ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
ভূপেন হাজারিকা সেই কবেই গেয়ে গেছেন, ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবন জীবনের জন্য! একটু সহানুভূতি কি, মানুষ পেতে পারে না!’ কিন্তু মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে যদি প্রতারিত হন। দেখলেন, কথিত ভুক্তভোগীর কোনো অস্তিত্বই নেই!
ফেসবুক ব্যবহার করে আজকাল হরহামেশাই এমন প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। ভুয়া ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে কিংবা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ছবি–ভিডিও সম্পাদনা করে নানা ভাবে প্রতারণা করছে একটি চক্র।
এ রকমই একটি মানবিক আবেদন কিছুদিন ধরে ফেসবুকে ঘুরছে। ‘অসুস্থ এক ব্যক্তির জন্য’ আর্থিক সাহায্য চেয়ে একটি পোস্ট ফেসবুকে ব্যাপকভাবে শেয়ার হতে দেখা যাচ্ছে। চারটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, লোকটির নাম মনিরুল ইসলাম। তিনি একজন বাক্প্রতিবন্ধী সৎ দরিদ্র রিকশাচালক।
পরিবারে অসুস্থ মাসহ পাঁচজন সদস্যের মধ্যে মনিরুল একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ব্যাটারির অ্যাসিডে দগ্ধ হয়েছে তাঁর মুখমণ্ডল। চিকিৎসকেরা বলেছেন, খুব তাড়াতাড়ি সার্জারি না করানো হলে আরও ভয়াবহ অবস্থা হবে। চিকিৎসার জন্য ৫ লাখ টাকা দরকার।
ওই পোস্টে আরও দাবি করা হচ্ছে, স্থানীয়ভাবে এলাকাবাসী ও আত্মীয়–স্বজনের মাধ্যমে প্রায় দুই লাখ টাকার ব্যবস্থা হয়েছে। নোয়াখালী সদর হাসপাতালের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি মনিরুলের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য চেয়ে একটি বিকাশ ও একটি নগদ অ্যাকাউন্টের নম্বর দেওয়া হয়েছে। যোগাযোগ ও সাহায্য পাঠানোর মাধ্যম হিসেবে ‘মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছোট ভাই রফিকুল ইসলামের’ নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
ফেসবুক ঘেঁটে এমন দাবি সংবলিত কয়েক শ পোস্ট দেখা গেছে। পোস্টগুলোর প্রায় প্রতিটিই কয়েক শ আইডি থেকে শেয়ার করা হয়েছে। মন্তব্য পড়ে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ব্যবহারকারী ছবি ও তথ্যকে সত্য বলে ধরে নিয়ে রোগীর রোগমুক্তি কামনা করেছেন।
ফ্যাক্টচেক
গত জুলাই থেকেই ফেসবুকে এই পোস্টটি দেখা যাচ্ছে। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করা হয়েছে বেশি। মারজিয়া রহমান ও তানিশা আখতার তিশা— এ দুটি আইডি থেকেই মূলত পোস্টটি বেশ কিছু গ্রুপে শেয়ার করা হয়। তাৎক্ষণিক অসংখ্য শেয়ারের কারণে ফেসবুকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পোস্টটি। দুটি আইডিই ‘লকড’ থাকায় আইডিগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
ভাইরাল হওয়া পোস্টের সঙ্গে রোগীর চারটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। প্রথম ছবিতে একজন নারীর পাশে কথিত মনিরুল ইসলাম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ছবিতে তাঁর বিকৃত মুখমণ্ডল এবং শেষ ছবিটিতে সুস্থ অবস্থায় মনিরুলের ছবি বলে দাবি করা হয়েছে। ওই রোগী নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তাঁর ওয়ার্ড নম্বরও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে প্রেসক্রিপশন, হাসপাতালে ভর্তির কাগজপত্র কিংবা ডায়াগনস্টিক রিপোর্টের কোনো ছবি যুক্ত করা হয়নি।
