ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সম্প্রতি দেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে। আর ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ভোররাত পর্যন্ত আকস্মিক পানি প্রবেশ করে।
এমন পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার বরাত দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে ৩০ জুলাই বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত শর্ট সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার নতুন সময়সূচিও প্রকাশ করা হবে। বিজ্ঞপ্তিটির স্মারক নম্বর দেওয়া আছে ‘ঢাবো/পনি/ ৪০৪’, প্রকাশের তারিখ গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ মে)। বিজ্ঞপ্তিটিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের স্বাক্ষর রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
অনুসন্ধানের শুরুতেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার ওয়েবসাইটে এমন কোনো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে কি না তা খুঁজে দেখা হয়। ওয়েবসাইটটির এইচএসসি কর্নারে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) ‘ঢাবো/পনি/ ৪০৪’ স্মারক নম্বরযুক্ত কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। এই কর্নারে সবশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে গত ২৬ মে (রোববার)। বিজ্ঞপ্তিটি ছিল ‘২০২৪ সনের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার মূল উত্তরপত্র, অতিরিক্ত উত্তরপত্র, ব্যবহারিক উত্তরপত্র ও MCQ সহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি কেন্দ্রে বিতরণ প্রসঙ্গে’।
পরে আরও খুঁজে ওয়েবসাইটটিতে ‘এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪-এর ফরম পূরণের সময় বর্ধিতকরণ’ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়। এটি ১২ মে প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তিটির স্মারক নম্বরের সঙ্গে ভাইরাল বিজ্ঞপ্তিটির স্মারক নম্বরের মিল রয়েছে। এ থেকে ধারণা করা যায়, এই বিজ্ঞপ্তি সম্পাদনা করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে দেওয়ার ভাইরাল বিজ্ঞপ্তিটি তৈরি করা হয়েছে।
ভাইরাল বিজ্ঞপ্তিটি পর্যবেক্ষণেও এমন ধারণার সত্যতা মেলে। যেমন, ভাইরাল বিজ্ঞপ্তিটির স্মারক নম্বর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের নাম, সংযুক্তি ও শিক্ষা বোর্ডের নামে ব্যবহৃত ফন্টের সঙ্গে পরীক্ষা পেছানো–সংক্রান্ত বক্তব্যের অংশটুকু, তারিখে ব্যবহৃত ফন্টের মিল নেই। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের স্বাক্ষরিত একাধিক বিজ্ঞপ্তি যাচাই করে দেখা যায়, তিনি বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষরের সঙ্গে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিনের তারিখও উল্লেখ করেন, যা ভাইরাল বিজ্ঞপ্তিটিতে নেই।
এ ছাড়া দেশীয় কোনো সংবাদমাধ্যম সূত্রেও আসন্ন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পেছানোর ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলো ৩০ জুন পরীক্ষা শুরুর তারিখ নির্ধারণ করে চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করে। এদিন সকাল ১০টায় বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্রের মাধ্যমে শুরু হবে এইচএসসি পরীক্ষা। ১১ আগস্ট লিখিত পরীক্ষা শেষে শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
সম্প্রতি দেশের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে। আর ভারত থেকে নেমে আসা উজানের ঢলে সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) দিবাগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) ভোররাত পর্যন্ত আকস্মিক পানি প্রবেশ করে।
এমন পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার বরাত দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে ৩০ জুলাই বোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত শর্ট সিলেবাসে অনুষ্ঠিত হবে। এ জন্য উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার নতুন সময়সূচিও প্রকাশ করা হবে। বিজ্ঞপ্তিটির স্মারক নম্বর দেওয়া আছে ‘ঢাবো/পনি/ ৪০৪’, প্রকাশের তারিখ গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ মে)। বিজ্ঞপ্তিটিতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের স্বাক্ষর রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
অনুসন্ধানের শুরুতেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার ওয়েবসাইটে এমন কোনো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে কি না তা খুঁজে দেখা হয়। ওয়েবসাইটটির এইচএসসি কর্নারে গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) ‘ঢাবো/পনি/ ৪০৪’ স্মারক নম্বরযুক্ত কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়নি। এই কর্নারে সবশেষ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে গত ২৬ মে (রোববার)। বিজ্ঞপ্তিটি ছিল ‘২০২৪ সনের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষার মূল উত্তরপত্র, অতিরিক্ত উত্তরপত্র, ব্যবহারিক উত্তরপত্র ও MCQ সহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি কেন্দ্রে বিতরণ প্রসঙ্গে’।
পরে আরও খুঁজে ওয়েবসাইটটিতে ‘এইচএসসি পরীক্ষা ২০২৪-এর ফরম পূরণের সময় বর্ধিতকরণ’ সম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি পাওয়া যায়। এটি ১২ মে প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তিটির স্মারক নম্বরের সঙ্গে ভাইরাল বিজ্ঞপ্তিটির স্মারক নম্বরের মিল রয়েছে। এ থেকে ধারণা করা যায়, এই বিজ্ঞপ্তি সম্পাদনা করে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এক মাস পিছিয়ে দেওয়ার ভাইরাল বিজ্ঞপ্তিটি তৈরি করা হয়েছে।
ভাইরাল বিজ্ঞপ্তিটি পর্যবেক্ষণেও এমন ধারণার সত্যতা মেলে। যেমন, ভাইরাল বিজ্ঞপ্তিটির স্মারক নম্বর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের নাম, সংযুক্তি ও শিক্ষা বোর্ডের নামে ব্যবহৃত ফন্টের সঙ্গে পরীক্ষা পেছানো–সংক্রান্ত বক্তব্যের অংশটুকু, তারিখে ব্যবহৃত ফন্টের মিল নেই। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের স্বাক্ষরিত একাধিক বিজ্ঞপ্তি যাচাই করে দেখা যায়, তিনি বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষরের সঙ্গে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের দিনের তারিখও উল্লেখ করেন, যা ভাইরাল বিজ্ঞপ্তিটিতে নেই।
এ ছাড়া দেশীয় কোনো সংবাদমাধ্যম সূত্রেও আসন্ন উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা পেছানোর ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল দেশের শিক্ষা বোর্ডগুলো ৩০ জুন পরীক্ষা শুরুর তারিখ নির্ধারণ করে চলতি বছরের উচ্চমাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষার সূচি প্রকাশ করে। এদিন সকাল ১০টায় বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্রের মাধ্যমে শুরু হবে এইচএসসি পরীক্ষা। ১১ আগস্ট লিখিত পরীক্ষা শেষে শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা।
পরীক্ষার আগে অভিভাবকেরা সাধারণত ডিম খেতে নিষেধ করেন। এটি বহু দিন ধরে প্রচলিত একটি ধারণা। ধারণা করা হয়, পরীক্ষার আগে ডিম খেলে মাথা গুলিয়ে যাবে, কেউ কেউ আবার ডিমের আকারের সঙ্গে পরীক্ষার নম্বরের সম্পর্ক আছে মনে করেন! এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিভিন্ন সময় পোস্ট হতে দেখা গেছে।
১৮ ঘণ্টা আগেশেখ হাসিনার পক্ষে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিচ্ছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা, ‘ইউনুস তুই তওবা কর, শেখ হাসিনার পায়ে ধর. . শেখ হাসিনা বীরের বেশে আসবে ফিরে বাংলাদেশে জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’।
১ দিন আগেসম্প্রতি শেখ হাসিনার ফাঁস হওয়া একটি অডিও কল নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে আজ শনিবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতাল পালন করতে বলা হয়েছে। সেসঙ্গে প্রত্যেক এলাকায় মিছিল-মিটিংয়ের আয়োজনের কথা বলতে শোনা যায়। তবে শেখ হাসিনার পরিবার কিংবা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে হরতালের বিষয়ে এখনও কিছু
১ দিন আগেএকটি কার্ডে ‘সেইফ এক্সিট চেয়ে দেশ ছাড়তে চান ড. ইউনুস, পাইলস জনিত রোগ তীব্র আকার ধারন’ এবং আরেকটিতে ‘পাইলস জনিত রোগে উন্নত চিকিৎসায় আগামী সপ্তাহে ফ্রান্সে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা’—এমন লেখা রয়েছে। পরের কার্ডে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমের বরাত দেওয়া হয়েছে।
৩ দিন আগে