আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ)
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে খালের ওপর অপরিকল্পিত কালভার্ট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। উপজেলার কাঠালতলী এলাকায় ব্যক্তিগত প্লট বিক্রির সুবিধার্থে এ সরু কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, এতে পানিপ্রবাহ ও নৌযান চলাচল ব্যাহত হবে।
জানা যায়, প্রভাবশালী চক্র জমির শ্রেণি পরিবর্তন না করেই ফসলি জমিতে হাউজিং প্রকল্পের জন্য মাটি কেটে প্লটের সীমানাদেয়াল নির্মাণ করছে। বর্ষা এলে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ভরাট করা হবে এসব প্লটে। আর সেই হাউজিং প্রকল্পে যাতায়াত ও প্লট বিক্রির সুবিধার্থে লোকচক্ষুর অন্তরালে নির্মাণ করা হচ্ছে এ সরু কালভার্ট।
গত রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ইছাপুরা বাজার-সংলগ্ন কাঠালতলী এলাকায় প্রবহমান খালটির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে কালভার্ট। নির্মাণকাজ যেন কেউ বুঝতে না পারে, তাই সামনে দোকানের শাটার দিয়ে প্রাচীর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া খালের নিচের অংশ এমনভাবে ঢালাই করা হয়েছে, যাতে শুষ্ক মৌসুমে এক পাশের পানি অন্য পাশে আসতে না পারে। আশপাশের গ্রামের মানুষ কৃষিপণ্য, আলু, পাট, মাটি, ইট-বালু ও রড-সিমেন্ট নৌকায় করে এই খাল দিয়ে পরিবহন করে থাকে। এখন এই খালের মাঝখানে সরু কালভার্ট নির্মাণ করা হলে ভারী নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সুযোগ পাবে না এলাকাবাসী। ফলে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তাঁরা।
জানা যায়, কাঠালতলী, ইছাপুরা ও চম্পকদি গ্রামের সুমন মল্লিক, শাহ আলম ঢালী, সুমন ঢালী, আক্কাস, আজমতসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী এই কালভার্ট নির্মাণ করছেন।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তালতলা-ইছাপুরা হয়ে জৈনসার ইউনিয়নের খরস্রোতা পোড়াগঙ্গা খাল দিয়ে চলাচলের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। এ ছাড়া হাজারো কৃষক খালটির পানি জমিতে দিয়ে থাকেন। অপরিকল্পিতভাবে কালভার্ট নির্মাণ করায় বর্ষাকালে খালে সব ধরনের নৌযান চলাচল ও পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে প্লট বিক্রির মালিকেরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কথা বলার সাহস পান না।
কাঠালতলী গ্রামের বাসিন্দা মো. মনির হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে এই কালভার্ট নির্মিত হচ্ছে। কয়েকজন প্রভাবশালী তাঁদের জমির প্লট বিক্রি করবেন বলে খাল বন্ধ করে এই কালভার্ট নির্মাণ করছেন। এতে আমরা বর্ষার মৌসুমে নৌকা দিয়ে গরুর ঘাস আনা-নেওয়া করতে পারব না। তাই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তারা যাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়।’
কাঠালতলী গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ‘খালটির মাঝখানে কালভার্ট নির্মাণের কারণে খালটি সংকুচিত হওয়াসহ পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই কালভার্টটি নির্মাণ বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।’
প্রকল্পের ব্যবসায়ী মো. সুমন ডালি বলেন, ‘এলাকাবাসী ও ইউএনও স্যার নিষেধ করায় আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি।’
উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে কেউ অনুমতি নেয়নি, আমরা কাউকে অনুমতি দেইনি। যারা এই কালভার্ট নির্মাণ করেছে, তারা বেআইনিভাবে নির্মাণ করছে, শিগগিরই তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফুল আলম তানভীর বলেন, উপজেলা কমিশনার (ভূমি) এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা সরেজমিনে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেবে। কাজ বন্ধ না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে খালের ওপর অপরিকল্পিত কালভার্ট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। উপজেলার কাঠালতলী এলাকায় ব্যক্তিগত প্লট বিক্রির সুবিধার্থে এ সরু কালভার্ট নির্মাণ করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, এতে পানিপ্রবাহ ও নৌযান চলাচল ব্যাহত হবে।
