ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর যুদ্ধের পোশাক দাবি করে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়েছে। ফেসবুকে প্রচারিত সবচেয়ে ভাইরাল ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তা ২৭ লাখ বার দেখা হয়েছে, রিয়েক্ট পড়েছে ৪ লাখ ৩৯ হাজার বার।
অপর দিকে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে একই দাবির সবচেয়ে ভাইরাল ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তা ১৪ লাখ বার দেখা হয়েছে, রিয়েক্ট পড়েছে তিন লাখের বেশি অর্থাৎ এত সংখ্যক মানুষ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
তবে ভিডিওতে দৃশ্যমান যুদ্ধের পোশাকটি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নয়। এটি উসমানি সুলতান তৃতীয় মুস্তফার যুদ্ধের পোশাকের রেপ্লিকা, যেটি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত তোপকাপি প্যালেস মিউজিয়ামে প্রদর্শন করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিওটি থেকে কিছু অংশ রিভার্স ইমেজ সার্চ দেওয়া হয়েছিল। তাতে দেখা যায়, আলোচিত যুদ্ধের পোশাকটি ২০১৬ সালের ২২ মার্চ শাটার স্টকের ওয়েবসাইটে প্রচারিত একটি ভিডিওতে ছিল।
ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, প্রদর্শিত পোশাকটি মধ্যযুগীয় যোদ্ধাদের। এটি ইস্তাম্বুলের তোপকাপি প্রাসাদ মিউজিয়ামে অবস্থিত। তোপকাপি প্রাসাদ প্রায় ৪০০ বছর ধরে উসমানি সুলতানদের অন্যতম প্রধান বাসস্থান ছিল।
এই সূত্রে পরবর্তী অনুসন্ধানে তুরস্কের গণমাধ্যম স্টার গ্যাজেটেসিতে ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তুরস্কের টোকাত শহরের সামি এরসিন (৬৬) নামের এক বাসিন্দা শখের বসে উসমানি সুলতান তৃতীয় মুস্তফার যুদ্ধের পোশাকের এই রেপ্লিকা তৈরি করেন। প্রায় ৪০ হাজার লোহার রিং দিয়ে পোশাকটি তৈরি করতে তার সময় লাগে দুই মাস। তার কম্পিউটার প্রোগ্রামার ছেলেরা এ কাজে তাকে সহায়তা করেন।
প্রসঙ্গত, উসমানি সুলতান তৃতীয় মুস্তাফা ১৭১৭ সালে তৎকালীন কনস্টান্টিনোপল বর্তমানে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি উসমানি সাম্রাজ্যের পতন ঠেকাতে সরকার ও সামরিক খাতে সংস্কারের চেষ্টা করেন। এছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধও ঘোষণা করেন তিনি। তবে তার মৃত্যুর পরে এ যুদ্ধ বিপর্যয়কর পরাজয় ডেকে আনে।
সিদ্ধান্ত
সম্প্রতি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম একটি যুদ্ধের পোশাক প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর যুদ্ধের পোশাক। তবে অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, এটি মূলত উসমানি সুলতান তৃতীয় মুস্তফার যুদ্ধের পোশাকের রেপ্লিকা।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর যুদ্ধের পোশাক দাবি করে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ছড়িয়ে পড়েছে। ফেসবুকে প্রচারিত সবচেয়ে ভাইরাল ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তা ২৭ লাখ বার দেখা হয়েছে, রিয়েক্ট পড়েছে ৪ লাখ ৩৯ হাজার বার।
অপর দিকে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে একই দাবির সবচেয়ে ভাইরাল ভিডিওটি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তা ১৪ লাখ বার দেখা হয়েছে, রিয়েক্ট পড়েছে তিন লাখের বেশি অর্থাৎ এত সংখ্যক মানুষ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
তবে ভিডিওতে দৃশ্যমান যুদ্ধের পোশাকটি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নয়। এটি উসমানি সুলতান তৃতীয় মুস্তফার যুদ্ধের পোশাকের রেপ্লিকা, যেটি তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত তোপকাপি প্যালেস মিউজিয়ামে প্রদর্শন করা হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত ভিডিওটি থেকে কিছু অংশ রিভার্স ইমেজ সার্চ দেওয়া হয়েছিল। তাতে দেখা যায়, আলোচিত যুদ্ধের পোশাকটি ২০১৬ সালের ২২ মার্চ শাটার স্টকের ওয়েবসাইটে প্রচারিত একটি ভিডিওতে ছিল।
ভিডিওটির ক্যাপশন থেকে জানা যায়, প্রদর্শিত পোশাকটি মধ্যযুগীয় যোদ্ধাদের। এটি ইস্তাম্বুলের তোপকাপি প্রাসাদ মিউজিয়ামে অবস্থিত। তোপকাপি প্রাসাদ প্রায় ৪০০ বছর ধরে উসমানি সুলতানদের অন্যতম প্রধান বাসস্থান ছিল।
এই সূত্রে পরবর্তী অনুসন্ধানে তুরস্কের গণমাধ্যম স্টার গ্যাজেটেসিতে ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তুরস্কের টোকাত শহরের সামি এরসিন (৬৬) নামের এক বাসিন্দা শখের বসে উসমানি সুলতান তৃতীয় মুস্তফার যুদ্ধের পোশাকের এই রেপ্লিকা তৈরি করেন। প্রায় ৪০ হাজার লোহার রিং দিয়ে পোশাকটি তৈরি করতে তার সময় লাগে দুই মাস। তার কম্পিউটার প্রোগ্রামার ছেলেরা এ কাজে তাকে সহায়তা করেন।
প্রসঙ্গত, উসমানি সুলতান তৃতীয় মুস্তাফা ১৭১৭ সালে তৎকালীন কনস্টান্টিনোপল বর্তমানে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি উসমানি সাম্রাজ্যের পতন ঠেকাতে সরকার ও সামরিক খাতে সংস্কারের চেষ্টা করেন। এছাড়া রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধও ঘোষণা করেন তিনি। তবে তার মৃত্যুর পরে এ যুদ্ধ বিপর্যয়কর পরাজয় ডেকে আনে।
সিদ্ধান্ত
সম্প্রতি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম একটি যুদ্ধের পোশাক প্রচার করে দাবি করা হচ্ছে, এটি মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর যুদ্ধের পোশাক। তবে অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, এটি মূলত উসমানি সুলতান তৃতীয় মুস্তফার যুদ্ধের পোশাকের রেপ্লিকা।
ফ্যাক্টচেক, সোশ্যাল মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ভাইরাল, ভুয়া পোস্ট, সংঘর্ষ, রাজধানী, সেনাবাহিনী, বিক্ষোভ, রিকশা
১০ ঘণ্টা আগেদীপ্তির বক্তব্য দাবিতে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের নাম ও লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। দীপ্তি চৌধুরীর ছবিযুক্ত ফটোকার্ডটিতে লেখা, ‘আমার নানীর ফুফাতো বোনের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।’
১৪ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। তাতে হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
১ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকও। সম্প্রতি সারজিস শিশু মডেল অভিনেত্রী সিমরিন লুবাবাকে ফেসবুকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
২ দিন আগে