ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন সালমানকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে দাবিতে ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এক্স প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকেই ভিডিওটি বেশি ছড়িয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের অন্ধকারে আগুনে পুড়ছে একটি গাড়ি। পাশে কাচঘেরা একটি ভবনও দেখা যাচ্ছে। ভবনটির নামফলক থাকলেও সেটি স্পষ্ট নয়। অল্প দূরেই বেশ কিছু গাড়ি দাঁড়িয়ে, কিছু মানুষ ছোটাছুটি করছে।
তথ্যটির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে সৌদি আরবসহ বিশ্বের নির্ভরযোগ্য কোনো সংবাদমাধ্যমে দাবিটির পক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
অপতথ্য নিয়ে কাজ করা বিবিসি ভেরিফাই–এর সাংবাদিক শায়ান সরদারিজাদেহ দাবিটি প্রসঙ্গে আজ মঙ্গলবার (৭ মে) নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে একটি টুইট করেন। টুইটে তিনি বলেন, সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানকে হত্যাচেষ্টার সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একটি দাবি এক্সে ছড়িয়ে পড়েছে। দাবিটি ছড়িয়েছে কিছু ভুয়া ওপেনসোর্স ইন্টেলিজেন্স এবং অপতথ্য ছড়ানোর জন্য পরিচিত কিছু এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে। দাবিটির পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
একই ভিডিও প্রসঙ্গে সৌদি আরবের সাংবাদিক হুসাইন আল–গাওয়ি নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে টুইট করে জানান, গাড়িতে আগুন জ্বলার ভাইরাল ভিডিওটি চলতি বছরের ১৬ মার্চ ধারণ করা। ওই সময় রিয়াদের একটি সড়কে এ ঘটনা ঘটে। টুইটটিতে তিনি সূত্র হিসেবে সৌদি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টের ১৬ মার্চের একটি টুইট যুক্ত করেছেন। টুইটটিতে সৌদি ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মীকে গাড়ির আগুন নেভাতে দেখা যায়। পাশেই কাচঘেরা একটি ভবন রয়েছে, ভবনটির নামফলকের লেখাগুলো স্পষ্ট নয়।
পরে আরও খুঁজে দাবিটি প্রসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান মিসবার–এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে মিসবার জানায়, সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানকে হত্যাচেষ্টার সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি করা হয় ‘মাহমুদ আবু মেসমার’ নামে একটি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে। অ্যাকাউন্টটি থেকে সোমবার (৬ এপ্রিল) রাত ৯টা ১২ মিনিটে টুইটটি করা হয়।
‘ড. স্যাম ইউসেফ’ নামের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ‘মাহমুদ আবু মেসমার’–এর টুইটটি রি–পোস্ট করা হয়। এরপরই দাবিটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। পরে ইসরায়েল থেকে পরিচালিত ‘মোসাদ কমেন্টারি’ নামের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে এটি রি–পোস্ট করা হলে ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে বিস্তার ঘটে।
মিসবার আরও জানায়, সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানকে হত্যাচেষ্টার দাবিটিতে পুরোনো একটি দুর্ঘটনার ভিডিও ফুটেজ যুক্ত করে প্রচার করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে দাবিটির কোনো সত্যতা নেই। দুর্ঘটনার ভিডিওটি প্রথম প্রকাশিত হয় গত ১৬ মার্চ ‘Saudi M&m’s’ নামের টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে। ভিডিওটিতে ‘TREDO’ নামের একটি এক্স অ্যাকাউন্টকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ ভিডিওটিতে আরবিতে ‘কিং সালমান রোড ফায়ার’ লেখা ছিল। এই অংশটি কেটে দিয়ে এখন ‘যুবরাজকে হত্যাচেষ্টা’ দাবিতে ভাইরাল ভিডিওটি প্রচার করা হচ্ছে।
অবশ্য মূল ভিডিওটি (দুর্ঘটনার) টিকটক ও এক্স উভয় অ্যাকাউন্ট থেকেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানেও মূল ভিডিওটি পাওয়া যায়নি। যুবরাজকে হত্যাচেষ্টা সম্পর্কিত মিসবারের ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনে সেই দুর্ঘটনার ভিডিওর একটি স্ক্রিনশট জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সৌদি সিভিল ডিফেন্সের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টের ১৬ মার্চের টুইট।
পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের টুইটটির সঙ্গে ভাইরাল ফুটেজটির সাদৃশ্যও দেখিয়েছে মিসবার। এতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীর জ্বলন্ত গাড়ির আগুন নেভানোর চেষ্টা, পাশের ভবনের কাচ এবং নামফলকের সঙ্গে ভাইরাল ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়।
‘মোসাদ কমেন্টারি’ এক্স অ্যাকাউন্টটি থেকেও পরে টুইট করে জানানো হয়, রিয়াদের ঘটনাটি (মুহাম্মদ বিন সালমানকে হত্যাচেষ্টার দাবিটি) সঠিক নয়।
সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন সালমানকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে দাবিতে ১১ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এক্স প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকেই ভিডিওটি বেশি ছড়িয়েছে।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, রাতের অন্ধকারে আগুনে পুড়ছে একটি গাড়ি। পাশে কাচঘেরা একটি ভবনও দেখা যাচ্ছে। ভবনটির নামফলক থাকলেও সেটি স্পষ্ট নয়। অল্প দূরেই বেশ কিছু গাড়ি দাঁড়িয়ে, কিছু মানুষ ছোটাছুটি করছে।
তথ্যটির সত্যতা যাচাইয়ে প্রাসঙ্গিক কি–ওয়ার্ড অনুসন্ধানে সৌদি আরবসহ বিশ্বের নির্ভরযোগ্য কোনো সংবাদমাধ্যমে দাবিটির পক্ষে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
অপতথ্য নিয়ে কাজ করা বিবিসি ভেরিফাই–এর সাংবাদিক শায়ান সরদারিজাদেহ দাবিটি প্রসঙ্গে আজ মঙ্গলবার (৭ মে) নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে একটি টুইট করেন। টুইটে তিনি বলেন, সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানকে হত্যাচেষ্টার সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একটি দাবি এক্সে ছড়িয়ে পড়েছে। দাবিটি ছড়িয়েছে কিছু ভুয়া ওপেনসোর্স ইন্টেলিজেন্স এবং অপতথ্য ছড়ানোর জন্য পরিচিত কিছু এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে। দাবিটির পক্ষে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
একই ভিডিও প্রসঙ্গে সৌদি আরবের সাংবাদিক হুসাইন আল–গাওয়ি নিজের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টে টুইট করে জানান, গাড়িতে আগুন জ্বলার ভাইরাল ভিডিওটি চলতি বছরের ১৬ মার্চ ধারণ করা। ওই সময় রিয়াদের একটি সড়কে এ ঘটনা ঘটে। টুইটটিতে তিনি সূত্র হিসেবে সৌদি ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টের ১৬ মার্চের একটি টুইট যুক্ত করেছেন। টুইটটিতে সৌদি ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মীকে গাড়ির আগুন নেভাতে দেখা যায়। পাশেই কাচঘেরা একটি ভবন রয়েছে, ভবনটির নামফলকের লেখাগুলো স্পষ্ট নয়।
পরে আরও খুঁজে দাবিটি প্রসঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য ভিত্তিক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান মিসবার–এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়। প্রতিবেদনটিতে মিসবার জানায়, সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানকে হত্যাচেষ্টার সম্ভাব্য প্রথম পোস্টটি করা হয় ‘মাহমুদ আবু মেসমার’ নামে একটি এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে। অ্যাকাউন্টটি থেকে সোমবার (৬ এপ্রিল) রাত ৯টা ১২ মিনিটে টুইটটি করা হয়।
‘ড. স্যাম ইউসেফ’ নামের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ‘মাহমুদ আবু মেসমার’–এর টুইটটি রি–পোস্ট করা হয়। এরপরই দাবিটি ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। পরে ইসরায়েল থেকে পরিচালিত ‘মোসাদ কমেন্টারি’ নামের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে এটি রি–পোস্ট করা হলে ইন্টারনেটে ব্যাপকভাবে বিস্তার ঘটে।
মিসবার আরও জানায়, সৌদি যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানকে হত্যাচেষ্টার দাবিটিতে পুরোনো একটি দুর্ঘটনার ভিডিও ফুটেজ যুক্ত করে প্রচার করা হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে দাবিটির কোনো সত্যতা নেই। দুর্ঘটনার ভিডিওটি প্রথম প্রকাশিত হয় গত ১৬ মার্চ ‘Saudi M&m’s’ নামের টিকটক অ্যাকাউন্ট থেকে। ভিডিওটিতে ‘TREDO’ নামের একটি এক্স অ্যাকাউন্টকে সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ ভিডিওটিতে আরবিতে ‘কিং সালমান রোড ফায়ার’ লেখা ছিল। এই অংশটি কেটে দিয়ে এখন ‘যুবরাজকে হত্যাচেষ্টা’ দাবিতে ভাইরাল ভিডিওটি প্রচার করা হচ্ছে।
অবশ্য মূল ভিডিওটি (দুর্ঘটনার) টিকটক ও এক্স উভয় অ্যাকাউন্ট থেকেই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগের অনুসন্ধানেও মূল ভিডিওটি পাওয়া যায়নি। যুবরাজকে হত্যাচেষ্টা সম্পর্কিত মিসবারের ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদনে সেই দুর্ঘটনার ভিডিওর একটি স্ক্রিনশট জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্র হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সৌদি সিভিল ডিফেন্সের ভেরিফায়েড এক্স অ্যাকাউন্টের ১৬ মার্চের টুইট।
পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের টুইটটির সঙ্গে ভাইরাল ফুটেজটির সাদৃশ্যও দেখিয়েছে মিসবার। এতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীর জ্বলন্ত গাড়ির আগুন নেভানোর চেষ্টা, পাশের ভবনের কাচ এবং নামফলকের সঙ্গে ভাইরাল ভিডিওটির মিল পাওয়া যায়।
‘মোসাদ কমেন্টারি’ এক্স অ্যাকাউন্টটি থেকেও পরে টুইট করে জানানো হয়, রিয়াদের ঘটনাটি (মুহাম্মদ বিন সালমানকে হত্যাচেষ্টার দাবিটি) সঠিক নয়।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। তাতে হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
৮ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকও। সম্প্রতি সারজিস শিশু মডেল অভিনেত্রী সিমরিন লুবাবাকে ফেসবুকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
১৩ ঘণ্টা আগেপ্রযুক্তি জগতে নানা উদ্ভাবন দিয়ে সব সময়ই আলোচনায় থাকেন স্পেসএক্স, টেসলাসহ মাইক্রোব্লগিং সাইট এক্সের (সাবেক টুইটার) মালিক ইলন মাস্ক। সম্প্রতি তিনি আলোচনায় এসেছেন এক্সে ডিজনির এলজিবিটিকিউ সম্পর্কিত কনটেন্ট ব্লক করে দিয়েছেন এমন দাবিতে। গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ফেসবুকে ‘মহিদুল আলম...
১ দিন আগেরাজধানীর সায়েন্স ল্যাব এলাকায় গত বুধবার দুপুরে সংঘর্ষে জড়ায় ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান পুলিশ ও সেনাসদস্যরা, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন তাঁরা। এ সময় পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেডও ছোড়ে।
২ দিন আগে