ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
‘যদি আপনার বাসায় অপরিচিত কেউ এসে বলে যে আমরা মেডিকেল কলেজ থেকে এসেছি। আপনার রক্তের গ্লুকোজ বা ডায়াবেটিস আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখব, কোনো ফি লাগবে না। ভুলেও পরীক্ষাটা করতে দিবেন না। শীঘ্রই ৯৯৯ কল দিবেন কিংবা পুলিশকে অবহিত করবেন। কারণ তারা আইএস জঙ্গি। তারা আপনার রক্তে এইচআইভি এইডস ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে দিবে। বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজনদের কাছে এটা শেয়ার করুন’—এমন তথ্য সংবলিত একটি ‘রেড অ্যালার্ট’ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ফেসবুকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট এবং পেজ থেকে দেওয়া এ সংক্রান্ত পোস্টগুলোতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। গত ২০ মার্চ (বুধবার) ‘বাংলাদেশ শিক্ষাবার্তা’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সূত্র উল্লেখ করে ‘রেড অ্যালার্ট’ শিরোনামে এমন একটি পোস্ট দেওয়া হয়। পোস্টটি আজ শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে, রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের কাছাকাছি। পোস্টটিকে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা সত্য ধরে নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
পোস্টের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরে মূলধারার সংবাদমাধ্যমে এমন কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) ওয়েবসাইট খুঁজে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনী থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ এমন কোনো নির্দেশনা দিলে সেটি আইএসপিআরের ওয়েবসাইটসহ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতো।
‘রেড অ্যালার্ট’ সম্পর্কিত কিছু পোস্টে বাংলাদেশ পুলিশ ও বাংলাদেশ স্কাউটসকেও সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ও ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ, ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (সিটিটিসি) ফেসবুক পেজ খুঁজেও এই ‘রেড অ্যালার্ট’ সম্পর্কিত কোনো পোস্ট পাওয়া যায়নি।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিকেশন) মো. আবদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ। তিনি আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগকে জানান, বাংলাদেশ স্কাউট থেকে এমন কোনো নির্দেশনা বা বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি।
দাবিটি ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) স্বীকৃত বাংলাদেশের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্ট ওয়াচ ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নামে প্রচারিত এই রেড অ্যালার্টটি ভুয়া’ শিরোনামে একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানায়, সামাজিক মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, এবং বাংলাদেশ স্কাউটসের সৌজন্যে যে পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে সেটির দাবি ভিত্তিহীন। পোস্টগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানই এ ধরনের রেড অ্যালার্ট দেয়নি।
প্রসঙ্গত, ভাইরাল রেড অ্যালার্টটি সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ শিক্ষাবার্তা’, ‘শিক্ষা বার্তা’ নামের বেশ কিছু পেজ থেকে বেশি ভাইরাল হয়েছে। পেজগুলোর প্রোফাইল ও কভার ফটোতে বাংলাদেশ সরকারের মনোগ্রাম রয়েছে। যদিও পেজগুলো কোনো সরকারি দপ্তর পরিচালনা করে না বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ জাতীয় পেজ থেকে বিভিন্ন সময় ভুয়া, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার হতে দেখা গেছে।
এ পেজগুলো সম্পর্কে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের গত ১৯ জানুয়ারি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই নামের পেজগুলোর বিরুদ্ধে আগেও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আবারও আমরা এসব পেজ ও গ্রুপের তালিকা করে বিটিসিএলকে বলব বন্ধ করে দিতে।’
‘যদি আপনার বাসায় অপরিচিত কেউ এসে বলে যে আমরা মেডিকেল কলেজ থেকে এসেছি। আপনার রক্তের গ্লুকোজ বা ডায়াবেটিস আছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখব, কোনো ফি লাগবে না। ভুলেও পরীক্ষাটা করতে দিবেন না। শীঘ্রই ৯৯৯ কল দিবেন কিংবা পুলিশকে অবহিত করবেন। কারণ তারা আইএস জঙ্গি। তারা আপনার রক্তে এইচআইভি এইডস ভাইরাস প্রবেশ করিয়ে দিবে। বন্ধু এবং আত্মীয়-স্বজনদের কাছে এটা শেয়ার করুন’—এমন তথ্য সংবলিত একটি ‘রেড অ্যালার্ট’ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। ফেসবুকে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট এবং পেজ থেকে দেওয়া এ সংক্রান্ত পোস্টগুলোতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। গত ২০ মার্চ (বুধবার) ‘বাংলাদেশ শিক্ষাবার্তা’ নামের একটি ফেসবুক পেজ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সূত্র উল্লেখ করে ‘রেড অ্যালার্ট’ শিরোনামে এমন একটি পোস্ট দেওয়া হয়। পোস্টটি আজ শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ২ হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে, রিয়েকশন পড়েছে ৪ হাজারের কাছাকাছি। পোস্টটিকে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা সত্য ধরে নিয়ে মন্তব্য করেছেন।
পোস্টের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরে মূলধারার সংবাদমাধ্যমে এমন কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ, অফিশিয়াল ওয়েবসাইট, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) ওয়েবসাইট খুঁজে এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সেনাবাহিনী থেকে জনগুরুত্বপূর্ণ এমন কোনো নির্দেশনা দিলে সেটি আইএসপিআরের ওয়েবসাইটসহ সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতো।
‘রেড অ্যালার্ট’ সম্পর্কিত কিছু পোস্টে বাংলাদেশ পুলিশ ও বাংলাদেশ স্কাউটসকেও সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ পুলিশের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ও ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ, ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (সিটিটিসি) ফেসবুক পেজ খুঁজেও এই ‘রেড অ্যালার্ট’ সম্পর্কিত কোনো পোস্ট পাওয়া যায়নি।
দাবিটির সত্যতা যাচাইয়ে বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিকেশন) মো. আবদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ। তিনি আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগকে জানান, বাংলাদেশ স্কাউট থেকে এমন কোনো নির্দেশনা বা বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি।
দাবিটি ফেসবুকে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেকিং নেটওয়ার্ক (আইএফসিএন) স্বীকৃত বাংলাদেশের ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্ট ওয়াচ ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নামে প্রচারিত এই রেড অ্যালার্টটি ভুয়া’ শিরোনামে একটি ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানায়, সামাজিক মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, এবং বাংলাদেশ স্কাউটসের সৌজন্যে যে পোস্টটি ভাইরাল হয়েছে সেটির দাবি ভিত্তিহীন। পোস্টগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠানই এ ধরনের রেড অ্যালার্ট দেয়নি।
প্রসঙ্গত, ভাইরাল রেড অ্যালার্টটি সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ শিক্ষাবার্তা’, ‘শিক্ষা বার্তা’ নামের বেশ কিছু পেজ থেকে বেশি ভাইরাল হয়েছে। পেজগুলোর প্রোফাইল ও কভার ফটোতে বাংলাদেশ সরকারের মনোগ্রাম রয়েছে। যদিও পেজগুলো কোনো সরকারি দপ্তর পরিচালনা করে না বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ জাতীয় পেজ থেকে বিভিন্ন সময় ভুয়া, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার হতে দেখা গেছে।
এ পেজগুলো সম্পর্কে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবুল খায়ের গত ১৯ জানুয়ারি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই নামের পেজগুলোর বিরুদ্ধে আগেও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আবারও আমরা এসব পেজ ও গ্রুপের তালিকা করে বিটিসিএলকে বলব বন্ধ করে দিতে।’
ভারতে তিনি প্রথমবার প্রকাশ্যে আসার দাবিতে এর আগে একাধিক ভিডিও ছড়ালে সেগুলো শনাক্ত করে ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ। এরই মধ্যে ভারত থেকে শেখ হাসিনা ভাষণ দিয়েছেন—এমন দাবিতে আরও একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেসামরিক পোশাক পরা এবং সাধারণ পোশাক পরা লোকজনের মধ্যে হাতাহাতি চলছে। এমন একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, গ্রুপ ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ভিডিওটি ছড়ানো হয়েছে।
২ দিন আগেছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন। এর পর থেকে মাঝে মাঝে তাকে নিয়ে নানা তথ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। তেমনি একটি তথ্য...
২ দিন আগেকক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটির ক্যাপশনে দাবি করা হচ্ছে, ভিডিওতে থাকা তরুণী পর্যটক ছিলেন। তাঁর গাড়ি থামিয়ে ছিনতাই...
৩ দিন আগে