ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
‘এটি পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বুদ্ধিমান লোকেদের গ্রুপ ফটো। ছবিটিতে আছেন আলবার্ট আইনস্টাইন, ম্যারি কুরি, নিল বোর এবং অন্যান্য’— এমন শিরোনামে সম্প্রতি ফেসবুকের বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন গ্রুপে বিজ্ঞানীদের সাদাকালো গ্রুপ ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবি সম্পর্কে দাবি করা হচ্ছে, এখানে থাকা ২৯ জনের মধ্যে ২৮ জনই নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন। এই তথ্যের সূত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে উইকিপিডিয়া। ‘মহাকাশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ নামের ৬ লাখ সদস্যের একটি গ্রুপে গত ১২ মার্চ এমন একটি পোস্ট করা হয় ‘বিশ্ব ও মহাকাশ’ নামের পেজ থেকে। কমেন্টবক্সে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নোবেল না পাওয়া বাকি একজন সম্পর্কে জানতে চেয়ে মন্তব্য করেছেন।ছবিটি সম্পর্কে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চে নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইট দ্য নোবেল প্রাইজে খুঁজে পাওয়া যায়। আর্থার এইচ কম্পটন ফটো গ্যালারি শিরোনামে ওয়েবসাইটে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। ছবিটি সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি তোলা হয়েছে ১৯২৭ সালের অক্টোবরে, ইলেকট্রন ও প্রোটন বিষয়ক ৫ম সলভে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সময়। এ সময় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিখ্যাত পদার্থবিদরা সে সময় আবিষ্কার হওয়া কোয়ান্টাম তত্ত্ব নিয়ে আলোচনার জন্য একত্রিত হয়েছিলেন। ছবিটি তুলেছিলেন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত সলভে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্সের বেঞ্জামিন কুপ্রি।
গ্রুপ ছবিটিতে ছিলেন পেছনের সারিতে বাম থেকে ডানে: অগাস্ট পিকার্ড, এমিল হেনরিয়ট, পল এহরেনফেস্ট, এডওয়ার্ড হার্জেন, থিওফিল ডি ডোন্ডার, এরউইন শ্রোডিঙ্গার, জুলস-এমাইল ভার্শাফেল্ট, উলফগ্যাং পাউলি, ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ, রাল্ফ হাওয়ার্ড ফাউলার, লিওন ব্রিল।
মাঝের সারিতে বাম থেকে ডানে: পিটার ডেবি, মার্টিন নুডসেন, উইলিয়াম লরেন্স ব্র্যাগ, হেনড্রিক অ্যান্থনি ক্রামার্স, পল ডিরাক, আর্থার কম্পটন, লুই ডি ব্রগলি, ম্যাক্স বর্ন, নিলস বোর।
সামনের সারিতে বাম থেকে ডানে: আরভিং ল্যাংমুইর, ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক, মেরি স্ক্লোডোস্কা কুরি, হেনড্রিক লরেন্টজ, আলবার্ট আইনস্টাইন, পল ল্যাঙ্গেভিন, চার্লস-ইউগেন গাই, চার্লস থমসন রিস উইলসন, ওয়েন উইলান্স রিচার্ডসন। বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে ওয়েবসাইটটিতে বলা হয়, ছবিতে থাকা ২৯ বিজ্ঞানীর ১৭ জনই নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন।
নোবেল পুরস্কারের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজেও একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর একই তথ্য দিয়ে পেজটিতে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছিল। সেখানেও বলা হয়, ছবিতে থাকা ২৯ বিজ্ঞানীর মধ্যে নোবেল পেয়েছিলেন ১৭ জন। এর মধ্যে মেরি কুরি পেয়েছেন দুইবার। অর্থাৎ ২৯ জনের মধ্যে ২৮ জনেরই নোবেল পুরস্কার জেতার তথ্যটি সঠিক নয়।
১৭ জন নোবেল বিজয়ী কারা?
নোবেল প্রাইজের ওয়েবসাইট খুঁজে দেখা যায়, গ্রুপ ছবিটিতে থাকা যেই ১৭ জন নোবেল পেয়েছিলেন তাঁরা হলেন, হেনড্রিক লরেন্টজ (১৯০২), মেরি স্ক্লোডোস্কা কুরি (পদার্থে ১৯০৩, রসায়নে ১৯১১), উইলিয়াম লরেন্স ব্র্যাগ (১৯১৫), ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক (১৯১৮), আলবার্ট আইনস্টাইন (১৯২১), নিলস বোর (১৯২২), চার্লস থমসন রিস উইলসন (১৯২৭), আর্থার কম্পটন (১৯২৭), ওয়েন উইলান্স রিচার্ডসন (১৯২৮), লুই ডি ব্রগলি (১৯২৯), ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ (১৯৩২), আরভিং ল্যাংমুইর (১৯৩২), এরউইন শ্রোডিঙ্গার (১৯৩৩), পল ডিরাক (১৯৩৩), পিটার ডেবি (১৯৩৬), উলফগ্যাং পাউলি (১৯৪৫), ম্যাক্স বর্ন (১৯৫৪)। তাঁরা নোবেল জিতেছিলেন পদার্থ ও রসায়ন শাস্ত্রে।
ছবিতে ছিলেন কিন্তু নোবেল পাননি যারা: অগাস্ট পিকার্ড, এমিল হেনরিয়ট, পল এহরেনফেস্ট, এডওয়ার্ড হার্জেন, থিওফিল ডি ডোন্ডার, জুলস-এমাইল ভার্শাফেল্ট, রাল্ফ হাওয়ার্ড ফাউলার, লিওন ব্রিল, মার্টিন নুডসেন, হেনড্রিক অ্যান্থনি ক্রামার্স, পল ল্যাঙ্গেভিন, চার্লস-ইউগেন গাই।
‘এটি পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বুদ্ধিমান লোকেদের গ্রুপ ফটো। ছবিটিতে আছেন আলবার্ট আইনস্টাইন, ম্যারি কুরি, নিল বোর এবং অন্যান্য’— এমন শিরোনামে সম্প্রতি ফেসবুকের বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন গ্রুপে বিজ্ঞানীদের সাদাকালো গ্রুপ ছবি ভাইরাল হয়েছে। ছবি সম্পর্কে দাবি করা হচ্ছে, এখানে থাকা ২৯ জনের মধ্যে ২৮ জনই নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন। এই তথ্যের সূত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে উইকিপিডিয়া। ‘মহাকাশ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’ নামের ৬ লাখ সদস্যের একটি গ্রুপে গত ১২ মার্চ এমন একটি পোস্ট করা হয় ‘বিশ্ব ও মহাকাশ’ নামের পেজ থেকে। কমেন্টবক্সে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নোবেল না পাওয়া বাকি একজন সম্পর্কে জানতে চেয়ে মন্তব্য করেছেন।ছবিটি সম্পর্কে অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চে নোবেল পুরস্কারের ওয়েবসাইট দ্য নোবেল প্রাইজে খুঁজে পাওয়া যায়। আর্থার এইচ কম্পটন ফটো গ্যালারি শিরোনামে ওয়েবসাইটে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছে। ছবিটি সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি তোলা হয়েছে ১৯২৭ সালের অক্টোবরে, ইলেকট্রন ও প্রোটন বিষয়ক ৫ম সলভে আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সময়। এ সময় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিখ্যাত পদার্থবিদরা সে সময় আবিষ্কার হওয়া কোয়ান্টাম তত্ত্ব নিয়ে আলোচনার জন্য একত্রিত হয়েছিলেন। ছবিটি তুলেছিলেন বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত সলভে ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফিজিক্সের বেঞ্জামিন কুপ্রি।
গ্রুপ ছবিটিতে ছিলেন পেছনের সারিতে বাম থেকে ডানে: অগাস্ট পিকার্ড, এমিল হেনরিয়ট, পল এহরেনফেস্ট, এডওয়ার্ড হার্জেন, থিওফিল ডি ডোন্ডার, এরউইন শ্রোডিঙ্গার, জুলস-এমাইল ভার্শাফেল্ট, উলফগ্যাং পাউলি, ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ, রাল্ফ হাওয়ার্ড ফাউলার, লিওন ব্রিল।
মাঝের সারিতে বাম থেকে ডানে: পিটার ডেবি, মার্টিন নুডসেন, উইলিয়াম লরেন্স ব্র্যাগ, হেনড্রিক অ্যান্থনি ক্রামার্স, পল ডিরাক, আর্থার কম্পটন, লুই ডি ব্রগলি, ম্যাক্স বর্ন, নিলস বোর।
সামনের সারিতে বাম থেকে ডানে: আরভিং ল্যাংমুইর, ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক, মেরি স্ক্লোডোস্কা কুরি, হেনড্রিক লরেন্টজ, আলবার্ট আইনস্টাইন, পল ল্যাঙ্গেভিন, চার্লস-ইউগেন গাই, চার্লস থমসন রিস উইলসন, ওয়েন উইলান্স রিচার্ডসন। বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে ওয়েবসাইটটিতে বলা হয়, ছবিতে থাকা ২৯ বিজ্ঞানীর ১৭ জনই নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন।
নোবেল পুরস্কারের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজেও একই ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। ২০১৬ সালের ১৬ নভেম্বর একই তথ্য দিয়ে পেজটিতে ছবিটি পোস্ট করা হয়েছিল। সেখানেও বলা হয়, ছবিতে থাকা ২৯ বিজ্ঞানীর মধ্যে নোবেল পেয়েছিলেন ১৭ জন। এর মধ্যে মেরি কুরি পেয়েছেন দুইবার। অর্থাৎ ২৯ জনের মধ্যে ২৮ জনেরই নোবেল পুরস্কার জেতার তথ্যটি সঠিক নয়।
১৭ জন নোবেল বিজয়ী কারা?
নোবেল প্রাইজের ওয়েবসাইট খুঁজে দেখা যায়, গ্রুপ ছবিটিতে থাকা যেই ১৭ জন নোবেল পেয়েছিলেন তাঁরা হলেন, হেনড্রিক লরেন্টজ (১৯০২), মেরি স্ক্লোডোস্কা কুরি (পদার্থে ১৯০৩, রসায়নে ১৯১১), উইলিয়াম লরেন্স ব্র্যাগ (১৯১৫), ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক (১৯১৮), আলবার্ট আইনস্টাইন (১৯২১), নিলস বোর (১৯২২), চার্লস থমসন রিস উইলসন (১৯২৭), আর্থার কম্পটন (১৯২৭), ওয়েন উইলান্স রিচার্ডসন (১৯২৮), লুই ডি ব্রগলি (১৯২৯), ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ (১৯৩২), আরভিং ল্যাংমুইর (১৯৩২), এরউইন শ্রোডিঙ্গার (১৯৩৩), পল ডিরাক (১৯৩৩), পিটার ডেবি (১৯৩৬), উলফগ্যাং পাউলি (১৯৪৫), ম্যাক্স বর্ন (১৯৫৪)। তাঁরা নোবেল জিতেছিলেন পদার্থ ও রসায়ন শাস্ত্রে।
ছবিতে ছিলেন কিন্তু নোবেল পাননি যারা: অগাস্ট পিকার্ড, এমিল হেনরিয়ট, পল এহরেনফেস্ট, এডওয়ার্ড হার্জেন, থিওফিল ডি ডোন্ডার, জুলস-এমাইল ভার্শাফেল্ট, রাল্ফ হাওয়ার্ড ফাউলার, লিওন ব্রিল, মার্টিন নুডসেন, হেনড্রিক অ্যান্থনি ক্রামার্স, পল ল্যাঙ্গেভিন, চার্লস-ইউগেন গাই।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থাকে ‘দুর্বৃত্ত-লুটেরা-মাফিয়া’ উল্লেখ করে মন্তব্য করেছেন-এই দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি ভিন্ন ভিন্ন ক্যাপশনে সম্প্রতি একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও ফেসবুক পেজে ছড়ানো হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেপরিশ্রম করলে মানুষের শরীর থেকে ঘাম বের হয়। ঘামের মধ্যে পানি ও লবণ থাকে তা সাধারণভাবে সবাই জানে। কিন্তু ঘাম মানুষের শরীর থেকে টক্সিন বা বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়—এমন একটি কথাও বহুদিন ধরে লোকমুখে প্রচার হয়ে আসছে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? এই বিষয়ে চিকিৎসাবিজ্ঞান কী বলে তা জানার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকা
১০ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা রেস্তোরাঁয় ইফতারি করে বিল না দিয়ে চাঁদা চাওয়ায় দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির হয়— এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে প্রায় একই ক্যাপশনে ছড়ানো হয়েছে।
১ দিন আগেবিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণে মধু সবার কাছে প্রাকৃতিক মহৌষধ নামে পরিচিত। তবে মধু খেলে অ্যালার্জি ভালো হয়— এমন ধারণা অনেকের। কিন্তু এই দাবির সত্যতা কতটুকু? চিকিৎসাবিজ্ঞান থেকে এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে আজকের পত্রিকার ফ্যাক্টচেক বিভাগ।
১ দিন আগে