ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ঢাকা: বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথিতযশা নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের জন্ম হয়েছিল আজ থেকে ঠিক ১০০ বছর আগে। অজস্র অর্জনে ভরপুর বিশ্ববরেণ্য এ নির্মাতার ক্যারিয়ার। প্রথম বাঙালি চলচ্চিত্রকার হিসেবে সত্যজিৎ রায় বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড বা অস্কার অর্জন করেন।
অনেকের মধ্যে একটি ভুল ধারণা প্রচলিত আছে যে, সত্যজিৎ রায় তাঁর পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালি’র জন্য অস্কার পেয়েছিলেন। এ তথ্যটি সঠিক নয়। কোনো নির্দিষ্ট চলচ্চিত্রের জন্য নয়, পরিচালনাসহ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন শাখায় অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯১ সালে অস্কার কমিটি তাঁকে ‘আজীবন সম্মাননা’ দেয়।
অসুস্থতার কারণে তিনি পুরস্কার মঞ্চে উপস্থিত থাকতে পারেননি। মৃত্যুশয্যায় তার অস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতির ভিডিও ধারণ করে পরবর্তীকালে অস্কার অনুষ্ঠানে দেখানো হয়। এই পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্ন।
১৯৫৭ সালে ‘মাদার ইন্ডিয়া’ ছবিটি ভারতের প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে অস্কার মনোনয়ন পায়। ছবিটি অস্কারের বিদেশি ভাষার ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েও একটিমাত্র ভোটের জন্য সেরার পুরস্কার ফসকে যায়। মেহবুব খান পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেন নার্গিস, সুনীল দত্ত, রাজেন্দ্র কুমার ও রাজ কুমার। ছবিটি মূলত একই পরিচালকের আওরাত (১৯৪০) ছবির রিমেক।
১৯৮৮ সালে মিরা নায়ার পরিচালিত ‘সালাম বোম্বে’ ছবিটি দ্বিতীয় ভারতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে অস্কারে মনোনয়ন লাভ করে। ছবিটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মানজনক ক্যামেরা ডি’অর পুরস্কার জিতে নেয়।
২০০১ সালে আশুতোষ গোয়ারিকার পরিচালিত ও আমির খান অভিনীত ‘লগান’ ছবিটি বিশ্ববাসীকে চমকে দেয়। ‘টাইম’ ম্যাগাজিন লগানকে বিশ্বের সেরা চলচ্চিত্রগুলোর একটি বলে আখ্যায়িত করে। তৃতীয় ভারতীয় ছবি হিসেবে অস্কার মনোনয়ন পায় লগান।
তবে তিন তিনবার মনোনয়ন পেলেও এখন পর্যন্ত কোনও ভারতীয় ছবি অস্কার জিতে নিতে পারেনি।
বেশ কয়েকজন ভারতীয় হলিউডে কাজ করে অস্কারের মঞ্চে উঠেছেন। ভানু আথাইয়া ১৯৮৩ সালে স্যার রিচার্ড অ্যাটেনবরোর ‘গান্ধী’ ছবিতে কস্টিউম ডিজাইনের জন্য জিতে নেন অস্কার পুরস্কার। উপমহাদেশে তিনিই প্রথম এ পুরস্কার অর্জন করেন।
২০০৯ সালে পরিচালক ড্যানি বয়েলের পরিচালনায় ‘স্লামডগ মিলিওনার’ ছবিতে সুরকার হিসেবে অস্কারের মঞ্চে শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালকের পুরস্কারটি ঝোলায় ভরেন এআর রহমান। ওই ছবিতেই ‘জয় হো’ গানটির জন্য সেরা গীতিকার বিভাগে যৌথভাবে অস্কার বিজয়ী হন গুলজার ও এআর রহমান। একই ছবিতেই সাউন্ড ডিজাইনার বিভাগে অস্কার পুরস্কার জেতেন আরেক ভারতীয় রেসুল পোকুট্টি।
চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে সত্যজিৎ ৩৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র পথের পাঁচালী (১৯৫৫) ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে। এর মধ্যে অন্যতম ১৯৫৬ কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাওয়া ‘শ্রেষ্ঠ মানব ডকুমেন্টারি’ পুরস্কার। পথের পাঁচালী, অপরাজিত (১৯৫৬) ও অপুর সংসার (১৯৫৯)– এই তিনটি একত্রে অপু ত্রয়ী নামে পরিচিত, এবং এই চলচ্চিত্র-ত্রয়ী সত্যজিতের জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ হিসেবে বহুল স্বীকৃত। তবে সত্যজিতের কোনো একক ছবিই অস্কারের মনোনয়ন বোর্ডে জায়গা পায়নি।
সত্যজিৎ রায়ের আদি পৈত্রিক ভিটা বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার মসূয়া গ্রামে। সত্যজিতের পিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এবং বাবা সুকুমার রায় দুজনেরই জন্ম এখানে।
১৯৯২ সালে হৃদযন্ত্রের জটিলতা নিয়ে অসুস্থ সত্যজিৎ হাসপাতালে ভর্তি হন এবং সে অবস্থা থেকে তার স্বাস্থ্য আর ভালো হয়নি। মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ আগে গুরুতর অসুস্থ ও শয্যাশায়ী অবস্থায় তিনি তার জীবনের শেষ পুরস্কার ‘সম্মানসূচক অস্কার’ গ্রহণ করেন। ১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল সত্যজিৎ মৃত্যুবরণ করেন।
ঢাকা: বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথিতযশা নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের জন্ম হয়েছিল আজ থেকে ঠিক ১০০ বছর আগে। অজস্র অর্জনে ভরপুর বিশ্ববরেণ্য এ নির্মাতার ক্যারিয়ার। প্রথম বাঙালি চলচ্চিত্রকার হিসেবে সত্যজিৎ রায় বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড বা অস্কার অর্জন করেন।
অনেকের মধ্যে একটি ভুল ধারণা প্রচলিত আছে যে, সত্যজিৎ রায় তাঁর পরিচালিত চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালি’র জন্য অস্কার পেয়েছিলেন। এ তথ্যটি সঠিক নয়। কোনো নির্দিষ্ট চলচ্চিত্রের জন্য নয়, পরিচালনাসহ চলচ্চিত্রের বিভিন্ন শাখায় অসামান্য অবদানের জন্য ১৯৯১ সালে অস্কার কমিটি তাঁকে ‘আজীবন সম্মাননা’ দেয়।
অসুস্থতার কারণে তিনি পুরস্কার মঞ্চে উপস্থিত থাকতে পারেননি। মৃত্যুশয্যায় তার অস্কারপ্রাপ্তির অনুভূতির ভিডিও ধারণ করে পরবর্তীকালে অস্কার অনুষ্ঠানে দেখানো হয়। এই পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন ব্রিটিশ অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্ন।
১৯৫৭ সালে ‘মাদার ইন্ডিয়া’ ছবিটি ভারতের প্রথম চলচ্চিত্র হিসেবে শ্রেষ্ঠ বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে অস্কার মনোনয়ন পায়। ছবিটি অস্কারের বিদেশি ভাষার ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েও একটিমাত্র ভোটের জন্য সেরার পুরস্কার ফসকে যায়। মেহবুব খান পরিচালিত এই চলচ্চিত্রে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেন নার্গিস, সুনীল দত্ত, রাজেন্দ্র কুমার ও রাজ কুমার। ছবিটি মূলত একই পরিচালকের আওরাত (১৯৪০) ছবির রিমেক।
১৯৮৮ সালে মিরা নায়ার পরিচালিত ‘সালাম বোম্বে’ ছবিটি দ্বিতীয় ভারতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে অস্কারে মনোনয়ন লাভ করে। ছবিটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে সম্মানজনক ক্যামেরা ডি’অর পুরস্কার জিতে নেয়।
২০০১ সালে আশুতোষ গোয়ারিকার পরিচালিত ও আমির খান অভিনীত ‘লগান’ ছবিটি বিশ্ববাসীকে চমকে দেয়। ‘টাইম’ ম্যাগাজিন লগানকে বিশ্বের সেরা চলচ্চিত্রগুলোর একটি বলে আখ্যায়িত করে। তৃতীয় ভারতীয় ছবি হিসেবে অস্কার মনোনয়ন পায় লগান।
তবে তিন তিনবার মনোনয়ন পেলেও এখন পর্যন্ত কোনও ভারতীয় ছবি অস্কার জিতে নিতে পারেনি।
বেশ কয়েকজন ভারতীয় হলিউডে কাজ করে অস্কারের মঞ্চে উঠেছেন। ভানু আথাইয়া ১৯৮৩ সালে স্যার রিচার্ড অ্যাটেনবরোর ‘গান্ধী’ ছবিতে কস্টিউম ডিজাইনের জন্য জিতে নেন অস্কার পুরস্কার। উপমহাদেশে তিনিই প্রথম এ পুরস্কার অর্জন করেন।
২০০৯ সালে পরিচালক ড্যানি বয়েলের পরিচালনায় ‘স্লামডগ মিলিওনার’ ছবিতে সুরকার হিসেবে অস্কারের মঞ্চে শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালকের পুরস্কারটি ঝোলায় ভরেন এআর রহমান। ওই ছবিতেই ‘জয় হো’ গানটির জন্য সেরা গীতিকার বিভাগে যৌথভাবে অস্কার বিজয়ী হন গুলজার ও এআর রহমান। একই ছবিতেই সাউন্ড ডিজাইনার বিভাগে অস্কার পুরস্কার জেতেন আরেক ভারতীয় রেসুল পোকুট্টি।
চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে সত্যজিৎ ৩৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র, প্রামাণ্যচিত্র ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র পথের পাঁচালী (১৯৫৫) ১১টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করে। এর মধ্যে অন্যতম ১৯৫৬ কান চলচ্চিত্র উৎসবে পাওয়া ‘শ্রেষ্ঠ মানব ডকুমেন্টারি’ পুরস্কার। পথের পাঁচালী, অপরাজিত (১৯৫৬) ও অপুর সংসার (১৯৫৯)– এই তিনটি একত্রে অপু ত্রয়ী নামে পরিচিত, এবং এই চলচ্চিত্র-ত্রয়ী সত্যজিতের জীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ হিসেবে বহুল স্বীকৃত। তবে সত্যজিতের কোনো একক ছবিই অস্কারের মনোনয়ন বোর্ডে জায়গা পায়নি।
সত্যজিৎ রায়ের আদি পৈত্রিক ভিটা বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার মসূয়া গ্রামে। সত্যজিতের পিতামহ উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী এবং বাবা সুকুমার রায় দুজনেরই জন্ম এখানে।
১৯৯২ সালে হৃদযন্ত্রের জটিলতা নিয়ে অসুস্থ সত্যজিৎ হাসপাতালে ভর্তি হন এবং সে অবস্থা থেকে তার স্বাস্থ্য আর ভালো হয়নি। মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ আগে গুরুতর অসুস্থ ও শয্যাশায়ী অবস্থায় তিনি তার জীবনের শেষ পুরস্কার ‘সম্মানসূচক অস্কার’ গ্রহণ করেন। ১৯৯২ সালের ২৩ এপ্রিল সত্যজিৎ মৃত্যুবরণ করেন।
প্রযুক্তি জগতে নানা উদ্ভাবন দিয়ে সব সময়ই আলোচনায় থাকেন স্পেসএক্স, টেসলাসহ মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। সম্প্রতি তিনি আলোচনায় এসেছেন এক্সে ডিজনির এলজিবিটিকিউ সম্পর্কিত কনটেন্ট ব্লক করে দিয়েছেন এমন দাবিতে। গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ফেসবুকে ‘মহিদুল আলম...
১০ ঘণ্টা আগেরাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গত বুধবার দুপুরে সংঘর্ষে জড়ায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও সেনাসদস্যরা, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডও ছোড়ে।
১৪ ঘণ্টা আগেসরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নাম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল...
১ দিন আগেছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় ৮ আগস্ট। এরপর ১০০ দিন পার করেছে এই সরকার...
২ দিন আগে