক্ষণ করা, স্থানীয়ভাবে ক্রয় বা আমদানি করা পণ্যসামগ্রী বিক্রয় এবং বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।
আলোচ্য প্রকল্পের আওতায় প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার ও রংপুরে গুদাম নির্মাণ করা হবে। পাশাপাশি মৌলভীবাজার ও রংপুরে দুটি আঞ্চলিক অফিসও নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুত ছাড়াও অন্য পণ্যের জন্য গুদামের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা যাবে।
সাধারণত স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য বাজারদরের চেয়ে অনেক কম দামে ভোজ্য তেল, পেঁয়াজ, মসুর ডাল ও চিনি বিক্রি করে টিসিবি। এ ছাড়া রমজানের সময় এর সঙ্গে যোগ হয় খেজুর ও ছোলা।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে