ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে গত ৫ মার্চ ৫৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ভিডিওটিতে একজন নারী ইংরেজি ভাষায় ক্যামেরার সামনে কথা বলছেন। ভিডিওটির ব্যাকগ্রাউন্ডে একটি সংবাদ প্রতিবেদনের ছবি দেখা যাচ্ছে। শিরোনামে লেখা, ‘নাসা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলকে লক্ষ লক্ষ টন বরফ প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে।’
প্রতিবেদনটি প্রসঙ্গে ইনস্টাগ্রামে ওই নারীকে বলতে দেখা যায়, ‘জলবায়ু নিয়ে নাসার সর্বশেষ পদক্ষেপ সম্পর্কে শুনেছেন? তারা বায়ুমণ্ডলে কার্বন কমাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রতি সপ্তাহে বায়ুমণ্ডলে দুই টন বরফ প্রয়োগ করার পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছে।’
আসলেই কি নাসার এমন পরিকল্পনা রয়েছে?
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম ইউএসএ টুডে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে বরফ প্রয়োগের ধারণাটি শুধু অনুমানের ভিত্তিতে আলোচনায় এসেছে।
ইনস্টাগ্রাম পোস্টটিতে যে প্রতিবেদনটি দেখানো সেটি যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) একটি নথি। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নাসার কোনো সম্পর্ক নেই। এনওএএর নথিটি শুধু স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে বরফ ছড়ানোর ধারণা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে। তবে নাসা এবং এনওএএ উভয় সংস্থাই জানিয়েছে, এই ধারণা বাস্তবায়নের কোনো পরিকল্পনা নেই।
গত ফেব্রুয়ারিতে এনওএএর গবেষকেরা ‘বরফ–নিউক্লেটিং কণা’ ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হওয়ার পরিমাণ কমানোর একটি পদ্ধতি প্রস্তাব করেছিলেন। এই কণাগুলো ট্রপোপজের (পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত ট্রপোমণ্ডল ও স্ট্র্যাটোমণ্ডলের মধ্যবর্তী সীমানা নির্ধারক অঞ্চল) কাছাকাছি এবং স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হওয়া কমাতে সহায়তা করতে পারে বলে ধারণা করা হয়। গবেষণায় পদ্ধতিটি কীভাবে কাজ করবে এবং এর সীমাবদ্ধতাগুলো কী হতে পারে সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
বরফ–নিউক্লেটিং কণা (আইএনপি) হলো ক্ষুদ্র কণা, যা মেঘ বা বরফের স্ফটিক গঠনে সাহায্য করে। মরুভূমির ধুলো, দাবানল এবং দহন প্রক্রিয়া থেকে সৃষ্ট ছাই, উদ্ভিদ ও জীবাণু থেকে সৃষ্ট জৈব পদার্থ, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক, অগ্ন্যুৎপাতের ছাই, ফুলের পরাগ ও স্পোর— এসবের যে কোনো কিছুই বরফ–নিউক্লেটিং কণা হিসেবে কাজ করতে পারে।
নাসার মুখপাত্র লিজ ভলককে উদ্ধৃত করে ইউএসএ টুডে জানায়, একটি প্রতিষ্ঠান কোনো তত্ত্ব দেওয়া এবং ভিন্ন আরেকটি প্রতিষ্ঠান সেটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
ভলক ই–মেইলে ইউএসএ টুডেকে জানান, এটি একটি গবেষণা ছিল, নাসা স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে বরফ প্রয়োগের কোনো পরিকল্পনা করছে না। এনওএএর গবেষণায় নাসার নাম কীভাবে এলো এ প্রসঙ্গে ইউএসএ টুডে জানায়, গবেষণাটিতে শুধু তথ্যের উৎস হিসেবে নাসাকে উল্লেখ করা হয়েছে, ধারণাটি বাস্তবায়ন করার অংশীদার হিসেবে নয়।
এনওএএর মুখপাত্র থিও স্টেইনের বরাত দিয়ে ইউএসএ টুডে জানায়, গবেষণাটি একটি অনুমানমূলক প্রক্রিয়া খুঁজে বের করেছে। এটি স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে জলীয়বাষ্প হ্রাস করে বৈশ্বিক উষ্ণতাকে কিছু সময়ের জন্য হলেও কমানোর সম্ভাব্য উপায় হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও গবেষণাটি বলছে, এটি বায়ুমণ্ডলে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না।
স্টেইন ইউএসএ টুডেকে জানান, ধারণাটি বাস্তবায়নের কোনো পরিকল্পনা নেই।
সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ইনস্টাগ্রামে গত ৫ মার্চ ৫৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। ভিডিওটিতে একজন নারী ইংরেজি ভাষায় ক্যামেরার সামনে কথা বলছেন। ভিডিওটির ব্যাকগ্রাউন্ডে একটি সংবাদ প্রতিবেদনের ছবি দেখা যাচ্ছে। শিরোনামে লেখা, ‘নাসা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলকে লক্ষ লক্ষ টন বরফ প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করেছে।’
প্রতিবেদনটি প্রসঙ্গে ইনস্টাগ্রামে ওই নারীকে বলতে দেখা যায়, ‘জলবায়ু নিয়ে নাসার সর্বশেষ পদক্ষেপ সম্পর্কে শুনেছেন? তারা বায়ুমণ্ডলে কার্বন কমাতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রতি সপ্তাহে বায়ুমণ্ডলে দুই টন বরফ প্রয়োগ করার পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছে।’
আসলেই কি নাসার এমন পরিকল্পনা রয়েছে?