রিভার্স ইমেজ সার্চে ছবিগুলো পাওয়া গেছে ‘কেটো’ (ketto) নামে একটি ভারতীয় ‘ফান্ড রেইজিং’ সংস্থার ফেসবুক পেজে। গত ২৬ এপ্রিল ওই সংস্থার ফেসবুক পেজে ছবিগুলো আপলোড করে সাহায্যের আবেদন করা হয়। কেটোর ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ থেকে সাধারণত অসহায় মানুষ বা প্রাণীর জন্য গণ–অর্থায়নের আবেদন জানানো হয়। আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ছবিও পোস্ট করা হয়।
কেটোর পোস্ট অনুসারে ভাইরাল হওয়া কথিত মনিরুল ইসলামের ছবিগুলোর ব্যক্তিটি মূলত ভারতীয় নাগরিক রবি কুমার।
কেটোর ওয়েবসাইট থেকে আরও জানা যায়, ৪০ বছর বয়সী রবি কুমার একটি জটিল রোগে ভুগছেন। ২০১৭ সাল থেকে রবি কুমারের ঠোঁট ও চোখের ত্বক অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে থাকে। এতে তাঁর চোখ ঢেকে গিয়ে প্রায় অন্ধ হওয়ার অবস্থা।
ওই ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়, রবি কুমারের চিকিৎসায় দরকার ১৫ লাখ রুপি। তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত ১০ মিনিট দৈর্ঘ্যের একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি সেখানে পাওয়া যায়। চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র, ডায়াগনস্টিক রিপোর্ট এবং চিকিৎসকদের মতামতও পোস্ট করা হয়েছে ওই ওয়েবসাইটে।
গত ৩ জুলাই ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রিচার্ডসন ডেন্টাল অ্যান্ড ক্র্যানিওফেসিয়াল হাসপাতালের ফেসবুক পেজে রবি কুমারের অস্ত্রোপচারের আগের ও পরের ছবি কোলাজ করে পোস্ট করা হয়। ক্যাপশন থেকে জানা যায়, তাঁর মুখে জুভেনাইল জ্যান্থোগ্র্যানুলোমা নামের টিউমার হয়েছিল। এই ধরনের টিউমার বেশ বিরল ও জটিল।
ভাইরাল পোস্টগুলোতে অর্থ সাহায্য পাঠানোর জন্য একাধিক নম্বর দেওয়া হয়েছে। পোস্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নম্বরগুলো মনিরুল ইসলামের ছোট ভাই রফিকুল ইসলামের। ফ্যাক্টচেক বিভাগ থেকে সবগুলো নম্বরেই কল করা হয়।
০১৩০৬৩১৩১৬৪ নম্বরটিতে কল করে বেশ কয়েকবার রিং হলেও ওপাশ থেকে জবাব আসেনি। একপর্যায়ে কলটি কেটে দেওয়া হয়। রিভার্স সার্চ করে দেখা যায়, গত জুলাই মাসে ‘নাটোরের জনি বাঁচতে চায়’— এমন ক্যাপশনের একটি পোস্টে একই নম্বর ব্যবহার করা হয়েছিল।
আরেকটি নম্বর ০১৩২৩০০৪৯৬৪। এই নম্বরে কল করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। এর আগে রংপুরের তিন বছরের এক শিশুর জন্য সাহায্য চেয়েও এই নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে এই নম্বরের মালিক হিসেবে শিশু জান্নাতের বাবা ইসমাইল হোসেনকে উল্লেখ করা হয়।
০১৯৯৭১৭৩২৫২ নম্বরটি অনুসন্ধান করে দেখা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিশু সবুজের জন্য সাহায্য চেয়েও এই নম্বর ব্যবহার করা হয়েছিল।
আর ০১৮৫২২৯২৮৫৬ নম্বরে কল করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ট্রু কলার অ্যাপ ব্যবহার করেও নম্বরগুলো সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ধরে নেওয়া যায়, নম্বরগুলো স্বল্প সময়ের জন্য শুধু এ ধরনের প্রতারণামূলক কাজেই ব্যবহার করা হয়।
নোয়াখালী সদর হাসাতালে যোগাযোগ করা হলে আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, ওই হাসপাতালে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড নেই। আর ৪৩ নম্বর শয্যা থাকলেও সেখানে এ ধরনের রোগী ভর্তি নেই বলেও নিশ্চিত করেন।
সিদ্ধান্ত
নোয়াখালী সদর হাসপাতালে বিরল রোগে আক্রান্ত মনিরুল ইসলাম নামে কেউ ভর্তি নেই। এই নামে যে ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য ফেসবুকে অর্থ সাহায্য চাওয়া হচ্ছে তিনি আসলে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রবিকুমার। গত জুলাই মাসে তাঁর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।
সাহায্য পাঠানোর জন্য বিকাশ ও নগদের যে নম্বরগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলো এর আগেও এ ধরনের পোস্টে অন্য নামের বিপরীতে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ধারণা করা যায়, একটি চক্র এভাবে প্রতারণা করে যাচ্ছে। সুতরাং সামাজিক মাধ্যমে মানবিক আবেদনে সাড়া দেওয়ার আগে যাচাই করে নেওয়া উচিত।
ভূপেন হাজারিকা সেই কবেই গেয়ে গেছেন, ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবন জীবনের জন্য! একটু সহানুভূতি কি, মানুষ পেতে পারে না!’ কিন্তু মানুষের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে যদি প্রতারিত হন। দেখলেন, কথিত ভুক্তভোগীর কোনো অস্তিত্বই নেই!
ফেসবুক ব্যবহার করে আজকাল হরহামেশাই এমন প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। ভুয়া ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে কিংবা উদ্দেশ্যমূলক ভাবে ছবি–ভিডিও সম্পাদনা করে নানা ভাবে প্রতারণা করছে একটি চক্র।
এ রকমই একটি মানবিক আবেদন কিছুদিন ধরে ফেসবুকে ঘুরছে। ‘অসুস্থ এক ব্যক্তির জন্য’ আর্থিক সাহায্য চেয়ে একটি পোস্ট ফেসবুকে ব্যাপকভাবে শেয়ার হতে দেখা যাচ্ছে। চারটি ছবি পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, লোকটির নাম মনিরুল ইসলাম। তিনি একজন বাক্প্রতিবন্ধী সৎ দরিদ্র রিকশাচালক।
পরিবারে অসুস্থ মাসহ পাঁচজন সদস্যের মধ্যে মনিরুল একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ব্যাটারির অ্যাসিডে দগ্ধ হয়েছে তাঁর মুখমণ্ডল। চিকিৎসকেরা বলেছেন, খুব তাড়াতাড়ি সার্জারি না করানো হলে আরও ভয়াবহ অবস্থা হবে। চিকিৎসার জন্য ৫ লাখ টাকা দরকার।
ওই পোস্টে আরও দাবি করা হচ্ছে, স্থানীয়ভাবে এলাকাবাসী ও আত্মীয়–স্বজনের মাধ্যমে প্রায় দুই লাখ টাকার ব্যবস্থা হয়েছে। নোয়াখালী সদর হাসপাতালের ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি মনিরুলের চিকিৎসার জন্য আর্থিক সাহায্য চেয়ে একটি বিকাশ ও একটি নগদ অ্যাকাউন্টের নম্বর দেওয়া হয়েছে। যোগাযোগ ও সাহায্য পাঠানোর মাধ্যম হিসেবে ‘মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছোট ভাই রফিকুল ইসলামের’ নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
ফেসবুক ঘেঁটে এমন দাবি সংবলিত কয়েক শ পোস্ট দেখা গেছে। পোস্টগুলোর প্রায় প্রতিটিই কয়েক শ আইডি থেকে শেয়ার করা হয়েছে। মন্তব্য পড়ে দেখা গেছে, বেশির ভাগ ব্যবহারকারী ছবি ও তথ্যকে সত্য বলে ধরে নিয়ে রোগীর রোগমুক্তি কামনা করেছেন।
ফ্যাক্টচেক
