ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
গত দুই দশকে আফগানিস্তানে বিপুল অর্থ খরচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা। সম্প্রতি আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং তালেবানের ক্ষমতা দখলের পরিপ্রেক্ষিতে এই অর্থ ব্যয় নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সেই বিতর্ক উসকে দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া বক্তব্য।
২০ বছরে কত সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র?
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইনটাওয়ারে হামলার পেছনে রয়েছে আল কায়েদা। আর আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন তখন তালেবান সরকারের আশ্রয়ে। যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে হস্তান্তর করার দাবি জানালে তালেবান তা প্রত্যাখ্যান করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের অক্টোবরে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে এবং খুব কম সময়ের মধ্যে তৎকালীন তালেবান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
যুক্তরাষ্ট্র মাত্র ৬ হাজারের মতো সেনা পাঠিয়ে যে অভিযান শুরু করেছিল, ২০১১ সালে সে সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজারে গিয়ে পৌঁছায়। তবে গত বছর সংখ্যাটি ৪ হাজারে নেমে আসে।
আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্যের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি থাকলেও এই অভিযানে ন্যাটো জোটের অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের কিছু সৈন্যও অংশ নেয়। অবশ্য এই পরিসংখ্যানে বিশেষ বাহিনী এবং অন্যান্য অস্থায়ী কিছু ইউনিট অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ন্যাটো আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযান শেষ করলেও আফগান বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং সন্ত্রাস দমন অভিযানে সহায়তা করার জন্য সেখানে ১৩ হাজার সদস্য রেখে দেয়।
আফগানিস্তানে বেশ কিছু বেসরকারি নিরাপত্তা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসের তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে ২০২০-এর শেষ দিকে ৭ হাজার ৮০০-এর বেশি মার্কিন নাগরিক ছিল।
কত টাকা ব্যয় হয়েছে আফগানিস্তানে?
গত ২০ বছরে আফগানিস্তানে ব্যয়ের সিংহভাগ এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের করদাতাদের কাছ থেকে। মার্কিন সেনাদের চূড়ান্ত প্রত্যাহারের পর, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দাবি করেন, আফগানিস্তানে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় হয়েছে। যখন আফগানিস্তানে ১ লাখেরও বেশি সেনা সদস্য অবস্থান করছিল, তখন এক বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করেছেন তাঁরা।
মার্কিন সামরিক বাহিনী আক্রমণাত্মক অভিযান থেকে সরে এসে আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণের দিকে মনোনিবেশ করায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খরচ কমে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল।
তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক ব্যয় ছিল মোট ৮২৫ বিলিয়ন ডলার। পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে আরও প্রায় ১৩০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে। এতে মোট খরচ দাঁড়ায় ৯৫৫ বিলিয়ন ডলার। বাইডেন যে পরিমাণ খরচের দাবি করেছেন, সেটি মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর দেওয়া খরচের হিসাবের চেয়েও এক ট্রিলিয়ন ডলার বেশি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট অবশ্য ব্রাউন ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক একটি গবেষণার ওপর ভিত্তি করে দুই ট্রিলিয়ন অঙ্কটি বলেছেন। এর মধ্যে যুদ্ধে অর্থায়নের জন্য ব্যবহৃত অর্থের সুদ এবং প্রবীণদের যত্নের মতো ব্যয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ওই গবেষণায় পাকিস্তানে মার্কিন ব্যয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আফগান-সম্পর্কিত কার্যক্রমের ঘাঁটি হিসেবে পাকিস্তানের সঙ্গে এই সম্পর্ক বজায় রেখেছে বলে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র।
গবেষণায় দেখা গেছে, আফগানিস্তানে যুদ্ধের খরচ এবং ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি হিসেবে ২০০১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থ বরাদ্দ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরই আফগানিস্তানে সর্বাধিক সংখ্যক সৈন্য ছিল যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির। এই সময়ে যুক্তরাজ্য প্রায় ৩০ বিলিয়ন ও জার্মানি ১৯ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।
সব সেনা প্রত্যাহার করা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো আফগানিস্তানের নিজস্ব বাহিনীকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বছরে ৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এই টাকা কোথায় গেছে?
আফগানিস্তানে বিদেশি অর্থের সিংহভাগ ব্যয় হয়েছে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযান ও সেনা সদস্যের বিভিন্ন প্রয়োজনে। যেমন-খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, বিশেষ বেতন ও সুবিধা। মোট খরচের অর্ধেকই ব্যয় হয়েছে আফগান ন্যাশনাল আর্মি এবং পুলিশ বাহিনীসহ আফগান নিরাপত্তা বাহিনী গঠনে।
সরকারি তথ্য থেকে জানা যায়, ২০০২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান পুনর্গঠনের জন্য ১৩১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।
প্রশাসন ও উন্নয়ন খাতে প্রায় ৩৬ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। এমনকি মাদক বিরোধী কার্যক্রম ও মানবিক সহায়তার জন্যও কিছু অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
তাহলে মানুষের প্রাণহানি কি শুধুই পরিসংখ্যান?
২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা অভিযানের পর থেকে সেখানে ৩ হাজার ৫০০-এর বেশি সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে মার্কিন সৈন্য ২ হাজার ৩০০-এর বেশি। যুক্তরাজ্যের সেনা মারা গেছে ৪৫০ জনের বেশি। এই দীর্ঘ সময়ে আহত হয়েছে আরও ২০ হাজার ৬৬০ মার্কিন সৈন্য।
কিন্তু গত ২০ বছরে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী এবং বেসামরিকদের প্রাণহানি এত বেশি হয়েছে যে, বিদেশি বাহিনীর হতাহতের এই পরিসংখ্যান সেখানে নিতান্তই তুচ্ছ।
২০১৯ সালে আফগানিস্তানের সদ্য পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দাবি করেছিলেন, পাঁচ বছর আগে তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ৪৫ হাজারেরও বেশি সদস্য নিহত হয়েছেন।
২০১৯ সালে ব্রাউন ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত আফগানিস্তানে ৬৪ হাজার ১০০ জনেরও বেশি সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশনের (উনামা) তথ্য অনুসারে, ২০০৯ সালে তালিকাভুক্ত করা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আফগানিস্তানে প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি
গত দুই দশকে আফগানিস্তানে বিপুল অর্থ খরচ করেছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা। সম্প্রতি আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং তালেবানের ক্ষমতা দখলের পরিপ্রেক্ষিতে এই অর্থ ব্যয় নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সেই বিতর্ক উসকে দিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেওয়া বক্তব্য।
২০ বছরে কত সেনা পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র?
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইনটাওয়ারে হামলার পেছনে রয়েছে আল কায়েদা। আর আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন তখন তালেবান সরকারের আশ্রয়ে। যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে হস্তান্তর করার দাবি জানালে তালেবান তা প্রত্যাখ্যান করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের অক্টোবরে আফগানিস্তানে সামরিক অভিযান পরিচালনা করে এবং খুব কম সময়ের মধ্যে তৎকালীন তালেবান সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে।
যুক্তরাষ্ট্র মাত্র ৬ হাজারের মতো সেনা পাঠিয়ে যে অভিযান শুরু করেছিল, ২০১১ সালে সে সংখ্যা ১ লাখ ১০ হাজারে গিয়ে পৌঁছায়। তবে গত বছর সংখ্যাটি ৪ হাজারে নেমে আসে।
আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সদস্যের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি থাকলেও এই অভিযানে ন্যাটো জোটের অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রের কিছু সৈন্যও অংশ নেয়। অবশ্য এই পরিসংখ্যানে বিশেষ বাহিনী এবং অন্যান্য অস্থায়ী কিছু ইউনিট অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে ন্যাটো আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযান শেষ করলেও আফগান বাহিনীর প্রশিক্ষণ এবং সন্ত্রাস দমন অভিযানে সহায়তা করার জন্য সেখানে ১৩ হাজার সদস্য রেখে দেয়।
আফগানিস্তানে বেশ কিছু বেসরকারি নিরাপত্তা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসের তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে ২০২০-এর শেষ দিকে ৭ হাজার ৮০০-এর বেশি মার্কিন নাগরিক ছিল।
কত টাকা ব্যয় হয়েছে আফগানিস্তানে?
গত ২০ বছরে আফগানিস্তানে ব্যয়ের সিংহভাগ এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের করদাতাদের কাছ থেকে। মার্কিন সেনাদের চূড়ান্ত প্রত্যাহারের পর, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দাবি করেন, আফগানিস্তানে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় হয়েছে। যখন আফগানিস্তানে ১ লাখেরও বেশি সেনা সদস্য অবস্থান করছিল, তখন এক বছরে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি খরচ করেছেন তাঁরা।
মার্কিন সামরিক বাহিনী আক্রমণাত্মক অভিযান থেকে সরে এসে আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণের দিকে মনোনিবেশ করায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খরচ কমে প্রায় ৪৫ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছিল।
তবে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, ২০০১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক ব্যয় ছিল মোট ৮২৫ বিলিয়ন ডলার। পুনর্নির্মাণ প্রকল্পে আরও প্রায় ১৩০ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে। এতে মোট খরচ দাঁড়ায় ৯৫৫ বিলিয়ন ডলার। বাইডেন যে পরিমাণ খরচের দাবি করেছেন, সেটি মার্কিন প্রতিরক্ষা বাহিনীর দেওয়া খরচের হিসাবের চেয়েও এক ট্রিলিয়ন ডলার বেশি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট অবশ্য ব্রাউন ইউনিভার্সিটির সাম্প্রতিক একটি গবেষণার ওপর ভিত্তি করে দুই ট্রিলিয়ন অঙ্কটি বলেছেন। এর মধ্যে যুদ্ধে অর্থায়নের জন্য ব্যবহৃত অর্থের সুদ এবং প্রবীণদের যত্নের মতো ব্যয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ওই গবেষণায় পাকিস্তানে মার্কিন ব্যয়ও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আফগান-সম্পর্কিত কার্যক্রমের ঘাঁটি হিসেবে পাকিস্তানের সঙ্গে এই সম্পর্ক বজায় রেখেছে বলে দাবি করে যুক্তরাষ্ট্র।
গবেষণায় দেখা গেছে, আফগানিস্তানে যুদ্ধের খরচ এবং ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি হিসেবে ২০০১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ২ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থ বরাদ্দ করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পরই আফগানিস্তানে সর্বাধিক সংখ্যক সৈন্য ছিল যুক্তরাজ্য এবং জার্মানির। এই সময়ে যুক্তরাজ্য প্রায় ৩০ বিলিয়ন ও জার্মানি ১৯ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।
সব সেনা প্রত্যাহার করা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো আফগানিস্তানের নিজস্ব বাহিনীকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বছরে ৪ বিলিয়ন ডলার অর্থ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এই টাকা কোথায় গেছে?
আফগানিস্তানে বিদেশি অর্থের সিংহভাগ ব্যয় হয়েছে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযান ও সেনা সদস্যের বিভিন্ন প্রয়োজনে। যেমন-খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা, বিশেষ বেতন ও সুবিধা। মোট খরচের অর্ধেকই ব্যয় হয়েছে আফগান ন্যাশনাল আর্মি এবং পুলিশ বাহিনীসহ আফগান নিরাপত্তা বাহিনী গঠনে।
সরকারি তথ্য থেকে জানা যায়, ২০০২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান পুনর্গঠনের জন্য ১৩১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।
প্রশাসন ও উন্নয়ন খাতে প্রায় ৩৬ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। এমনকি মাদক বিরোধী কার্যক্রম ও মানবিক সহায়তার জন্যও কিছু অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে।
তাহলে মানুষের প্রাণহানি কি শুধুই পরিসংখ্যান?
২০০১ সালে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা অভিযানের পর থেকে সেখানে ৩ হাজার ৫০০-এর বেশি সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে, যার মধ্যে মার্কিন সৈন্য ২ হাজার ৩০০-এর বেশি। যুক্তরাজ্যের সেনা মারা গেছে ৪৫০ জনের বেশি। এই দীর্ঘ সময়ে আহত হয়েছে আরও ২০ হাজার ৬৬০ মার্কিন সৈন্য।
কিন্তু গত ২০ বছরে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী এবং বেসামরিকদের প্রাণহানি এত বেশি হয়েছে যে, বিদেশি বাহিনীর হতাহতের এই পরিসংখ্যান সেখানে নিতান্তই তুচ্ছ।
২০১৯ সালে আফগানিস্তানের সদ্য পদচ্যুত প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি দাবি করেছিলেন, পাঁচ বছর আগে তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ৪৫ হাজারেরও বেশি সদস্য নিহত হয়েছেন।
২০১৯ সালে ব্রাউন ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত আফগানিস্তানে ৬৪ হাজার ১০০ জনেরও বেশি সামরিক ও পুলিশ বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।
আফগানিস্তানে জাতিসংঘের সহায়তা মিশনের (উনামা) তথ্য অনুসারে, ২০০৯ সালে তালিকাভুক্ত করা শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত আফগানিস্তানে প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি
ফ্যাক্টচেক, সোশ্যাল মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ভাইরাল, ভুয়া পোস্ট, সংঘর্ষ, রাজধানী, সেনাবাহিনী, বিক্ষোভ, রিকশা
১১ ঘণ্টা আগেদীপ্তির বক্তব্য দাবিতে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের নাম ও লোগোযুক্ত একটি ফটোকার্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। দীপ্তি চৌধুরীর ছবিযুক্ত ফটোকার্ডটিতে লেখা, ‘আমার নানীর ফুফাতো বোনের স্বামী মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।’
১৫ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি অডিও রেকর্ড প্রচার করা হয়েছে। তাতে হাসিনাকে কথা বলতে শোনা যায়, গুলি খাওয়ার পর আবু সাঈদকে চার–পাঁচ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল।
১ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদকও। সম্প্রতি সারজিস শিশু মডেল অভিনেত্রী সিমরিন লুবাবাকে ফেসবুকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন দাবিতে একটি ফটোকার্ড সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
২ দিন আগে