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম ইউএসএ টুডে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করে দেখেছে। সংবাদমাধ্যমটি জানায়, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে বরফ প্রয়োগের ধারণাটি শুধু অনুমানের ভিত্তিতে আলোচনায় এসেছে।
ইনস্টাগ্রাম পোস্টটিতে যে প্রতিবেদনটি দেখানো সেটি যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) একটি নথি। এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নাসার কোনো সম্পর্ক নেই। এনওএএর নথিটি শুধু স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে বরফ ছড়ানোর ধারণা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করে। তবে নাসা এবং এনওএএ উভয় সংস্থাই জানিয়েছে, এই ধারণা বাস্তবায়নের কোনো পরিকল্পনা নেই।
গত ফেব্রুয়ারিতে এনওএএর গবেষকেরা ‘বরফ–নিউক্লেটিং কণা’ ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বায়ুমণ্ডলে জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হওয়ার পরিমাণ কমানোর একটি পদ্ধতি প্রস্তাব করেছিলেন। এই কণাগুলো ট্রপোপজের (পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে অবস্থিত ট্রপোমণ্ডল ও স্ট্র্যাটোমণ্ডলের মধ্যবর্তী সীমানা নির্ধারক অঞ্চল) কাছাকাছি এবং স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে জলীয়বাষ্প ঘনীভূত হওয়া কমাতে সহায়তা করতে পারে বলে ধারণা করা হয়। গবেষণায় পদ্ধতিটি কীভাবে কাজ করবে এবং এর সীমাবদ্ধতাগুলো কী হতে পারে সেগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
বরফ–নিউক্লেটিং কণা (আইএনপি) হলো ক্ষুদ্র কণা, যা মেঘ বা বরফের স্ফটিক গঠনে সাহায্য করে। মরুভূমির ধুলো, দাবানল এবং দহন প্রক্রিয়া থেকে সৃষ্ট ছাই, উদ্ভিদ ও জীবাণু থেকে সৃষ্ট জৈব পদার্থ, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক, অগ্ন্যুৎপাতের ছাই, ফুলের পরাগ ও স্পোর— এসবের যে কোনো কিছুই বরফ–নিউক্লেটিং কণা হিসেবে কাজ করতে পারে।
নাসার মুখপাত্র লিজ ভলককে উদ্ধৃত করে ইউএসএ টুডে জানায়, একটি প্রতিষ্ঠান কোনো তত্ত্ব দেওয়া এবং ভিন্ন আরেকটি প্রতিষ্ঠান সেটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা করার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
ভলক ই–মেইলে ইউএসএ টুডেকে জানান, এটি একটি গবেষণা ছিল, নাসা স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে বরফ প্রয়োগের কোনো পরিকল্পনা করছে না। এনওএএর গবেষণায় নাসার নাম কীভাবে এলো এ প্রসঙ্গে ইউএসএ টুডে জানায়, গবেষণাটিতে শুধু তথ্যের উৎস হিসেবে নাসাকে উল্লেখ করা হয়েছে, ধারণাটি বাস্তবায়ন করার অংশীদার হিসেবে নয়।
এনওএএর মুখপাত্র থিও স্টেইনের বরাত দিয়ে ইউএসএ টুডে জানায়, গবেষণাটি একটি অনুমানমূলক প্রক্রিয়া খুঁজে বের করেছে। এটি স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে জলীয়বাষ্প হ্রাস করে বৈশ্বিক উষ্ণতাকে কিছু সময়ের জন্য হলেও কমানোর সম্ভাব্য উপায় হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। যদিও গবেষণাটি বলছে, এটি বায়ুমণ্ডলে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয় না।
স্টেইন ইউএসএ টুডেকে জানান, ধারণাটি বাস্তবায়নের কোনো পরিকল্পনা নেই।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারকে ঘিরে গড়ে ওঠা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নাম বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। আন্দোলনের সময় গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল...
১৮ ঘণ্টা আগেছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর তিনদিন পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় ৮ আগস্ট। এরপর ১০০ দিন পার করেছে এই সরকার...
১ দিন আগেবর্তমানে দিল্লিতেই অবস্থান করছেন হাসিনা। ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুতির পর তিনি আর প্রকাশ্যে আসেননি। সম্প্রতি ফেসবুকে তাঁর ১৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও শেয়ার করে দাবি করা হচ্ছে, ভারতে তাঁর সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে।
৩ দিন আগেসম্প্রতি ভাইরাল হওয়া এমন একটি কল রেকর্ডে শেখ হাসিনার কণ্ঠে দাবি করা হয়, ‘চাকরির বয়স নিয়ে আন্দোলন করতে যমুনার সামনে গেল, সাথে সাথে গুলি করল। সেখানে একজন মারা গেল এবং পিটিয়ে উঠিয়ে দিল।’
৩ দিন আগে