গত জুলাই থেকেই ফেসবুকে এই পোস্টটি দেখা যাচ্ছে। ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে শেয়ার করা হয়েছে বেশি। মারজিয়া রহমান ও তানিশা আখতার তিশা— এ দুটি আইডি থেকেই মূলত পোস্টটি বেশ কিছু গ্রুপে শেয়ার করা হয়। তাৎক্ষণিক অসংখ্য শেয়ারের কারণে ফেসবুকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পোস্টটি। দুটি আইডিই ‘লকড’ থাকায় আইডিগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি।
ভাইরাল হওয়া পোস্টের সঙ্গে রোগীর চারটি ছবি পোস্ট করা হয়েছে। প্রথম ছবিতে একজন নারীর পাশে কথিত মনিরুল ইসলাম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ছবিতে তাঁর বিকৃত মুখমণ্ডল এবং শেষ ছবিটিতে সুস্থ অবস্থায় মনিরুলের ছবি বলে দাবি করা হয়েছে। ওই রোগী নোয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং তাঁর ওয়ার্ড নম্বরও উল্লেখ করা হয়েছে। তবে প্রেসক্রিপশন, হাসপাতালে ভর্তির কাগজপত্র কিংবা ডায়াগনস্টিক রিপোর্টের কোনো ছবি যুক্ত করা হয়নি।
রিভার্স ইমেজ সার্চে ছবিগুলো পাওয়া গেছে ‘কেটো’ (ketto) নামে একটি ভারতীয় ‘ফান্ড রেইজিং’ সংস্থার ফেসবুক পেজে। গত ২৬ এপ্রিল ওই সংস্থার ফেসবুক পেজে ছবিগুলো আপলোড করে সাহায্যের আবেদন করা হয়। কেটোর ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজ থেকে সাধারণত অসহায় মানুষ বা প্রাণীর জন্য গণ–অর্থায়নের আবেদন জানানো হয়। আবেদনের সঙ্গে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ছবিও পোস্ট করা হয়।
কেটোর পোস্ট অনুসারে ভাইরাল হওয়া কথিত মনিরুল ইসলামের ছবিগুলোর ব্যক্তিটি মূলত ভারতীয় নাগরিক রবি কুমার।
কেটোর ওয়েবসাইট থেকে আরও জানা যায়, ৪০ বছর বয়সী রবি কুমার একটি জটিল রোগে ভুগছেন। ২০১৭ সাল থেকে রবি কুমারের ঠোঁট ও চোখের ত্বক অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে থাকে। এতে তাঁর চোখ ঢেকে গিয়ে প্রায় অন্ধ হওয়ার অবস্থা।
ওই ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়, রবি কুমারের চিকিৎসায় দরকার ১৫ লাখ রুপি। তাঁর চিকিৎসা সংক্রান্ত ১০ মিনিট দৈর্ঘ্যের একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি সেখানে পাওয়া যায়। চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র, ডায়াগনস্টিক রিপোর্ট এবং চিকিৎসকদের মতামতও পোস্ট করা হয়েছে ওই ওয়েবসাইটে।
গত ৩ জুলাই ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রিচার্ডসন ডেন্টাল অ্যান্ড ক্র্যানিওফেসিয়াল হাসপাতালের ফেসবুক পেজে রবি কুমারের অস্ত্রোপচারের আগের ও পরের ছবি কোলাজ করে পোস্ট করা হয়। ক্যাপশন থেকে জানা যায়, তাঁর মুখে জুভেনাইল জ্যান্থোগ্র্যানুলোমা নামের টিউমার হয়েছিল। এই ধরনের টিউমার বেশ বিরল ও জটিল।
ভাইরাল পোস্টগুলোতে অর্থ সাহায্য পাঠানোর জন্য একাধিক নম্বর দেওয়া হয়েছে। পোস্টে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নম্বরগুলো মনিরুল ইসলামের ছোট ভাই রফিকুল ইসলামের। ফ্যাক্টচেক বিভাগ থেকে সবগুলো নম্বরেই কল করা হয়।
০১৩০৬৩১৩১৬৪ নম্বরটিতে কল করে বেশ কয়েকবার রিং হলেও ওপাশ থেকে জবাব আসেনি। একপর্যায়ে কলটি কেটে দেওয়া হয়। রিভার্স সার্চ করে দেখা যায়, গত জুলাই মাসে ‘নাটোরের জনি বাঁচতে চায়’— এমন ক্যাপশনের একটি পোস্টে একই নম্বর ব্যবহার করা হয়েছিল।
আরেকটি নম্বর ০১৩২৩০০৪৯৬৪। এই নম্বরে কল করেও কাউকে পাওয়া যায়নি। এর আগে রংপুরের তিন বছরের এক শিশুর জন্য সাহায্য চেয়েও এই নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে। সেখানে এই নম্বরের মালিক হিসেবে শিশু জান্নাতের বাবা ইসমাইল হোসেনকে উল্লেখ করা হয়।
০১৯৯৭১৭৩২৫২ নম্বরটি অনুসন্ধান করে দেখা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বরে শিশু সবুজের জন্য সাহায্য চেয়েও এই নম্বর ব্যবহার করা হয়েছিল।
আর ০১৮৫২২৯২৮৫৬ নম্বরে কল করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ট্রু কলার অ্যাপ ব্যবহার করেও নম্বরগুলো সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ধরে নেওয়া যায়, নম্বরগুলো স্বল্প সময়ের জন্য শুধু এ ধরনের প্রতারণামূলক কাজেই ব্যবহার করা হয়।
নোয়াখালী সদর হাসাতালে যোগাযোগ করা হলে আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, ওই হাসপাতালে ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড নেই। আর ৪৩ নম্বর শয্যা থাকলেও সেখানে এ ধরনের রোগী ভর্তি নেই বলেও নিশ্চিত করেন।
সিদ্ধান্ত
নোয়াখালী সদর হাসপাতালে বিরল রোগে আক্রান্ত মনিরুল ইসলাম নামে কেউ ভর্তি নেই। এই নামে যে ব্যক্তির চিকিৎসার জন্য ফেসবুকে অর্থ সাহায্য চাওয়া হচ্ছে তিনি আসলে ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের রবিকুমার। গত জুলাই মাসে তাঁর সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।
সাহায্য পাঠানোর জন্য বিকাশ ও নগদের যে নম্বরগুলো দেওয়া হয়েছে, সেগুলো এর আগেও এ ধরনের পোস্টে অন্য নামের বিপরীতে ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ধারণা করা যায়, একটি চক্র এভাবে প্রতারণা করে যাচ্ছে। সুতরাং সামাজিক মাধ্যমে মানবিক আবেদনে সাড়া দেওয়ার আগে যাচাই করে নেওয়া উচিত।
মনোজ কুমার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাস্টমস অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছেন— এমন একটি তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। পোস্টটির ক্যাপশনে লেখা, ‘অভিনেতার পাশাপাশি তিনি এখন একজন কাস্টমস অফিসার! বর্তমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকা তে কর্মরত আছেন!’
৯ ঘণ্টা আগেমাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে একটি ধানের ওপর ধান লাগানো থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ার নকশা করা হয়েছে— এই দাবিতে একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘এটা একটা ধান যার উপরে মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার করে, ধান লাগানো থেকে শুরু করে ঘরে তোলা পর্যন্ত সকল প্রসেস নকশা করা হয়েছ
১৩ ঘণ্টা আগেদেশে মোটরসাইকেলের সিসি লিমিট ৬০০ পর্যন্ত করা হয়েছে— এমন দাবিতে একটি তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে। পোস্টের ক্যাপশনে লেখা, ‘কংগ্রাচুলেশনস বাংলাদেশ। ৬০০ সিসি কনফার্মড! ৩৭৫–৫৯৯ সিসি পর্যন্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। খুব শিঘ্রই গেজেট প্রকাশ করা হবে।’
১ দিন আগেপরীক্ষার আগে অভিভাবকেরা সাধারণত ডিম খেতে নিষেধ করেন। এটি বহু দিন ধরে প্রচলিত একটি ধারণা। ধারণা করা হয়, পরীক্ষার আগে ডিম খেলে মাথা গুলিয়ে যাবে, কেউ কেউ আবার ডিমের আকারের সঙ্গে পরীক্ষার নম্বরের সম্পর্ক আছে মনে করেন! এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিভিন্ন সময় পোস্ট হতে দেখা গেছে।
২ দিন আগে