জানা যায়, প্রভাবশালী চক্র জমির শ্রেণি পরিবর্তন না করেই ফসলি জমিতে হাউজিং প্রকল্পের জন্য মাটি কেটে প্লটের সীমানাদেয়াল নির্মাণ করছে। বর্ষা এলে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ভরাট করা হবে এসব প্লটে। আর সেই হাউজিং প্রকল্পে যাতায়াত ও প্লট বিক্রির সুবিধার্থে লোকচক্ষুর অন্তরালে নির্মাণ করা হচ্ছে এ সরু কালভার্ট।
গত রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ইছাপুরা বাজার-সংলগ্ন কাঠালতলী এলাকায় প্রবহমান খালটির ওপর নির্মাণ করা হচ্ছে কালভার্ট। নির্মাণকাজ যেন কেউ বুঝতে না পারে, তাই সামনে দোকানের শাটার দিয়ে প্রাচীর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া খালের নিচের অংশ এমনভাবে ঢালাই করা হয়েছে, যাতে শুষ্ক মৌসুমে এক পাশের পানি অন্য পাশে আসতে না পারে। আশপাশের গ্রামের মানুষ কৃষিপণ্য, আলু, পাট, মাটি, ইট-বালু ও রড-সিমেন্ট নৌকায় করে এই খাল দিয়ে পরিবহন করে থাকে। এখন এই খালের মাঝখানে সরু কালভার্ট নির্মাণ করা হলে ভারী নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সুযোগ পাবে না এলাকাবাসী। ফলে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তাঁরা।
জানা যায়, কাঠালতলী, ইছাপুরা ও চম্পকদি গ্রামের সুমন মল্লিক, শাহ আলম ঢালী, সুমন ঢালী, আক্কাস, আজমতসহ কয়েকজন ব্যবসায়ী এই কালভার্ট নির্মাণ করছেন।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার তালতলা-ইছাপুরা হয়ে জৈনসার ইউনিয়নের খরস্রোতা পোড়াগঙ্গা খাল দিয়ে চলাচলের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। এ ছাড়া হাজারো কৃষক খালটির পানি জমিতে দিয়ে থাকেন। অপরিকল্পিতভাবে কালভার্ট নির্মাণ করায় বর্ষাকালে খালে সব ধরনের নৌযান চলাচল ও পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। তবে প্লট বিক্রির মালিকেরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কথা বলার সাহস পান না।
কাঠালতলী গ্রামের বাসিন্দা মো. মনির হোসেন বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে এই কালভার্ট নির্মিত হচ্ছে। কয়েকজন প্রভাবশালী তাঁদের জমির প্লট বিক্রি করবেন বলে খাল বন্ধ করে এই কালভার্ট নির্মাণ করছেন। এতে আমরা বর্ষার মৌসুমে নৌকা দিয়ে গরুর ঘাস আনা-নেওয়া করতে পারব না। তাই প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তারা যাতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়।’
কাঠালতলী গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ‘খালটির মাঝখানে কালভার্ট নির্মাণের কারণে খালটি সংকুচিত হওয়াসহ পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই কালভার্টটি নির্মাণ বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি।’
প্রকল্পের ব্যবসায়ী মো. সুমন ডালি বলেন, ‘এলাকাবাসী ও ইউএনও স্যার নিষেধ করায় আমরা কাজ বন্ধ রেখেছি।’
উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছ থেকে কেউ অনুমতি নেয়নি, আমরা কাউকে অনুমতি দেইনি। যারা এই কালভার্ট নির্মাণ করেছে, তারা বেআইনিভাবে নির্মাণ করছে, শিগগিরই তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফুল আলম তানভীর বলেন, উপজেলা কমিশনার (ভূমি) এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তারা সরেজমিনে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেবে। কাজ বন্ধ না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে