‘প্রজেক্ট তেলাপিয়া’ কোথায়?

ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২১, ১৫: ২০
আপডেট : ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১২: ৫৮

মাওয়া ঘাটে মধ্যরাতে হৈ-হল্লা করে ইলিশ খেতে যান অনেকেই। ইট কাঠের জঞ্জালে হাঁপিয়ে ওঠা নগরবাসীর জন্য পদ্মার উন্মত্ত ঢেউ আর হাতছোঁয়া দূরত্বে বিভিন্ন হোটেলে ধোঁয়া ওঠা ভাতের সঙ্গে ইলিশ ভাজা আনন্দের উপলক্ষই বটে।

সরিষার তেলে ভাজা ইলিশের সঙ্গে শুকনা মরিচ, পেঁয়াজ ও বেগুন ভাজা আর লেজের ভর্তা–মাওয়ার পরিচিত মেন্যু। পদ্মাসেতুর সংযোগ সড়ক হিসেবে নির্মিত এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকাবাসীর মাওয়া ভ্রমণ অভ্যাসে পরিণত করেছে। ঢাকার মেয়র হানিফ ফ্লাইওভার থেকে এখন ত্রিশ থেকে চল্লিশ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে যাওয়া যায় মাওয়া ঘাটে।

যাত্রার শুরু থেকেই ‘প্রজেক্ট হিলশা’ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা নানা অভিযোগ করছেনহাপিত্যেশ কাটিয়ে ঢাকার অদূরে মানুষের এই আগ্রহ অভ্যাসকে বড় ব্যবসার সুযোগে পরিণত করেছেন এক উদ্যোক্তা। মাওয়া ঘাটে যাত্রা করেছে ‘প্রজেক্ট হিলশা’। কর্তৃপক্ষের দাবি, এটিই বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় রেস্টুরেন্ট। তবে যাত্রার শুরু থেকেই প্রজেক্ট হিলশাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা নানা অভিযোগ করছেন। খাবারের অভিজ্ঞতা নিয়ে একাধিক ‘ফুড ভ্লগার’ ইউটিউব চ্যানেলে রিভিউ দিয়েছেন। রাফসান দ্য ছোটভাই, বাংলাদেশি ফুড রিভিউয়ার-এ রকম জনপ্রিয় ফুড ভ্লগ চ্যানেলগুলোতে অভিযোগ করা হয়েছে, প্রজেক্ট হিলশায় পদ্মার ইলিশ দেওয়া হচ্ছে না। অন্যদিকে তাদের সেবার মান, ১০ শতাংশ সার্ভিস চার্জ ও খাবারের দাম নিয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।

প্রজেক্ট হিলশা নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক পোস্টে সয়লাব হয়ে গেছে সামাজিক মাধ্যম। এর মধ্যে আলোচনায় এসেছে ‘প্রজেক্ট তেলাপিয়া’। তেলাপিয়া মাছের আদলে তৈরি একটি বিশালাকার ভবনের ছবি দিয়ে ব্যঙ্গ করে বলা হচ্ছে, ‘মধ্যবিত্ত ও গরিবদের জন্য প্রজেক্ট তেলাপিয়াই ভরসা’।

ভারতের মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে ছবিটি খুঁজে পাওয়া যায়ফ্যাক্টচেক
আমরা অনুসন্ধান করে দেখেছি, ভাইরাল হওয়ার ছবির ভবনটি ভারতের মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তরের। ২০০৬ সালে ভারতের মৎস্য, পশু ও দুগ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মৎস্য বিভাগের অধীনে হায়দরাবাদে পিভিএনআর এক্সপ্রেসওয়েতে এই অবকাঠামোটি নির্মাণ করা হয়েছে।
এ ছাড়া গুগল ম্যাপে অবকাঠামোটির অবস্থান নিশ্চিত করা যায়।

এ ছাড়া স্ট্রিট ভিউয়ে অবকাঠামোটির ভারতের মৎস্য উন্নয়ন অধিদপ্তরের অবস্থাননিছক মজা করার জন্যই অনেকে ছবিটি পোস্ট করলেও বিভ্রান্তি এড়াতে আমরা ছবিটির উৎস আজকের পত্রিকার পাঠকদের জন্য খুঁজে বের করেছি। আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখেছি, মজা বা ব্যঙ্গ করে করা পোস্টও অনেকে সত্য বলে ধরে নেন। সেটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা [email protected]

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত